মেহেদী হাসান, ১০/৪/২০১২, মঙ্গলবার
দৈনিক জনকন্ঠে ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘সেই রাজাকার’ শীর্ষক সিরিজ রিপোর্টের ১০টি প্রতিবেদনসহ আরো কয়েকটি রিপোর্ট মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এভিডেন্স হিসেবে আদালতে প্রদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন এসব রিপোর্ট তাদেরকে দেয়া হয়নি। অথচ এ রিপোর্টগুলোর ওপর ভিত্তি করে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে। চাজশিটেও এগুলো ছিল। কিন্তু এসবের কপি আজো আমরা পাইনি।
বিচারপতি নিজামুল হককে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনি গত পরশু অথবা কাল বলেছিলেন যেসব কপি দেয়া হয়নি সে বিষয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তাই আজ আমরা ধরে নিয়েছিলাম এগুলো আদালতে আজ গ্রহণ করা হবেনা। কিন্তু আপনি বললেন এ গ্রহণ করা বিষয়ে সম্ভাব্য আদেশ দেবেন ।
আইনের ১৯.২ ধারা অনুযায়ী দুটি প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়। তাহল আইন অনুযায়ী এসব কপি আমাদের দিতে হবে। কখন দিতে হবে এবং না দিলে কি হবে । আইনের পরিষ্কার বিধান হল বিচারের পূর্বে দিতে হবে। কিন্তু তারা দেয়নি। আইন ভঙ্গ হয়েছে এ ক্ষেত্রে। তাছাড়া এ কপিগুলো আমাদের দেয়া যে কোন কঠিন বিষয় ছিল তাও নয়।
তখন ট্রাইব্যুনাল লিখিত আদেশ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বলেন যত দ্রুত সম্ভব এগুলো তাদের দিতে হবে। বিচারপতি নিজামুল হক সৈয়দ হায়দার আলীকে বলেন, কখন দিতে পারবেন?
সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, এই সপ্তায় দিতে পারব।
বিচারপতি নিজামুল হক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কি? কিসের এক সপ্তাহ। আজ দেবেন। চারটার মধ্যে। চারটা শেষ সময়। দুইটায় দিলে আমরা খুসী হব। ২৪ পৃষ্ঠা ফটো কপি দিতে এক সপ্তাহ লাগবে কেন?
আজ জনকন্ঠের যেসব রিপোর্ট মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রদর্শন করা হয় সেগুলোর হেডলাইন হল
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত ‘রাজাকার নন প্রমানে সাঈদী মুক্তিযোদ্ধাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি’, ২০০২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘তালেবান শেষ হলে কি হবে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলতে থাকবে’।
২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘সেই রাজাকার’ সিরিজের ১০টি রিপোর্টের শিরোনামগুলো হল, অসংখ্য মানুষের ঘাতক জল্লাদ আফসার এখন চায়ের দোকান চালায়, দুবার স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন তিনি, শত শত নিরীহ মানুষ হত্যাকারী খালেক মজুমদার এখন জামাত নেতা, দেশে প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠনকারী মাওলানা ইউসুফ, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী আব্দুল আলিম এখন জনপ্রতিনিধি, কামারুজ্জামান ১০ কুখ্যাত নরঘাতকের একজন, আমজাদ যশোরে হত্যা করেছে অগনিত মানুষ, ফেনীর আবুল হোসেনের ঘাতক তদু রাজাকার এখন ঢাকার ধনাঢ্যদের একজন, এবার ফাকা সাকা চৌধুরী কাহিনী, শত শত মানুষের খুনী আল বদরের জল্লাদ আমরাফ আস্তানা গেড়েছে ঢাকায়।
এছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ১৯৭২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ভাগীরথীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় শীর্ষক প্রতিবেদনটিও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রদর্শন করা হয় এভিডেন্স হিসেবে।
দৈনিক জনকন্ঠে ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘সেই রাজাকার’ শীর্ষক সিরিজ রিপোর্টের ১০টি প্রতিবেদনসহ আরো কয়েকটি রিপোর্ট মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এভিডেন্স হিসেবে আদালতে প্রদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন এসব রিপোর্ট তাদেরকে দেয়া হয়নি। অথচ এ রিপোর্টগুলোর ওপর ভিত্তি করে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে। চাজশিটেও এগুলো ছিল। কিন্তু এসবের কপি আজো আমরা পাইনি।
বিচারপতি নিজামুল হককে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনি গত পরশু অথবা কাল বলেছিলেন যেসব কপি দেয়া হয়নি সে বিষয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তাই আজ আমরা ধরে নিয়েছিলাম এগুলো আদালতে আজ গ্রহণ করা হবেনা। কিন্তু আপনি বললেন এ গ্রহণ করা বিষয়ে সম্ভাব্য আদেশ দেবেন ।
আইনের ১৯.২ ধারা অনুযায়ী দুটি প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়। তাহল আইন অনুযায়ী এসব কপি আমাদের দিতে হবে। কখন দিতে হবে এবং না দিলে কি হবে । আইনের পরিষ্কার বিধান হল বিচারের পূর্বে দিতে হবে। কিন্তু তারা দেয়নি। আইন ভঙ্গ হয়েছে এ ক্ষেত্রে। তাছাড়া এ কপিগুলো আমাদের দেয়া যে কোন কঠিন বিষয় ছিল তাও নয়।
তখন ট্রাইব্যুনাল লিখিত আদেশ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বলেন যত দ্রুত সম্ভব এগুলো তাদের দিতে হবে। বিচারপতি নিজামুল হক সৈয়দ হায়দার আলীকে বলেন, কখন দিতে পারবেন?
সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, এই সপ্তায় দিতে পারব।
বিচারপতি নিজামুল হক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কি? কিসের এক সপ্তাহ। আজ দেবেন। চারটার মধ্যে। চারটা শেষ সময়। দুইটায় দিলে আমরা খুসী হব। ২৪ পৃষ্ঠা ফটো কপি দিতে এক সপ্তাহ লাগবে কেন?
আজ জনকন্ঠের যেসব রিপোর্ট মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রদর্শন করা হয় সেগুলোর হেডলাইন হল
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত ‘রাজাকার নন প্রমানে সাঈদী মুক্তিযোদ্ধাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি’, ২০০২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘তালেবান শেষ হলে কি হবে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলতে থাকবে’।
২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘সেই রাজাকার’ সিরিজের ১০টি রিপোর্টের শিরোনামগুলো হল, অসংখ্য মানুষের ঘাতক জল্লাদ আফসার এখন চায়ের দোকান চালায়, দুবার স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন তিনি, শত শত নিরীহ মানুষ হত্যাকারী খালেক মজুমদার এখন জামাত নেতা, দেশে প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠনকারী মাওলানা ইউসুফ, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী আব্দুল আলিম এখন জনপ্রতিনিধি, কামারুজ্জামান ১০ কুখ্যাত নরঘাতকের একজন, আমজাদ যশোরে হত্যা করেছে অগনিত মানুষ, ফেনীর আবুল হোসেনের ঘাতক তদু রাজাকার এখন ঢাকার ধনাঢ্যদের একজন, এবার ফাকা সাকা চৌধুরী কাহিনী, শত শত মানুষের খুনী আল বদরের জল্লাদ আমরাফ আস্তানা গেড়েছে ঢাকায়।
এছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ১৯৭২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ভাগীরথীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় শীর্ষক প্রতিবেদনটিও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রদর্শন করা হয় এভিডেন্স হিসেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন