সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩

গোলাম আযমের মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু

১৭/২/২০১৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী বা চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু আজ  তাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থান শুরু করেন । শুরুতে তিনি ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

আসামী পক্ষ নতুন সাক্ষী হাজির করতে না পারায় গত বৃহষ্পতিবার আসামী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ করে দিয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য তারিখ ধার্য্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন এবং আসামীপক্ষে  একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুতে আসামী পক্ষে তিনটি নতুন দরখাস্ত  পেশ করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এগুলো হল অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে  বিশেষজ্ঞ সাক্ষী হিসেবে প্রফেসর উইলিয়াম শাবাজ এবং ন্যাটোর সাবেক জেনারেল স্যার জ্যাক ডেভারেল  মতামত স্কাইপ বা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে গ্রহণ করার ব্যবস্থা করা, অধ্যাপক গোলাম আযমকে জামিন প্রদান এবং তৃতীয়টি হল গোলাম আযমের পক্ষে নতুন সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়ার  অনুমতি  চেয়ে আবেদন। প্রথম দুটি আবেদন বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন তারা উপযুক্ত মনে করলে এ  বিষয়ে শুনানীর জন্য ধার্য্য করবেন পরবর্তীতে। তৃতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেন ট্রাইবুনাল। এরপর  রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫টি শিরোনামে মোট ৬২টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্র,  মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তান আর্মিকে গণহত্যা এবং  ধ্বংসাত্মক কাজে সহায়তা, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকান্ডে উসকানি, স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের নেতৃত্ব প্রদান  এবং সুর্নিদিষ্ঠভাবে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া কারাগারে মুক্তিযোদ্ধা  সিরুবাঙ্গালীসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যার  নির্দেশ প্রদান প্রভৃতি।

আজ অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী, অ্যাডভোকেট শিশির মো: মনির প্রমুখ।

১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গত বছর ১১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির হন অধ্যাপক গোলাম আযম। এরপর ট্রাইব্যুনাল তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে ওইদিনই  তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 এদিকে আজ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০ তম সাক্ষীর জেরা শেষ হয়েছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী আজ সাক্ষীকে নিজে জেরা করেন। জেরা শেষে  আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহনের জন্য নির্ধারন করেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল-১ চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন