মেহেদী হাসান, ১৮.৭.২০১২, বুধবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দাখিলকৃত তথ্যে জিয়ানগর উপজেলায় কোন বীরাঙ্গনা নেই বলে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া ইব্রাহীম কুট্টিকে মানিক পসারীর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যার বিষয়ে ইতোপূর্বে কয়েকজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেও রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা তথ্যেই লেখা রয়েছে তাকে নলবুনিয়া তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
এমনিভাবে বিশাবালী নামে একজনকে মাওলানা সাঈদীর উপস্থিতিতে উমেদপুরে তার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রযেছে। কিন্তু আজ জেরায় দেখা যায় বলেশ্বর নদীর বেদিতে নিহত ২৬ জনের যে তালিকা রয়েছে তার এক নম্বরে রয়েছে বিশাবালির নাম। বলেশ্বর নদীর বেদিতে নিহত ২৬ জনের এ তালিকা রাষ্ট্রপক্ষই দাখিল করেছেন ট্রাইব্যুনালে। গতকাল তদন্ত কর্মকর্তার জেরায় এ তথ্য বের হয়ে আসে।
রাষ্ট্রপক্ষের দাখিলকৃত যে ডকুমেন্টে এসব তথ্য উল্লেখ আছে তাতে মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারেরও স্বাক্ষর রয়েছে। পিরোজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর প্যাডে এবং জেলা কমান্ড স্বাক্ষরিত একটি তালিকা সংগ্রহ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাতে পিরোজপুরের মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষয়ক্ষতি, রাজাকার, শান্তি কমিটির নামের তালিকা এবং তথ্য রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ ডকুমেন্টটি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন। তাতেই বিশাবালী, হত্যা, ইব্রাহীম কুট্টিকে নলবুনিয়া থেকে ধরে এনে হত্যা এবং পিরোজপুরে কোন বীরাঙ্গনা নেই বলে এসব তথ্য রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালে পিরোজুর মহকুমার তৎকালীন সাবডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) শহীদ ফয়জুর রহমানের নিহত হবার ঘটনা বিষয়ে দীর্ঘ জেরা করা হয় তদন্ত কর্মকর্তাকে। সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান হত্যা বিষয়েও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা জানান ১৯৭২ সালে ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ স্বামী হত্যা বিষয়ে যে মামলা করেছিলেন সে মামলার কোন রেকর্ড তিনি সংগ্রহ করেননি। এ মামলার নথিপত্র সংগ্রহ করার জন্য তিনি পিরোজপুর কর্তপক্ষের কাছে কোন চিঠিও লেখেনি। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, তদন্তকালে ফয়জুর রহমানের স্ত্রী এবং তার ছেলে মেয়েদের সাথে দেখা হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম তাদের কাছে এসব রেকর্ড পাওয়া যাবে। সে কারনে তিনি চিঠি লেখেনি পিরোজপুর কর্তৃপক্ষের কাছে।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে বর্তমানে বিচার চলছে তার মধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা হল ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা। মাওলানা সাঈদীর নির্দেশে পাক আর্মি ১৯৭১ সালের ৮ মে পারেরহাট বাজারে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করে বলে কয়েকজন সাক্ষী সাক্ষী ট্রাই্যুনালে সাক্ষী দিয়েছেন। দুজন সাক্ষী নিজেদেরকে ঘটনার চাুস সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু গত ২৮/১২/২০১১ মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে তথ্য প্রমান উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন ইব্রাহীম কুট্টি পারের হাট বাজারে ৮ মে নিহত হননি। তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১
অক্টোবর ১৯৭১ সালে নিহত হন । ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই পিরোজপুর আদালতে ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাতেই এ তথ্য উল্লেখ আছে। তাতে ১৩ জন আসামীর মধ্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই। ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা বিষয়ে আসামী পক্ষের উপস্থপিত এ তথ্যের সাথে গতকাল জেরায় বের হওয়া তথ্যের সাথে মিল রয়েছে।
আজ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
জেরা (সংক্ষিপ্ত)
প্রশ্ন : জিয়ানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহবুবুল আলম হাওলাদার স্বাক্ষরিত একটি তালিকা আপনি দাখিল করেছেন। এখানে জিয়ানগর উপজেলার তথ্য উপাত্ত আছে।
উত্তর : জি।
প্রশ্ন : এই তথ্য উপাত্তে ৩ নং ক্রমিকে লেখা আছে জিয়ানগরে কোন বীরাঙ্গনা নেই।
উত্তর : হ্যা আছে।
প্রশ্ন : তালিকার ৪ নং ক্রমিকে মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আছে। সেখানে মোকাররম হোসেন নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম আছে যার বাড়ি পারেরহাট।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়ানগর উপজেলায় অগ্নিসংযোগে কোন হাটবাজার ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তা ওই প্রতিবেদনে লেখা আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : জিয়া নগর উপজেলায় আলবদর আল শামস এর কোন লোক নেই লেখা আছে ।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : বলেশ্বর নদীর বেদিতে গুলি করে হত্যা করা হয় এমন ২৬ জনের নামের তালিকা আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এ তালিকায় ১ নং ক্রমিকে বিশাবালী, পিতা ললিত বালী উমেদপুর জিয়ানগর উল্লেখ আছে।
উত্তর : আছে।
প্রশ্ন : উমেদপুরে পাকিস্তান আর্মি দ্বারা বিশাবালী নামে একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে এমন কোন তথ্য পাননি।
উত্তর : না। তবে এই বিশাবালীকেই তার নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয় । তদন্তে তা পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন : এই তালিকার ২৬ নং ক্রমিকে ইব্রাহীম কুট্টি, পিতা গফুর শেখ উল্লেখ আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ইব্রাহীম কুট্টির নামের পাশে ঠিকানা কলামে উল্লেখ আছে “ গ্রাম বাদুরা, উপজেলা+জেলা পিরোজপুর। তাকে শ্বশুর বাড়ি পারেরহাট নলবুনয়িা থেকে ধরে এনে পারেরহাট বন্দরে পোলের নিকটস্থ খালের পাড়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
উত্তর : হ্যা। তবে এ ইব্রাহীম কুট্টিকে মানিক পসারীর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পারেরহাট থানার ঘাটে নিয়ে হত্যা করা হয়। (তবে বলে জবানবন্দীতে প্রদত্ত বক্তব্য পুনরায় এখানে উল্লেখ বিষয়ে আসামী পক্ষের আপত্তি আছে)।
প্রশ্ন : পিরোজপুর এলাকার রাজাকারদের যে তালিকা আপনি উল্লেখ করেছেন সেখানে মোসলেম মাওলানা, রাজ্জাকা রাজাকার, সেকেন্দার শিকদার মমিন কারীর নাম নেই।
উত্তর : নেই।
প্রশ্ন : এসডিও আব্দুর রাজ্জাক এবং এসডিপিও ফয়জুর রহমান কে হত্যার পর পিরোজপুরে তাদের দায়িত্ব কে কে নিয়েছিল?
উত্তর : আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত ওসির দায়িত্ব কে পালন করেন?
উত্তর : তোফাজ্জল হোসেন
প্রশ্ন : তিনি চিঠি লিখে এসডিপিও ফয়জুর রহমানকে কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এসডিপিও ফয়জুর রহমান সাহেবকে হত্যার পর তার বাড়িও লুটপাট হয়।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর এসডিপিও শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ স্বামী হত্যা বিষয়ে আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছিলেন তাও আপনি তদন্তকালে পেয়েছেন।
উত্তর : মামলা করেছিল কিন্তু আমি কোন রেকর্ড পাইনি।
প্রশ্ন : আয়েশা ফয়েজের দায়ের করা এই মামলায় দেলায়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই। তার নামে কোন অভিযোগও করা হয়নি। এই তথ্যও আপনি আয়েশা ফয়েজ এবং তার ছেলে ড. জাফর ইকবাল, কন্যা সুফিয়া হায়দারের কাছে পেয়েছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ওনারা যে মামলা করেছিলেন সে মামলার কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য পিরোজপুর থানায় কোন চিঠি দিয়েছিলেন?
উত্তর : লিখিত চিঠি দেইনি। তদন্তকালে তালাশ করেছি।
প্রশ্ন : আপনি ওই মামলার জিআর রেজিস্ট্রার পর্যবেক্ষনের জন্য কোর্টে গিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : মামলার রেকর্ড পাঠানো হয় এমন সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস বা পিরোজপুর এসপি অফিসে চিঠি লিখেছিলেন ১৯৭২ সালে ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজের মামলর কপি চেয়ে?
উত্তর : না। কারণ বাদী এবং তার ছেলে মেয়েদের সন্ধান আমি পেয়েছিলাম। তাদের কাছে পাওয়া যাবে বলে মনে করেছিলাম।
উত্তর : আয়েশা ফয়েজের দায়ের করা মামলায় সাঈদী সাহেবের নাম ছিলান বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে যাবে সে কারনে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই মামলায় আয়েশা ফয়েজকে সাক্ষী করেননি এবং তার ছেলে জাফর ইকবাল, কন্যা সুফিয়া হায়দারকে কোর্টে হাজির করেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : একই কারনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিও আপনি এড়িয়ে গেছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : একই কারনে জিআর রেজিস্ট্রার পর্যবেক্ষনের তথ্যও এড়িয়ে গেছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : প্রশ্ন : তদন্তকালে পিরোজপুরে দালাল আইনে মামলা করা হয়েছে এমন কয়টি মামলার তথ্য পেয়েছেন?
উত্তর : আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : তদন্তকালে আপনি এমন একটি মামলার সন্ধান পেয়েছেন যেখানে পিরোজপুরের ২৭৯ জন স্বাধীনতা বিরোধী আসামীর নাম আছে।
উত্তর : আমার নোটে নেই।
উত্তর : আমি বলছি দালাল আইনে দায়ের করা কোন মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম না থাকায় ওই মামলার তথ্য আপনি নোটে নেই বলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বরের পর পিরোজপুর থানায় কতজন স্বাধীনতা বিরোধী গ্রেফতার করা হয় এ মর্মে কোন রিপোর্ট আপনি থানা থেকে চাননি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : এসডিপিও শহীদ ফয়জুর রহমান, এসডিও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক এবং ট্রেজারার শহীদ সাইফ মিজানুর রহামানকে পিরোজপুর শহর থেকে ধরা হয়।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : পাকিস্তান আর্মি কোন তারিখে পিরোজপুর আসে সে মর্মে পিরোজপুর ডিসির কাছ থেকে কোন রিপোর্ট তলব করেছেন?
উত্তর : সুনির্দিষ্টভাবে করেছি কি-না তা আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র বইটি পর্যালোচনা করেছেন?
উত্তর : করেছি।
প্রশ্ন : এই বইয়ে ফয়জুর রহমান হত্যা বিষয়ে তার জামাতা অ্যাডভোকেট আলী হায়দারের একটি পত্র সংযুক্ত আছে।
উত্তর : আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : এই বইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আছে এবং তাতে মাহবুবুল আলম হাওলাদারের নাম নেই।
উত্তর : আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : এই বইয়ে পিরোজপুরের স্বাধীনতা বিরোধীদের নামের তালিকা আছে এবং তাতে সাঈদী সাহেবের নাম নেই।
উত্তর : নোটে না থাকায় বলতে পারছিনা।
প্রশ্ন : এই বই আদালতে উপস্থাপন করলে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হবে বিধায় বইটি আপনি দাখিল করেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : বলেশ্বর নদীর হত্যাকান্ডের সময় কোন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল এমন কাউকে পেয়েছেন?
উত্তর : নোটে নেই।
প্রশ্ন : সাইফ মিজানুর রহমান, এসডিও রাজ্জাককে ধরার সময় কোন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল কিনা এবং এমন কাউকে পেয়েছেন কিনা?
উত্তর : নোটে নেই।
প্রশ্ন : যে হাসপাতাল থেকে তাদের ধরা হয় তার আশপাশে তখনো লোকালয় ছিল এবং এখনো আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ৭ মে পিরোজপুর শান্তি কমিটি গঠিত হয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : “এরপর মিজানুল ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা একটি ডকুমেন্ট থেকে দৈনিক আজাদ পত্রিকার একটি খবর পড়ে শোনান এবং প্রশ্ন করেন) “বরিশাল ৭ মে: নিলিখ পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক উজির খান মুহম্মদ সৈয়দ আফজাল সাহেবকে সভাপতি করিয়া পিরোজপুর মহকুমা শান্তি কমিটি গঠন করা হইয়াছে” এ মর্মে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই।
উত্তর : নাই।
প্রশ্ন : পিরোজপুরে রাজাকার বাহিনী গঠন সংক্রান্ত কোন দালিলিক প্রমান আপনার কাছে নেই।
উত্তর : নেই।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দাখিলকৃত তথ্যে জিয়ানগর উপজেলায় কোন বীরাঙ্গনা নেই বলে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া ইব্রাহীম কুট্টিকে মানিক পসারীর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যার বিষয়ে ইতোপূর্বে কয়েকজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেও রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা তথ্যেই লেখা রয়েছে তাকে নলবুনিয়া তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
এমনিভাবে বিশাবালী নামে একজনকে মাওলানা সাঈদীর উপস্থিতিতে উমেদপুরে তার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রযেছে। কিন্তু আজ জেরায় দেখা যায় বলেশ্বর নদীর বেদিতে নিহত ২৬ জনের যে তালিকা রয়েছে তার এক নম্বরে রয়েছে বিশাবালির নাম। বলেশ্বর নদীর বেদিতে নিহত ২৬ জনের এ তালিকা রাষ্ট্রপক্ষই দাখিল করেছেন ট্রাইব্যুনালে। গতকাল তদন্ত কর্মকর্তার জেরায় এ তথ্য বের হয়ে আসে।
রাষ্ট্রপক্ষের দাখিলকৃত যে ডকুমেন্টে এসব তথ্য উল্লেখ আছে তাতে মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারেরও স্বাক্ষর রয়েছে। পিরোজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর প্যাডে এবং জেলা কমান্ড স্বাক্ষরিত একটি তালিকা সংগ্রহ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাতে পিরোজপুরের মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষয়ক্ষতি, রাজাকার, শান্তি কমিটির নামের তালিকা এবং তথ্য রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ ডকুমেন্টটি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন। তাতেই বিশাবালী, হত্যা, ইব্রাহীম কুট্টিকে নলবুনিয়া থেকে ধরে এনে হত্যা এবং পিরোজপুরে কোন বীরাঙ্গনা নেই বলে এসব তথ্য রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালে পিরোজুর মহকুমার তৎকালীন সাবডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) শহীদ ফয়জুর রহমানের নিহত হবার ঘটনা বিষয়ে দীর্ঘ জেরা করা হয় তদন্ত কর্মকর্তাকে। সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান হত্যা বিষয়েও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা জানান ১৯৭২ সালে ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ স্বামী হত্যা বিষয়ে যে মামলা করেছিলেন সে মামলার কোন রেকর্ড তিনি সংগ্রহ করেননি। এ মামলার নথিপত্র সংগ্রহ করার জন্য তিনি পিরোজপুর কর্তপক্ষের কাছে কোন চিঠিও লেখেনি। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, তদন্তকালে ফয়জুর রহমানের স্ত্রী এবং তার ছেলে মেয়েদের সাথে দেখা হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম তাদের কাছে এসব রেকর্ড পাওয়া যাবে। সে কারনে তিনি চিঠি লেখেনি পিরোজপুর কর্তৃপক্ষের কাছে।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে বর্তমানে বিচার চলছে তার মধ্যে অন্যতম আলোচিত ঘটনা হল ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা। মাওলানা সাঈদীর নির্দেশে পাক আর্মি ১৯৭১ সালের ৮ মে পারেরহাট বাজারে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করে বলে কয়েকজন সাক্ষী সাক্ষী ট্রাই্যুনালে সাক্ষী দিয়েছেন। দুজন সাক্ষী নিজেদেরকে ঘটনার চাুস সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু গত ২৮/১২/২০১১ মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে তথ্য প্রমান উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন ইব্রাহীম কুট্টি পারের হাট বাজারে ৮ মে নিহত হননি। তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১
অক্টোবর ১৯৭১ সালে নিহত হন । ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই পিরোজপুর আদালতে ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাতেই এ তথ্য উল্লেখ আছে। তাতে ১৩ জন আসামীর মধ্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই। ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা বিষয়ে আসামী পক্ষের উপস্থপিত এ তথ্যের সাথে গতকাল জেরায় বের হওয়া তথ্যের সাথে মিল রয়েছে।
আজ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
জেরা (সংক্ষিপ্ত)
প্রশ্ন : জিয়ানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহবুবুল আলম হাওলাদার স্বাক্ষরিত একটি তালিকা আপনি দাখিল করেছেন। এখানে জিয়ানগর উপজেলার তথ্য উপাত্ত আছে।
উত্তর : জি।
প্রশ্ন : এই তথ্য উপাত্তে ৩ নং ক্রমিকে লেখা আছে জিয়ানগরে কোন বীরাঙ্গনা নেই।
উত্তর : হ্যা আছে।
প্রশ্ন : তালিকার ৪ নং ক্রমিকে মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আছে। সেখানে মোকাররম হোসেন নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম আছে যার বাড়ি পারেরহাট।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়ানগর উপজেলায় অগ্নিসংযোগে কোন হাটবাজার ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তা ওই প্রতিবেদনে লেখা আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : জিয়া নগর উপজেলায় আলবদর আল শামস এর কোন লোক নেই লেখা আছে ।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : বলেশ্বর নদীর বেদিতে গুলি করে হত্যা করা হয় এমন ২৬ জনের নামের তালিকা আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এ তালিকায় ১ নং ক্রমিকে বিশাবালী, পিতা ললিত বালী উমেদপুর জিয়ানগর উল্লেখ আছে।
উত্তর : আছে।
প্রশ্ন : উমেদপুরে পাকিস্তান আর্মি দ্বারা বিশাবালী নামে একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে এমন কোন তথ্য পাননি।
উত্তর : না। তবে এই বিশাবালীকেই তার নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয় । তদন্তে তা পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন : এই তালিকার ২৬ নং ক্রমিকে ইব্রাহীম কুট্টি, পিতা গফুর শেখ উল্লেখ আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ইব্রাহীম কুট্টির নামের পাশে ঠিকানা কলামে উল্লেখ আছে “ গ্রাম বাদুরা, উপজেলা+জেলা পিরোজপুর। তাকে শ্বশুর বাড়ি পারেরহাট নলবুনয়িা থেকে ধরে এনে পারেরহাট বন্দরে পোলের নিকটস্থ খালের পাড়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
উত্তর : হ্যা। তবে এ ইব্রাহীম কুট্টিকে মানিক পসারীর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পারেরহাট থানার ঘাটে নিয়ে হত্যা করা হয়। (তবে বলে জবানবন্দীতে প্রদত্ত বক্তব্য পুনরায় এখানে উল্লেখ বিষয়ে আসামী পক্ষের আপত্তি আছে)।
প্রশ্ন : পিরোজপুর এলাকার রাজাকারদের যে তালিকা আপনি উল্লেখ করেছেন সেখানে মোসলেম মাওলানা, রাজ্জাকা রাজাকার, সেকেন্দার শিকদার মমিন কারীর নাম নেই।
উত্তর : নেই।
প্রশ্ন : এসডিও আব্দুর রাজ্জাক এবং এসডিপিও ফয়জুর রহমান কে হত্যার পর পিরোজপুরে তাদের দায়িত্ব কে কে নিয়েছিল?
উত্তর : আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত ওসির দায়িত্ব কে পালন করেন?
উত্তর : তোফাজ্জল হোসেন
প্রশ্ন : তিনি চিঠি লিখে এসডিপিও ফয়জুর রহমানকে কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এসডিপিও ফয়জুর রহমান সাহেবকে হত্যার পর তার বাড়িও লুটপাট হয়।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর এসডিপিও শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ স্বামী হত্যা বিষয়ে আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছিলেন তাও আপনি তদন্তকালে পেয়েছেন।
উত্তর : মামলা করেছিল কিন্তু আমি কোন রেকর্ড পাইনি।
প্রশ্ন : আয়েশা ফয়েজের দায়ের করা এই মামলায় দেলায়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই। তার নামে কোন অভিযোগও করা হয়নি। এই তথ্যও আপনি আয়েশা ফয়েজ এবং তার ছেলে ড. জাফর ইকবাল, কন্যা সুফিয়া হায়দারের কাছে পেয়েছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ওনারা যে মামলা করেছিলেন সে মামলার কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য পিরোজপুর থানায় কোন চিঠি দিয়েছিলেন?
উত্তর : লিখিত চিঠি দেইনি। তদন্তকালে তালাশ করেছি।
প্রশ্ন : আপনি ওই মামলার জিআর রেজিস্ট্রার পর্যবেক্ষনের জন্য কোর্টে গিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : মামলার রেকর্ড পাঠানো হয় এমন সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস বা পিরোজপুর এসপি অফিসে চিঠি লিখেছিলেন ১৯৭২ সালে ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজের মামলর কপি চেয়ে?
উত্তর : না। কারণ বাদী এবং তার ছেলে মেয়েদের সন্ধান আমি পেয়েছিলাম। তাদের কাছে পাওয়া যাবে বলে মনে করেছিলাম।
উত্তর : আয়েশা ফয়েজের দায়ের করা মামলায় সাঈদী সাহেবের নাম ছিলান বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে যাবে সে কারনে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই মামলায় আয়েশা ফয়েজকে সাক্ষী করেননি এবং তার ছেলে জাফর ইকবাল, কন্যা সুফিয়া হায়দারকে কোর্টে হাজির করেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : একই কারনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিও আপনি এড়িয়ে গেছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : একই কারনে জিআর রেজিস্ট্রার পর্যবেক্ষনের তথ্যও এড়িয়ে গেছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : প্রশ্ন : তদন্তকালে পিরোজপুরে দালাল আইনে মামলা করা হয়েছে এমন কয়টি মামলার তথ্য পেয়েছেন?
উত্তর : আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : তদন্তকালে আপনি এমন একটি মামলার সন্ধান পেয়েছেন যেখানে পিরোজপুরের ২৭৯ জন স্বাধীনতা বিরোধী আসামীর নাম আছে।
উত্তর : আমার নোটে নেই।
উত্তর : আমি বলছি দালাল আইনে দায়ের করা কোন মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম না থাকায় ওই মামলার তথ্য আপনি নোটে নেই বলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বরের পর পিরোজপুর থানায় কতজন স্বাধীনতা বিরোধী গ্রেফতার করা হয় এ মর্মে কোন রিপোর্ট আপনি থানা থেকে চাননি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : এসডিপিও শহীদ ফয়জুর রহমান, এসডিও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক এবং ট্রেজারার শহীদ সাইফ মিজানুর রহামানকে পিরোজপুর শহর থেকে ধরা হয়।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : পাকিস্তান আর্মি কোন তারিখে পিরোজপুর আসে সে মর্মে পিরোজপুর ডিসির কাছ থেকে কোন রিপোর্ট তলব করেছেন?
উত্তর : সুনির্দিষ্টভাবে করেছি কি-না তা আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র বইটি পর্যালোচনা করেছেন?
উত্তর : করেছি।
প্রশ্ন : এই বইয়ে ফয়জুর রহমান হত্যা বিষয়ে তার জামাতা অ্যাডভোকেট আলী হায়দারের একটি পত্র সংযুক্ত আছে।
উত্তর : আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : এই বইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আছে এবং তাতে মাহবুবুল আলম হাওলাদারের নাম নেই।
উত্তর : আমার নোটে নেই।
প্রশ্ন : এই বইয়ে পিরোজপুরের স্বাধীনতা বিরোধীদের নামের তালিকা আছে এবং তাতে সাঈদী সাহেবের নাম নেই।
উত্তর : নোটে না থাকায় বলতে পারছিনা।
প্রশ্ন : এই বই আদালতে উপস্থাপন করলে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হবে বিধায় বইটি আপনি দাখিল করেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : বলেশ্বর নদীর হত্যাকান্ডের সময় কোন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল এমন কাউকে পেয়েছেন?
উত্তর : নোটে নেই।
প্রশ্ন : সাইফ মিজানুর রহমান, এসডিও রাজ্জাককে ধরার সময় কোন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল কিনা এবং এমন কাউকে পেয়েছেন কিনা?
উত্তর : নোটে নেই।
প্রশ্ন : যে হাসপাতাল থেকে তাদের ধরা হয় তার আশপাশে তখনো লোকালয় ছিল এবং এখনো আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ৭ মে পিরোজপুর শান্তি কমিটি গঠিত হয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : “এরপর মিজানুল ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা একটি ডকুমেন্ট থেকে দৈনিক আজাদ পত্রিকার একটি খবর পড়ে শোনান এবং প্রশ্ন করেন) “বরিশাল ৭ মে: নিলিখ পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক উজির খান মুহম্মদ সৈয়দ আফজাল সাহেবকে সভাপতি করিয়া পিরোজপুর মহকুমা শান্তি কমিটি গঠন করা হইয়াছে” এ মর্মে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই।
উত্তর : নাই।
প্রশ্ন : পিরোজপুরে রাজাকার বাহিনী গঠন সংক্রান্ত কোন দালিলিক প্রমান আপনার কাছে নেই।
উত্তর : নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন