মেহেদী হাসান, ১২/৪/২০১২, বৃহষ্পতিবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আজ পঞ্চম দিনের মত সাক্ষ্য দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। সাক্ষ্য দেয়ার সময় তিনি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৭ টি মামলা ধারা এবং তারিখসহ উল্লেখ করেন। এরপর বিচারপতি একেএম জহির আহমেদ তাকে প্রশ্ন করেন এই ১৭টি মামলার সাথে বর্তমান মামলার অভিযোগের সাথে কোন সম্পর্ক আছে কি-না। হেলাল উদ্দিন জবাব দেন “না”।
যে ১৭টি মামলা তিনি উল্লেখ করেন সেগুলো হল ১. কদমতলী থানায় মামলা, দায়েরের তারিখ ২৪/৫/২০১০। ২. সি আর মামলা। ৩. পল্টন থানা মামলা নং ২০ (২০১০। ৪. পলন্ট থানা মামলা নং ২৫ (৬) ১০। ৫. পল্টন থানা মামলা নং ৩৭ (২) ১০। ৬. পিরোজপর সদর থানা মামলা নং ৯ (৬) ০৯। ৭. জিয়ানগর থানা মামলা। ৮. রমনা থানা মামলা। ৯. রাঙ্গামাটি কমপ্লেন মামলা নং ৭০/১০। ১০. খুলনা কমপ্লেন মামলা নং ২৭০/১০। ১১. উত্তরা থানা মামলা নং ৩১ (৩) ১০। ১২. রমনা থানা মামলা নং ৫৫ (৬) ১০। ১৩. উত্তরা থানা মামলা নং ৩০ (৫) ১০। ১৪ শেরেবাংলানগর থানা মামলা নং ৩১ (৩) ১০। ১৫. কর ফাকি মামলা নং ২৮/১০। ১৬. রাজশাহী মতিহার থানা মামলা নং ২০ (১০) ০৯ এবং ১৭. লালমনিরহাট জেলা সিআর মামলা নং ৬৭/২০১০।
মামলায় দন্ডবিধির যেসব ধারা উল্লেখ করা সেগুলো হল ৩২৬/৩০৭/৪২৭/৪৩৫/ ৪০৯/
৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯/১৪৩/৩৪২/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০২/৩৮০/১৫৩-ক/৫০৬-ক/৮/৯/১০(সন্ত্রাস বিরোধী আইন)/১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৫৯/৩৪/৩৫/।
কোন কোন মামলায় আটটি পর্যন্ত দন্ডবিধির ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তারিখে দেখা যায় একটি বাদে বাকী ১৬টি সবগুলো মামলা ২০১০ সালে করা হয়েছে তার বন্দী থাকা অবস্থায়। ২০১০ সালের ২৯ জুন মাওলানা সাঈদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই থেকে তিনি বন্দী রয়েছেন।
এসব মামলার বিষয়ে উল্লেখ করার পর তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, হানাদার বাহিনীর সহযোগী বাহিনী রাজাকার, আল বদর, আল শামস, কর্তৃক বাংলাদেশের নিরীহ, নিরস্ত্র ও শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষন, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, মানবতাবিরোধী অপরাথসহ অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৮ (১) ধারা বর্ণিত তদন্ত সংস্থার ৩ (২) ধারার অপরাধের তদন্ত অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন অপরাধীর বিরুদ্ধে উল্লিখিত অপরাধ।
এ পর্যন্ত বলার পর বিচারপতি জহির আহমেদ বলেন, আমি একটু কনফিউজড হলাম। কার তদন্ত অব্যাহত আছে? এই মামলার তদন্ত? এ মামলার তদন্ত এখনো চলে কিভাবে?
এ প্রশ্নের পর তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থাকেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী কাঠগড়ায় গিয়ে তাকে পরামর্শ দেন। কিন্তু তারপরও তিনি এ প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে দাড়িয়ে থাকেন। এরপর বিচারপতি জহির আহমেদ বলেন আচ্ছা সামনে আগান।
এরপর মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, উনি একটু আগে ‘অপরাধী’ শব্দটি উচ্চারন করলেন। ‘অপরাধী’ বলার অধিকার কি তার আছে?
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, দেখি উনি কি বলেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা আসামী শব্দ ব্যবহার করেন।
কিভাবে তিনি অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বিবরন দেয়ার পর ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চ মাসের হরতাল, অসহযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর পর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন পর্যন্ত আসেন। এরপর কোর্টরুমের বড় পর্দায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন প্রচার করে দেখানো হয়।
আজ দুপুরের বিরতির আগ পর্যন্ত তিনি সাক্ষ্য দেন। দুপুরের বিরতির পর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যদানের তারিখ আগামী ১৭ এপ্রিল নির্ধারন করা হয়েছে বিকালে।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আজ পঞ্চম দিনের মত সাক্ষ্য দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। সাক্ষ্য দেয়ার সময় তিনি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৭ টি মামলা ধারা এবং তারিখসহ উল্লেখ করেন। এরপর বিচারপতি একেএম জহির আহমেদ তাকে প্রশ্ন করেন এই ১৭টি মামলার সাথে বর্তমান মামলার অভিযোগের সাথে কোন সম্পর্ক আছে কি-না। হেলাল উদ্দিন জবাব দেন “না”।
যে ১৭টি মামলা তিনি উল্লেখ করেন সেগুলো হল ১. কদমতলী থানায় মামলা, দায়েরের তারিখ ২৪/৫/২০১০। ২. সি আর মামলা। ৩. পল্টন থানা মামলা নং ২০ (২০১০। ৪. পলন্ট থানা মামলা নং ২৫ (৬) ১০। ৫. পল্টন থানা মামলা নং ৩৭ (২) ১০। ৬. পিরোজপর সদর থানা মামলা নং ৯ (৬) ০৯। ৭. জিয়ানগর থানা মামলা। ৮. রমনা থানা মামলা। ৯. রাঙ্গামাটি কমপ্লেন মামলা নং ৭০/১০। ১০. খুলনা কমপ্লেন মামলা নং ২৭০/১০। ১১. উত্তরা থানা মামলা নং ৩১ (৩) ১০। ১২. রমনা থানা মামলা নং ৫৫ (৬) ১০। ১৩. উত্তরা থানা মামলা নং ৩০ (৫) ১০। ১৪ শেরেবাংলানগর থানা মামলা নং ৩১ (৩) ১০। ১৫. কর ফাকি মামলা নং ২৮/১০। ১৬. রাজশাহী মতিহার থানা মামলা নং ২০ (১০) ০৯ এবং ১৭. লালমনিরহাট জেলা সিআর মামলা নং ৬৭/২০১০।
মামলায় দন্ডবিধির যেসব ধারা উল্লেখ করা সেগুলো হল ৩২৬/৩০৭/৪২৭/৪৩৫/ ৪০৯/
৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯/১৪৩/৩৪২/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০২/৩৮০/১৫৩-ক/৫০৬-ক/৮/৯/১০(সন্ত্রাস বিরোধী আইন)/১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৫৯/৩৪/৩৫/।
কোন কোন মামলায় আটটি পর্যন্ত দন্ডবিধির ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তারিখে দেখা যায় একটি বাদে বাকী ১৬টি সবগুলো মামলা ২০১০ সালে করা হয়েছে তার বন্দী থাকা অবস্থায়। ২০১০ সালের ২৯ জুন মাওলানা সাঈদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই থেকে তিনি বন্দী রয়েছেন।
এসব মামলার বিষয়ে উল্লেখ করার পর তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, হানাদার বাহিনীর সহযোগী বাহিনী রাজাকার, আল বদর, আল শামস, কর্তৃক বাংলাদেশের নিরীহ, নিরস্ত্র ও শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষন, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, মানবতাবিরোধী অপরাথসহ অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৮ (১) ধারা বর্ণিত তদন্ত সংস্থার ৩ (২) ধারার অপরাধের তদন্ত অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন অপরাধীর বিরুদ্ধে উল্লিখিত অপরাধ।
এ পর্যন্ত বলার পর বিচারপতি জহির আহমেদ বলেন, আমি একটু কনফিউজড হলাম। কার তদন্ত অব্যাহত আছে? এই মামলার তদন্ত? এ মামলার তদন্ত এখনো চলে কিভাবে?
এ প্রশ্নের পর তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থাকেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী কাঠগড়ায় গিয়ে তাকে পরামর্শ দেন। কিন্তু তারপরও তিনি এ প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে দাড়িয়ে থাকেন। এরপর বিচারপতি জহির আহমেদ বলেন আচ্ছা সামনে আগান।
এরপর মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, উনি একটু আগে ‘অপরাধী’ শব্দটি উচ্চারন করলেন। ‘অপরাধী’ বলার অধিকার কি তার আছে?
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, দেখি উনি কি বলেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা আসামী শব্দ ব্যবহার করেন।
কিভাবে তিনি অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বিবরন দেয়ার পর ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চ মাসের হরতাল, অসহযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর পর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন পর্যন্ত আসেন। এরপর কোর্টরুমের বড় পর্দায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন প্রচার করে দেখানো হয়।
আজ দুপুরের বিরতির আগ পর্যন্ত তিনি সাক্ষ্য দেন। দুপুরের বিরতির পর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যদানের তারিখ আগামী ১৭ এপ্রিল নির্ধারন করা হয়েছে বিকালে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন