মেহেদী হাসান, ২২.৭.২০১২, রোববার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার, দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল আমিন নবীনসহ আরো কয়েক সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তান আর্মি পারেরহাট বন্দরে আসে। ২৬টি রিক্সাযোগে ৫২ জন আর্মি সদস্য পিরোজপুর শহর থেকে পারেরহাট রিক্সা স্ট্যান্ডে এসে নামে। তাদেরকে পারেরহাট রিক্সা স্ট্যান্ডে মাওলানা সাঈদীসহ শান্তি কমিটির লোকজন অভ্যর্থনা জানায়।
আজ জেরার সময় তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান ১৯৭১ সালের ওই ২৬ রিক্সা চালকের কাউকে তিনি খুঁজে পাননি। এমনকি ১৯৭১ সালে পারেরহাট বাজারে রিক্সা চালাত এমন কাউকেও তিনি খুঁজে পাননি।
এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে জবানবন্দী প্রদানের সময় ১৩টি বইয়ের নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু তার একটি বইয়েও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। এমনকি কোন কোন বই ১৯৭১ সালের অপরাধ সম্পর্কিত নয়।
জেরা (সংক্ষিপ্ত)
প্রশ্ন : গনেশকে হাজিরের সমন নিয়ে পিরোজপুর এসপির কাছে কবে যান? (গনেশ চন্দ্র সাহা ভাগীরথীর ছেলে। । তাকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী করা হয়। যে ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দী তাদেরকে আদালতে হাজির না করে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাদের মধ্যে গনেশ রয়েছেন। )
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : গনেশের কাছে কবে সমন নিয়ে যান?
উত্তর : স্মরনে নেই।
প্রশ্ন : গনেশকে না পাওয়ার কারণ কি উল্লেখ করেছিলেন?
উত্তর : পাওয়া যাচ্ছেনা।
প্রশ্ন : গণেশকে হাজিরের জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালান
উত্তর : হ্য।
প্রশ্ন : কতবার?
উত্তর : কয়বার তা মনে নেই।
প্রশ্ন : শেষবার কবে চেষ্টা চালান?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : শেষ বারও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এ মর্মে নোট দিয়েছেন?
উত্তর : তাকে পাওয়া যায়নি ।
প্রশ্ন : গণেশের কর্মস্থলে যাওয়াই হয়নি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : তার কর্মস্থল কোথায়?
উত্তর : তার বাড়ি এবং আশপাশের এলাকা।
প্রশ্ন : তার বাড়ি কোথায়?
উত্তর : বাগমারা।
প্রশ্ন : বাড়ি কিসের তৈরি?
উত্তর : টিনের।
প্রশ্ন : বাড়িতে কয়টি ঘর?
উত্তর : ২টি।
প্রশ্ন : কতখানি জায়গা নিয়ে?
উত্তর : ৬.৭ বিঘা জমি নিয়ে।
প্রশ্ন : বাড়িতে উল্লেখযোগ্য কি দেখেছেন?
উত্তর : উল্লেখযোগ্য আর কিছু দেখিনি।
প্রশ্ন : গ্রামের মন্ডলদের কাছে তার বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্য গিয়েছিলেন?
উত্তর : বাড়ির আশ পাশের লোকদের কাছে খোঁজ নিয়েছি।
প্রশ্ন : বাগমারা আপনাকে কে নিয়ে যায়?
উত্তর : থানার এসআই বাদল কৃষ্ণ।
প্রশ্ন : এসআই থানা থেকে বের হওয়া এবং থানায় ফিরে আসার পর যে জিডি এন্ট্রি করেন তা প্রসিকিউশনকে দিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন গণেশকে হাজির করতে না পারার বিষয়ে যে রিপোর্ট আপনি দাখিল করেছেন তা আপনার মনগড়া, ভুয়া এবং প্রসিকিউশনের নির্দেশমত তৈরি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : কে এম শফিউল্লাহ একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
উত্তর : (কিছুক্ষন ইতস্ততা করার পর জবাব দেন ‘দেখতে হবে’। তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তখন বলেন, এটাও আপনার দেখতে হবে? আপনার তো চাকরি থাকা উচিত নয়। তদন্ত কর্মকর্তা পরে বলেন, স্যার আমি জানি । একটু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওকথা বলেছি। )
প্রশ্ন : বাংলাদেশ এট ওয়ার, মুনতাসির মামুনের লেখা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ১৯৭১-১৯৭৫, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম রচিত স্বাধীনতা ১৯৭১, সালাম আজাদ রচিত কন্ট্রিবিউশন অব ইন্ডিয়া ইন দি লিবারেশন ওয়ার অব বাংলাদেশ, সিদ্দিক সালেক লিখিত উইটনেস টু সারেন্ডার, আমির হোসেন রচিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, রফিকুল ইসলাম বীরোত্তম রচিত লক্ষ প্রানের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১, হাবিবুল আলম লিখিত ব্রেভ অব হার্ট, বইয়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।
উত্তর : নাই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে পারেরহাটে রিক্সা চালোতো এমন কোন ব্যাক্তি জীবিত আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন?
উত্তর : খোঁজ খবর নিয়েছি তবে কাউকে পাইনি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে পিরোজপুর শহরে রিক্সা স্ট্যান্ড কোথায় ছিল তা অনুসন্ধান করেছেন?
উত্তর : অনুসন্ধান করি কিনা তা আমার নোটে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে যে রিক্সা যোগে পাকিস্তান আর্মিরা পিরোজপুর শহর থেকে পারেরহাটে আসে সেই ২৬ জন রিক্সাওয়ালা সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছেন?
উত্তর : আমি তদন্তকালে অনুসন্ধান করেছি, তবে কাউকে পাওয়া যায় নাই। মাহবুবুল আলম, রুহুল আমীন নবীনসহ আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, গোপনে তদন্ত করেছি, কারও নাম পাইনি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে রিক্সা চালাতো এরকম কোন রিক্সা চালক খুজে বের করার জন্য পারেরহাট বাজার বা রিক্সা স্ট্যান্ডের এবং শহরের কোন রিক্সা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন?
উত্তর : কয়েকজন রিক্সা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি কিন্তু কোন রেজাল্ট না পাওয়ায় আমি নোট করি নাই । ফলে কাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি তা বলতে পারছি না।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার, দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল আমিন নবীনসহ আরো কয়েক সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তান আর্মি পারেরহাট বন্দরে আসে। ২৬টি রিক্সাযোগে ৫২ জন আর্মি সদস্য পিরোজপুর শহর থেকে পারেরহাট রিক্সা স্ট্যান্ডে এসে নামে। তাদেরকে পারেরহাট রিক্সা স্ট্যান্ডে মাওলানা সাঈদীসহ শান্তি কমিটির লোকজন অভ্যর্থনা জানায়।
আজ জেরার সময় তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান ১৯৭১ সালের ওই ২৬ রিক্সা চালকের কাউকে তিনি খুঁজে পাননি। এমনকি ১৯৭১ সালে পারেরহাট বাজারে রিক্সা চালাত এমন কাউকেও তিনি খুঁজে পাননি।
এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে জবানবন্দী প্রদানের সময় ১৩টি বইয়ের নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু তার একটি বইয়েও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। এমনকি কোন কোন বই ১৯৭১ সালের অপরাধ সম্পর্কিত নয়।
জেরা (সংক্ষিপ্ত)
প্রশ্ন : গনেশকে হাজিরের সমন নিয়ে পিরোজপুর এসপির কাছে কবে যান? (গনেশ চন্দ্র সাহা ভাগীরথীর ছেলে। । তাকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী করা হয়। যে ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দী তাদেরকে আদালতে হাজির না করে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাদের মধ্যে গনেশ রয়েছেন। )
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : গনেশের কাছে কবে সমন নিয়ে যান?
উত্তর : স্মরনে নেই।
প্রশ্ন : গনেশকে না পাওয়ার কারণ কি উল্লেখ করেছিলেন?
উত্তর : পাওয়া যাচ্ছেনা।
প্রশ্ন : গণেশকে হাজিরের জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালান
উত্তর : হ্য।
প্রশ্ন : কতবার?
উত্তর : কয়বার তা মনে নেই।
প্রশ্ন : শেষবার কবে চেষ্টা চালান?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : শেষ বারও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এ মর্মে নোট দিয়েছেন?
উত্তর : তাকে পাওয়া যায়নি ।
প্রশ্ন : গণেশের কর্মস্থলে যাওয়াই হয়নি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : তার কর্মস্থল কোথায়?
উত্তর : তার বাড়ি এবং আশপাশের এলাকা।
প্রশ্ন : তার বাড়ি কোথায়?
উত্তর : বাগমারা।
প্রশ্ন : বাড়ি কিসের তৈরি?
উত্তর : টিনের।
প্রশ্ন : বাড়িতে কয়টি ঘর?
উত্তর : ২টি।
প্রশ্ন : কতখানি জায়গা নিয়ে?
উত্তর : ৬.৭ বিঘা জমি নিয়ে।
প্রশ্ন : বাড়িতে উল্লেখযোগ্য কি দেখেছেন?
উত্তর : উল্লেখযোগ্য আর কিছু দেখিনি।
প্রশ্ন : গ্রামের মন্ডলদের কাছে তার বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্য গিয়েছিলেন?
উত্তর : বাড়ির আশ পাশের লোকদের কাছে খোঁজ নিয়েছি।
প্রশ্ন : বাগমারা আপনাকে কে নিয়ে যায়?
উত্তর : থানার এসআই বাদল কৃষ্ণ।
প্রশ্ন : এসআই থানা থেকে বের হওয়া এবং থানায় ফিরে আসার পর যে জিডি এন্ট্রি করেন তা প্রসিকিউশনকে দিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন গণেশকে হাজির করতে না পারার বিষয়ে যে রিপোর্ট আপনি দাখিল করেছেন তা আপনার মনগড়া, ভুয়া এবং প্রসিকিউশনের নির্দেশমত তৈরি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : কে এম শফিউল্লাহ একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
উত্তর : (কিছুক্ষন ইতস্ততা করার পর জবাব দেন ‘দেখতে হবে’। তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তখন বলেন, এটাও আপনার দেখতে হবে? আপনার তো চাকরি থাকা উচিত নয়। তদন্ত কর্মকর্তা পরে বলেন, স্যার আমি জানি । একটু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওকথা বলেছি। )
প্রশ্ন : বাংলাদেশ এট ওয়ার, মুনতাসির মামুনের লেখা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ১৯৭১-১৯৭৫, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম রচিত স্বাধীনতা ১৯৭১, সালাম আজাদ রচিত কন্ট্রিবিউশন অব ইন্ডিয়া ইন দি লিবারেশন ওয়ার অব বাংলাদেশ, সিদ্দিক সালেক লিখিত উইটনেস টু সারেন্ডার, আমির হোসেন রচিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, রফিকুল ইসলাম বীরোত্তম রচিত লক্ষ প্রানের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১, হাবিবুল আলম লিখিত ব্রেভ অব হার্ট, বইয়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।
উত্তর : নাই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে পারেরহাটে রিক্সা চালোতো এমন কোন ব্যাক্তি জীবিত আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন?
উত্তর : খোঁজ খবর নিয়েছি তবে কাউকে পাইনি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে পিরোজপুর শহরে রিক্সা স্ট্যান্ড কোথায় ছিল তা অনুসন্ধান করেছেন?
উত্তর : অনুসন্ধান করি কিনা তা আমার নোটে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে যে রিক্সা যোগে পাকিস্তান আর্মিরা পিরোজপুর শহর থেকে পারেরহাটে আসে সেই ২৬ জন রিক্সাওয়ালা সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছেন?
উত্তর : আমি তদন্তকালে অনুসন্ধান করেছি, তবে কাউকে পাওয়া যায় নাই। মাহবুবুল আলম, রুহুল আমীন নবীনসহ আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, গোপনে তদন্ত করেছি, কারও নাম পাইনি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে রিক্সা চালাতো এরকম কোন রিক্সা চালক খুজে বের করার জন্য পারেরহাট বাজার বা রিক্সা স্ট্যান্ডের এবং শহরের কোন রিক্সা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন?
উত্তর : কয়েকজন রিক্সা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি কিন্তু কোন রেজাল্ট না পাওয়ায় আমি নোট করি নাই । ফলে কাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি তা বলতে পারছি না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন