রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৩

মাওলানা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন আদেশ ১৮ ডিসেম্বর

২৪/১১/২০১৩
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সোবমানের বিরুদ্ধে আগামী ১৮ ডিসেম্বর চার্জ গঠন বিষযক আদেশ দেয়া হবে। চার্জ গঠন বিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এ তারিখ ধার্য্য করে।

মাওলানা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের বিরোধীতা করে সকালে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক শুনানী পেশ করেন। মাওলানা আব্দুস সোবহানের সম্পূর্ণ খালাস দাবি করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে যেসব কাগজপত্র  জমা দিয়েছে তা আইনের শর্ত পূরণ করেনা। তাকে শান্তি কমিটির নেতা অভিহিত করা হয়েছে, পাকিস্তান আর্মির সাথে যোগসাজসের অভিযোগ আনা হয়েছে কিন্তু তিনি কি অপরাধ করেছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।

তিনি বলেন,  মাওলানা আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে পাবনার পাকশী এবং  ঈশ্বরদীতে গনহত্যা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের যেবব অভিযোগ আনা হয়েছে তার পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত কোন ডকুমেন্ট হাজির করতে পারেনি। সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবগুলোর সাথে অপহরন, নির্যাতন, বন্দীকরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু ১৯৭১ সালে প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইনে এগুলো মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ ছিলনা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অপরাপর যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যেও মানবতাবিরোধী অপরাধের  উপাদান নেই।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাওলানা আব্দুস সোবহান দুইবার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন, বাংলাদেশেও তিনি ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে দুইবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক কারনে তার বিরুদ্ধে আজ এত বছর পর ১৯৭১ সালের বিষয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক যুক্তি উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন সংক্ষেপে জবাব প্রদান করেন।
আসামী পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান কবির প্রমুখ।

মাওলানা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে পাবনার বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, গনহত্যা, অপহরন, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং স্বাধীনতাবিরোধী পরিকল্পনা ষড়যন্ত্রসহ নয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা  হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাওলানা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে  অভিযোগ আমলে নেয়া হয়।

২০০৩ সালে পাবনা থানায় দায়েরকৃত  মামলায় গত বছর   ২০ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন  মাওলানা  আব্দুস সোবহানকে টাঙ্গাইল থেকে আটক করে। ২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী (চিফ প্রসিকিউটর) গোলাম আরিফ টিপু মাওলানা আব্দুস সোবহানকে  গ্রেফতার দেখানোর (শোন অ্যারেস্ট)  আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন ট্রাইব্যুনাল।  ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে মানবতা বিরোধী অভিযোগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন