মেহেদী হাসান, ২৩/৯/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আরো দুজন জব্দ তালিকার সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এদের একজন হলেন সেলিনা আফরোজ। তিনি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের রাজনৈতিক শাখায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। অপরজন হলেন কাজী আইউব হোসেন। তিনিও একই বিভাগে কুষ্টিয়া জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মকরত।
পুলিশের বিশেষ শাখা কর্তৃক প্রণীত এবং সংরক্ষিত ১৯৭১ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর পাক্ষিক রিপোর্ট এর ১৬টি ডকুমেন্ট অধ্যাপক গোলাম আযমের মালার তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান কুষ্টিয়া জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চ হতে জব্দ করেন। সে মর্মে কাজী আইউব হোসেন সাক্ষ্য দেন এবং এসব ডকুমেন্ট আদালতে আজ প্রদর্শনী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
একইভাবে ১৯৭১ সালের পুলিশ এবসট্রাক্ট অব ইনটেলিজেন্স রিপোর্ট এর ৪১টি ডকুমেন্ট রাজারবাগ থেকে জব্দ করেন এবং সে মর্মে উচ্চমান সহকারী সেলিনা আফরোজ সাক্ষ্য প্রদান করেন।
একজন মাত্র জুনিয়র আইনজীবীর উপস্থিতি :
আজ সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে আসামী পক্ষের কোন সিনিয়র আইনজীবী ছিলেননা। আবু বকর সিদ্দিক নামে একজন মাত্র জুনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আবু বকর সিদ্দিক হরতালের কারনে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী আনতে না পারা এবং সিনিয়রদের না আসার বিষয়টি জানান । একইসাথে মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তাকে বলেন, আপনি বসেন। সাক্ষীর শুধু জবানবন্দী গ্রহণ করা হবে। জেরা আজ হবেনা। এরপর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
১১টা ৪৫ মিনিটের সময় আবু বকর সিদ্দিক দাড়িয়ে আবার বলেন, আমি ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে চলে যেতে চাই।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, না তা পারবেননা। আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি কি এখানে থাকতে বাধ্য? (এম আই বাউন্ড?)। জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, হ্যা। আমরা যতক্ষন পর্যন্ত না উঠছি এজলাস ছেড়ে ততক্ষন পর্যন্ত আপনি থাকতে বাধ্য। রুলসে কি আছে পড়ে দেখেন।
সাক্ষী আনতে না পারা এবং সিনিয়র আইনজীবী না আসার পক্ষে নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন আবু বকর সিদ্দিক । এসময় বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ইট ইজ গড হু উইল গিভ সিকিউরিটি। সাংবাদিকরা আসছে দেখেন। তারা কি সিকিউরিটি নিয়ে আসছে? আমাদের অফিসের যারা আসছে তারা কি সিকিউরিটি নিয়ে আসছে? আমরা তো বলেছি আপনাদের সিকিউরিটির দরকার হলে বলেন, আমরা সিকিউরিটির ব্যবস্থা করব। কিন্তু তাতো আপনারা করেননা।
এরপর আইনজীবীর উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি বিচারপতি নিজামুল হক রুলস থেকে আবু বকর সিদ্দিককে দেখতে বললে আবু বকর বলেন, গোলাম আযমের কেসে আমার ওকালাতনামা নেই। সাঈদী সাহেবের কেসে আমার ওকালাতনামায় সাক্ষর আছে। কাজেই কোন আইনজীবী ছাড়াই গোলাম আযমের কেসে আজ ডকুমেন্ট প্রদর্শনী হল।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, এটা আমাদের এবং আপনার জন্যও বিব্রতকর। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রায়ই অভিযোগ করেন, এখানে কালোকোর্ট পরে অনেকে প্রবেশ করে যারা আসলে আইনজীবী নন।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আরো দুজন জব্দ তালিকার সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এদের একজন হলেন সেলিনা আফরোজ। তিনি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের রাজনৈতিক শাখায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। অপরজন হলেন কাজী আইউব হোসেন। তিনিও একই বিভাগে কুষ্টিয়া জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মকরত।
পুলিশের বিশেষ শাখা কর্তৃক প্রণীত এবং সংরক্ষিত ১৯৭১ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর পাক্ষিক রিপোর্ট এর ১৬টি ডকুমেন্ট অধ্যাপক গোলাম আযমের মালার তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান কুষ্টিয়া জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চ হতে জব্দ করেন। সে মর্মে কাজী আইউব হোসেন সাক্ষ্য দেন এবং এসব ডকুমেন্ট আদালতে আজ প্রদর্শনী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
একইভাবে ১৯৭১ সালের পুলিশ এবসট্রাক্ট অব ইনটেলিজেন্স রিপোর্ট এর ৪১টি ডকুমেন্ট রাজারবাগ থেকে জব্দ করেন এবং সে মর্মে উচ্চমান সহকারী সেলিনা আফরোজ সাক্ষ্য প্রদান করেন।
একজন মাত্র জুনিয়র আইনজীবীর উপস্থিতি :
আজ সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে আসামী পক্ষের কোন সিনিয়র আইনজীবী ছিলেননা। আবু বকর সিদ্দিক নামে একজন মাত্র জুনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আবু বকর সিদ্দিক হরতালের কারনে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী আনতে না পারা এবং সিনিয়রদের না আসার বিষয়টি জানান । একইসাথে মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তাকে বলেন, আপনি বসেন। সাক্ষীর শুধু জবানবন্দী গ্রহণ করা হবে। জেরা আজ হবেনা। এরপর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
১১টা ৪৫ মিনিটের সময় আবু বকর সিদ্দিক দাড়িয়ে আবার বলেন, আমি ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে চলে যেতে চাই।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, না তা পারবেননা। আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি কি এখানে থাকতে বাধ্য? (এম আই বাউন্ড?)। জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, হ্যা। আমরা যতক্ষন পর্যন্ত না উঠছি এজলাস ছেড়ে ততক্ষন পর্যন্ত আপনি থাকতে বাধ্য। রুলসে কি আছে পড়ে দেখেন।
সাক্ষী আনতে না পারা এবং সিনিয়র আইনজীবী না আসার পক্ষে নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন আবু বকর সিদ্দিক । এসময় বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ইট ইজ গড হু উইল গিভ সিকিউরিটি। সাংবাদিকরা আসছে দেখেন। তারা কি সিকিউরিটি নিয়ে আসছে? আমাদের অফিসের যারা আসছে তারা কি সিকিউরিটি নিয়ে আসছে? আমরা তো বলেছি আপনাদের সিকিউরিটির দরকার হলে বলেন, আমরা সিকিউরিটির ব্যবস্থা করব। কিন্তু তাতো আপনারা করেননা।
এরপর আইনজীবীর উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি বিচারপতি নিজামুল হক রুলস থেকে আবু বকর সিদ্দিককে দেখতে বললে আবু বকর বলেন, গোলাম আযমের কেসে আমার ওকালাতনামা নেই। সাঈদী সাহেবের কেসে আমার ওকালাতনামায় সাক্ষর আছে। কাজেই কোন আইনজীবী ছাড়াই গোলাম আযমের কেসে আজ ডকুমেন্ট প্রদর্শনী হল।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, এটা আমাদের এবং আপনার জন্যও বিব্রতকর। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রায়ই অভিযোগ করেন, এখানে কালোকোর্ট পরে অনেকে প্রবেশ করে যারা আসলে আইনজীবী নন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন