সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩

আব্দুল্লাহিল আমানের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে : গোলাম আযম ইচ্ছা করলে পৃথিবীর যেকোন রাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বাকি জীবন আরামে কাটাতে পারতেন।

২০/১১/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের পে প্রথম সাী তার ছেলে সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল  আমান আযমীর  সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন,   রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে সরকার অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের রাধের অভিযোগ এনেছে। যিনি আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য  জিবনের ৬০টি বছর উৎসর্গ করেছেন তিনি কিভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে পারেন?

তিনি বলেন, ১৯৭৮ থেকে বিগত ৩৪ বছর অধ্যাপক গোলাম আযম  নিরলসভাবে এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি একজন আন্তর্জাতিক  খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক, লেখক এবং যোগ্য নেতা। তিনি ইচ্ছে করলে পৃথিবীর যেকোন রাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বাকি জীবন কাটাতে পারতেন। ১৯৭৮ সালে ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসার আগ পর্যন্ত  সেখানে বসবাসরত অবস্তায়  সে দেশের সরকারের তরফ থেকে রাজনৈতিক আশ্রয়রের জন্য বলা হয়েছিল। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দেশের টানে, দেশের কল্যানে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তী।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে অখন্ড ভারতের পে থাকা যেমন একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল  তেমনি ১৯৭১ সালে অখন্ড পাকিস্তানের  পে থাকা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল।  ১৯৪৭ সালে যারা অখন্ড ভারতের পে ছিলেন তাদের দেশ প্রেমের ঘাটতি ছিলনা। কেবলমাত্র ভিন্ন দর্শনের কারনেই উনারা অখন্ড ভারতের পে ছিলেন। তেমনি ১৯৭১ সালেও যারা অখন্ড পাকিস্তানের  পে ছিলেন তাদেরও দেশ প্রেমের কোন ঘাটতি ছিলনা। এটা ছিল রাজনৈতিক এক দর্শনের প্রতিফলন। এর  সাথে অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ একিভুত করা বা যোগসাজশ খোঁজা নিতান্তই কাল্পনিক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন