মেহেদী হাসান, ৩০/১০/২০১২
পবিত্র ঈদুল আযহার পর আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এ বিচার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় দিনব্যাপী জেরা চলে তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমানের। তাকে জেরা করেন অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম।
জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, সরকারি নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পর রাজাকার বাহিনীর প্রধান হন মো: ইউনিস। তিনি জামায়াতের সাথে জড়িত ছিলেন।
এরপর মিজানুল ইসলাম সাজেশন দিয়ে বলেন, “গোলাম আযম রাজাকার বাহিনী, শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেননা।” জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “সত্য নয়।”
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, তার মানে হল তদন্ত কর্মকর্তার জবাব অনুযায়ী গোলাম আযম রাজাকার এবং শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন। কিন্তু আসলে গোলাম আযম রাজাকার বা শান্তি কমিটির কোনটারই প্রধান ছিলেননা। আবার আরেক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বললেন , সরকারি নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পর রাজাকার বাহিনীর প্রধান হন মো: ইউনিস। তার কাছ থেকেই তো দুই রকম উত্তর আসল।
মিজানুল ইসলাম বলেন, তাকে আরো একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেটি হল “খাজা খয়েরউদ্দিনকে আহবায়ক করে শান্তি কমিটি গঠনের পর তাকে পরিবর্তন করে অন্য কাউকে কি শান্তি কমিটির আহবায়ক বা চেয়ারম্যান বা সভাপতি করা হয়েছিল কি-না।” এর জবাবে তিনি বলেছেন এরকম কোন তথ্য তার কাছে নেই।
আজ জেরায় মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, অ্যাডভোকেট শিশির মো: মনির প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম এবং প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন উপস্থিত ছিলেন।
জেরা :
প্রশ্ন : তিতাস নামে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ায় একটি নদী আছে নাম শুনেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : পৈরতলা রেলব্রিজ থেকে তিতাস নদীর সবচেয়ে নিকটবর্তী স্থানের নাম কি?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : পৈরতলা রেলব্রিজ নিকটবর্তী গণকবর থেকে তিতাস নদী দেখা যায়?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : প্রত্যক্ষদর্শী যাদের কাছে শুনেছেন বলেছেন তাদের দুয়েকজনের নাম বলেন।
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : একপক্ষ ম্যাগাজিনের কূপন এবং ছবি কি দুটি ছবির সমন্বয় না একটি ছবি?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : ছবিটি কার?
উত্তর : যতদুর মনে হয় মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী সরকারের নিয়ন্ত্রনে নেয়ার আগে এর প্রধান কে ছিলেন?
উত্তর : তা না জানলেও এ বাহিনী মাওলানা একেএম ইউসুফ সাহেবের নেতৃত্বে খুলনায় খানজাহান আলী রোডে আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াত কর্মী নিয়ে গঠিত হয়।
প্রশ্ন : এর তথ্যসূত্র কি?
উত্তর : স্থানীয় লোকজন বলেছে এবং তদন্তকালে পেয়েছি।
প্রশ্ন : এ বিষয়ে ১৯৭১ সালে প্রকাশিত কোন খবর আনপার সংগ্রহে নেই?
উত্তর : এ মুহূর্তে বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : মাওলানা এ কে এম ইউসুফ সাহেব রাজাকার বাহিনী গঠন করেছেন এ মর্মে সবচেয়ে পুরনো কি ডকুমেন্ট আছে আপনার কাছে?
উত্তর : আমার কাছে নেই। তবে তদন্তে আমি এটা পেয়েছি।
প্রশ্ন : সরকারি নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পর রাজাকার বাহিনীর প্রধান কে হয়?
উত্তর : মো: ইউনিস। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাথে জড়িত ছিলেন। ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদে অধিষ্ঠিত আছেন। (এ প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী প্রথমে বলেছিলেন, মো :ইউনিস, জামায়াতে ইসলামী। ডিজি ইসলামী ব্যাংক, জিজি মজলিশে শুরা ইসলামী ব্যাংক। তবে উত্তরটি এভাবে না লিখে উপরোক্তভাবে রেকর্ড করা হয়। )
প্রশ্ন : রাজাকার অর্ডিন্যান্স জারির সময় আনছার বাহিনীর প্রধান কে ছিলেন?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : গেজেট প্রকাশের পর রাজাকার বাহিনীর ডিজি ছিলেন পুলিশের ডিআইজি আব্দুর রহিম সাহেব।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনীকে অক্সিলিয়ারী ফোর্স হিসেবে সামরিক বাহিনীর অধীনে নেয়ার পর এর প্রধান কে হয়?
উত্তর : স্মরন নেই। তবে রাজাকার বাহিনীকে জামায়াতে ইসলামী এবং পিস কমিটির লোকজন নিয়ন্ত্রন করত।
প্রশ্ন : সামরিক বাহিনীর কোন অফিসার রাজাকার বাহিনীকে অক্সিলিয়ারী ফোর্স হিসেবে নিয়ন্ত্রন করত?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : এটা জানার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেননি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : খাজা খয়েরউদ্দিনকে আহবায়ক করে শান্তি কমিটি গঠনের পর তাকে পরিবর্তন করে অন্য কাউকে কি শান্তি কমিটির আহবায়ক বা চেয়ারম্যান বা সভাপতি করা হয়েছিল?
উত্তর : এরকম কোন তথ্য আমার কাছে নেই।
প্রশ্ন : তাহলে একপক্ষ ম্যাগাজিনে যে লেখা হয়েছে গোলাম আযম শান্তি কমিটি/রাজাকার বাহিনীর প্রধান এ তথ্যটি অসত্য।
উত্তর : (এ তদন্ত কর্মকর্তা সরাসরি এর উত্তর না দেয়ায় মিজানুল ইসলাম তাকে আবার অন্যভাবে সাজেশন আকারে প্রশ্নটি করেন। )
প্রশ্ন : গোলাম আযম রাজাকার বাহিনী/শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেননা।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২২/২/২০১১১ তারিখে বাংলা একাডেমীর অনুকুলে কোন জিম্মানামা সম্পাদনা করেছেন কি-না। করলে কয়টায়।
উত্তর : করেছিলাম। সময় লিখিত নেই। যতদূর মনে পড়ে সত্যায়িত ফটোকটি জব্দ করার পরই তা জিম্মায় প্রদান করি।
প্রশ্ন : মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী, খাজা খয়ের উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, গোলাম আযম, মেজর আফসার উদ্দিন, আবুল কাশেম, ওয়ারাসাত হোসেন খান, তোহা বিন হাবিব এদের মধ্যে অধ্যাপক গোলাম আযম ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর কতজন সদস্য ছিল?
উত্তর : গোলাম আযম ছাড়া অন্যরা কে কি করতেন তা জানা নেই।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির নিয়ন্ত্রন, পরিচালনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের একক ক্ষমতা গোলাম আযমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে কি-না তা প্রকাশিত খবরে উল্লেখ নেই।
প্রশ্ন : এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের সভা সেটি ছিলনা।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি কবে গঠন হয়?
উত্তর ৯/৪/১৯৭১।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি গঠনের নীতিমালা কি ছিল?
উত্তর : শান্তি কমিটির পরবর্তী কার্যক্রমই প্রমান করে তাদের নীতিমালা কি ছিল।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, এটা তো উত্তর হলনা। তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তদন্ত কর্মকর্তার উদ্দেশে বলেন, যেকোন সংগঠন গঠনের সময় তার একটি লক্ষ্য উদ্দেশ্য বা নীতিমালা থাকে। শান্তি কমিটি গঠনের বিষয়ে আপনি এ জাতীয় কিছু পেয়েছেন কি-না। তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে দুষ্কৃতিকারীদের আন্দোলন হিসেবে গণ্য করে তাদের ভাষায় সেই দুস্কৃতিকারীদের ধ্বংস করাই ছিল শান্তি কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির কোন সাংগঠনিক কাঠামো ছিল?
উত্তর : যেভাবে ঢাকায় গঠিত হয়েছিল সেভঅবে জেলা, ,মহকুমা, থানা এবং ইউনিয়নে গঠিত হয়েছিল।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি গঠনের পর সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি কত সদস্য বিশিষ্ট ছিল?
উত্তর : ১৪০।
এরপর জেরা কাল বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। কাল আবার তার জেরা শুরু হবার কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
পবিত্র ঈদুল আযহার পর আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এ বিচার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় দিনব্যাপী জেরা চলে তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমানের। তাকে জেরা করেন অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম।
জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, সরকারি নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পর রাজাকার বাহিনীর প্রধান হন মো: ইউনিস। তিনি জামায়াতের সাথে জড়িত ছিলেন।
এরপর মিজানুল ইসলাম সাজেশন দিয়ে বলেন, “গোলাম আযম রাজাকার বাহিনী, শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেননা।” জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “সত্য নয়।”
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, তার মানে হল তদন্ত কর্মকর্তার জবাব অনুযায়ী গোলাম আযম রাজাকার এবং শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন। কিন্তু আসলে গোলাম আযম রাজাকার বা শান্তি কমিটির কোনটারই প্রধান ছিলেননা। আবার আরেক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বললেন , সরকারি নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পর রাজাকার বাহিনীর প্রধান হন মো: ইউনিস। তার কাছ থেকেই তো দুই রকম উত্তর আসল।
মিজানুল ইসলাম বলেন, তাকে আরো একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেটি হল “খাজা খয়েরউদ্দিনকে আহবায়ক করে শান্তি কমিটি গঠনের পর তাকে পরিবর্তন করে অন্য কাউকে কি শান্তি কমিটির আহবায়ক বা চেয়ারম্যান বা সভাপতি করা হয়েছিল কি-না।” এর জবাবে তিনি বলেছেন এরকম কোন তথ্য তার কাছে নেই।
আজ জেরায় মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, অ্যাডভোকেট শিশির মো: মনির প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম এবং প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন উপস্থিত ছিলেন।
জেরা :
প্রশ্ন : তিতাস নামে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ায় একটি নদী আছে নাম শুনেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : পৈরতলা রেলব্রিজ থেকে তিতাস নদীর সবচেয়ে নিকটবর্তী স্থানের নাম কি?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : পৈরতলা রেলব্রিজ নিকটবর্তী গণকবর থেকে তিতাস নদী দেখা যায়?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : প্রত্যক্ষদর্শী যাদের কাছে শুনেছেন বলেছেন তাদের দুয়েকজনের নাম বলেন।
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : একপক্ষ ম্যাগাজিনের কূপন এবং ছবি কি দুটি ছবির সমন্বয় না একটি ছবি?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : ছবিটি কার?
উত্তর : যতদুর মনে হয় মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী সরকারের নিয়ন্ত্রনে নেয়ার আগে এর প্রধান কে ছিলেন?
উত্তর : তা না জানলেও এ বাহিনী মাওলানা একেএম ইউসুফ সাহেবের নেতৃত্বে খুলনায় খানজাহান আলী রোডে আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াত কর্মী নিয়ে গঠিত হয়।
প্রশ্ন : এর তথ্যসূত্র কি?
উত্তর : স্থানীয় লোকজন বলেছে এবং তদন্তকালে পেয়েছি।
প্রশ্ন : এ বিষয়ে ১৯৭১ সালে প্রকাশিত কোন খবর আনপার সংগ্রহে নেই?
উত্তর : এ মুহূর্তে বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : মাওলানা এ কে এম ইউসুফ সাহেব রাজাকার বাহিনী গঠন করেছেন এ মর্মে সবচেয়ে পুরনো কি ডকুমেন্ট আছে আপনার কাছে?
উত্তর : আমার কাছে নেই। তবে তদন্তে আমি এটা পেয়েছি।
প্রশ্ন : সরকারি নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পর রাজাকার বাহিনীর প্রধান কে হয়?
উত্তর : মো: ইউনিস। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাথে জড়িত ছিলেন। ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদে অধিষ্ঠিত আছেন। (এ প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী প্রথমে বলেছিলেন, মো :ইউনিস, জামায়াতে ইসলামী। ডিজি ইসলামী ব্যাংক, জিজি মজলিশে শুরা ইসলামী ব্যাংক। তবে উত্তরটি এভাবে না লিখে উপরোক্তভাবে রেকর্ড করা হয়। )
প্রশ্ন : রাজাকার অর্ডিন্যান্স জারির সময় আনছার বাহিনীর প্রধান কে ছিলেন?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : গেজেট প্রকাশের পর রাজাকার বাহিনীর ডিজি ছিলেন পুলিশের ডিআইজি আব্দুর রহিম সাহেব।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনীকে অক্সিলিয়ারী ফোর্স হিসেবে সামরিক বাহিনীর অধীনে নেয়ার পর এর প্রধান কে হয়?
উত্তর : স্মরন নেই। তবে রাজাকার বাহিনীকে জামায়াতে ইসলামী এবং পিস কমিটির লোকজন নিয়ন্ত্রন করত।
প্রশ্ন : সামরিক বাহিনীর কোন অফিসার রাজাকার বাহিনীকে অক্সিলিয়ারী ফোর্স হিসেবে নিয়ন্ত্রন করত?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : এটা জানার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেননি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : খাজা খয়েরউদ্দিনকে আহবায়ক করে শান্তি কমিটি গঠনের পর তাকে পরিবর্তন করে অন্য কাউকে কি শান্তি কমিটির আহবায়ক বা চেয়ারম্যান বা সভাপতি করা হয়েছিল?
উত্তর : এরকম কোন তথ্য আমার কাছে নেই।
প্রশ্ন : তাহলে একপক্ষ ম্যাগাজিনে যে লেখা হয়েছে গোলাম আযম শান্তি কমিটি/রাজাকার বাহিনীর প্রধান এ তথ্যটি অসত্য।
উত্তর : (এ তদন্ত কর্মকর্তা সরাসরি এর উত্তর না দেয়ায় মিজানুল ইসলাম তাকে আবার অন্যভাবে সাজেশন আকারে প্রশ্নটি করেন। )
প্রশ্ন : গোলাম আযম রাজাকার বাহিনী/শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেননা।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২২/২/২০১১১ তারিখে বাংলা একাডেমীর অনুকুলে কোন জিম্মানামা সম্পাদনা করেছেন কি-না। করলে কয়টায়।
উত্তর : করেছিলাম। সময় লিখিত নেই। যতদূর মনে পড়ে সত্যায়িত ফটোকটি জব্দ করার পরই তা জিম্মায় প্রদান করি।
প্রশ্ন : মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী, খাজা খয়ের উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, গোলাম আযম, মেজর আফসার উদ্দিন, আবুল কাশেম, ওয়ারাসাত হোসেন খান, তোহা বিন হাবিব এদের মধ্যে অধ্যাপক গোলাম আযম ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর কতজন সদস্য ছিল?
উত্তর : গোলাম আযম ছাড়া অন্যরা কে কি করতেন তা জানা নেই।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির নিয়ন্ত্রন, পরিচালনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের একক ক্ষমতা গোলাম আযমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে কি-না তা প্রকাশিত খবরে উল্লেখ নেই।
প্রশ্ন : এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের সভা সেটি ছিলনা।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি কবে গঠন হয়?
উত্তর ৯/৪/১৯৭১।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি গঠনের নীতিমালা কি ছিল?
উত্তর : শান্তি কমিটির পরবর্তী কার্যক্রমই প্রমান করে তাদের নীতিমালা কি ছিল।
অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, এটা তো উত্তর হলনা। তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তদন্ত কর্মকর্তার উদ্দেশে বলেন, যেকোন সংগঠন গঠনের সময় তার একটি লক্ষ্য উদ্দেশ্য বা নীতিমালা থাকে। শান্তি কমিটি গঠনের বিষয়ে আপনি এ জাতীয় কিছু পেয়েছেন কি-না। তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে দুষ্কৃতিকারীদের আন্দোলন হিসেবে গণ্য করে তাদের ভাষায় সেই দুস্কৃতিকারীদের ধ্বংস করাই ছিল শান্তি কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির কোন সাংগঠনিক কাঠামো ছিল?
উত্তর : যেভাবে ঢাকায় গঠিত হয়েছিল সেভঅবে জেলা, ,মহকুমা, থানা এবং ইউনিয়নে গঠিত হয়েছিল।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি গঠনের পর সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি কত সদস্য বিশিষ্ট ছিল?
উত্তর : ১৪০।
এরপর জেরা কাল বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। কাল আবার তার জেরা শুরু হবার কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন