মেহেদী হাসান, ২৩/৭/২০১২, সোমবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আজ জেরার সময় বলেছেন তিনি ইব্রাহিম কুট্টির বাড়িতে যাননি তদন্তের সময় ।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে বর্তমানে বিচার চলছে তার মধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা হল ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা। মাওলানা সাঈদীর নির্দেশে পাক আর্মি ১৯৭১ সালের ৮ মে পারেরহাট বাজারে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করে বলে দুজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। মানিক পসারী এবং সুলতান আহমদ হাওলাদার নামে এ দুজন সাক্ষী নিজেদেরকে ইব্রাহিম হত্যা ঘটনার চাুস সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মনজুর আহমদ আনসারী দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, যে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা নিয়ে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে এতবড় অভিযোগ সেই ইব্রাহিমের বাড়িতে তিনি তদন্তের সময় যাননি এটি আশ্চর্যের বিষয়।
১৯৭১ সালের ৮ মে পারেরহাট বাজারে নিয়ে ইব্রাহিমকে হত্যার বিষয়ে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিলেও গত ২৮/১২/২০১২ তারিখে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে যে তথ্য প্রমান উপস্থাপন করেন তাতে দেখা যায় ইব্রাহীম কুট্টি পারের হাট বাজারে ৮ মে নিহত হননি। তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ অক্টোবর ১৯৭১ সালে নিহত হন । দেশ স্বাধীনের পর পিরোজপুর আদালতে ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম স্বামীর হত্যার বিচার চেয়ে যে মামলা করেছিলেন ১৯৭২ সালে তার এজহার আদালতে দাখিল করেছেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা। এজহারে ১৩ জন আসামীর নাম উল্লেখ রয়েছে। শ্বশুর বাড়িতে হত্যা ঘটনার বিবরন এবং ঘটনার তারিখ ১ অক্টোবর ১৯৭১ সাল লেখা রয়েছে। মামলার নম্বর ৯। মমতাজ বেগমের দায়ের করা মামলায় ১৩ জন আসামীর মধ্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই।
ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রীর মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালে পিরোজপুরে যে হত্যা মামলা করেন তার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে ইব্রাহিম কুট্টির বাড়ি বাদুরা। তিনি কিছু হিন্দুদের বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার কারনে পাক আর্মি এবং রাজাকারদের রোষানলে পড়েন। সে কারনে জীবন বাঁচাতে তার স্বামী ইব্রাহীম কুট্টি তাকে নিয়ে তার বাপের বাড়ি নল বুনিয়ায় চলে আসেন। অর্থাৎ ইব্রাহিম কুট্টি তার শ্বশুর বাড়ি যান স্ত্রীকে নিয়ে।
মমতাজ বেগম মামলার এজহারে বলেন, তিনি তার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি থাকা অবস্থায় ১ অক্টোবর ১৯৭১ সালে আসামীরা তার স্বামী ইব্রাহীম কুট্টি এবং ভাই সিরাজকে গুলি করে হত্যা করে।
মমতাজ বেগম তার স্বামীর হত্যা মামলায় যাদের আসামী করেছেন তারা হলেন, দানেশ মোল্লা, আতাহার আল, আশ্রাব আলী, আব্দুল মান্নান, আইউব আলী কালাম চৌধুরী, রুহুল আমিন, আব্দুল হাকিম মুন্সি, মমিন উদ্দিন, সেকোন্দার আলী শিকদার, শামসুর রহমান এসআই, মোসলেম মাওলানা। আসামীদের তালিকায় মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। যারা আসামী তাদের প্রায় সকলেই কুখ্যাত রাজাকার এবং পিস কমিটির নেতা ছিল বলে স্বাীকার করেছেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসা সাক্ষীরা।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম আজ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন। তাকে সহায়তা করে অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আজ জেরার সময় বলেছেন তিনি ইব্রাহিম কুট্টির বাড়িতে যাননি তদন্তের সময় ।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে বর্তমানে বিচার চলছে তার মধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা হল ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা। মাওলানা সাঈদীর নির্দেশে পাক আর্মি ১৯৭১ সালের ৮ মে পারেরহাট বাজারে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করে বলে দুজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। মানিক পসারী এবং সুলতান আহমদ হাওলাদার নামে এ দুজন সাক্ষী নিজেদেরকে ইব্রাহিম হত্যা ঘটনার চাুস সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মনজুর আহমদ আনসারী দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, যে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা নিয়ে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে এতবড় অভিযোগ সেই ইব্রাহিমের বাড়িতে তিনি তদন্তের সময় যাননি এটি আশ্চর্যের বিষয়।
১৯৭১ সালের ৮ মে পারেরহাট বাজারে নিয়ে ইব্রাহিমকে হত্যার বিষয়ে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিলেও গত ২৮/১২/২০১২ তারিখে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে যে তথ্য প্রমান উপস্থাপন করেন তাতে দেখা যায় ইব্রাহীম কুট্টি পারের হাট বাজারে ৮ মে নিহত হননি। তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ অক্টোবর ১৯৭১ সালে নিহত হন । দেশ স্বাধীনের পর পিরোজপুর আদালতে ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম স্বামীর হত্যার বিচার চেয়ে যে মামলা করেছিলেন ১৯৭২ সালে তার এজহার আদালতে দাখিল করেছেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা। এজহারে ১৩ জন আসামীর নাম উল্লেখ রয়েছে। শ্বশুর বাড়িতে হত্যা ঘটনার বিবরন এবং ঘটনার তারিখ ১ অক্টোবর ১৯৭১ সাল লেখা রয়েছে। মামলার নম্বর ৯। মমতাজ বেগমের দায়ের করা মামলায় ১৩ জন আসামীর মধ্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই।
ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রীর মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালে পিরোজপুরে যে হত্যা মামলা করেন তার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে ইব্রাহিম কুট্টির বাড়ি বাদুরা। তিনি কিছু হিন্দুদের বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার কারনে পাক আর্মি এবং রাজাকারদের রোষানলে পড়েন। সে কারনে জীবন বাঁচাতে তার স্বামী ইব্রাহীম কুট্টি তাকে নিয়ে তার বাপের বাড়ি নল বুনিয়ায় চলে আসেন। অর্থাৎ ইব্রাহিম কুট্টি তার শ্বশুর বাড়ি যান স্ত্রীকে নিয়ে।
মমতাজ বেগম মামলার এজহারে বলেন, তিনি তার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি থাকা অবস্থায় ১ অক্টোবর ১৯৭১ সালে আসামীরা তার স্বামী ইব্রাহীম কুট্টি এবং ভাই সিরাজকে গুলি করে হত্যা করে।
মমতাজ বেগম তার স্বামীর হত্যা মামলায় যাদের আসামী করেছেন তারা হলেন, দানেশ মোল্লা, আতাহার আল, আশ্রাব আলী, আব্দুল মান্নান, আইউব আলী কালাম চৌধুরী, রুহুল আমিন, আব্দুল হাকিম মুন্সি, মমিন উদ্দিন, সেকোন্দার আলী শিকদার, শামসুর রহমান এসআই, মোসলেম মাওলানা। আসামীদের তালিকায় মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। যারা আসামী তাদের প্রায় সকলেই কুখ্যাত রাজাকার এবং পিস কমিটির নেতা ছিল বলে স্বাীকার করেছেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসা সাক্ষীরা।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম আজ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন। তাকে সহায়তা করে অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন