মেহেদী হাসান, ৩০/১/২০১২
আজ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল মধুসূদন ঘরামীর। কিন্তু তাকে আদালতে আনা যায়নি সাক্ষী দেয়ার জন্য।
সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হবার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, সাক্ষী হাসপাতাল থেকে রিলিজের অপেক্ষায় আছেন। একটু পরে আসবেন।
এরপর আদালতে দুজন জব্দ তালিকার সাক্ষী হাজির করা হয়। সাড়ের ১২টার দিকে তাদের সাক্ষ্য শেষ হলে সৈয়দ হায়দার আলী আদালতকে বলেন, তাদের হাতে সাক্ষী নেই । মধুসূদন ঘরামীর বিষয়ে ডাক্তারি কিয়ারেন্স পাওয়া যায়নি এখনো। আগামীকাল পাওয়া যাবে কি-না আদালতে জানতে চাইলে সৈয়দ হায়দার আলী পাওয়া যাবে মর্মে আশ্বাস দেন।
মধুসুদন ঘরামী মামলার মূল সাক্ষীদের একজন । তাদের ঘটনার সাক্ষীও বলেন। এখন পর্যন্ত এজাতীয় ১৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এ জাতীয় মোট ৬৮ জন সাক্ষীর তালিকা দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এদের জবানবন্দীও রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খান ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সালের বিভিন্ন পত্রিকার বেশ কিছু খবর জব্দ করেন বাংলা একাডেমী থেকে। সেসব জব্দ তালিকা গতকাল আদালতে প্রদর্শন করা হয়। বাংলা একাডেমীর এসিসট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান এজাব উদ্দিন মিয়া (জব্দ তালিকার সাক্ষী) আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন ২০১১ সালে মার্চ মাসে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার উপস্থিতিতে এসব পেপারের সংশ্লিষ্ট খবরগুলো জব্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাংলা একাডেমীর ডিস্ট্রিবিউটর সৈয়দ সামসুল কবির কর্তৃকও এ মর্মে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
জব্দ তালিকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের ক্ষোভ
জব্দ তালিকা উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হককে যে মূল কপি দেয়া হয় তার সাথে অন্য দুই বিচারপতি এবং আসামী পক্ষকে দেয়া কপিতে ব্যাপক গরমিল দেখা দেয়। কোথাও কোথাও পৃষ্ঠা নম্বর নিয়ে গরমিল এবং কোন কোন কপির সাথে মূল কুিপর বিষয়বস্তুর অমিল দেখা যায় কোথাও কোথাও।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তখন ক্ষোভ প্রকাশ করেন । রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মি. হায়দার আলী, হোয়াট ক্যান বি ডান?”
তখন হায়দার আলী বলেন, “একটু এদিক সেদিন হয়েছে” বিচারপতি নিজামুল হক তখন ক্ষোভের সাথে বলেন “একটু!” ।
ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ বলেন, আমাদের তিনজনকে যে তিনটি কপি দিলেন সে তিনটিই তো আমরা মেলাতে পারছিনা।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, আমাদের কপিতেতো কোন কোন ম্যাটারাই নেই।
বিচরপতি নিজামুল হক তখন বলেন, প্রতিটাতে ভুল হচ্ছে। আধাঘন্টা সময় দিলাম। এগুলো ঠিক করেন। মূলটা ঠিক রেখে অন্যগুলো মেলান।
আধাঘন্টা বিরতির পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আবারো পৃষ্ঠা নম্বর নিয়ে গোলমাল ধরা পড়ে। তখনো ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আজ বাংলা একাডেমীর এসিসট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান এজাব উদ্দিন মিয়াকে তিনটি প্রশ্নের মাধ্যমে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা।
আইনজীবী : আদালতে প্রদর্শনী নং ২৬ । এতে রয়েছে - ৮ মে ১৯৭১ সালের দৈনিক আজাদ পত্রিকা । খবরটির হেডলাইন ‘পিরোজপুর মহকুমায় শান্তি কমিটি গঠিত ’।
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী : আদালতে যে পত্রিকাগুলো প্রদর্শন করা হল তার সবগুলোই ১৯৭০, ১৯৭১ এবং ১৯৭২ সালের পত্রিকা। ’
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী : জব্দকৃত কোন খবরের শিরোনামে আল্লামা সাঈদীর নাম নেই।
সাক্ষী: নাই।
আজ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল মধুসূদন ঘরামীর। কিন্তু তাকে আদালতে আনা যায়নি সাক্ষী দেয়ার জন্য।
সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হবার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, সাক্ষী হাসপাতাল থেকে রিলিজের অপেক্ষায় আছেন। একটু পরে আসবেন।
এরপর আদালতে দুজন জব্দ তালিকার সাক্ষী হাজির করা হয়। সাড়ের ১২টার দিকে তাদের সাক্ষ্য শেষ হলে সৈয়দ হায়দার আলী আদালতকে বলেন, তাদের হাতে সাক্ষী নেই । মধুসূদন ঘরামীর বিষয়ে ডাক্তারি কিয়ারেন্স পাওয়া যায়নি এখনো। আগামীকাল পাওয়া যাবে কি-না আদালতে জানতে চাইলে সৈয়দ হায়দার আলী পাওয়া যাবে মর্মে আশ্বাস দেন।
মধুসুদন ঘরামী মামলার মূল সাক্ষীদের একজন । তাদের ঘটনার সাক্ষীও বলেন। এখন পর্যন্ত এজাতীয় ১৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এ জাতীয় মোট ৬৮ জন সাক্ষীর তালিকা দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এদের জবানবন্দীও রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খান ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সালের বিভিন্ন পত্রিকার বেশ কিছু খবর জব্দ করেন বাংলা একাডেমী থেকে। সেসব জব্দ তালিকা গতকাল আদালতে প্রদর্শন করা হয়। বাংলা একাডেমীর এসিসট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান এজাব উদ্দিন মিয়া (জব্দ তালিকার সাক্ষী) আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন ২০১১ সালে মার্চ মাসে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার উপস্থিতিতে এসব পেপারের সংশ্লিষ্ট খবরগুলো জব্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাংলা একাডেমীর ডিস্ট্রিবিউটর সৈয়দ সামসুল কবির কর্তৃকও এ মর্মে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
জব্দ তালিকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের ক্ষোভ
জব্দ তালিকা উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হককে যে মূল কপি দেয়া হয় তার সাথে অন্য দুই বিচারপতি এবং আসামী পক্ষকে দেয়া কপিতে ব্যাপক গরমিল দেখা দেয়। কোথাও কোথাও পৃষ্ঠা নম্বর নিয়ে গরমিল এবং কোন কোন কপির সাথে মূল কুিপর বিষয়বস্তুর অমিল দেখা যায় কোথাও কোথাও।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তখন ক্ষোভ প্রকাশ করেন । রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মি. হায়দার আলী, হোয়াট ক্যান বি ডান?”
তখন হায়দার আলী বলেন, “একটু এদিক সেদিন হয়েছে” বিচারপতি নিজামুল হক তখন ক্ষোভের সাথে বলেন “একটু!” ।
ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ বলেন, আমাদের তিনজনকে যে তিনটি কপি দিলেন সে তিনটিই তো আমরা মেলাতে পারছিনা।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, আমাদের কপিতেতো কোন কোন ম্যাটারাই নেই।
বিচরপতি নিজামুল হক তখন বলেন, প্রতিটাতে ভুল হচ্ছে। আধাঘন্টা সময় দিলাম। এগুলো ঠিক করেন। মূলটা ঠিক রেখে অন্যগুলো মেলান।
আধাঘন্টা বিরতির পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আবারো পৃষ্ঠা নম্বর নিয়ে গোলমাল ধরা পড়ে। তখনো ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আজ বাংলা একাডেমীর এসিসট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান এজাব উদ্দিন মিয়াকে তিনটি প্রশ্নের মাধ্যমে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা।
আইনজীবী : আদালতে প্রদর্শনী নং ২৬ । এতে রয়েছে - ৮ মে ১৯৭১ সালের দৈনিক আজাদ পত্রিকা । খবরটির হেডলাইন ‘পিরোজপুর মহকুমায় শান্তি কমিটি গঠিত ’।
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী : আদালতে যে পত্রিকাগুলো প্রদর্শন করা হল তার সবগুলোই ১৯৭০, ১৯৭১ এবং ১৯৭২ সালের পত্রিকা। ’
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী : জব্দকৃত কোন খবরের শিরোনামে আল্লামা সাঈদীর নাম নেই।
সাক্ষী: নাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন