মেহেদী হাসান, ৯/২/২০১২-শুক্রবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হাজির করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রসিকিউশন। নির্ধারিত সময়ে বারবার সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারনে ট্রাইবু্যুনালেরও ক্ষোভের মুখে পড়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা । সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারনে বর্তমানে মাওলানা সাঈদীর বিচার কার্যক্রম মূলতবি রয়েছে।
গত ২রা ফেব্রুয়ারি তিনজন সাক্ষী হাজির করার কথা থাকলেও একজনকেও হাজির করতে পারেননি। রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা সাঈদীর বিচার মুলতবী করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি আবার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সেদিনও রাষ্ট্রপক্ষ নির্ধারিত সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হয়। হোসেন আলী নামে যশোরের একজন অনির্ধারিত সাক্ষী হাজির করা হয় এবং তিনি তার তিন/চার মিনিটের সাক্ষ্যে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। সাক্ষীর অভাবে ঐদিন আবার ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা সাঈদীর বিচার মুলতবি করতে বাধ্য হয় ট্রাইব্যুনাল।
২রা ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত তিনজন সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারনে ট্রাইব্যুনাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত আদেশ দিয়ে তাদের ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সাক্ষী হেফাজতে রাখা এবং কোর্টে হাজির করা বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের যে আদেশ রয়েছে তা পালনে প্রসিকিউশন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। লিখিত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে মাওলানা সাঈদীর বিচার সাত জানুয়ারী পর্যন্ত মুলতবি করা হল। সাক্ষী হাজির না করা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়।
সাক্ষী হাজির করতে না পারার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঐদিন আদালতকে জানান, সাক্ষীরা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। তারপর আর তারা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। আমরাও তাদের কোন খোঁজ খবর পাইনি।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাক্ষী আপনাদের কাস্টডিতে ছিল। আপনাদের হেফাজতে থাকার কথা। সাক্ষীকে আপনাদের তত্তাবধানে নিরাপদ হেফাজতে রাখা বিষয়ে কোর্টের আদেশও রয়েছে। এরপরও কাষ্টডি ছেড়ে এভাবে সাক্ষীকে চলে যেতে দেয়ার কোন সুযোগ আছে কি?
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, সাক্ষীকে হেফাজতে রাখা এবং হাজির করা বিষয়ে কোর্টের আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন।
মুলতবির পর ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সেদিনও সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারণ জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু আদালতকে বলেন, আমরা অসহায় বোধ করছি। কি বলবো বুঝতে পারছি না। আমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।
সাক্ষী হাজিরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অব্যাহত ব্যর্থতায় ৭ ফেব্রুয়ারি আবারো তীব্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল।
সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারনে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ক্ষোভের সাথে রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মি. চিফ প্রসিকিউটর ‘হোয়াট শ্যাল আই ডু?’
তখন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু দাঁড়িয়ে বলেন, “আমরা অসহায় বোধ করছি।”
জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, “পাঁচ দিন বন্ধ দিলাম, তাও সাক্ষী আনতে পারেন নাই। মাত্র একজন সাক্ষী যোগাড় করলেন?”
এরপর ট্রাইব্যুনাল ক্ষিপ্ত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে পোডিয়ামের সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন, সমস্যা কি, সাক্ষী নাই কেন । সাক্ষী হাজির করা তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব। তখন হেলাল উদ্দিন বলেন, সাক্ষী অসুস্থ। এছাড়া বভিন্ন সাক্ষী বিভিন্ন সমস্যায় আছে।
গত বছর ৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন হল জব্দ তালিকার সাক্ষী। তারা কোন ঘটনার সাক্ষী নন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মোট ১৩৮ জন সাক্ষীর তালিকা দেয়া হয়েছে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের। এর মধ্যে ৬৮ জন হল মুল বা ঘটনার সাক্ষী। বাকীরা জব্দ তালিকার (আলামত) সাক্ষী। তারা আলামত সংগ্রহ বিষয়ে প্রত্যয়ন করবেন।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে শতাধিক সাক্ষীর নাম দেয়া হলেও তারা এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দেয়া ২৪ জন সাক্ষী নিয়মিতভাবে হাজির করতে পারেননি । একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবার পর তারা নতুন সাক্ষী আনতে পারেননি বেশ কয়েকবার। আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়েও যথাসময়ে সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত ুব্ধ হয়েছেন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন ১৭ তম সাক্ষী হাজির করতে তারা আট বার সিরিয়াল ভঙ্গ করেছেন। তালিকার ক্রমঅনুসারে সাক্ষী হাজির করতে পারেননি। ১৭ জনের মধ্যে কোন কোন সাক্ষীর নাম তালিকায় ৬০ এরও পরেও ছিল।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হাজির করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রসিকিউশন। নির্ধারিত সময়ে বারবার সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারনে ট্রাইবু্যুনালেরও ক্ষোভের মুখে পড়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা । সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারনে বর্তমানে মাওলানা সাঈদীর বিচার কার্যক্রম মূলতবি রয়েছে।
গত ২রা ফেব্রুয়ারি তিনজন সাক্ষী হাজির করার কথা থাকলেও একজনকেও হাজির করতে পারেননি। রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা সাঈদীর বিচার মুলতবী করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি আবার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সেদিনও রাষ্ট্রপক্ষ নির্ধারিত সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হয়। হোসেন আলী নামে যশোরের একজন অনির্ধারিত সাক্ষী হাজির করা হয় এবং তিনি তার তিন/চার মিনিটের সাক্ষ্যে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। সাক্ষীর অভাবে ঐদিন আবার ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা সাঈদীর বিচার মুলতবি করতে বাধ্য হয় ট্রাইব্যুনাল।
২রা ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত তিনজন সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারনে ট্রাইব্যুনাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত আদেশ দিয়ে তাদের ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সাক্ষী হেফাজতে রাখা এবং কোর্টে হাজির করা বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের যে আদেশ রয়েছে তা পালনে প্রসিকিউশন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। লিখিত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে মাওলানা সাঈদীর বিচার সাত জানুয়ারী পর্যন্ত মুলতবি করা হল। সাক্ষী হাজির না করা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়।
সাক্ষী হাজির করতে না পারার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঐদিন আদালতকে জানান, সাক্ষীরা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। তারপর আর তারা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। আমরাও তাদের কোন খোঁজ খবর পাইনি।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাক্ষী আপনাদের কাস্টডিতে ছিল। আপনাদের হেফাজতে থাকার কথা। সাক্ষীকে আপনাদের তত্তাবধানে নিরাপদ হেফাজতে রাখা বিষয়ে কোর্টের আদেশও রয়েছে। এরপরও কাষ্টডি ছেড়ে এভাবে সাক্ষীকে চলে যেতে দেয়ার কোন সুযোগ আছে কি?
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, সাক্ষীকে হেফাজতে রাখা এবং হাজির করা বিষয়ে কোর্টের আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন।
মুলতবির পর ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সেদিনও সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারণ জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু আদালতকে বলেন, আমরা অসহায় বোধ করছি। কি বলবো বুঝতে পারছি না। আমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।
সাক্ষী হাজিরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অব্যাহত ব্যর্থতায় ৭ ফেব্রুয়ারি আবারো তীব্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল।
সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থতার কারনে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ক্ষোভের সাথে রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মি. চিফ প্রসিকিউটর ‘হোয়াট শ্যাল আই ডু?’
তখন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু দাঁড়িয়ে বলেন, “আমরা অসহায় বোধ করছি।”
জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, “পাঁচ দিন বন্ধ দিলাম, তাও সাক্ষী আনতে পারেন নাই। মাত্র একজন সাক্ষী যোগাড় করলেন?”
এরপর ট্রাইব্যুনাল ক্ষিপ্ত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে পোডিয়ামের সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন, সমস্যা কি, সাক্ষী নাই কেন । সাক্ষী হাজির করা তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব। তখন হেলাল উদ্দিন বলেন, সাক্ষী অসুস্থ। এছাড়া বভিন্ন সাক্ষী বিভিন্ন সমস্যায় আছে।
গত বছর ৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন হল জব্দ তালিকার সাক্ষী। তারা কোন ঘটনার সাক্ষী নন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মোট ১৩৮ জন সাক্ষীর তালিকা দেয়া হয়েছে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের। এর মধ্যে ৬৮ জন হল মুল বা ঘটনার সাক্ষী। বাকীরা জব্দ তালিকার (আলামত) সাক্ষী। তারা আলামত সংগ্রহ বিষয়ে প্রত্যয়ন করবেন।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে শতাধিক সাক্ষীর নাম দেয়া হলেও তারা এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দেয়া ২৪ জন সাক্ষী নিয়মিতভাবে হাজির করতে পারেননি । একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবার পর তারা নতুন সাক্ষী আনতে পারেননি বেশ কয়েকবার। আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়েও যথাসময়ে সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত ুব্ধ হয়েছেন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন ১৭ তম সাক্ষী হাজির করতে তারা আট বার সিরিয়াল ভঙ্গ করেছেন। তালিকার ক্রমঅনুসারে সাক্ষী হাজির করতে পারেননি। ১৭ জনের মধ্যে কোন কোন সাক্ষীর নাম তালিকায় ৬০ এরও পরেও ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন