মেহেদী হাসান, ৮/৭/২০১২
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে গত ১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য দেন ৮১ বছর বয়স্ক মধুসূদন ঘরামী। তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, ১৯৭১ সালে রাাজাকার বাহিনীর হাতে তার স্ত্রী শেফালী ঘরামী ধর্ষনের শিকার হন। এ ঘটনার পর তার একটি বাচ্চা হলে মানুষের গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে সে ভারতে চলে যায়। এরপর আর তার সাথে দেখা হয়নি।
মধুসূদন বলেছিলেন “আমি বাড়িতে ছিলামনা। কারা এসেছিল জানিনা। আমার স্ত্রী আমাকে পরে বলেছে যে, আমাকে (মধুসূদন) যে মুসলমান বানিয়েছিল সে এসেছিল। তুমি পালাও।”
মধুসূদন ঘরামী জানান, ১৯৭০ সালের আগে তার বড়ভাই মারা যাবার পর তিনি তার মৃত ভায়ের ঘরে ওঠেন। সে ঘরে তার বৌদী থাকত এবং আজ অবধি তিনি ঐ ঘরে আছেন। তার বৌদী এবং তিনি এক পাকে খান। তার বড় ভাই তার থেকে দুই বছরের বড় ছিলেন ।
আজ রোববার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে জেরার সময় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রীকে ধর্ষণ বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। জেরায় তিনি জানান, শেফালী ঘরামীকে ধর্ষণ ঘটনার ঠিক আগ মুহুর্তে সে বাড়িতে তার বড় জা উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি এখনো জীবিত আছেন। তাছাড়া শেফাল ঘরামী বিষয়ে তার পিতা বা পিতার বাড়ির কারো কাছে তিনি কোন খোঁজ খবর নেননি। ভারতের পুলিশের কাছেও কোন চিঠি পাঠাননি।
তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা: (সংক্ষিপ্ত)
প্রশ্ন: প্রদর্শনী ৩৬ এ উল্লেখিত দঅ’ চিহ্নিত জায়গাটি মধু ঘরামির বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : দঈ’, দউ’, দঊ’ চিহ্নিত বাড়িগুলি যথাক্রমে তরণী শিকদার, হরলাল কর্মকার এবং প্রথমা শিকদারের বাড়ি। উক্ত তিনজনই মৃত বিধায় তাদের আমি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি নাই।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এই তিন পরিবারের মধ্যে তরণী শিকদারের বড়পুত্র কেষ্ট শিকদারকে আপনি জিজ্ঞাসাবাদ বরেছেন?
উত্তর : কেষ্ট শিকদারে সাথে আমি কথা বলেছি, তবে তার বয়স ৪৭ বৎসর হওয়ায় তাকে আমি সাক্ষী করি নাই।
প্রশ্ন : গণেশের বয়স ৪৭ এর কম। কিন্তু তাকে আপনি সাক্ষী করেছেন। (এ পর্যায়ে বিচারপতি একেএম জহির আহমেদ মিজানুল ইসলামকে লক্ষ্য করে বলেন, কম্পিউটার আপনার কাছে হার মানবে)
উত্তর : গণেশ সাহাকে আমি ০৬-০৪-২০১১ ইং তারিখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। তখন তার বয়স ছিল ৪৫ বৎসর।
প্রশ্ন : গণেশের মাতার নাম ভাগীরথী। ভাগীরথী বাড়ি থেকে তার নিহত হওয়ার স্থানের দূরত্ব কত?
উত্তর : সেটা আমার রেকর্ডে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : হরলাল কর্মকার এবং প্রকাশ শিকদারের স্ত্রী ছাড়া দঈ’, দউ’, দঊ’ চিহ্নিত স্থানের মধ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যাদের বয়স ১০ বৎসর বা তার চেয়ে বেশি ছিল এমন কতজনকে পেয়েছিলেন?
উত্তর : তা আমার নোটে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : উল্লেখিত তিনটি বাড়ির আশে পাশে ৬০ বছর উর্দ্ধের একজন পুরুষ লোককেও তদন্তকালে খুঁজে পাননি?
উত্তর : পেয়েছিলাম কিনা তা আমার নোটে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : মধুসুদন ঘরমীর স্ত্রী সেফালী ঘরামীকে যখন ধর্ষণ করা হয়েছিল তার ঠিক আগ মুহূর্তে মধুসুধন ঘরামীর বড় ভাই নিকুঞ্জ ঘরামীর স্ত্রীও ঐ বাড়িতে উপস্থিত ছিল।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : নিকুঞ্জ ঘরামীর স্ত্রী বর্তমানে ঐ বাড়িতে বসবাস করেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :ঐ বাড়িতে মধুসুদন ঘরামী এবং নিকুঞ্জ ঘরামীর স্ত্রী ছাড়াও আরও লোক বসবাস করতো
উত্তর : সম্পূর্ণ সত্য নয়। তবে নিকুঞ্জ ঘরামীর কন্যাও বসবাস করে।
প্রশ্ন : মধুসুদন ঘরামীর বর্তমান বাড়ির লাগা পূর্ব দিকে দুটি বাড়ি আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :মধুসুদন ঘরামীর বাড়ির উত্তর দিকে একটি বাগানবাড়ি আছে। বাড়িটি দলিল লেখক মোহর আলীর ।
উত্তর : মোহর আলীর কিনা তা আমার নোটে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : উল্লেখিত ৩টি বাড়ির কোন সদস্যকে আপনি তদন্তকালে জিজ্ঞাসাবাদে করি নাই।
উত্তর : করি নাই। কারণ এই বাড়িগুলি নতুন, ১৯৭১ সালে ঐ বাড়িগুলি ছিল না। পরে হয়েছে।
প্রশ্ন : সোবহান এবং সুলতান ১৯৭১ সালের দুই বৎছর আগে থেকেই মধুসুদন ঘরামীর বর্তমান বাড়ির পূর্ব দিকে অবস্থিত উল্লেখিত বাড়ি দুটিতে বসবাস করেন। তা জানা সত্ত্বেও আপনি সত্য গোপন করছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : মধুসুদন ঘরামীর শ্বশুর বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ কচুবুনিয়া গ্রামে। মধুসুদন ঘরামীর শ্বশুর শ্রীনাথ শিকদার বা অন্য কাউকে শেফালী ঘরামীর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন? তাদের কোন খোঁজ খবর নিয়েছেন বা তাদের গ্রামের অন্য কাউকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : শেফালী ঘরামীর অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্য আপনি ভবানী ভবন, কলিকাতায় কোন চিঠি প্রেরণ করেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : । পশ্চিম বঙ্গের পুলিশ সদর দফতর লালবাজারে কোন চিঠি দিয়েছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : দেইনি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে শেফালী ঘরামীর বয়স কত ছিল?
উত্তর : সে মর্মে আমার রেকর্ডে না থাকায় বলতে পারছি না।
তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিনকে গতকাল জেরা করেন অ্যডভোকেট মিজানুল ইসলাম এবং মনজুর আহমেদ আনছারি। তাদের সহযোগিতা করেন তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন, গিয়াসউদ্দিন মিঠু, হাসানুল বান্নান সোহাগ, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ আইনজীবী।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে গত ১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য দেন ৮১ বছর বয়স্ক মধুসূদন ঘরামী। তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, ১৯৭১ সালে রাাজাকার বাহিনীর হাতে তার স্ত্রী শেফালী ঘরামী ধর্ষনের শিকার হন। এ ঘটনার পর তার একটি বাচ্চা হলে মানুষের গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে সে ভারতে চলে যায়। এরপর আর তার সাথে দেখা হয়নি।
মধুসূদন বলেছিলেন “আমি বাড়িতে ছিলামনা। কারা এসেছিল জানিনা। আমার স্ত্রী আমাকে পরে বলেছে যে, আমাকে (মধুসূদন) যে মুসলমান বানিয়েছিল সে এসেছিল। তুমি পালাও।”
মধুসূদন ঘরামী জানান, ১৯৭০ সালের আগে তার বড়ভাই মারা যাবার পর তিনি তার মৃত ভায়ের ঘরে ওঠেন। সে ঘরে তার বৌদী থাকত এবং আজ অবধি তিনি ঐ ঘরে আছেন। তার বৌদী এবং তিনি এক পাকে খান। তার বড় ভাই তার থেকে দুই বছরের বড় ছিলেন ।
আজ রোববার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে জেরার সময় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রীকে ধর্ষণ বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। জেরায় তিনি জানান, শেফালী ঘরামীকে ধর্ষণ ঘটনার ঠিক আগ মুহুর্তে সে বাড়িতে তার বড় জা উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি এখনো জীবিত আছেন। তাছাড়া শেফাল ঘরামী বিষয়ে তার পিতা বা পিতার বাড়ির কারো কাছে তিনি কোন খোঁজ খবর নেননি। ভারতের পুলিশের কাছেও কোন চিঠি পাঠাননি।
তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা: (সংক্ষিপ্ত)
প্রশ্ন: প্রদর্শনী ৩৬ এ উল্লেখিত দঅ’ চিহ্নিত জায়গাটি মধু ঘরামির বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : দঈ’, দউ’, দঊ’ চিহ্নিত বাড়িগুলি যথাক্রমে তরণী শিকদার, হরলাল কর্মকার এবং প্রথমা শিকদারের বাড়ি। উক্ত তিনজনই মৃত বিধায় তাদের আমি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি নাই।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এই তিন পরিবারের মধ্যে তরণী শিকদারের বড়পুত্র কেষ্ট শিকদারকে আপনি জিজ্ঞাসাবাদ বরেছেন?
উত্তর : কেষ্ট শিকদারে সাথে আমি কথা বলেছি, তবে তার বয়স ৪৭ বৎসর হওয়ায় তাকে আমি সাক্ষী করি নাই।
প্রশ্ন : গণেশের বয়স ৪৭ এর কম। কিন্তু তাকে আপনি সাক্ষী করেছেন। (এ পর্যায়ে বিচারপতি একেএম জহির আহমেদ মিজানুল ইসলামকে লক্ষ্য করে বলেন, কম্পিউটার আপনার কাছে হার মানবে)
উত্তর : গণেশ সাহাকে আমি ০৬-০৪-২০১১ ইং তারিখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। তখন তার বয়স ছিল ৪৫ বৎসর।
প্রশ্ন : গণেশের মাতার নাম ভাগীরথী। ভাগীরথী বাড়ি থেকে তার নিহত হওয়ার স্থানের দূরত্ব কত?
উত্তর : সেটা আমার রেকর্ডে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : হরলাল কর্মকার এবং প্রকাশ শিকদারের স্ত্রী ছাড়া দঈ’, দউ’, দঊ’ চিহ্নিত স্থানের মধ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যাদের বয়স ১০ বৎসর বা তার চেয়ে বেশি ছিল এমন কতজনকে পেয়েছিলেন?
উত্তর : তা আমার নোটে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : উল্লেখিত তিনটি বাড়ির আশে পাশে ৬০ বছর উর্দ্ধের একজন পুরুষ লোককেও তদন্তকালে খুঁজে পাননি?
উত্তর : পেয়েছিলাম কিনা তা আমার নোটে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : মধুসুদন ঘরমীর স্ত্রী সেফালী ঘরামীকে যখন ধর্ষণ করা হয়েছিল তার ঠিক আগ মুহূর্তে মধুসুধন ঘরামীর বড় ভাই নিকুঞ্জ ঘরামীর স্ত্রীও ঐ বাড়িতে উপস্থিত ছিল।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : নিকুঞ্জ ঘরামীর স্ত্রী বর্তমানে ঐ বাড়িতে বসবাস করেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :ঐ বাড়িতে মধুসুদন ঘরামী এবং নিকুঞ্জ ঘরামীর স্ত্রী ছাড়াও আরও লোক বসবাস করতো
উত্তর : সম্পূর্ণ সত্য নয়। তবে নিকুঞ্জ ঘরামীর কন্যাও বসবাস করে।
প্রশ্ন : মধুসুদন ঘরামীর বর্তমান বাড়ির লাগা পূর্ব দিকে দুটি বাড়ি আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :মধুসুদন ঘরামীর বাড়ির উত্তর দিকে একটি বাগানবাড়ি আছে। বাড়িটি দলিল লেখক মোহর আলীর ।
উত্তর : মোহর আলীর কিনা তা আমার নোটে না থাকায় বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : উল্লেখিত ৩টি বাড়ির কোন সদস্যকে আপনি তদন্তকালে জিজ্ঞাসাবাদে করি নাই।
উত্তর : করি নাই। কারণ এই বাড়িগুলি নতুন, ১৯৭১ সালে ঐ বাড়িগুলি ছিল না। পরে হয়েছে।
প্রশ্ন : সোবহান এবং সুলতান ১৯৭১ সালের দুই বৎছর আগে থেকেই মধুসুদন ঘরামীর বর্তমান বাড়ির পূর্ব দিকে অবস্থিত উল্লেখিত বাড়ি দুটিতে বসবাস করেন। তা জানা সত্ত্বেও আপনি সত্য গোপন করছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : মধুসুদন ঘরামীর শ্বশুর বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ কচুবুনিয়া গ্রামে। মধুসুদন ঘরামীর শ্বশুর শ্রীনাথ শিকদার বা অন্য কাউকে শেফালী ঘরামীর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন? তাদের কোন খোঁজ খবর নিয়েছেন বা তাদের গ্রামের অন্য কাউকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : শেফালী ঘরামীর অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্য আপনি ভবানী ভবন, কলিকাতায় কোন চিঠি প্রেরণ করেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : । পশ্চিম বঙ্গের পুলিশ সদর দফতর লালবাজারে কোন চিঠি দিয়েছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : দেইনি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে শেফালী ঘরামীর বয়স কত ছিল?
উত্তর : সে মর্মে আমার রেকর্ডে না থাকায় বলতে পারছি না।
তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিনকে গতকাল জেরা করেন অ্যডভোকেট মিজানুল ইসলাম এবং মনজুর আহমেদ আনছারি। তাদের সহযোগিতা করেন তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন, গিয়াসউদ্দিন মিঠু, হাসানুল বান্নান সোহাগ, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ আইনজীবী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন