মেহেদী হাসান, ৩১/১/২০১২
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার সময় কাঠগড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী। তার বয়স ৮১ বছর। আগে থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কাঠগড়ায় দাড়িয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া শুরু করার পর সাত মিনিটের মাথায় তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। এরপর আদালত তার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করেন।
সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে হেটে কাঠগড়ায় গিয়ে দাড়ান সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী। চেয়ারে বসে তিনি সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন । রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রানাদাস গুপ্ত তার কাছে জানতে চান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কি করতেন। মধুসূদন ঘরামী বলেন, ঘরে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতাম। তখন আপনার বয়স কত ছিল এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান অনুমান ৩৮ বছর। রানাদাস গুপ্ত এরপর জানতে চান আপনার বাবা মারা যাবার সময় আপনার বয়স কত ছিল। অনুমান আড়াই বছর বলে জবাব দেন মধুসূদন। বাবা মারা যাবার সময় তিনি কাদের রেখে গেলেন এ প্রশ্নের জবাবে মধুসূদন ঘরামী বলেন, বড় দুই বোন সুশীলা ও গোলাপী, ভাই নিকুঞ্জ, আমি এবং আমার মা।
এরপরই মধুসূদন ঘরামী অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। একজন তার পেছন থেকে দুই হাত দিয়ে পাজরের দুই পাশ চাপ দিয়ে সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করেন। ট্রাইবুু্যুনাল এসময়ে ইজি চেয়ারে বসানো যায় কি-না বা এক ঘন্টা বিরতির পর আবার শুরু করা যায় কি-না সে বিষয়ে আলাপ করেন আইনজীবীদের সাথে। তাছাড়া তার যে অবস্থা তাতে আসামী পক্ষের জেরা মোকাবেলা করতে পারবেন কি-না। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তখন জানান সে বেশ অসুস্থ। কাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। এরই মধ্যে মধুসূদন একদিকে মাথা কাত করে বসে থাকেন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম এসময় অভিমত দিয়ে বলেন এ অবস্থায় একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া অমানবিক দেখায়। বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ বলেন, তার অবস্থা বেশ খারাপ দেখা যাচ্ছে। তখন ট্রাইব্যুনাল অভিমত দেন এ অবস্থায় তার সাক্ষ্য নেয়া ঠিক হবেনা। আজ বুধবার পর্যন্ত তার সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামী পক্ষের আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করেন মধুসূদন ঘরামীর সাক্ষ্য গ্রহনের বিষয়ে। এ বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, কোর্টরুমে সিকবেড এবং ডাক্তারের আয়োজন রাখা হবে মধুসূদন ঘরামীর জন্য। তিনি যদি দাড়িয়ে বা বসে সাক্ষ্য দিতে না পারেন তাহলে প্রয়োজনে সিক বেডে শুয়ে সাক্ষ্য দেবেন।
মধুসূদন ঘরামী অসুস্থ থাকার কারনে এর আগে বেশ কয়েকবার তারিখ দেয়া সত্ত্বেও তাকে আদালতে হাজির করতে পারেননি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। ১৭ দিন ধরে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। অসুস্থ হবার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুই দিন আগেও তার সাক্ষী দিতে আসার কথা ছিল। ঐদিন সকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান হাসপাতাল থেকে রিলিজের ব্যবস্থা চলছে। একটু পরে আসবেন। এরপর দুপুরে তারা জানান, ডাক্তারের কিয়ারেন্স পাওয়া যায়নি। তাই তিনি আসতে পারবেননা।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার সময় কাঠগড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী। তার বয়স ৮১ বছর। আগে থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কাঠগড়ায় দাড়িয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া শুরু করার পর সাত মিনিটের মাথায় তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। এরপর আদালত তার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করেন।
সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে হেটে কাঠগড়ায় গিয়ে দাড়ান সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী। চেয়ারে বসে তিনি সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন । রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রানাদাস গুপ্ত তার কাছে জানতে চান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কি করতেন। মধুসূদন ঘরামী বলেন, ঘরে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতাম। তখন আপনার বয়স কত ছিল এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান অনুমান ৩৮ বছর। রানাদাস গুপ্ত এরপর জানতে চান আপনার বাবা মারা যাবার সময় আপনার বয়স কত ছিল। অনুমান আড়াই বছর বলে জবাব দেন মধুসূদন। বাবা মারা যাবার সময় তিনি কাদের রেখে গেলেন এ প্রশ্নের জবাবে মধুসূদন ঘরামী বলেন, বড় দুই বোন সুশীলা ও গোলাপী, ভাই নিকুঞ্জ, আমি এবং আমার মা।
এরপরই মধুসূদন ঘরামী অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। একজন তার পেছন থেকে দুই হাত দিয়ে পাজরের দুই পাশ চাপ দিয়ে সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করেন। ট্রাইবুু্যুনাল এসময়ে ইজি চেয়ারে বসানো যায় কি-না বা এক ঘন্টা বিরতির পর আবার শুরু করা যায় কি-না সে বিষয়ে আলাপ করেন আইনজীবীদের সাথে। তাছাড়া তার যে অবস্থা তাতে আসামী পক্ষের জেরা মোকাবেলা করতে পারবেন কি-না। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তখন জানান সে বেশ অসুস্থ। কাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। এরই মধ্যে মধুসূদন একদিকে মাথা কাত করে বসে থাকেন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম এসময় অভিমত দিয়ে বলেন এ অবস্থায় একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া অমানবিক দেখায়। বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ বলেন, তার অবস্থা বেশ খারাপ দেখা যাচ্ছে। তখন ট্রাইব্যুনাল অভিমত দেন এ অবস্থায় তার সাক্ষ্য নেয়া ঠিক হবেনা। আজ বুধবার পর্যন্ত তার সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামী পক্ষের আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করেন মধুসূদন ঘরামীর সাক্ষ্য গ্রহনের বিষয়ে। এ বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, কোর্টরুমে সিকবেড এবং ডাক্তারের আয়োজন রাখা হবে মধুসূদন ঘরামীর জন্য। তিনি যদি দাড়িয়ে বা বসে সাক্ষ্য দিতে না পারেন তাহলে প্রয়োজনে সিক বেডে শুয়ে সাক্ষ্য দেবেন।
মধুসূদন ঘরামী অসুস্থ থাকার কারনে এর আগে বেশ কয়েকবার তারিখ দেয়া সত্ত্বেও তাকে আদালতে হাজির করতে পারেননি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। ১৭ দিন ধরে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। অসুস্থ হবার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুই দিন আগেও তার সাক্ষী দিতে আসার কথা ছিল। ঐদিন সকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান হাসপাতাল থেকে রিলিজের ব্যবস্থা চলছে। একটু পরে আসবেন। এরপর দুপুরে তারা জানান, ডাক্তারের কিয়ারেন্স পাওয়া যায়নি। তাই তিনি আসতে পারবেননা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন