মেহেদী হাসান, ২/২/২০১২-বৃহষ্পতিবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফের সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হলো রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আজ তিনজন সাক্ষী হাজির করার কথা থাকলেও তারা একজনকেও হাজির করতে পারেননি।
ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত আদেশ দিয়ে তাদের ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সাক্ষী হেফাজতে রাখা এবং কোর্টে হাজির করা বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের যে আদেশ রয়েছে তা পালনে প্রসিকিউশন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। লিখিত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে মাওলানা সাঈদীর বিচার আগামী সাত জানুয়ারী পর্যন্ত মুলতবি করা হল। সাক্ষী হাজির না করা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়।
সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রানাদাস গুপ্ত আদালতের সামনে দাড়িয়ে বলেন, কাল (বুধবার) তিনজন সাক্ষী এসেছিল। গতকাল বিকালে তারা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। তারপর আর তারা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। আমরাও তাদের কোন খোঁজ খবর পাইনি।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাক্ষী আপনাদের কাস্টডিতে ছিল। আপনাদের হেফাজতে থাকার কথা। সাক্ষীকে আপনাদের তত্তাবধানে নিরাপদ হেফাজতে রাখা বিষয়ে কোর্টের আদেশও রয়েছে। এরপরও কাষ্টডি ছেড়ে এভাবে সাক্ষীকে চলে যেতে দেয়ার কোন সুযোগ আছে কি?
রানাদাস গুপ্ত তখন বলেন, আমাদের ধারণা ছিল তারা ফিরে আসবে। কিন্তু আসেনি। আমরা এজন্য দু:খিত।
বিচারপতি নিজামুল হক তখন বলেন, সাক্ষীকে হেফাজতে রাখা এবং হাজির করা বিষয়ে কোর্টের আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন।
তিনি বলেন, সাক্ষী আপনাদের হেফাজতে ছিল। সাক্ষীকে কোর্টে হাজির করা এবং এ বিষয়ক সকল দায়দায়িত্ব তদন্ত সংস্থার।
রানাদাস গুপ্ত বলেন, এরকমটি হবে তা আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা সত্যিই এ ঘটনার জন্য দু:খিত।
ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির বলেন, সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে আপনারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা মোটেই সন্তোষজনক নয়।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পাশের অপর বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তীব্র ক্ষোভের সাথে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বেঞ্চের দিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেখেন তাদের অবস্থা, চিফ প্রসিকিউটর (গোলাম আরিফ টিপু) নেই, কন্ডাকটিং প্রসিকিউটর (সৈয়দ হায়দার আলী) নেই, তদন্ত কর্মকর্তাও নেই।
বিচাপরতি এ কে এম জহির আহমেদ তখন বলেন, রানাদাস বাবুর ওপর সব চাপিয়ে তারা কেউ নেই।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের মাত্র চার থেকে পাঁচজন আইনজীবী ছিলেন।
গতকাল বুধবার মধুসূদন ঘরামীর জেরা শেষ হলে আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম আদালতে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ যদি বৃহষ্পতিবার সাক্ষী হাজির বিষয়ে নিশ্চিত না থাকেন তাহলে আমাদের একদিন সময় দেয়া হোক। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তখন জানান, তাদের কাছে ইতোমধ্যে তিনজন সাক্ষী আছে। তারা ঢাকায়ই আছে। আগামীকাল (বৃহষ্পতিবার) অবশ্যই তাদের হাজির করা যাবে। ফলে আদালত মিজানুল ইসলামের আবেদন আর রাখতে পারেননি। তাছাড়া আগামী রোববারও সরকারি বন্ধ। দীর্ঘ বন্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালত গতকালও সাক্ষী হাজিরের জন্য ধার্য্য করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে।
এ বিষয়টি উল্লেখ করে বিচারপতি জহির আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বলেন, কাল (বুধবার) যদি আপনরা এটি বলতেন তাহলে মিজান সাহেব রাজশাহী যেতে পারতেন সহজে।
রানাদাস গুপ্ত এ পর্যায়ে আদালতে মিনতি প্রকাশ করে বলেন, যে অবস্থায় আমরা পড়েছি সেজন্য আমরা অত্যন্ত দু:খিত। এভাবে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হবে তা আমরা ভাবিনি।
আদেশ:
এরপর বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আজ আদেশ পাশ করতে হবে। তিনি বেঞ্চ অফিসারকে ডেকে আদেশ লেখার জন্য বলতে থাকেন। আদেশে তিনি বলেন,
আজ সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত আদলতকে জানান যে- সাক্ষী গতকাল বিকালে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গেছেন। এখন পর্যন্ত তারা ফিরে আসেননি এবং সেজন্য তারা তাদের কোর্টে হাজির করতে পারেননি। এ কারনে তিনি সময় প্রার্থনা করেন। অথচ সাক্ষীরা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের হেফাজতে থাকবেন এ বিষয়ে কোর্টের আদেশ রয়েছে। কিন্তু এভাবে তারা হেফাজত ছেড়ে চলে যেতে পারে তা আমরা চিন্তা করতে পারি না। সাক্ষী হাজিরের বিষয়ে তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা অনিচ্ছাকৃতভাবে মাওলানা সাঈদীর বিচার আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করছি।
তিনি আদেশে আরো বলেন, ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর নেই, কন্ডান্টিং প্রসিকিউটর নেই, তদন্ত কর্মকর্তাও কোর্টে হাজির নেই।
মিথ্যা বলতে রাজি করাতে না পারায় সাক্ষী হাজির করেনি : তাজুলের অভিযোগ
রাষ্ট্রপক্ষ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে আসামীপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এর আগে ন্যায়বিচারের স্বাথে, আসামির অধিকার রক্ষায় কোনো আবেদন করলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অভিাযোগ করতো- আমরা বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং বিলম্বিত করার জন্যই একের পর এক দরখাস্ত জমা দিচ্ছি। কিন্তু তারা এখন ক্রমাগতভাবে বারবার সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হচ্ছেন। এখন যেন আর বিচার বিলম্বিত হয় না।’
তাজুল ইসলাম বলেন, এর আগে ১২ জন সাক্ষী এবং আজ (বৃহষ্পতিবার) ৩ জনসহ মোট ১৫ জন সাক্ষীকে তারা যথাসময়ে আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আদালতের কাছে বারবার সময় নিয়েও তারা সাক্ষী হাজির করতে পারেননি।
তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আসলে তাদের কাছে সাক্ষী আছে। কিন্তু মিথ্যা কথা বলার প্রশিক্ষণ শেষ করতে না পারায় এবং মিথ্যা কথা বলার জন্য রাজি করাতে না পারার জন্যই এখনো সাক্ষী হাজির করতে পারছেন না।
সাক্ষীকে মিথ্যা প্রশিক্ষণ এবং মিথ্যা কথা বলিয়ে আমদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিাকারকে তারা বাধাগ্রস্ত করছে।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফের সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হলো রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আজ তিনজন সাক্ষী হাজির করার কথা থাকলেও তারা একজনকেও হাজির করতে পারেননি।
ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত আদেশ দিয়ে তাদের ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সাক্ষী হেফাজতে রাখা এবং কোর্টে হাজির করা বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের যে আদেশ রয়েছে তা পালনে প্রসিকিউশন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। লিখিত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে মাওলানা সাঈদীর বিচার আগামী সাত জানুয়ারী পর্যন্ত মুলতবি করা হল। সাক্ষী হাজির না করা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়।
সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রানাদাস গুপ্ত আদালতের সামনে দাড়িয়ে বলেন, কাল (বুধবার) তিনজন সাক্ষী এসেছিল। গতকাল বিকালে তারা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। তারপর আর তারা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। আমরাও তাদের কোন খোঁজ খবর পাইনি।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাক্ষী আপনাদের কাস্টডিতে ছিল। আপনাদের হেফাজতে থাকার কথা। সাক্ষীকে আপনাদের তত্তাবধানে নিরাপদ হেফাজতে রাখা বিষয়ে কোর্টের আদেশও রয়েছে। এরপরও কাষ্টডি ছেড়ে এভাবে সাক্ষীকে চলে যেতে দেয়ার কোন সুযোগ আছে কি?
রানাদাস গুপ্ত তখন বলেন, আমাদের ধারণা ছিল তারা ফিরে আসবে। কিন্তু আসেনি। আমরা এজন্য দু:খিত।
বিচারপতি নিজামুল হক তখন বলেন, সাক্ষীকে হেফাজতে রাখা এবং হাজির করা বিষয়ে কোর্টের আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন।
তিনি বলেন, সাক্ষী আপনাদের হেফাজতে ছিল। সাক্ষীকে কোর্টে হাজির করা এবং এ বিষয়ক সকল দায়দায়িত্ব তদন্ত সংস্থার।
রানাদাস গুপ্ত বলেন, এরকমটি হবে তা আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা সত্যিই এ ঘটনার জন্য দু:খিত।
ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির বলেন, সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে আপনারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা মোটেই সন্তোষজনক নয়।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পাশের অপর বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তীব্র ক্ষোভের সাথে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বেঞ্চের দিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেখেন তাদের অবস্থা, চিফ প্রসিকিউটর (গোলাম আরিফ টিপু) নেই, কন্ডাকটিং প্রসিকিউটর (সৈয়দ হায়দার আলী) নেই, তদন্ত কর্মকর্তাও নেই।
বিচাপরতি এ কে এম জহির আহমেদ তখন বলেন, রানাদাস বাবুর ওপর সব চাপিয়ে তারা কেউ নেই।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের মাত্র চার থেকে পাঁচজন আইনজীবী ছিলেন।
গতকাল বুধবার মধুসূদন ঘরামীর জেরা শেষ হলে আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম আদালতে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ যদি বৃহষ্পতিবার সাক্ষী হাজির বিষয়ে নিশ্চিত না থাকেন তাহলে আমাদের একদিন সময় দেয়া হোক। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তখন জানান, তাদের কাছে ইতোমধ্যে তিনজন সাক্ষী আছে। তারা ঢাকায়ই আছে। আগামীকাল (বৃহষ্পতিবার) অবশ্যই তাদের হাজির করা যাবে। ফলে আদালত মিজানুল ইসলামের আবেদন আর রাখতে পারেননি। তাছাড়া আগামী রোববারও সরকারি বন্ধ। দীর্ঘ বন্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালত গতকালও সাক্ষী হাজিরের জন্য ধার্য্য করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে।
এ বিষয়টি উল্লেখ করে বিচারপতি জহির আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বলেন, কাল (বুধবার) যদি আপনরা এটি বলতেন তাহলে মিজান সাহেব রাজশাহী যেতে পারতেন সহজে।
রানাদাস গুপ্ত এ পর্যায়ে আদালতে মিনতি প্রকাশ করে বলেন, যে অবস্থায় আমরা পড়েছি সেজন্য আমরা অত্যন্ত দু:খিত। এভাবে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হবে তা আমরা ভাবিনি।
আদেশ:
এরপর বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আজ আদেশ পাশ করতে হবে। তিনি বেঞ্চ অফিসারকে ডেকে আদেশ লেখার জন্য বলতে থাকেন। আদেশে তিনি বলেন,
আজ সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত আদলতকে জানান যে- সাক্ষী গতকাল বিকালে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গেছেন। এখন পর্যন্ত তারা ফিরে আসেননি এবং সেজন্য তারা তাদের কোর্টে হাজির করতে পারেননি। এ কারনে তিনি সময় প্রার্থনা করেন। অথচ সাক্ষীরা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের হেফাজতে থাকবেন এ বিষয়ে কোর্টের আদেশ রয়েছে। কিন্তু এভাবে তারা হেফাজত ছেড়ে চলে যেতে পারে তা আমরা চিন্তা করতে পারি না। সাক্ষী হাজিরের বিষয়ে তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা অনিচ্ছাকৃতভাবে মাওলানা সাঈদীর বিচার আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করছি।
তিনি আদেশে আরো বলেন, ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর নেই, কন্ডান্টিং প্রসিকিউটর নেই, তদন্ত কর্মকর্তাও কোর্টে হাজির নেই।
মিথ্যা বলতে রাজি করাতে না পারায় সাক্ষী হাজির করেনি : তাজুলের অভিযোগ
রাষ্ট্রপক্ষ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হাজির করতে না পারা বিষয়ে আসামীপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এর আগে ন্যায়বিচারের স্বাথে, আসামির অধিকার রক্ষায় কোনো আবেদন করলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অভিাযোগ করতো- আমরা বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং বিলম্বিত করার জন্যই একের পর এক দরখাস্ত জমা দিচ্ছি। কিন্তু তারা এখন ক্রমাগতভাবে বারবার সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ হচ্ছেন। এখন যেন আর বিচার বিলম্বিত হয় না।’
তাজুল ইসলাম বলেন, এর আগে ১২ জন সাক্ষী এবং আজ (বৃহষ্পতিবার) ৩ জনসহ মোট ১৫ জন সাক্ষীকে তারা যথাসময়ে আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আদালতের কাছে বারবার সময় নিয়েও তারা সাক্ষী হাজির করতে পারেননি।
তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আসলে তাদের কাছে সাক্ষী আছে। কিন্তু মিথ্যা কথা বলার প্রশিক্ষণ শেষ করতে না পারায় এবং মিথ্যা কথা বলার জন্য রাজি করাতে না পারার জন্যই এখনো সাক্ষী হাজির করতে পারছেন না।
সাক্ষীকে মিথ্যা প্রশিক্ষণ এবং মিথ্যা কথা বলিয়ে আমদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিাকারকে তারা বাধাগ্রস্ত করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন