মেহেদী হাসান, ২৩/৪/১২, সোমবার
হরতালের কারনে দুই দফা উদ্যোগ নিয়েও আজ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। ফলে মুলতবি করা হয় মাওলানা সাঈদীর বিচার। গতকাল নবম দিনের মত তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল।
সকাল সাড়ে দশটায় কোর্ট বসার কথা থাকলেও হরতালের কারনে মাওলানা সাঈদীকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় বেশ পরে। সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হক কোর্টে আসেন। তখন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে ডিফেন্স টিমের দুজন জুনিয়র সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের মাত্র একজন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি নিজামুল হক মোহাম্মদ আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কি খবর”। মোহাম্মদ আলী জবাবে বলেন, সৈয়দ হায়দার আলী আসতে পারেননি। রাস্তায় আছেন। কিছুক্ষনের নের মধ্যে চলে আসবেন। অন্যরা আসতেছেন।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন কোর্ট চালাতে হলে চারটি জিনিস দরকার। ট্রাইব্যুনাল, প্রসিকিউশন, ডিফেন্স এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতি। এর একটি না থাকলে কোর্ট কিভাবে চলবে?
তখন কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকা মাওলানা সাঈদী সময় চান। মাওলানা সাঈদীর পক্ষে জুনিয়র আইনজীবী হাসানুল বান্না সোহাগ দাড়িয়ে বলেন, মাইলর্ড হরতালের কারনে আমাদের সিনিয়র আইনজীবীগণ আদালতে আসতে পারেননি। শহরে প্রাইভেটকার মাইকোবাস বের হচ্ছেনা। সিনিয়র আইনজীবী মিজানুল ইসলাম একজন পঙ্গু মানুষ। তিনি মাইক্রোবাস ছাড়া চলতে পারেননা। তাই তিনি সময় প্রার্থনা করেন। এসময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনারা আইনজীবীরা ডিগনিটি মেনে চলবেন আশাকরি। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আরো কয়েকজন আইনজীবী আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন।
মাওলানা সাঈদী এসময় ট্রাইব্যুনালে বলেন, আইনজীবী মিজানুল ইসলাম গাড়িতে করে আসতে পারছেননা। শারিরীক সমস্যার কারনে তিনি রিক্সায়ও বসতে পারেননা। কাজেই বিষয়টি বিবেচনা করে মুলতবী রাখা হোক মেহেরবানী করে। এরপর দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মুলতবী করা হয়।
দুপুর দেড়টায় আবার কোর্ট বসলে তখনো মাওলানা সাঈদীর পক্ষে জুনিয়র দুজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন । এরা হলেন হাসানুল বান্না সোহাগ এবং আবু বকর সিদ্দিক। তারা জানান হরতালের কারনে অন্য আইনজীবীদের কোর্টে আসার ক্ষেত্রে এখনো সমস্যা হচ্ছে। মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেট কার নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছেনা। তাই একদিনের জন্য মুলতবীর আবেদন করেন তারা।
এসময় বিচারপতি নিজামুল হক তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী প্রদানের অনুমিত দিলে মাওলানা সাঈদীর জুনিয়র আইনজীবীরা আপত্তি জানিয়ে বলেন, এতে আমাদের আসামী প্রিজুডিসের শিকার হবেন। এসময় কাঠগড়ায় থাকা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আবারো দাড়িয়ে বিচারপতি নিজামুল হকের কাছে অনুরোধ করেন বিচার একদিনের জন্য মুলতবী রাখার জন্য।
তখন তিনি অনিচ্ছাসত্ত্বেও হরতালজনিত সমস্যার কারণ উল্লেখ করে মাওলানা সাঈদীর বিচার মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এটা একাত্তর সাল নয়
আজ মাওলানা সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় হাজির করা হলে হাজত খানার সামনে গিয়ে তার সাথে কুশল এবং সালাম বিনিময় করেন মাওলানা সাঈদীর দুই ছেলে মাসুদ সাঈদী এবং নাসিম সাঈদী। তখন সেখানে মাওলানা সাঈদীর আরেক জুনিয়র আইনজীবী তরিকুল ইসলাম এসে হাজির হলে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম তাদের হাজত খানার সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে ওসি তাদের বলেন, এটা একাত্তর সাল নয়।
বিষয়টি তরিকুল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করলে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, বিষয়টি আমি সিসি ক্যামেরায় দেখেছি। এটা কাম্য নয়। তরিকুল ইসলামকে তিনি বলেন, আপনি গাউন ছাড়া ওখানে গেছেন কেন। গাউন ছাড়া আইনজীবীদের আদালতের বারান্দায়ও যাওয়া ঠিক নয়। তখন তরিকুল বলেন, আমি আদালতের উদ্দেশে আজ আসিনি। আমি সাঈদী সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম দুটি আবেদন বিষয়ে।
মাসুদ সাঈদী সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রতিদিনই কোর্টে আসি। প্রতিদিন যেখানে দাড়িয়ে আব্বাকে সালাম দেই আজো সেখানে দাড়িয়েই সালাম দিয়েছি এবং কুশল বিনিময় করেছি। কিন্তু ওসি তার পরিচয় না দিয়ে এবং খুব মেজাজ দেখিয়ে বললেন সালামও দিতে পারবেননা কথাও বলতে পারবেনা। এখানে দাড়াতেও পারবেননা। এমনকি আমাকেসহ তিনি আমাদের আইনজীবীকেও ওখান থেকে চলে যেতে বললেন। আমাদের আইনজীবী এবং আমিও তাকে আমার পাশ দেখানোর পরেও সে আমাদের সাথে দুব্যর্বহার করল।
হরতালের কারনে দুই দফা উদ্যোগ নিয়েও আজ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। ফলে মুলতবি করা হয় মাওলানা সাঈদীর বিচার। গতকাল নবম দিনের মত তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল।
সকাল সাড়ে দশটায় কোর্ট বসার কথা থাকলেও হরতালের কারনে মাওলানা সাঈদীকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় বেশ পরে। সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হক কোর্টে আসেন। তখন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে ডিফেন্স টিমের দুজন জুনিয়র সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের মাত্র একজন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি নিজামুল হক মোহাম্মদ আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কি খবর”। মোহাম্মদ আলী জবাবে বলেন, সৈয়দ হায়দার আলী আসতে পারেননি। রাস্তায় আছেন। কিছুক্ষনের নের মধ্যে চলে আসবেন। অন্যরা আসতেছেন।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন কোর্ট চালাতে হলে চারটি জিনিস দরকার। ট্রাইব্যুনাল, প্রসিকিউশন, ডিফেন্স এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতি। এর একটি না থাকলে কোর্ট কিভাবে চলবে?
তখন কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকা মাওলানা সাঈদী সময় চান। মাওলানা সাঈদীর পক্ষে জুনিয়র আইনজীবী হাসানুল বান্না সোহাগ দাড়িয়ে বলেন, মাইলর্ড হরতালের কারনে আমাদের সিনিয়র আইনজীবীগণ আদালতে আসতে পারেননি। শহরে প্রাইভেটকার মাইকোবাস বের হচ্ছেনা। সিনিয়র আইনজীবী মিজানুল ইসলাম একজন পঙ্গু মানুষ। তিনি মাইক্রোবাস ছাড়া চলতে পারেননা। তাই তিনি সময় প্রার্থনা করেন। এসময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনারা আইনজীবীরা ডিগনিটি মেনে চলবেন আশাকরি। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আরো কয়েকজন আইনজীবী আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন।
মাওলানা সাঈদী এসময় ট্রাইব্যুনালে বলেন, আইনজীবী মিজানুল ইসলাম গাড়িতে করে আসতে পারছেননা। শারিরীক সমস্যার কারনে তিনি রিক্সায়ও বসতে পারেননা। কাজেই বিষয়টি বিবেচনা করে মুলতবী রাখা হোক মেহেরবানী করে। এরপর দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মুলতবী করা হয়।
দুপুর দেড়টায় আবার কোর্ট বসলে তখনো মাওলানা সাঈদীর পক্ষে জুনিয়র দুজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন । এরা হলেন হাসানুল বান্না সোহাগ এবং আবু বকর সিদ্দিক। তারা জানান হরতালের কারনে অন্য আইনজীবীদের কোর্টে আসার ক্ষেত্রে এখনো সমস্যা হচ্ছে। মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেট কার নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছেনা। তাই একদিনের জন্য মুলতবীর আবেদন করেন তারা।
এসময় বিচারপতি নিজামুল হক তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী প্রদানের অনুমিত দিলে মাওলানা সাঈদীর জুনিয়র আইনজীবীরা আপত্তি জানিয়ে বলেন, এতে আমাদের আসামী প্রিজুডিসের শিকার হবেন। এসময় কাঠগড়ায় থাকা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আবারো দাড়িয়ে বিচারপতি নিজামুল হকের কাছে অনুরোধ করেন বিচার একদিনের জন্য মুলতবী রাখার জন্য।
তখন তিনি অনিচ্ছাসত্ত্বেও হরতালজনিত সমস্যার কারণ উল্লেখ করে মাওলানা সাঈদীর বিচার মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এটা একাত্তর সাল নয়
আজ মাওলানা সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় হাজির করা হলে হাজত খানার সামনে গিয়ে তার সাথে কুশল এবং সালাম বিনিময় করেন মাওলানা সাঈদীর দুই ছেলে মাসুদ সাঈদী এবং নাসিম সাঈদী। তখন সেখানে মাওলানা সাঈদীর আরেক জুনিয়র আইনজীবী তরিকুল ইসলাম এসে হাজির হলে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম তাদের হাজত খানার সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে ওসি তাদের বলেন, এটা একাত্তর সাল নয়।
বিষয়টি তরিকুল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করলে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, বিষয়টি আমি সিসি ক্যামেরায় দেখেছি। এটা কাম্য নয়। তরিকুল ইসলামকে তিনি বলেন, আপনি গাউন ছাড়া ওখানে গেছেন কেন। গাউন ছাড়া আইনজীবীদের আদালতের বারান্দায়ও যাওয়া ঠিক নয়। তখন তরিকুল বলেন, আমি আদালতের উদ্দেশে আজ আসিনি। আমি সাঈদী সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম দুটি আবেদন বিষয়ে।
মাসুদ সাঈদী সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রতিদিনই কোর্টে আসি। প্রতিদিন যেখানে দাড়িয়ে আব্বাকে সালাম দেই আজো সেখানে দাড়িয়েই সালাম দিয়েছি এবং কুশল বিনিময় করেছি। কিন্তু ওসি তার পরিচয় না দিয়ে এবং খুব মেজাজ দেখিয়ে বললেন সালামও দিতে পারবেননা কথাও বলতে পারবেনা। এখানে দাড়াতেও পারবেননা। এমনকি আমাকেসহ তিনি আমাদের আইনজীবীকেও ওখান থেকে চলে যেতে বললেন। আমাদের আইনজীবী এবং আমিও তাকে আমার পাশ দেখানোর পরেও সে আমাদের সাথে দুব্যর্বহার করল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন