মেহেদী হাসান, ২/৮/২০১২
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ করার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। আগামী আট আগস্ট বুধবারের মধ্যে জেরা শেষ করতে হবে।
১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদেশ পাশের পূর্বে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ না করে অন্য কোন মামলার বিচার কার্যক্রম চালানো হবেনা। সময় বেঁধে না দেয়ার জন্য মাওলানা সাঈদীর পক্ষের আইনজীবীরা অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
সময় বেঁধে দেয়া সম্পর্কিত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আমরা বলেছিলাম মিজানুল ইসলামকে আজকের মধ্যে জেরা শেষ করার জন্য। তিনি আরো সময় চেয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি তদন্ত কর্মকর্তা কাঠগড়ায় রয়েছেন। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে তিনি কান্ত। মিজানুল ইসলামকেও কান্ত মনে হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা বেশ ভালভাবে এগিয়েছে। সময় বেঁধে দেয়া পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন এড়ানো সম্ভব । আমরা মনে করি ন্যায় বিচারের স্বার্থে সময় বেঁধে দেয়া দরকার। কিন্তু কোন পক্ষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটিও আমরা দেখব। তাই আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে আমরা আসামী পক্ষকে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।
আদেশের পূর্বে কথপোকথন:
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সময় বেঁধে না দেয়ার জন্য এবং জেরার জন্য আরো সময় প্রার্থনা করে বলেন আগামী ৫ আগস্ট রোববার মাওলানা নিজামী সাহেবের মামলা আছে। তখন বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ না করে অন্য কোন মামলা ধরা হবেনা। এটা আগে শেষ করতে হবে। তারপর অন্য মামলা।
আগামী ৫ আগস্ট রোববার মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, ৬ আগস্ট সোমবার অধ্যাপক গোলাম আযম এবং ৭ আগস্ট মঙ্গলবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য নির্ধারিত ছিল।
আজ দিনব্যাপী তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের জেরা চলে। বিকাল তিনটার অল্প পূর্বে বিচারপতি নিজামুল হক মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীর প্রতি লক্ষ্য করে বলন, আজ বলেছিলাম তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ করার জন্য। সময় বেঁধে দেয়ার জন্য আজ একটা আদেশ দেই।
তখন মিজানুল ইসলাম অনুরোধ করেন সময় বেঁধে দিয়ে আদেশ না দেয়ার জন্য।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সময় বেঁধে না দিলেতো শেষ করতে পারছিনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা পূর্ণ আট দিন জবানবন্দী দিয়েছেন। ২৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ১৪টি বই জমা দিয়েছে যার একটিতেও মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। ১২শ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট জমা দেয়া হয়েছে আসামীর বিরুদ্ধে। সাধারনত একটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে তিন/চারদিন জেরা করা হয়। এখানে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
দিন হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তার মোট ৪২ দিন জেরা হয়েছে। কিন্তু পূর্ন ৪২ দিন জেরা হয়নি। সব দিন একটানা জেরা হয়নি। তারপরও মোট যে জেরা হয়েছে তার ২৫ ভাগ সময় ব্যায় হয়েছে ওনার উত্তর খোঁজা এবং অন্যান্য বিষয়ের কারনে । আমাদের কারনে সময় নষ্ট হয়নি।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, পত্রপত্রিকায় লিখেছে আজ জেরা শেষ হবার কথা রয়েছে। আমাদের মর্যাদা এবং সম্মান রক্ষায় আজ একটা আদেশ দেয়া দরকার। তা না হলে বলা হবে আমরা শুধু মুখে বলি। কাজে করিনা। এই বদনাম থেকে বাঁচতে চাই।
এ পর্যাায়ে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দাড়িয়ে আদেশ পাশ না করার জন্য অনুরোধ করলে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আমরা এদেশে একটা নতুন পদ্ধতি চালু করতে চাই সময় বেঁধে দেয়ার ব্যাপারে। আমরা বিচার ব্যবস্থায় এটা চালু করতে চাই। এ সুযোগটা আমাদের দেন। আমরা একটা নতুন জিনিস চালু করি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী আদেশ পাশের জন্য ট্রাইব্যুনালের প্রতি অনুরোধ করেন।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ করার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। আগামী আট আগস্ট বুধবারের মধ্যে জেরা শেষ করতে হবে।
১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদেশ পাশের পূর্বে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ না করে অন্য কোন মামলার বিচার কার্যক্রম চালানো হবেনা। সময় বেঁধে না দেয়ার জন্য মাওলানা সাঈদীর পক্ষের আইনজীবীরা অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
সময় বেঁধে দেয়া সম্পর্কিত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আমরা বলেছিলাম মিজানুল ইসলামকে আজকের মধ্যে জেরা শেষ করার জন্য। তিনি আরো সময় চেয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি তদন্ত কর্মকর্তা কাঠগড়ায় রয়েছেন। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে তিনি কান্ত। মিজানুল ইসলামকেও কান্ত মনে হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা বেশ ভালভাবে এগিয়েছে। সময় বেঁধে দেয়া পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন এড়ানো সম্ভব । আমরা মনে করি ন্যায় বিচারের স্বার্থে সময় বেঁধে দেয়া দরকার। কিন্তু কোন পক্ষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটিও আমরা দেখব। তাই আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে আমরা আসামী পক্ষকে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।
আদেশের পূর্বে কথপোকথন:
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সময় বেঁধে না দেয়ার জন্য এবং জেরার জন্য আরো সময় প্রার্থনা করে বলেন আগামী ৫ আগস্ট রোববার মাওলানা নিজামী সাহেবের মামলা আছে। তখন বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ না করে অন্য কোন মামলা ধরা হবেনা। এটা আগে শেষ করতে হবে। তারপর অন্য মামলা।
আগামী ৫ আগস্ট রোববার মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, ৬ আগস্ট সোমবার অধ্যাপক গোলাম আযম এবং ৭ আগস্ট মঙ্গলবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য নির্ধারিত ছিল।
আজ দিনব্যাপী তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের জেরা চলে। বিকাল তিনটার অল্প পূর্বে বিচারপতি নিজামুল হক মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীর প্রতি লক্ষ্য করে বলন, আজ বলেছিলাম তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ করার জন্য। সময় বেঁধে দেয়ার জন্য আজ একটা আদেশ দেই।
তখন মিজানুল ইসলাম অনুরোধ করেন সময় বেঁধে দিয়ে আদেশ না দেয়ার জন্য।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সময় বেঁধে না দিলেতো শেষ করতে পারছিনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা পূর্ণ আট দিন জবানবন্দী দিয়েছেন। ২৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ১৪টি বই জমা দিয়েছে যার একটিতেও মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। ১২শ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট জমা দেয়া হয়েছে আসামীর বিরুদ্ধে। সাধারনত একটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে তিন/চারদিন জেরা করা হয়। এখানে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
দিন হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তার মোট ৪২ দিন জেরা হয়েছে। কিন্তু পূর্ন ৪২ দিন জেরা হয়নি। সব দিন একটানা জেরা হয়নি। তারপরও মোট যে জেরা হয়েছে তার ২৫ ভাগ সময় ব্যায় হয়েছে ওনার উত্তর খোঁজা এবং অন্যান্য বিষয়ের কারনে । আমাদের কারনে সময় নষ্ট হয়নি।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, পত্রপত্রিকায় লিখেছে আজ জেরা শেষ হবার কথা রয়েছে। আমাদের মর্যাদা এবং সম্মান রক্ষায় আজ একটা আদেশ দেয়া দরকার। তা না হলে বলা হবে আমরা শুধু মুখে বলি। কাজে করিনা। এই বদনাম থেকে বাঁচতে চাই।
এ পর্যাায়ে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দাড়িয়ে আদেশ পাশ না করার জন্য অনুরোধ করলে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আমরা এদেশে একটা নতুন পদ্ধতি চালু করতে চাই সময় বেঁধে দেয়ার ব্যাপারে। আমরা বিচার ব্যবস্থায় এটা চালু করতে চাই। এ সুযোগটা আমাদের দেন। আমরা একটা নতুন জিনিস চালু করি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী আদেশ পাশের জন্য ট্রাইব্যুনালের প্রতি অনুরোধ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন