৮/১০/২০১২
তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো: আব্দুল হান্নান খান, সেফহাউজের দায়িত্বরত সমস্ত পুলিশ সদস্যসহ মোট ৩৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে হাজিরের জন্য আবেদন করেছেন আসামী পক্ষ। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-১ এ আবেদন করা হয়। আজ এ আবেদনের ওপর শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক শুনানীর সময় ট্রাইব্যুনালকে বলেন, সেফ হাউজ ডায়েরি বিষয়ে আদেশে আপনারা বলেছিলেন আমরা সেফহাউজ বিষয়ে যে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছি তা আমাদেরই প্রমান করতে হবে। আমরা সেটি প্রমানের সুযোগ চাই। এর সত্যতা প্রমানের জন্য সেফ হাউজে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে তাদের সহ মোট ৩৮জনের তালিকা আমরা দিয়েছি। । তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য সমন জারি করা হোক। তারা ট্রাইব্যুনালে আসলে তাদেরকে আমরা এ ডায়েরি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব এবং এর সত্যতা বের হয়ে আসবে। আমাদের এ সুযোগ দেয়া হেক।
এদিকে মাওলানা সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ গতকাল অনুষ্ঠিত হয়নি। আজ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
গত ২০ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদন পেশ করা হয়। আবেদনে বলা হয় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ৪৬ জন সাক্ষীকে হাজির করা আদৌ সম্ভব নয়। তাই ৪৬ জন সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী দিয়েছেন তা তাদের অনুপস্থিতিতে আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করা হোক। সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে যেসব কারণ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে মাওলানা সাঈদীর পক্ষের অস্ত্রধারীদের হুমকির কারনে কেউ কেউ আত্মগোপন করেছে, কেউ নিখেঁাঁজ, তিনজন গোপনে ভারতে পালিয়ে গেছে। এছাড়া একজনের স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে এবং বয়স ও অসুস্থতাজনিত কারনে ভ্রমনে মৃত্যুর ঝুকি রয়েছে ।
গত ২৯ মার্চ ১৫ জনের জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এ রায় পুনরায় বিবেচনার জন্য গত ৯ মে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী। গত ৩রা জুন এ বিষয়ে শুনানীর সময় আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সেফ হাউজের (ঢাকায় যেখানে সাক্ষী এনে রাখা হত) সমস্ত কাগজপত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে বলেন, সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ যে কারণ দেখিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা কোর্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে প্রতারিত করেছেন। অনেক সাক্ষী তাদের হেফাজতেই ছিল এবং সেফহাউজের এসব কাগজপত্রে তার প্রমান রয়েছে। কোন সাক্ষী কবে ঢাকায় আসে, কতদিন সেফ হাউজে ছিল, কয়বেলা খাবার খেয়েছেন, কোন কোন পুলিশ ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবল কোনদিন সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন তার সমস্ত বিবরণ লেখা রয়েছে সেফ হাউজের ডায়েরিতে। আসামী পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে সে ডায়রির কপি দাখিল করা হয় কোর্টে।
রাষ্ট্রপক্ষের সৈয়দ হায়দার আলী আসামী পক্ষের সেফ হাউজের ডায়েরিকে জাল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এটি আসামী পক্ষ তৈরি করেছেন। সেফ হাউজ এবং এ ধরনের ডায়েরি বলতে তাদের কিছু নেই।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একজন সাক্ষী সেফ হাউজে থাকা অবস্থায় তাকে হুমকি দেয়া হয় । সে বিষয়টি তিনি যাত্রাবাড়ি থানায় ডায়েরি করেছেন। এ বিষয়টিও সেফ হাউজের ডায়েরিতে লেখা রয়েছে। জিডির নম্বর উল্লেখ রয়েছে। এটা কেমন করে আমাদের পক্ষে জানান সম্ভব? যাত্রাবাড়ি থানার ডায়েরির সাথে সেফ হাউজের ডায়েরিতে বর্নিত নম্বর মিলিয়ে দেখলেই তো এর সত্যতা প্রমানিত হবে। তাছাড়া একজন পুলিশ সদস্য সেফ হাউজে দায়িত্ব পালনের সময় ঢাকার একটি কোর্টে সাক্ষী দিতে গেছে। তাও বর্নিত আছে। এটা আমাদের পক্ষে কেমন করে জানা সম্ভব? ওই কোর্টের তথ্য হাজির করা হোক তাহলেও তো প্রমানিত হবে সে বর্নিত তারিখে সে কোর্টে গিয়েছিল কি-না। তাহলে প্রমান হবে সেফ হাউজের ডায়েরি সত্য। সেফ হাউজে দায়িত্ব পালন করেছে যেসব পুলিশ তাদের প্রত্যেকের ফোন নম্বর, কে কতক্ষন দায়িত্ব পালন করেছে সে সময় এবং প্রত্যেকের ব্যাজ নম্বর, পুলিশের কোড নম্বর সব উল্লেখ আছে। এটা আমাদের পক্ষে কি করে জানা সম্ভব?
একজন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেয়ার পর তদন্ত সংস্থা থেকে ফোন করে বলা হয়েছে আজ তার সাক্ষ্য খুব ভাল হয়েছে। তাকে মিষ্টি খাওয়ানো হোক। পাঞ্জাবী কিনে দেয়া হোক। তাও লেখা রয়েছে সেফ হাউজের ডায়েরিতে। এজাতীয় তথ্য সংবিলত ডায়েরি কি করে কোন মানুষের পক্ষে বানিয়ে রচনা করা সম্ভব?
তাই সর্বশেষ এখন এর সত্যতা প্রমান করতে হলে সেইসব পুলিশ সদস্যদের হাজির করে আমাদেরকে ওপেন কোর্টে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ দেয়া হোক।
তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো: আব্দুল হান্নান খান, সেফহাউজের দায়িত্বরত সমস্ত পুলিশ সদস্যসহ মোট ৩৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে হাজিরের জন্য আবেদন করেছেন আসামী পক্ষ। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-১ এ আবেদন করা হয়। আজ এ আবেদনের ওপর শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক শুনানীর সময় ট্রাইব্যুনালকে বলেন, সেফ হাউজ ডায়েরি বিষয়ে আদেশে আপনারা বলেছিলেন আমরা সেফহাউজ বিষয়ে যে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছি তা আমাদেরই প্রমান করতে হবে। আমরা সেটি প্রমানের সুযোগ চাই। এর সত্যতা প্রমানের জন্য সেফ হাউজে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে তাদের সহ মোট ৩৮জনের তালিকা আমরা দিয়েছি। । তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য সমন জারি করা হোক। তারা ট্রাইব্যুনালে আসলে তাদেরকে আমরা এ ডায়েরি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব এবং এর সত্যতা বের হয়ে আসবে। আমাদের এ সুযোগ দেয়া হেক।
এদিকে মাওলানা সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ গতকাল অনুষ্ঠিত হয়নি। আজ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
গত ২০ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদন পেশ করা হয়। আবেদনে বলা হয় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ৪৬ জন সাক্ষীকে হাজির করা আদৌ সম্ভব নয়। তাই ৪৬ জন সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী দিয়েছেন তা তাদের অনুপস্থিতিতে আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করা হোক। সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে যেসব কারণ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে মাওলানা সাঈদীর পক্ষের অস্ত্রধারীদের হুমকির কারনে কেউ কেউ আত্মগোপন করেছে, কেউ নিখেঁাঁজ, তিনজন গোপনে ভারতে পালিয়ে গেছে। এছাড়া একজনের স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে এবং বয়স ও অসুস্থতাজনিত কারনে ভ্রমনে মৃত্যুর ঝুকি রয়েছে ।
গত ২৯ মার্চ ১৫ জনের জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এ রায় পুনরায় বিবেচনার জন্য গত ৯ মে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী। গত ৩রা জুন এ বিষয়ে শুনানীর সময় আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সেফ হাউজের (ঢাকায় যেখানে সাক্ষী এনে রাখা হত) সমস্ত কাগজপত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে বলেন, সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ যে কারণ দেখিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা কোর্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে প্রতারিত করেছেন। অনেক সাক্ষী তাদের হেফাজতেই ছিল এবং সেফহাউজের এসব কাগজপত্রে তার প্রমান রয়েছে। কোন সাক্ষী কবে ঢাকায় আসে, কতদিন সেফ হাউজে ছিল, কয়বেলা খাবার খেয়েছেন, কোন কোন পুলিশ ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবল কোনদিন সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন তার সমস্ত বিবরণ লেখা রয়েছে সেফ হাউজের ডায়েরিতে। আসামী পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে সে ডায়রির কপি দাখিল করা হয় কোর্টে।
রাষ্ট্রপক্ষের সৈয়দ হায়দার আলী আসামী পক্ষের সেফ হাউজের ডায়েরিকে জাল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এটি আসামী পক্ষ তৈরি করেছেন। সেফ হাউজ এবং এ ধরনের ডায়েরি বলতে তাদের কিছু নেই।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একজন সাক্ষী সেফ হাউজে থাকা অবস্থায় তাকে হুমকি দেয়া হয় । সে বিষয়টি তিনি যাত্রাবাড়ি থানায় ডায়েরি করেছেন। এ বিষয়টিও সেফ হাউজের ডায়েরিতে লেখা রয়েছে। জিডির নম্বর উল্লেখ রয়েছে। এটা কেমন করে আমাদের পক্ষে জানান সম্ভব? যাত্রাবাড়ি থানার ডায়েরির সাথে সেফ হাউজের ডায়েরিতে বর্নিত নম্বর মিলিয়ে দেখলেই তো এর সত্যতা প্রমানিত হবে। তাছাড়া একজন পুলিশ সদস্য সেফ হাউজে দায়িত্ব পালনের সময় ঢাকার একটি কোর্টে সাক্ষী দিতে গেছে। তাও বর্নিত আছে। এটা আমাদের পক্ষে কেমন করে জানা সম্ভব? ওই কোর্টের তথ্য হাজির করা হোক তাহলেও তো প্রমানিত হবে সে বর্নিত তারিখে সে কোর্টে গিয়েছিল কি-না। তাহলে প্রমান হবে সেফ হাউজের ডায়েরি সত্য। সেফ হাউজে দায়িত্ব পালন করেছে যেসব পুলিশ তাদের প্রত্যেকের ফোন নম্বর, কে কতক্ষন দায়িত্ব পালন করেছে সে সময় এবং প্রত্যেকের ব্যাজ নম্বর, পুলিশের কোড নম্বর সব উল্লেখ আছে। এটা আমাদের পক্ষে কি করে জানা সম্ভব?
একজন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেয়ার পর তদন্ত সংস্থা থেকে ফোন করে বলা হয়েছে আজ তার সাক্ষ্য খুব ভাল হয়েছে। তাকে মিষ্টি খাওয়ানো হোক। পাঞ্জাবী কিনে দেয়া হোক। তাও লেখা রয়েছে সেফ হাউজের ডায়েরিতে। এজাতীয় তথ্য সংবিলত ডায়েরি কি করে কোন মানুষের পক্ষে বানিয়ে রচনা করা সম্ভব?
তাই সর্বশেষ এখন এর সত্যতা প্রমান করতে হলে সেইসব পুলিশ সদস্যদের হাজির করে আমাদেরকে ওপেন কোর্টে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ দেয়া হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন