মেহেদী হাসান, ১/৮/২০১২,
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ৩১ জন সাক্ষী বিষয়ে জেরায় তদন্ত কর্মকর্তাকে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল (১)।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ৪৬ জন সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী প্রদান করেন তা তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনের জন্য গত ২০ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাদের মধ্য থেকে ১৫ জনের জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে আদেশ দেন গত ২৯ মার্চ। বাকী ৩১ জনের জবানবন্দী আদালত গ্রহণ করেননি। এই ৩১ জন সাক্ষী বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার সময় কোন প্রশ্ন করা যাবেনা বলে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
জেরার সময় ১৫ জন সাক্ষীর বাইরে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে ট্রাইব্যুনাল এ সিদ্ধান্ত জানান। এ সময় ট্রাইব্যুনালে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
আজ বিকাল আড়াইটার দিকে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার সময় ছারছিনা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. শরাফত আলী এবং আরেক সাক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, এরা কি ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে না বাইরে? মিজানুল ইসলাম বলেন, ৪৬ জনের মধ্যে এরা আছেন।
তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, ৪৬ জনের মধ্যে ১৫ জন বাদে বাকী ৩১ জনের বিষযে তদন্ত কর্মকর্তাকে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। কোন প্রশ্ন এলাউ করা হবেনা।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৪৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনের আবেদন জানিয়েছেন। ৪৬ জন সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে তারা অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন। আমরা মনে করি ৪৬ জন সাক্ষী বিষয়ে তারা অনেস্টলি আবেদন করেননি। তারা বলেছেন আসামী পক্ষের লোকজন সাক্ষীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে। কাজেই ৪৬ জন সাক্ষী বিষয়ে যে দরখাস্ত তারা দিয়েছেন তার প্রতিটি শব্দ বিষয়ে জেরার করার অধিকার আমাদের রয়েছে।
এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আমরা ১৫ জনের জবানবন্দী গ্রহণ করেছি। বাকী ৩১ জনের জবানবন্দী গ্রহণ করিনি। কাজেই তাদের জবানবন্দী বিষয়ে প্রশ্ন করা যাবেনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন আমি আপনার সাথে একশভাগ একমত। তাদের জবানবন্দী বিষয়ে আমি একটি প্রশ্নও করবনা। আমরা আবেদন বিষয়ে প্রশ্ন করব।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আমরা কিন্তু ৪৬ জনের জবানবন্দী গ্রহণ করিনি। করলে করতে পারতাম। করিনি কারণ বাকীদের বিষয়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তাছাড়া তাদের এখনো সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে আনার সুযোগ রয়ে গেছে।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আপনারা ১৫ জনের জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনের বিষয়ে কিন্তু আদেশে একবারও একথা বলেননি যে, বাকীদের বিষয়ে তাদের দাবি মিথ্যা । আমরা বলছি এই আবেদন অনেস্টলি করা হয়নি। সে কারনে আমরা ৪৬ জনের বিষয়ে যে দরখাস্ত তার সব বিষয়ে জেরা করতে চাই ।
মিজানুল ইসলাম বলেন বাকীদের বিষয়ে প্রশ্ন করার অধিকার চেয়ে আমরা একটি আবেদন করব।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আবেদন করতে পারেন । তবে তা বাতিল হবে। ১৫ জনের বাইরে অন্য সাক্ষী বিষয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা।
তখন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, আবদেন করার আগেই তা বাতিল করে দিলেন?
এ পর্যায়ে তাজুল ইসলাম অ্যডভোকেট মিজানুল ইসলামের সাথে পরামর্শ করছিলেন। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তাজুল ইসলামের প্রতি লক্ষ্য করে ক্ষোভের সাথে বলেন মি. তাজুল ইসলাম আপনার একটা কথা আমাদের কানে এসেছে। আমি আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি ভবিষ্যতে এ ধরনের কথা না বলার জন্য। সাথে সাথে তাজুল ইসলাম দাড়িয়ে বলেন, আমি কি বলেছি, আমিতো আমার সহকর্মীর সাথে পরামর্শ করছি।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনি কি বলেছেন তা আমি শুনেছি।
তাজুল ইসলাম বলেন, কি শুনেছেন বলেন তাহলে।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনি আপনার পাশের আইনজীবীকে বলেছেন, চলেন তাহলে চলে যাই। আপনি একথা বলতে পারেন?
তাজুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনি ভুল শুনেছেন। আমি একথা বলিনি।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনি কি বলেছেন বলেন তাহলে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমি আমার সহকর্মীকে বলেছি আমাদের প্রশ্ন যদি গ্রহণ না করা হয় তাহলে এখানে থাকার তো কোন অর্থ হয়না।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, এটা কি চলে যাওয়া বোঝায়না?
তাজুল ইসলাম বলেন, আমি আমার পাশের আইনজীবীর সাথে কি বলি বা না বলি সেটা আপনার শোনার কথা নয় (ইউ আর নট সাপোজড টু হেয়ার ইট)। আমারও আপনাদের মধ্যকার অনেক কথাবার্তা শুনি। কিন্তু সেগুলো শুনিনি বলেই ধরে নেই। এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী কিছু একটা বলেন। তখন তাজুল ইসলাম তীব্রস্বরে তাকে লক্ষ্য করে বলেন, “ডোন্ট শাউট, ডোন্ট শাউট” ।
তখন বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনি এভাবে তাকে শাউট না করার জন্য বলতে পারেননা। আমরা পারি। আমরা দেখছি মি. তাজুল ইসলাম আপনি শাউট করছেন। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হলে বিচার আজকে পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
আজ তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে দিনব্যাপী জেরা করা হয়। জেরায় অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন তাজুল ইসলাম, মনজুর আহমদ আনসারী, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ৩১ জন সাক্ষী বিষয়ে জেরায় তদন্ত কর্মকর্তাকে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল (১)।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ৪৬ জন সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী প্রদান করেন তা তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনের জন্য গত ২০ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাদের মধ্য থেকে ১৫ জনের জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে আদেশ দেন গত ২৯ মার্চ। বাকী ৩১ জনের জবানবন্দী আদালত গ্রহণ করেননি। এই ৩১ জন সাক্ষী বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার সময় কোন প্রশ্ন করা যাবেনা বলে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
জেরার সময় ১৫ জন সাক্ষীর বাইরে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে ট্রাইব্যুনাল এ সিদ্ধান্ত জানান। এ সময় ট্রাইব্যুনালে আসামী পক্ষের আইনজীবীদের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
আজ বিকাল আড়াইটার দিকে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার সময় ছারছিনা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. শরাফত আলী এবং আরেক সাক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, এরা কি ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে না বাইরে? মিজানুল ইসলাম বলেন, ৪৬ জনের মধ্যে এরা আছেন।
তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, ৪৬ জনের মধ্যে ১৫ জন বাদে বাকী ৩১ জনের বিষযে তদন্ত কর্মকর্তাকে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা। কোন প্রশ্ন এলাউ করা হবেনা।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৪৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনের আবেদন জানিয়েছেন। ৪৬ জন সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে তারা অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন। আমরা মনে করি ৪৬ জন সাক্ষী বিষয়ে তারা অনেস্টলি আবেদন করেননি। তারা বলেছেন আসামী পক্ষের লোকজন সাক্ষীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে। কাজেই ৪৬ জন সাক্ষী বিষয়ে যে দরখাস্ত তারা দিয়েছেন তার প্রতিটি শব্দ বিষয়ে জেরার করার অধিকার আমাদের রয়েছে।
এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আমরা ১৫ জনের জবানবন্দী গ্রহণ করেছি। বাকী ৩১ জনের জবানবন্দী গ্রহণ করিনি। কাজেই তাদের জবানবন্দী বিষয়ে প্রশ্ন করা যাবেনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন আমি আপনার সাথে একশভাগ একমত। তাদের জবানবন্দী বিষয়ে আমি একটি প্রশ্নও করবনা। আমরা আবেদন বিষয়ে প্রশ্ন করব।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আমরা কিন্তু ৪৬ জনের জবানবন্দী গ্রহণ করিনি। করলে করতে পারতাম। করিনি কারণ বাকীদের বিষয়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তাছাড়া তাদের এখনো সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে আনার সুযোগ রয়ে গেছে।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আপনারা ১৫ জনের জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনের বিষয়ে কিন্তু আদেশে একবারও একথা বলেননি যে, বাকীদের বিষয়ে তাদের দাবি মিথ্যা । আমরা বলছি এই আবেদন অনেস্টলি করা হয়নি। সে কারনে আমরা ৪৬ জনের বিষয়ে যে দরখাস্ত তার সব বিষয়ে জেরা করতে চাই ।
মিজানুল ইসলাম বলেন বাকীদের বিষয়ে প্রশ্ন করার অধিকার চেয়ে আমরা একটি আবেদন করব।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আবেদন করতে পারেন । তবে তা বাতিল হবে। ১৫ জনের বাইরে অন্য সাক্ষী বিষয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবেনা।
তখন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, আবদেন করার আগেই তা বাতিল করে দিলেন?
এ পর্যায়ে তাজুল ইসলাম অ্যডভোকেট মিজানুল ইসলামের সাথে পরামর্শ করছিলেন। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তাজুল ইসলামের প্রতি লক্ষ্য করে ক্ষোভের সাথে বলেন মি. তাজুল ইসলাম আপনার একটা কথা আমাদের কানে এসেছে। আমি আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি ভবিষ্যতে এ ধরনের কথা না বলার জন্য। সাথে সাথে তাজুল ইসলাম দাড়িয়ে বলেন, আমি কি বলেছি, আমিতো আমার সহকর্মীর সাথে পরামর্শ করছি।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনি কি বলেছেন তা আমি শুনেছি।
তাজুল ইসলাম বলেন, কি শুনেছেন বলেন তাহলে।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনি আপনার পাশের আইনজীবীকে বলেছেন, চলেন তাহলে চলে যাই। আপনি একথা বলতে পারেন?
তাজুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনি ভুল শুনেছেন। আমি একথা বলিনি।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনি কি বলেছেন বলেন তাহলে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমি আমার সহকর্মীকে বলেছি আমাদের প্রশ্ন যদি গ্রহণ না করা হয় তাহলে এখানে থাকার তো কোন অর্থ হয়না।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, এটা কি চলে যাওয়া বোঝায়না?
তাজুল ইসলাম বলেন, আমি আমার পাশের আইনজীবীর সাথে কি বলি বা না বলি সেটা আপনার শোনার কথা নয় (ইউ আর নট সাপোজড টু হেয়ার ইট)। আমারও আপনাদের মধ্যকার অনেক কথাবার্তা শুনি। কিন্তু সেগুলো শুনিনি বলেই ধরে নেই। এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী কিছু একটা বলেন। তখন তাজুল ইসলাম তীব্রস্বরে তাকে লক্ষ্য করে বলেন, “ডোন্ট শাউট, ডোন্ট শাউট” ।
তখন বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনি এভাবে তাকে শাউট না করার জন্য বলতে পারেননা। আমরা পারি। আমরা দেখছি মি. তাজুল ইসলাম আপনি শাউট করছেন। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হলে বিচার আজকে পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
আজ তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে দিনব্যাপী জেরা করা হয়। জেরায় অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন তাজুল ইসলাম, মনজুর আহমদ আনসারী, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন