মেহেদী হাসান, ২/১১/২০১২
আমাকে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে আনার জন্য যে কতবার সরকারী লোকজন বাড়িতে গেছে তার কোন গোনাবাছা নেই। ডিসি অফিস, থানার ওসি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন বারবার বাড়িতে লোক পাঠাইছে আমাকে যাওয়ার জন্য। অনেকবার পুলিশ গেছে। কোর্টের লোকজন গেছে ঢাকা থেকে। একবার দারোগা এসে হোন্ডায় করে পিরোজপুর থানায় নিয়ে গেল। তাদের সবার কথা একটাই। আমাকে বলতে হবে আমার মাকে সাঈদী সাহেব মারছে। আমি তাতে রাজি হইনি। সে কারনে আমি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসি নাই। আমি সত্যিকথা কমু এজন্য তারা আমাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আনেনাই।
গনেশ চন্দ্র সাহা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন। গত ২৩ অক্টোবর তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (১) হাজির হয়ে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন।
ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার পর আমি বিকালে একটি রুমে বসে গনেশের সাথে কথা বলি। জানতে চাই কেন তিনি রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হয়েও রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিতে না এসে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এলেন। গনেশ চন্দ্র বলেন, সরকার পক্ষের লোকজনের কথামত সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় বারবার তাদের বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছে। থানায় নিয়ে তাকে টাকা সাধা হয়েছে তাদের কথামত সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। একবার রাতে তাকে স্থানীয় সরকার সমর্থক লোকজন ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি তার মায়ের নামে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি হননি। গণেশ জানান সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে না আসায় তাকে এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজন রাজাকার ডাকে।
গনেশ বলেন, “একদিন পিরোজপুরের এক দারোগা মটর সাইকেলে করে থানায় নিয়ে গেল। দারোগার নাম আমি জানি না। অনেক দূর নিয়া তিন তলায় উঠাইছে। কিছুক্ষণ পর লোকজন আইসা আমার চারপাশে বইছে । তারা ঢাকার লোক। হেগো কতা আমি ভাল বুঝিনা। উচা উচা লোক। এরপর জনাচারেক পুলিশ আইছে । চারপাশে পুলিশ বইছে। কতগুলা মেশিন পত্র ফিট করছে। ফিট কইরা তারপর নানান কথা কইছে । আমার মায়ের ঘটনাগুলো কইতে কইছে। পরে কওয়া ধরছি। পরে ঢাকার লোক কয়- না, তোমার মায়রে মারছে সাঈদী সাহেব। আমারে কইতে কইল তুমি কবা তোমার মায়রে সাঈদী সাহেব মারছে। আমি কইলাম, না সাঈদী সাহেব মারে নাই। তার নামে মিথ্যা কথা কইতে পারমু না। তারা বলছে হ তুমি কও, তোমারে পয়সা-পাতি দেব। আমি কইলাম কোন পয়সা পাতিতে কাজ হবেনা। তখন আমার সামনে দুইটা ব্রিফকেস খুইল্লা টাহা দেখাইছে । আমারে কইল-এই টাকা নিয়া চইল্লা যাবা, তুমি নাম কও। মেলা সময় তোহাই মোহাইয়া কয়, তুমি বোঝ। আমি কইলাম আমার বোঝা হইয়া গেছে, আমি পারমু না। আপনার যা খুশি করতে পারেন। আমি আমার মরা মায়রে বেচতে পারমু না। মরা মায়রে বেইচ্যা আমি খাবনা । আমি পারলাম না। এইটা বছর দেড় আগের ঘটনা।”
একথা বলার পর গনেশ চোখ মুছল মাথা নিচের দিক করে।
ঢাকা থেকে কোর্টের পরিচয়ে বাড়িতে লোকজন যাওয়া প্রসেঙ্গ গণেশ চন্দ্র বলেন, “গত ফালগুনের আগের ফালগুনে ছয়জন আমার কাছে গেছে। গিয়ে খুব জোরাজুরি করেছে। তারা কইল তোমার মায় যে মারা গেছে তোমরা কি জান? আমি কইলাম জানি; খাতা মাতা বই পুস্তকে সবতায় আছে, আর্মিতে মাইররা হালাইছে, মিলিটারীতে মারছে আমার মায়রে। সব কিছুই আছে। তারা বলতেছে- না, সাঈদী সাহেব মারছে। আমি মায়ের কথা বলতে পারমুনা, মরা মায়ের নামে মিথ্যা কথা বলতে পারমুনা। এই লইয়া বেশ তোহাই মোহাই কইররা তহন কইছে তয় কেডা মারছে? আমি কইলাম মারছে পাক সৈন্যতে। তারা কয় তুমি এখন বিচার চাও? আমি কইলাম হ আমি বিচার চাই। পরে তারা বলছে তয় কও বিচার চাই বিচার চাই, বার বার কবা। পরে আমি বিচার চাই বিচার চাই, বার বার কইছি । ”
- কিছুক্ষন থেমে গণেশ আবার বলেন, “এইর মধ্যে এক রাইতে স্থানীয় আর পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের লোকজন আমারে ধইর্যা নিয়া গেছে। মটর সাইকেলে কইরা নিয়া গেল পিরোজপুর পর্যন্ত। রাস্তায় আমি কইলাম- আমারে ছাড় নাইলে চিক মারমু (চিৎকার করব) । তারপর আমি ঐ জায়গা থেকে দৌড়াইয়া এক বাড়িতে গিয়া উঠছি। সে আমারে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে নিয়া গেল ভোরে। উপজেলা চেয়ারম্যান মতি সরদাররে জানাইলাম যে, এই এই ঘটনা। মতি সরদার একজন মুক্তিযোদ্ধা। সে মোবাইল করল কাকে কাকে যেন। মোবাইলে কইল তোরা গনেশের সাথে এসব কি শুরু করছ। ওকে কি তোরা এলাকায় থাকতে দিবিনা? ১৯৭১ সালে সাঈদীরে তো আমিই চিনতামনা, দেখিনাই। ও চেনবে ক্যামনে?”
- গনেশ বলল মতি চেয়ারম্যান একজন ভাল মানুষ। সেই প্রথমে আমারে খরব দেয় ঢাকার লোকজন সম্পর্কে। সে মনে করেছিল তারা আমার উপকারের জন্য আইছে। কিন্তু পরে বুঝল- না, ঘটনা অন্য রহম । রেহপর মতি শিকদার আমারে সাবধান করে দিয়া কইল- এ ছ্যামড়া, তুই কি জান? যা সত্যি তাই কবি। এর বাইরে কিছু কবিনা। মনে সাহস রাখবি। উপরের দাত নিচে উড়াবিনা আর নিচের দাত উপরে তুলবিনা।
- গনেশ এরপর বলতে লাগল -এর মাঝে একদিন পুলিশ আইছে আমাগো বাড়ী। আইসা আমারে ডাকাইয়া আনছে। আমি বাড়ী ছিলাম না বাইরে ছিলাম। পুলিশ কইছে, তোমার সাথে কিছু কতা আছে, আমি কইছি কোন কেস আছে নিহি? কয়, না কেস নাই। আমি কইলাম, তয় কন কি কতা? কয়, না এহন কবনা পরে এক সময় কব। ওসি সাহেব কতা হোনতে কয়। পরে আর যাই নাই।”
- গনেশ বলেন, “বহুবার লোক গেছে আমাকে আনার জন্য গেছে। ওর কোন গোনা-বাছা নাই। তাদের বক্তব্য একটাই যে, তারা যা বলবে তা বলতে হবে, তাদের এই কথায় আমি রাজী হইনাই। যার কারনে আমি আসি নাই। ডিসি ও ওসি দিয়াও খবর দেওয়াইছে কিন্তু আমি রাজী হইনাই। সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে না আসায় এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজন আমারে কয় তুই রাজাকার। তোর সাঈদী তোরে বাঁচাইতে পারবেনা। সে যাইতে পারবেনা ইলেকশনে। সে বের হইতে পারবেনা। আমরাই থাকব এলাকায়। তুই কয়দিন পলাইয়া থাকবি। সাঈদী সাহেবের রেহাই নাই। ”
- গণেশের সাথে কথা বলা শেষে আমি আমার পকেটে হাত দিলাম। মাত্র একশ টাকার একটি নোট উঠল হাতে। আমি তা গনেশকে দিলাম চা খাওয়ার জন্য। গণেশ কেঁদে বলল, না লাগবেনা। আমারে যেদিন দারোগা থানায় নিয়ে গেল এবং পরে তাদের কতামত কতা কইতে রাজি না হয়ে চইল্লা আইতেছিলাম তহন থানার এক লোক আমার এক হাজার টাহা দিল। আমি কইলাম আমি টাহা নিমুনা। সে আমার পিডে আত দিয়া কইল তুই যে তোর মায়ের নামে মিথ্যা কইতে রাজি হওনি সেজন্য তোরে দিলাম। আমি খুসি হয়ে তোরে দিলাম। নিয়া যা।
- গনেশ চোখ মুছতে মুছতে বলল পরে আমি নিলাম।
আমাকে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে আনার জন্য যে কতবার সরকারী লোকজন বাড়িতে গেছে তার কোন গোনাবাছা নেই। ডিসি অফিস, থানার ওসি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন বারবার বাড়িতে লোক পাঠাইছে আমাকে যাওয়ার জন্য। অনেকবার পুলিশ গেছে। কোর্টের লোকজন গেছে ঢাকা থেকে। একবার দারোগা এসে হোন্ডায় করে পিরোজপুর থানায় নিয়ে গেল। তাদের সবার কথা একটাই। আমাকে বলতে হবে আমার মাকে সাঈদী সাহেব মারছে। আমি তাতে রাজি হইনি। সে কারনে আমি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসি নাই। আমি সত্যিকথা কমু এজন্য তারা আমাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আনেনাই।
গনেশ চন্দ্র সাহা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন। গত ২৩ অক্টোবর তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (১) হাজির হয়ে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন।
ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার পর আমি বিকালে একটি রুমে বসে গনেশের সাথে কথা বলি। জানতে চাই কেন তিনি রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হয়েও রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিতে না এসে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এলেন। গনেশ চন্দ্র বলেন, সরকার পক্ষের লোকজনের কথামত সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় বারবার তাদের বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছে। থানায় নিয়ে তাকে টাকা সাধা হয়েছে তাদের কথামত সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। একবার রাতে তাকে স্থানীয় সরকার সমর্থক লোকজন ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি তার মায়ের নামে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি হননি। গণেশ জানান সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে না আসায় তাকে এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজন রাজাকার ডাকে।
গনেশ বলেন, “একদিন পিরোজপুরের এক দারোগা মটর সাইকেলে করে থানায় নিয়ে গেল। দারোগার নাম আমি জানি না। অনেক দূর নিয়া তিন তলায় উঠাইছে। কিছুক্ষণ পর লোকজন আইসা আমার চারপাশে বইছে । তারা ঢাকার লোক। হেগো কতা আমি ভাল বুঝিনা। উচা উচা লোক। এরপর জনাচারেক পুলিশ আইছে । চারপাশে পুলিশ বইছে। কতগুলা মেশিন পত্র ফিট করছে। ফিট কইরা তারপর নানান কথা কইছে । আমার মায়ের ঘটনাগুলো কইতে কইছে। পরে কওয়া ধরছি। পরে ঢাকার লোক কয়- না, তোমার মায়রে মারছে সাঈদী সাহেব। আমারে কইতে কইল তুমি কবা তোমার মায়রে সাঈদী সাহেব মারছে। আমি কইলাম, না সাঈদী সাহেব মারে নাই। তার নামে মিথ্যা কথা কইতে পারমু না। তারা বলছে হ তুমি কও, তোমারে পয়সা-পাতি দেব। আমি কইলাম কোন পয়সা পাতিতে কাজ হবেনা। তখন আমার সামনে দুইটা ব্রিফকেস খুইল্লা টাহা দেখাইছে । আমারে কইল-এই টাকা নিয়া চইল্লা যাবা, তুমি নাম কও। মেলা সময় তোহাই মোহাইয়া কয়, তুমি বোঝ। আমি কইলাম আমার বোঝা হইয়া গেছে, আমি পারমু না। আপনার যা খুশি করতে পারেন। আমি আমার মরা মায়রে বেচতে পারমু না। মরা মায়রে বেইচ্যা আমি খাবনা । আমি পারলাম না। এইটা বছর দেড় আগের ঘটনা।”
একথা বলার পর গনেশ চোখ মুছল মাথা নিচের দিক করে।
ঢাকা থেকে কোর্টের পরিচয়ে বাড়িতে লোকজন যাওয়া প্রসেঙ্গ গণেশ চন্দ্র বলেন, “গত ফালগুনের আগের ফালগুনে ছয়জন আমার কাছে গেছে। গিয়ে খুব জোরাজুরি করেছে। তারা কইল তোমার মায় যে মারা গেছে তোমরা কি জান? আমি কইলাম জানি; খাতা মাতা বই পুস্তকে সবতায় আছে, আর্মিতে মাইররা হালাইছে, মিলিটারীতে মারছে আমার মায়রে। সব কিছুই আছে। তারা বলতেছে- না, সাঈদী সাহেব মারছে। আমি মায়ের কথা বলতে পারমুনা, মরা মায়ের নামে মিথ্যা কথা বলতে পারমুনা। এই লইয়া বেশ তোহাই মোহাই কইররা তহন কইছে তয় কেডা মারছে? আমি কইলাম মারছে পাক সৈন্যতে। তারা কয় তুমি এখন বিচার চাও? আমি কইলাম হ আমি বিচার চাই। পরে তারা বলছে তয় কও বিচার চাই বিচার চাই, বার বার কবা। পরে আমি বিচার চাই বিচার চাই, বার বার কইছি । ”
- কিছুক্ষন থেমে গণেশ আবার বলেন, “এইর মধ্যে এক রাইতে স্থানীয় আর পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের লোকজন আমারে ধইর্যা নিয়া গেছে। মটর সাইকেলে কইরা নিয়া গেল পিরোজপুর পর্যন্ত। রাস্তায় আমি কইলাম- আমারে ছাড় নাইলে চিক মারমু (চিৎকার করব) । তারপর আমি ঐ জায়গা থেকে দৌড়াইয়া এক বাড়িতে গিয়া উঠছি। সে আমারে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে নিয়া গেল ভোরে। উপজেলা চেয়ারম্যান মতি সরদাররে জানাইলাম যে, এই এই ঘটনা। মতি সরদার একজন মুক্তিযোদ্ধা। সে মোবাইল করল কাকে কাকে যেন। মোবাইলে কইল তোরা গনেশের সাথে এসব কি শুরু করছ। ওকে কি তোরা এলাকায় থাকতে দিবিনা? ১৯৭১ সালে সাঈদীরে তো আমিই চিনতামনা, দেখিনাই। ও চেনবে ক্যামনে?”
- গনেশ বলল মতি চেয়ারম্যান একজন ভাল মানুষ। সেই প্রথমে আমারে খরব দেয় ঢাকার লোকজন সম্পর্কে। সে মনে করেছিল তারা আমার উপকারের জন্য আইছে। কিন্তু পরে বুঝল- না, ঘটনা অন্য রহম । রেহপর মতি শিকদার আমারে সাবধান করে দিয়া কইল- এ ছ্যামড়া, তুই কি জান? যা সত্যি তাই কবি। এর বাইরে কিছু কবিনা। মনে সাহস রাখবি। উপরের দাত নিচে উড়াবিনা আর নিচের দাত উপরে তুলবিনা।
- গনেশ এরপর বলতে লাগল -এর মাঝে একদিন পুলিশ আইছে আমাগো বাড়ী। আইসা আমারে ডাকাইয়া আনছে। আমি বাড়ী ছিলাম না বাইরে ছিলাম। পুলিশ কইছে, তোমার সাথে কিছু কতা আছে, আমি কইছি কোন কেস আছে নিহি? কয়, না কেস নাই। আমি কইলাম, তয় কন কি কতা? কয়, না এহন কবনা পরে এক সময় কব। ওসি সাহেব কতা হোনতে কয়। পরে আর যাই নাই।”
- গনেশ বলেন, “বহুবার লোক গেছে আমাকে আনার জন্য গেছে। ওর কোন গোনা-বাছা নাই। তাদের বক্তব্য একটাই যে, তারা যা বলবে তা বলতে হবে, তাদের এই কথায় আমি রাজী হইনাই। যার কারনে আমি আসি নাই। ডিসি ও ওসি দিয়াও খবর দেওয়াইছে কিন্তু আমি রাজী হইনাই। সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে না আসায় এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজন আমারে কয় তুই রাজাকার। তোর সাঈদী তোরে বাঁচাইতে পারবেনা। সে যাইতে পারবেনা ইলেকশনে। সে বের হইতে পারবেনা। আমরাই থাকব এলাকায়। তুই কয়দিন পলাইয়া থাকবি। সাঈদী সাহেবের রেহাই নাই। ”
- গণেশের সাথে কথা বলা শেষে আমি আমার পকেটে হাত দিলাম। মাত্র একশ টাকার একটি নোট উঠল হাতে। আমি তা গনেশকে দিলাম চা খাওয়ার জন্য। গণেশ কেঁদে বলল, না লাগবেনা। আমারে যেদিন দারোগা থানায় নিয়ে গেল এবং পরে তাদের কতামত কতা কইতে রাজি না হয়ে চইল্লা আইতেছিলাম তহন থানার এক লোক আমার এক হাজার টাহা দিল। আমি কইলাম আমি টাহা নিমুনা। সে আমার পিডে আত দিয়া কইল তুই যে তোর মায়ের নামে মিথ্যা কইতে রাজি হওনি সেজন্য তোরে দিলাম। আমি খুসি হয়ে তোরে দিলাম। নিয়া যা।
- গনেশ চোখ মুছতে মুছতে বলল পরে আমি নিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন