বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৩

সুলতানা কামালের জেরা শুরু// দেশে থাকা পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কোন রাজাকার দেখিনি কারো নামও শুনিনি

মেহেদী হাসান, ১১/৯/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষী সুলতানা কামালের জেরা আজ শুরু হয়েছে। জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় “আপনি যে সময় পর্যন্ত ধানমন্ডিতে আপনাদের বাড়িতে ছিলেন ততদিন পর্যন্ত কতজন রাজাকারের সাথে আপনার দেখা হয়?” উত্তরে সুলতানা কামাল বলেন, “আমি  ১৯৭১ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত  ধানমন্ডিতে আমাদের বাড়িতে ছিলাম।  তখন পর্যন্ত রাজাকার বাহিনী গঠনের খবর শুনি। তাদের কাউকে তখন ধানমন্ডিতে দেখিনি। নামও শুনিনি। 
অপর এক প্রশ্নের  জবাবে সুলতানা কামাল জানান,  স্বাধীনতার পর দেশে ফেরার পরও তিনি তার এলাকার কোন রাজাকার আল বদর সদস্যের নাম শুনেননি এবং দেখেননি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মতিউর রহমান নিজামী আমার কাছে কোন পরিচতি ব্যক্তি ছিলনা।

আজ জেরা শুরু হবার পূর্বে অসমাপ্ত জবানবন্দী শেষ করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি’র চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল। গতকালও তিনি সোয়া একঘন্টা জবানবন্দী দেন। গত সোমবার তার জবানবন্দী গ্রহণ শুরু হয় এবং সেদিন তিনি সোয়া দুই ঘন্টা জবানবন্দী প্রদান করেন।

আজ  জবানবন্দী শেষে তাকে জেরা করেন অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার এমরান এ সিদ্দিক প্রমুখ।

জেরা :
প্রশ্ন : যে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দী দেন তার নাম বলেন।
উত্তর : মনোয়ারা।
প্রশ্ন : কবে জবানবন্দী দেন?
উত্তর : তিনি বেশ কয়েকবার আমার কাছে যান। তবে ২০১১ সালের জুলাই মাসে কনকুসিভলি শেষ করেছি।
প্রশ্ন : মোট কয়দিন জবানবন্দী দিয়েছেন?
উত্তর : যেহেতু গত বছর জবানবন্দী দিয়েছি তাই নির্দিষ্ট সংখ্যা মনে নেই। একাধিকবার দিয়েছি।
প্রশ্ন : আপনার বাসায় না অফিসে দিয়েছেন?
উত্তর : অফিসে।
প্রশ্ন : আপনি নিজেও কয়েকবার তদন্ত  সংস্থার অফিসে গিয়েছিলেন?
উত্তর : আমি মনে করতে পারছিনা যে, আমি কখনো সেখানে গিয়েছি।
প্রশ্ন : রাজাকার অর্ডিনেন্স আপনি তদন্ত সংস্থার অফিসে গিয়ে জমা দিয়েছেন মনে পড়ে?

উত্তর : এই ট্রাইবু্যুনালে যখন তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশনের অফিস ছিল তখন আমি এই ট্রাইব্যুনালে এসে তদন্ত সংস্থার কাছে  রাজাকার অর্ডিনেন্স দিয়েছি।
প্রশ্ন : তারিখ?
উত্তর : খুব সম্ভবত ২০১০ সাল। তারিখ মনে নেই।
প্রশ্ন : আপনি তো এই মামলার নালিশকারী ব্যক্তি নন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : তদন্ত সংস্থার কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার ক্রমিক নং ৫, তারিখ ১/৮/২০১২ নালিশকারী কে তা আপনার জানা নেই।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী গঠনের তারিখ বলতে পারেন?
উত্তর : সঠিক বলতে পারবনা। মে মাসের প্রথম দিকে খুলনায়  জনৈক ইউসুফের নেতৃত্বে হয়েছে ।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে আপনাদের বাড়িতে কি কি পত্রিকা যেত?
উত্তর : পূর্বদেশ, আজাদ, মর্নিং নিউজ, দি পিপল।
প্রশ্ন রাজাকার বাহিনী গঠনের খবরটা কি পূর্বদেশে  ছিল?
উত্তর :  হ্যা।
প্রশ্ন : পত্রিকাটি কি সংরক্ষিত আছে বা তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দিয়েছেন?
উত্তর : সংরক্ষনে নেই এবং জমাও দেইনি।
প্রশ্ন : যে খবরটি পড়েছিলেন তাতে কি ইউসুফ সাহেবের নাম পড়েছিলেন?
উত্তর : যতদূর মনে পড়ে ছিল।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৮০ সাল পর্যন্ত অন্য কোন পত্রিকায় কি এ খবর পড়েছিলেন যে, ইউসুফ সাহেব রাজাকার বাহিনী গঠন করেছেন?
উত্তর : প্রকাশিত হবারই কথা। তবে আমি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তা দেখেছি কি-না মনে করতে পারছিনা। ৮০ র দশকে বিচিত্রায় এসেছে মনে হয়।
প্রশ্ন : ওই সময়  বিচিত্রার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন বর্তমান ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান নির্বাহী শাহরিয়ার কবির।
 উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : মোস্তারি শফি শাহরিয়ার কবির দায়িত্ব নেয়ার আগে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির  আহবায়ক ছিলেন।
উত্তর : মোস্তারি শফি ঘনিষ্ঠভাবে ঘাতক দালাল নিমর্ূূল কমিটির সাথে জড়িত ছিলেন জানি তবে আহবায়ক ছিলেন কি-না সঠিক মনে নেই।
প্রশ্ন : আনসার বাহিনী বিলুপ্ত করে গেজেটের মাধ্যমে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়  ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে তা জানা আছে?
উত্তর : আছে।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনীর প্রথম পরিচালক ছিলেন ডিআইজি পুলিশ আব্দুর রহিম সাহেব।
উত্তর :   জানা নেই। কারণ ওই সময় দেশে ছিলামনা।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের  সচিব হয়েছিলেন  তা জানা আছে?
উত্তর : এ নামে কোন সচিব ছিল কি-না জানা নেই।
প্রশ্ন : রাজাকারদের এসডিওরা নিয়োগ দিতেন।
উত্তর : একটি বাহিনী যখন গেজেটের মাধ্যমে সরকারের অধীনে নেয়া হয় তখন  তা সরকারের নেতৃত্বে থাতকেই পারে।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনীকে ট্রেনিং দিত সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।

উত্তর : এরও উত্তর আগের প্রশ্নের মতই । যখন তাদের দায়িত্ব সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয় তখন সরকারি লোক তাদের ট্রেনিং দিতে পারে।
প্রশ্ন : ২ আগস্ট সরকারি বিধিবদ্ধ বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগে তারা কোন অস্ত্রধারী বাহিনী ছিলনা।
প্রশ্ন : এ ধরনের বাহিনী যখন কাজ করে তখন সবসময় তাদের অস্ত্রের দরকার হয়না। তথ্য সরবরাহ করা, বাড়ি চিনিয়ে দেয়া, হুমকি দেয়ার জন্য অস্ত্রের দরকার হয়না।
প্রশ্ন : আপনাদের বাড়িতে কখনো আর্মি রাজাকার গেছে?
উত্তর : না । তবে যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে আমার মায়ের ওপর আল বদর কর্তৃক হামলার একটি  পরিকল্পনার  তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে শুনেছি।
প্রশ্ন : আপনার মা সুফিয়া কামাল দুটি ডায়রি লিখতেন। একটিতে কবিতা লিখতেন এবং একটিতে দৈনন্দিন বিষয় লিখতেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : দৈনন্দিন ডায়েরি পরে বই আকারে প্রকাশ হয়।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ওই ডায়েরিতে আল বদর কর্তক হামলার পরিকল্পনার কথা লেখা নেই।
 উত্তর : আছে শেষের দিকে।  পরে তার বিভিন্ন বক্তৃতায়ও এসেছে।
প্রশ্ন : তিনি কখনো এই হামলার পরিকল্পনাকারীদের নাম আপনাদের বলেছেন?
উত্তর : নাম জানার সুযোগ ছিলনা এবং বলেনওনি।
প্রশ্ন : ১৬ জুন আপনাদের ঢাকা থাকাকালে কোনদিন কোন রাজাকার বা আল বদর ফোর্সের কারো সাথে দেখা হয়েছে?
উত্তর : আল বদর গোপন কিলার ফোর্স ছিল। তারা কখনো প্রকাশ্যে পরিচয় দিয়ে আসতনা। যাদের তারা হত্যা করেছে তাদের কাছেও তারা মুখ ঢেকে যেত।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে আপনি কোন আল বদর সদস্যকে সনাক্ত করতে পারেননি।
উত্তর : পারিনি।
প্রশ্ন : আপনি যে সময় পর্যন্ত ধানমন্ডিতে আপনাদের বাড়িতে ছিলেন ততদিন পর্যন্ত কতজন রাজাকারের সাথে আপনার দেখা হয়?
উত্তর : আমি ১৬ জুন পর্যন্ত ছিলাম। তখন রাজাকার বাহিনী গঠনের খবর শুনি। তাদের কাউকে তখন ধানমন্ডিতে দেখিনি। নামও শুনিনি।
প্রশ্ন : দেশে ফেরার পর ওই বাড়িতেই ছিলেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :  এখন কোথায় থাকেন?
উত্তর : ওখানেই।
প্রশ্ন : সুফিয়া কামাল তো ভারতে যাননি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : দেশে  আসার পর আপনার এলাকায় কোন রাজাকার আল বদরের নাম শুনেছেন বা দেখেছেন?
উত্তর : না ।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার  অব্যবহিত পরে যেসব পত্র পত্রিকা প্রকাশিত হয় তাতে  রাজাকার, আল বদর, শান্তি কমিটি প্রধানের নাম প্রকাশিত হয়নি।
উত্তর : পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন : আল শামস প্রধানের নাম সর্বপ্রথম কবে শুনেছেন এবঙ তার নাম কি?
উত্তর : মনে  নেই।

প্রশ্ন : কোন আল শামস সদস্যের নাম পত্রিকায় দেখেছেন?
উত্তর : না । তবে আল বদরের অনেকের নাম দেখেছি।
প্রশ্ন : সর্বপ্রথম কোন আল বদর সদস্যের নাম দেখলেন এবং কবে দেখলেন?
উত্তর : মতিউর রহমান নিজামী। ৮০’র দশকের প্রথম দিকে।
প্রশ্ন : মতিউর রহমান নিজামীর তখন আর কোন পরিচয় ছিল?
উত্তর : জামায়াতের সাথে যুক্ত ছিল।
প্রশ্ন : কোন পর্যায়ের নেতা ছিলেন?
উত্তর : জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে নিজামী কোন পরিচিত ব্যক্তি ছিল কি-না।
প্রশ্ন : আমার কাছে কোন পরিচিত ব্যক্তি ছিলনা।
প্রশ্ন : আপনি ছাত্র রাজনীতি করতেন?
উত্তর : সরাসরি কোন ছাত্ররাজনীতি করতামনা।
প্রশ্ন : ছয় দফা, ১১ দফা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন?
উত্তর : বিভিন্ন মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি।
প্রশ্ন : ১১ দফার উদ্যোক্তা  করা ছিল?
উত্তর : বড় দল ছিল আওয়ামী লীগ এবং বামপন্থী বিভিন্ন দল।
প্রশ্ন :  স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তিনটি রাজনৈতিক ধারা ছিল। জাতীয়তাবাদী, সমাজতান্ত্রিক এবং ধর্মভিত্তিক।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ধর্মভিত্তিক দলগুলো পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার  পক্ষে রাজনৈতিক ভূমিকা  গ্রহণ করে ১৯৭১ সালে।
প্রশ্ন : হ্যা।
প্রশ্ন : তার মধ্যে জামায়াতে ইসলাম একটি দল ছিল
উত্তর : অবশ্যই।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন খাজা  খয়েরউদ্দিন ।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি কোন পদ্ধতিতে কাজ করতেন জানা আছে?
উত্তর : তারা বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য প্রচারনার কাজ করেছে। ইসলাম রক্ষা করতে হলে পাকিস্তানকে রক্ষা করতে হবে। ইসলাম এবং পাকিস্তান একই সূত্রে গাথা এ মর্মে প্রচার করেছে। এ জন্য ধারা ধর্মকে ব্যবহার করেছে। তারা মনে করত প্রকৃত মুসলমানরাই হচ্ছে পাকিস্তানের অধিবাসী। তারা আরো বলেছে কোন ভাল মুসলমান মুক্তিযুদ্ধ  এবং বাংলাদেশ আন্দোলন সমর্থন করতে পারেনা। মনস্তাত্ত্বিকভাবে তারা ধর্মের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করেছে মানুষকে পাকিস্তানের পক্ষে নেয়ার জন্য।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য কতজন ছিল জানা আছে?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : কত তারিখে প্রথম কেন্দ্রীয় শান্তি  কমিটি হয় বলতে পারবেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটিতে কোন দলের লোক বেশি ছিল জানা আছে?
উত্তর : কোন  দলের বেশি ছিল তা বলতে পারবনা। তবে মুসলিম লীগ, পিডিবি,  জামায়াতের লোকই বেশি ছিল।
প্রশ্ন : খাজা খয়েরউদ্দিন  নেতৃত্বাধিন শান্তি কমিটি ছাড়া অন্য কোন শান্তি কমিটি ছিল?


উত্তর : মৌলভি ফরিদ   আহমদ নামে আরেকজন শান্তি  কমিটির নেতার নাম শুনেছি। তবে তার নেতৃত্বে আলাদা কোন শান্তি কমিটি ছিল কি-না জানা নেই।
প্রশ্ন : মৌলভি ফরিদ আহমদ কোন দলের?
উত্তর : পিডিবি।
প্রশ্ন : মৌলভি ফরিদ আহমেদ নেতৃত্বাধীন শান্তি কমিটির অফিস ছিল ধানমন্ডি তা জানেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির  জেলা প্রধান এবং  তাদের দলীয় পরিচয় জানা আছে?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান।
উত্তর : কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছিল।
প্রশ্ন : আপনি বলেছেন ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে তাতে দেখা যায় শান্তি কমিটি কখনো কখনো  পাক হানাদার বাহিনীর সাথে শসস্ত্র অভিযানে  অংশ নিয়েছে’ । আমার প্রশ্ন হল  এ জাতীয় কয়টি অভিযানে অংশ নেয়ার তথ্য আপনার কাছে আছে?
উত্তর : নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারবনা। তবে একাধিক।
প্রশ্ন : এ তথ্য আপনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন?
উত্তর : কিছু কিছু ।
প্রশ্ন : এগুলো কি পেপার কাটিং না কেউ আপনাকে দিয়েছেন না আপনার ব্যক্তিগত সংগ্রহের?
উত্তর : কিছু ব্যক্তিগত সংগ্রহের, কিছু গবেষনার, কিছু কিছু পেপার কাটিং।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির এসব অপারেশনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের নাম আছে আপনার কাছে?
উত্তর : এ মুহুর্তে মনে পড়ছেনা।
প্রশ্ন : শান্তি বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র সরবরাহের  জন্য পাকিস্তান সরকার নির্দেশ দিয়েছে মর্মে কোন তথ্য আছে আপনার কাছে?
উত্তর : না।
 এ পর্যন্ত জেরা চলার পর মুলতবি করা হয়।  আগামীকাল  বুধবার আবার তার জেরা শুরু হবার কথা রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন