বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৩

হরতালে ট্রাইব্যুনালে একতরফা মামলা পরিচালনায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন কর্তৃক উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান


১৪/১১/২০১৩
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বাংলাদেশের কতিপয় আদালত হরতাল ধর্মঘটের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে আইনজীবীদেরকে আদালতে উপস্তিত থাকতে বাধ্য করতে যে সেব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এসব আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত আইনজীবগণ জানিয়েছেন যে, হরতাল, ধর্মঘট বা অবরোধের মতো রাজনৈতিককর্মসূচি চলাকালে নিরাপত্তাজনিত কারণে আইনজীবীদের বিশেষত সিনিয়র আইনজীবীদের পক্ষে আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব না হলে তাদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট জুনিয়র আইনজীবীগণ সময়ের আবেদন জানালেও অনেক ক্ষেত্রেই তা বিবেচনায় না নিয়ে একতরফাভাবে মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন একজন শীর্ষ রাজনীতিবিদের মামলায় চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ না দিয়ে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছে।

এতে মামলার সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি নিয়োজিত আইনজীবীরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অযাচিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। এছাড়া কোন কোন মাননীয় বিচারক হরতাল চলাকালীন সময়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ার জন্য অনেক সিনিয়র আইনজীবীর বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং তির্যক মন্তব্য করছেন যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। বার কাউন্সিল মনে করে ভয়ভীতিহীনভাবে এবং সকল প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন একজন আইনজীবীর সংবিধানিক এবং আইনগত অধিকার। কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি লংঘন করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আদালতে উপস্থিত থাকতে কোন আইনজীবী বাধ্য নয়। ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগ হরতালের মতো কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী চলাকালে সাধারণত কোন বিচার কার্য পরিচালনা করেন না বা কোন পক্ষ অনুপস্থিত থাকলে সেই মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয় না। অথচ প্রচলিত এই ঐতিহ্য ভঙ্গ করে কোন কোন আদালত আইনজীবীদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে আদালতে আসতে বাধ্য করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা থেকে বিরত থাকার জন্য বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মাননীয় বিচারকবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন