মেহেদী হাসান, ১৮/১১/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে তার ছেলে সাবেক বিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। আজকের সাক্ষ্যে তিনি সামরিক শাসন চলাকালে সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক, সামরিক-অন্যান্য বাহিনীর সম্পর্ক এবং সামরিক শাসকগনের সাথে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন উদহারনসহ।
আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, সামরিক শাসন চলাকালে সামরিক প্রশাসনের ওপর বেসামরিক প্রশাসন, বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ এবং রাজনীতিবিদদের ওপর কোন ধরনের কোন কর্তৃত্ব, নিয়ন্ত্রন থাকেনা। তেমনি ১৯৭১ সালেও সামরিক শাসকদের ওপর বেসামরিক প্রশাসন বা রাজনীতিবিদদের সামান্যতম নিয়ন্ত্রন ছিলনা। বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ বা রাজনীতিবিদদের কোন ধরনের কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বা উর্ধ্বতন কর্তৃত্বের দায় থাকারও সুযোগ থাকেনা।
অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বা উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় দায়িত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজকের সাক্ষ্যে আব্দুল্লাহিল আমান সামরিক- বেসামরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উপমহাদেশে সামরিক বাহিনী গড়ে ওঠার প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ধরন, কাঠামো তুলে ধরেন। সামরিক শাসন চলাকালে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্তর, কাজের বিন্যাস, আধাসামরিক বাহিনীকে কিভাবে সহযোগী বাহিনী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হয় প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করেন। এই ভূখন্ডে সামরিক শাসন চলাকালে বেসামরিক প্রশাসন কিভাবে চালিয়েছে তার রূপরেখাও ব্যাখ্যা করেন তিনি। তিনি বলেন, সামরিক শাসন চলাকালে অন্যান্য বাহিনীর সাথে কিরূপ সম্পর্ক থাকে তা আমি ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত সামরিক শাসন চলাকালে আমার প্রত্যক্ষ এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দেখেছি ।
তিনি বলেন, সামরিক শাসন চলাকালে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক আইন প্রশাসক (সিএমএলএ বা চিফ মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটর) থেকে শুরু করে জেলা সামরিক আইন প্রশাসক (ডিএমএলএ বা ডিস্ট্রিক মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটর) পর্যন্ত যার যার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার অন্তর্ভুক্ত বেসামরিক প্রশাসনের সমস্ত কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করে থাকে। সামরিক আইন চলাকালে বেসামরিক প্রশাসনের নিজস্ব কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা থাকেনা। ওই এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত সামরিক প্রশাসক সকল কর্মকান্ড সম্পাদন করে। সামরিক শাসনের সময় বেসামরিক প্রশাসনের যেমন নিজস্ব কোন অস্তিত্ব থাকেনা ঠিক তেমনি রাজনীতিবিদগনও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েন। সামরিক শাসকদের ওপর বেসামরিক প্রশাসন বা রাজনীতিবিদদের যেমন কোন কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রন থাকেনা তেমনি ১৯৭১ সালেও বেসামরিক প্রশাসন বা রাজনীতিবিদদের সামরিক প্রশাসনের ওপর সামান্যতম নিয়ন্ত্রন ছিলনা। বেসমারিক ব্যক্তিবর্গ বা রাজনীতিবিদদের কোন ধরনের কমান্ড রেসপনসিবিলিটির বা উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় দায়িত্বেরও সুযোগ থাকেনা।
তিনি বলেন, সামরিক শাসনের সময় যখন বেসামরিক প্রশাসন, বেসামরিক ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদরা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েন তখন কোন কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনীতিবিদগন, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জনগনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, জনগনকে সহায়তার জন্য নিজস্ব উদ্যোগে কমিটি গঠন করে থাকতে পারেন। সামরিক শাসন চলাকালে ১৯৮৬-৮৭ সালে বান্দরবানে উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ এজতীয় ট্রাইবাল কনভেনশন কমিটি গঠন করে কাজ করতেন তা আমি নিজে দেখেছি। কিন্তু সামরিক প্রশাসনের ওপর তাদের কোন ধরনের কোন কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রন থাকেনা। বরং তারা কখনো কখনো সামরিক বা আধা সামরিক বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে থাকে জনগনের নিরাপত্তার জন্য। এ উদাহরনের আলোকে আমি একথা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, ১৯৭১ সালেও যে শান্তি কমিটি গঠিত হয়েছিল তা ছিল এই ট্রাইবাল কনভেনশন কমিটির মত। জনগনের জানমালের নিরাপত্তা এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
এরপর সামরিক শাসন চলাকালে কোন আধাসামরিক বাহিনীর কোন ইউনিটকে সহযোগী বাহিনী হিসেবে অন্তর্র্ভুক্ত করতে হলে তা কিভাবে করতে হয় তা তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গাড বা বিজিবি ( সাবেক বিডিআর) মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিজিবির কোন ব্যাটালিয়নকে মূল সামরিক বাহিনীর সহযোগী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত কররা হলে সেখানে তাদের স্টাটাস অব কমান্ড কি তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। তাদেরকে সহযোগী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করতে হলে প্রধান সামরিক প্রশাসকের নির্দেশ থেকে থেকে শুরু করে যে জেলা বা এলাকার ব্যাটালিয়নকে সহযোগী বাহিনী করা হবে সেই এলাকার সামরিক সদর দফতরের নির্দেশনা, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিজিবি সদর দফতর এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার আধা সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের মধ্যে পারস্পরিক চিঠি লেনদেনের দীর্ঘ প্রকৃয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে আজ পর্যন্ত ৬৫ বছরে এই ভূখন্ডে (প্রথম ২৪ বছর পাকিস্তানের অন্তর্গত এবং পরবর্তী ৪১ বছর স্বাধীন দেশ হিসেবে) পাঁচটি সামরিক শাসনের ইতিহাস লক্ষ্য করা যায়। সব সামরিক শাসনেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকরন, রাজনীতিবিদদের জেলে পাঠানো এবং নির্যাতনের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইউব খানের সামরিক শাসন জারির পর অধ্যাপক গোলাম আযমের দল নিষিদ্ধ হয়েছে এবং তিনিও তখন আট মাস কারাবন্দী ছিলেন। পরবর্তীতে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনের সময় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড পরিচালনা শুরু করেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশেও ১৯৭৫, ১৯৮২ সব সামরিক শাসনামলে রাজনীতিবিদদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। আমি আগেই উল্লেখ করেছি ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক শাসন জারির পর বর্তমান সরকারের তিনজন নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন) আমার তত্ত্বাবধানে ছিলেন কিছুদিন। তাদের সাথে যে ধরনের আচরনের নির্দেশ আমার উপরস্থ কর্মকর্তা আমাকে দিয়েছিলেন তা আমার কাছে অমানবিক হওয়ায় একজন কনিষ্ঠ অফিসার হওয়া সত্ত্বেও চাকরির ঝুকি নিয়ে সে নির্দেশ আমি পালন করতে পারিনি।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে তার ছেলে সাবেক বিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। আজকের সাক্ষ্যে তিনি সামরিক শাসন চলাকালে সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক, সামরিক-অন্যান্য বাহিনীর সম্পর্ক এবং সামরিক শাসকগনের সাথে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন উদহারনসহ।
আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, সামরিক শাসন চলাকালে সামরিক প্রশাসনের ওপর বেসামরিক প্রশাসন, বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ এবং রাজনীতিবিদদের ওপর কোন ধরনের কোন কর্তৃত্ব, নিয়ন্ত্রন থাকেনা। তেমনি ১৯৭১ সালেও সামরিক শাসকদের ওপর বেসামরিক প্রশাসন বা রাজনীতিবিদদের সামান্যতম নিয়ন্ত্রন ছিলনা। বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ বা রাজনীতিবিদদের কোন ধরনের কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বা উর্ধ্বতন কর্তৃত্বের দায় থাকারও সুযোগ থাকেনা।
অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বা উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় দায়িত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজকের সাক্ষ্যে আব্দুল্লাহিল আমান সামরিক- বেসামরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উপমহাদেশে সামরিক বাহিনী গড়ে ওঠার প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ধরন, কাঠামো তুলে ধরেন। সামরিক শাসন চলাকালে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্তর, কাজের বিন্যাস, আধাসামরিক বাহিনীকে কিভাবে সহযোগী বাহিনী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হয় প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করেন। এই ভূখন্ডে সামরিক শাসন চলাকালে বেসামরিক প্রশাসন কিভাবে চালিয়েছে তার রূপরেখাও ব্যাখ্যা করেন তিনি। তিনি বলেন, সামরিক শাসন চলাকালে অন্যান্য বাহিনীর সাথে কিরূপ সম্পর্ক থাকে তা আমি ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত সামরিক শাসন চলাকালে আমার প্রত্যক্ষ এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দেখেছি ।
তিনি বলেন, সামরিক শাসন চলাকালে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক আইন প্রশাসক (সিএমএলএ বা চিফ মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটর) থেকে শুরু করে জেলা সামরিক আইন প্রশাসক (ডিএমএলএ বা ডিস্ট্রিক মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটর) পর্যন্ত যার যার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার অন্তর্ভুক্ত বেসামরিক প্রশাসনের সমস্ত কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করে থাকে। সামরিক আইন চলাকালে বেসামরিক প্রশাসনের নিজস্ব কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা থাকেনা। ওই এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত সামরিক প্রশাসক সকল কর্মকান্ড সম্পাদন করে। সামরিক শাসনের সময় বেসামরিক প্রশাসনের যেমন নিজস্ব কোন অস্তিত্ব থাকেনা ঠিক তেমনি রাজনীতিবিদগনও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েন। সামরিক শাসকদের ওপর বেসামরিক প্রশাসন বা রাজনীতিবিদদের যেমন কোন কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রন থাকেনা তেমনি ১৯৭১ সালেও বেসামরিক প্রশাসন বা রাজনীতিবিদদের সামরিক প্রশাসনের ওপর সামান্যতম নিয়ন্ত্রন ছিলনা। বেসমারিক ব্যক্তিবর্গ বা রাজনীতিবিদদের কোন ধরনের কমান্ড রেসপনসিবিলিটির বা উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় দায়িত্বেরও সুযোগ থাকেনা।
তিনি বলেন, সামরিক শাসনের সময় যখন বেসামরিক প্রশাসন, বেসামরিক ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদরা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েন তখন কোন কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনীতিবিদগন, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জনগনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, জনগনকে সহায়তার জন্য নিজস্ব উদ্যোগে কমিটি গঠন করে থাকতে পারেন। সামরিক শাসন চলাকালে ১৯৮৬-৮৭ সালে বান্দরবানে উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ এজতীয় ট্রাইবাল কনভেনশন কমিটি গঠন করে কাজ করতেন তা আমি নিজে দেখেছি। কিন্তু সামরিক প্রশাসনের ওপর তাদের কোন ধরনের কোন কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রন থাকেনা। বরং তারা কখনো কখনো সামরিক বা আধা সামরিক বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে থাকে জনগনের নিরাপত্তার জন্য। এ উদাহরনের আলোকে আমি একথা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, ১৯৭১ সালেও যে শান্তি কমিটি গঠিত হয়েছিল তা ছিল এই ট্রাইবাল কনভেনশন কমিটির মত। জনগনের জানমালের নিরাপত্তা এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
এরপর সামরিক শাসন চলাকালে কোন আধাসামরিক বাহিনীর কোন ইউনিটকে সহযোগী বাহিনী হিসেবে অন্তর্র্ভুক্ত করতে হলে তা কিভাবে করতে হয় তা তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গাড বা বিজিবি ( সাবেক বিডিআর) মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিজিবির কোন ব্যাটালিয়নকে মূল সামরিক বাহিনীর সহযোগী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত কররা হলে সেখানে তাদের স্টাটাস অব কমান্ড কি তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। তাদেরকে সহযোগী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করতে হলে প্রধান সামরিক প্রশাসকের নির্দেশ থেকে থেকে শুরু করে যে জেলা বা এলাকার ব্যাটালিয়নকে সহযোগী বাহিনী করা হবে সেই এলাকার সামরিক সদর দফতরের নির্দেশনা, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিজিবি সদর দফতর এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার আধা সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের মধ্যে পারস্পরিক চিঠি লেনদেনের দীর্ঘ প্রকৃয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে আজ পর্যন্ত ৬৫ বছরে এই ভূখন্ডে (প্রথম ২৪ বছর পাকিস্তানের অন্তর্গত এবং পরবর্তী ৪১ বছর স্বাধীন দেশ হিসেবে) পাঁচটি সামরিক শাসনের ইতিহাস লক্ষ্য করা যায়। সব সামরিক শাসনেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকরন, রাজনীতিবিদদের জেলে পাঠানো এবং নির্যাতনের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইউব খানের সামরিক শাসন জারির পর অধ্যাপক গোলাম আযমের দল নিষিদ্ধ হয়েছে এবং তিনিও তখন আট মাস কারাবন্দী ছিলেন। পরবর্তীতে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনের সময় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড পরিচালনা শুরু করেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশেও ১৯৭৫, ১৯৮২ সব সামরিক শাসনামলে রাজনীতিবিদদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। আমি আগেই উল্লেখ করেছি ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক শাসন জারির পর বর্তমান সরকারের তিনজন নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন) আমার তত্ত্বাবধানে ছিলেন কিছুদিন। তাদের সাথে যে ধরনের আচরনের নির্দেশ আমার উপরস্থ কর্মকর্তা আমাকে দিয়েছিলেন তা আমার কাছে অমানবিক হওয়ায় একজন কনিষ্ঠ অফিসার হওয়া সত্ত্বেও চাকরির ঝুকি নিয়ে সে নির্দেশ আমি পালন করতে পারিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন