মেহেদী হাসান, ১৭/৭/২০১২, মঙ্গলবার
অবশেষে দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার নামে পিরোজপুরে এক রাজাকার থাকার কথা স্বীকার করলেন তদন্ত কর্মকতা হেলাল উদ্দিন। আজ তাকে জেরার সময় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন পিরোজপুরে একটি রাজাকারের তালিকায় এই নামে এক ব্যক্তি রয়েছে।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন ‘আপনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পিরোজপুর জেলা কমান্ড কাউন্সিল থেকে একটি তালিকা সংগ্রহ করেছেন?”
তদন্ত কর্মকর্তা জবাব দেন “জি, তবে প্রদর্শন করিনি”
এরপর মিজানুল ইসলাম তাকে প্রশ্ন করেন “এই তালিকায় রাজাকারের মধ্যে ৪৬ নম্বরে দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার নামে এক ব্যক্তির নাম রয়েছে?”
তদন্ত কর্মকর্তা জবাব দেন “জি” বলে।
এরপর জিয়ানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে তালিকা সংগ্রহ বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন করায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী আপত্তি জানিয়ে বলেন, যা ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন হয়নি তা নিয়ে এভাবে প্রশ্ন করা যায়না। এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক হয় ট্রাইব্যুনালে। বিতর্ক শেষে গতকালের মত বিকাল চারটার পাঁচ মিনিট আগে মাওলানা সাঈদীর বিচার কার্যক্রম মুলতবি করেন। আজ আবার তার জেরা হবার কথা রয়েছে।
পিরোজপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কউন্সিলের কমান্ডার ফজলুল হক সেন্টুর কাছ থেকে তিনি এ তালিকা সংগ্রহ করেছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
দেলোয়ার শিকদার প্রসঙ্গ:
এর আগে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসা অধিকাংশ সাক্ষীকে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা রাজাকার দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তারা দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন এই নামে পিরোজপুরে কোন রাজাকার ছিলনা। এই নামের কোন রাজাকারকে তারা চেনেননা।
পূর্বের সাক্ষীরা বলেছেন, দেলোয়ার শিকদার নামে তারা যে রাজাকারকে চেনেন তিনি জীবিত আছেন এবং বর্তমানে তিনি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামে পরিচিতি। তার পিতার নাম ইউসুফ সাঈদী। রাজাকার দেলোয়ার শিকদারই স্বাধীনতার পর নাম পরিবর্তন করে সাঈদী নাম ধারন করেছেন বলে তাদের অভিযোগ। এজন্য তারা আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ‘দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমানে সাঈদী’ এভাবে উচ্চারন করেছেন নামটি।
মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারও দেলাওয়ার হোসাইন বর্তমানে সাঈদী এভাবে উচ্চারন করেছেন তার নাম।
মিজানুর রহমান তালুকদার নামে একজন সাক্ষী জেরার সময় আদালতে উত্তেজিত হয়ে বলেছিলেন, সাঈদীর পিতার নামের শেষেও শিকদার আছে । এটাও কি তারা মিথ্যা প্রমান করতে চায়?
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বর্তমানে যে বিচার চলছে তাতে একটি আলোচিত নাম দেলোয়ার শিকদার। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের অভিযোগ- পিরোজপুরে দেলোয়ার শিকদার পিতা রসুল শিকদার নামে কুখ্যাত একজন রাজাকার ছিল। স্বাধীনতার পর সে গণরোষের শিকার হয়ে মারা যায়। কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার শিকদারের অপকর্মের দায়ভার চাপানোর চেষ্টা চলছে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওপর। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে আদালতে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন যে, দেলোয়ার শিকদার নামে ভিন্ন একজন রাজাকার ছিল। তার পিতার নাম এবং মাওলানা সাঈদীর পিতার নামও আলাদা। এমনকি তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন মাওলানা সাঈদীর দাখিল এবং আলিমের যে সনদ জমা দিয়েছেন তাতেও দেখা যায় ১৯৫৭ সালের দাখিল সনদে মাওলানার নামের শেষে সাঈদী লেখা রয়েছে এবং তার পিতার নামও লেখা আছে ইউসুফ সাঈদী হিসেবে।
অনেক সাক্ষী দেলোয়ার শিকদার নামে রাজাকার থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ১ ফেব্রুয়ারি প্রবীণ সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী দেলোয়ার শিকদারের কথা স্বীকার করেন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা রাজাকার দেলোয়ার শিকদারের পিতৃ পরিচয় (রসুল শিকদার ) সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে প্রবীণ সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী বলেন, এই নামে একজন রাজাকার ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার অপকর্মের কারনে মুক্তিযোদ্ধা এবং এলাকাবাসীর গণরোষের শিকার হয়ে পিরোজপুরে নিহত হয়ে থাকতে পারেন তিনি।
আজ তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করলেন তার সংগৃহীত ডকুমেন্টেই দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদারের অস্তিত্ব রয়েছে।
সাক্ষী করা হয়নি রওশন আলীকে
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্বাধীনতার পর যশোরে রওশন আলীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন আত্মগোপনের অংশ হিসেবে। পরে সেখানেও তার অবস্থান জানাজানি হলে তিনি অন্যত্র পালিয়ে যান। তদন্ত কর্মকর্তা নিজেসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষী তাদের জবানবন্দীতে এ অভিযোগ করেছেন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময়। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জশিটেও এ অভিযোগ রয়েছে। গতকাল জেরার সময় তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন স্বীকার করেন তিনি যশোর রওশন আলীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তার সাথে কথাও বলেন। তার বাড়ির ভিড়িও চিত্রও তিনি সাক্ষ্য দেয়ার সময় আদালতে প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু তাকে তিনি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন সাক্ষী করেননি।
মাওলানা সাঈদীর অপর আইনজীবী মনজুর আহমদ আনসারী বলেন নয়া দিগন্তকে বলেন, যার বাড়িতে মাওলানা সাঈদী আত্মগোপন করলেন বলে অভিযোগ করলেন, তার বাড়িতে তদন্ত কর্মকর্তা গেলেন, তিনি জীবিত আছে কিন্তু তাকে কেন সাক্ষী করা হলনা সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আমাদের।
আজ জেরায় মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন মনজুর আহমদ আনসারী, গিয়াস উদ্দিন মিঠু, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিক, শিশির মো: মনির, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ আইনজীবী।
অবশেষে দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার নামে পিরোজপুরে এক রাজাকার থাকার কথা স্বীকার করলেন তদন্ত কর্মকতা হেলাল উদ্দিন। আজ তাকে জেরার সময় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন পিরোজপুরে একটি রাজাকারের তালিকায় এই নামে এক ব্যক্তি রয়েছে।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন ‘আপনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পিরোজপুর জেলা কমান্ড কাউন্সিল থেকে একটি তালিকা সংগ্রহ করেছেন?”
তদন্ত কর্মকর্তা জবাব দেন “জি, তবে প্রদর্শন করিনি”
এরপর মিজানুল ইসলাম তাকে প্রশ্ন করেন “এই তালিকায় রাজাকারের মধ্যে ৪৬ নম্বরে দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার নামে এক ব্যক্তির নাম রয়েছে?”
তদন্ত কর্মকর্তা জবাব দেন “জি” বলে।
এরপর জিয়ানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে তালিকা সংগ্রহ বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন করায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী আপত্তি জানিয়ে বলেন, যা ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন হয়নি তা নিয়ে এভাবে প্রশ্ন করা যায়না। এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক হয় ট্রাইব্যুনালে। বিতর্ক শেষে গতকালের মত বিকাল চারটার পাঁচ মিনিট আগে মাওলানা সাঈদীর বিচার কার্যক্রম মুলতবি করেন। আজ আবার তার জেরা হবার কথা রয়েছে।
পিরোজপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কউন্সিলের কমান্ডার ফজলুল হক সেন্টুর কাছ থেকে তিনি এ তালিকা সংগ্রহ করেছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
দেলোয়ার শিকদার প্রসঙ্গ:
এর আগে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসা অধিকাংশ সাক্ষীকে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা রাজাকার দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তারা দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন এই নামে পিরোজপুরে কোন রাজাকার ছিলনা। এই নামের কোন রাজাকারকে তারা চেনেননা।
পূর্বের সাক্ষীরা বলেছেন, দেলোয়ার শিকদার নামে তারা যে রাজাকারকে চেনেন তিনি জীবিত আছেন এবং বর্তমানে তিনি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামে পরিচিতি। তার পিতার নাম ইউসুফ সাঈদী। রাজাকার দেলোয়ার শিকদারই স্বাধীনতার পর নাম পরিবর্তন করে সাঈদী নাম ধারন করেছেন বলে তাদের অভিযোগ। এজন্য তারা আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ‘দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমানে সাঈদী’ এভাবে উচ্চারন করেছেন নামটি।
মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারও দেলাওয়ার হোসাইন বর্তমানে সাঈদী এভাবে উচ্চারন করেছেন তার নাম।
মিজানুর রহমান তালুকদার নামে একজন সাক্ষী জেরার সময় আদালতে উত্তেজিত হয়ে বলেছিলেন, সাঈদীর পিতার নামের শেষেও শিকদার আছে । এটাও কি তারা মিথ্যা প্রমান করতে চায়?
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বর্তমানে যে বিচার চলছে তাতে একটি আলোচিত নাম দেলোয়ার শিকদার। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের অভিযোগ- পিরোজপুরে দেলোয়ার শিকদার পিতা রসুল শিকদার নামে কুখ্যাত একজন রাজাকার ছিল। স্বাধীনতার পর সে গণরোষের শিকার হয়ে মারা যায়। কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার শিকদারের অপকর্মের দায়ভার চাপানোর চেষ্টা চলছে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওপর। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে আদালতে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন যে, দেলোয়ার শিকদার নামে ভিন্ন একজন রাজাকার ছিল। তার পিতার নাম এবং মাওলানা সাঈদীর পিতার নামও আলাদা। এমনকি তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন মাওলানা সাঈদীর দাখিল এবং আলিমের যে সনদ জমা দিয়েছেন তাতেও দেখা যায় ১৯৫৭ সালের দাখিল সনদে মাওলানার নামের শেষে সাঈদী লেখা রয়েছে এবং তার পিতার নামও লেখা আছে ইউসুফ সাঈদী হিসেবে।
অনেক সাক্ষী দেলোয়ার শিকদার নামে রাজাকার থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ১ ফেব্রুয়ারি প্রবীণ সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী দেলোয়ার শিকদারের কথা স্বীকার করেন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা রাজাকার দেলোয়ার শিকদারের পিতৃ পরিচয় (রসুল শিকদার ) সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে প্রবীণ সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী বলেন, এই নামে একজন রাজাকার ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার অপকর্মের কারনে মুক্তিযোদ্ধা এবং এলাকাবাসীর গণরোষের শিকার হয়ে পিরোজপুরে নিহত হয়ে থাকতে পারেন তিনি।
আজ তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করলেন তার সংগৃহীত ডকুমেন্টেই দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদারের অস্তিত্ব রয়েছে।
সাক্ষী করা হয়নি রওশন আলীকে
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্বাধীনতার পর যশোরে রওশন আলীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন আত্মগোপনের অংশ হিসেবে। পরে সেখানেও তার অবস্থান জানাজানি হলে তিনি অন্যত্র পালিয়ে যান। তদন্ত কর্মকর্তা নিজেসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষী তাদের জবানবন্দীতে এ অভিযোগ করেছেন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময়। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জশিটেও এ অভিযোগ রয়েছে। গতকাল জেরার সময় তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন স্বীকার করেন তিনি যশোর রওশন আলীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তার সাথে কথাও বলেন। তার বাড়ির ভিড়িও চিত্রও তিনি সাক্ষ্য দেয়ার সময় আদালতে প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু তাকে তিনি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন সাক্ষী করেননি।
মাওলানা সাঈদীর অপর আইনজীবী মনজুর আহমদ আনসারী বলেন নয়া দিগন্তকে বলেন, যার বাড়িতে মাওলানা সাঈদী আত্মগোপন করলেন বলে অভিযোগ করলেন, তার বাড়িতে তদন্ত কর্মকর্তা গেলেন, তিনি জীবিত আছে কিন্তু তাকে কেন সাক্ষী করা হলনা সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আমাদের।
আজ জেরায় মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন মনজুর আহমদ আনসারী, গিয়াস উদ্দিন মিঠু, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিক, শিশির মো: মনির, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ আইনজীবী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন