বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৩

যুদ্ধাপরাধ বিচার//মৃত্যুদন্ড কার্যকর না করতে আহবান জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের



Not proceed with the death penalties-UN High Commissioner for Human Rights

মেহেদী হাসান, ৬/১১/২০১৩
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদেরকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তা কার্যকর  না করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি   আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ন্যাভি পিলে।

ট্রাইব্যুনালের বিচারে যেসব  মৃত্যৃদণ্ড দেয়া হয়েছে তা কার্যকর করার জন্য সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে হাইকমিশনার  ন্যাভি পিলে বলেছেন, বিশেষ করে এই বিচার কতটা ন্যায়নিষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে।

বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচারে  ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড  এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ন্যাভি পিলে আজ  বিবৃতি প্রদান করেন। এ বিষয়ক প্রেসরিলিজ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

বিবৃতিতে কমিশনার ন্যাভি পিলে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয় ১৯৭১ সালে জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ীরা যাতে অব্যাহতি না পায় সে বিষয়ে খুবই সতর্কতার সাথে বিষয়টি পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল বিচারে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা; যদি সার্বিকভাবে তারা বাংলাদেশে আইনের শাসন জোরদার করতে চায়  এবং অপরাধীদের অব্যাহতি প্রদান থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।

বিবৃতিতে বলা হয় জাতিসংঘ যেকোন পরিস্থিতিতে মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে এমনকি সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনকাল ক্রিমিনাল কোর্টের সদস্য রাষ্ট্র । ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট এবং  এ জাতীয় সকল অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গনহত্যা বিষয়ে মৃত্যুদন্ড রদ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১০ জনকে সাজা দিয়েছে এর মধ্যে সাতজনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচারে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হাইকমিশনার ন্যাভি পিলে বলেছেন এ বিচারের মান   আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড থেকে অনেক দূরে।
বিবৃতিতে বলা হয় বিডিআর বিদ্রোহের সময় যে জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং স্বজন হারানো পরিবার পরিজনের প্রতি আমাদের সহানুভতি রয়েছে কিন্তু গনবিচার, হাজতখানায় সন্দেহভাজনদের ওপর নির্যাতন পরিচালনা করা এবং তাদের মৃত্যুদন্ড দিয়ে  ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করা যাবেনা বিশেষ করে যে বিচার প্রক্রিয়ায় ন্যায় বিচারের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হয়েছে। তথ্য আদায়ের জন্য বন্দীদের ওপর নির্বিচার নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এতে কয়েকজন বন্দী মারা পর্যন্ত গেছে।  শত শত আসামীর যৌথ বিচারের সময় কোর্টেও তারা নির্যাতনের এ অভিযোগ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয় বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন, প্রচলিত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা  বিশেষ করে বিচারের মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) এ বর্নিত অধিকার যাতে বাংলাদেশ ২০১০ সালে স্বাক্ষর করেছে তা বজায় রাখতে হবে। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে  ৮৪৭ জন সন্দেহভাজনের বিচারের ক্ষেত্রে  আসামীদের সময়মত আইনজীবী সহায়তা পাওয়া ছাড়াও প্রক্রিয়াগত ব্যত্যয় ঘটেছে।

বিডিআর বিদ্রোহের পর বন্দী অবস্থায় আসামীদের মৃত্যু, নির্যাতন এবং যেসব মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে স্বাধীন এবং বিস্তারিত তদন্তের  দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে তদন্দের ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ন্যাভি পেলি তার বিবৃতিতে বলেন, নির্যাতন বিরোধী জাতিসংঘ কনভেনশনে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করেছে এবং সে অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূখন্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত যেকোন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রশাসনিক আইনুনগ সকল ব্যবস্থা গ্রহনে বাধ্য বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বিডিআর হত্যার বিচারে যাদের দন্ডিত করা হয়েছে তার প্রতিটি দণ্ড আলাদাভাবে রিভিউ করতে হবে অবশ্যই এবং নির্যাতনের মাধ্যমে যেসব তথ্য আদায় করা হয়েছে তা গ্রহণ করা যাবেনা।

 Not proceed with the death penalties-UN High Commissioner for Human Rights

GENEVA (6 November 2013) – UN High Commissioner for Human Rights Navi Pillay on Wednesday expressed serious alarm at the sentencing to death in Bangladesh of 152 paramilitary personnel after mass trials that fell far short of international human rights standards.

The officers of the Bangladesh Border Guards (previously known as the Bangladesh Rifles Border Guards) were convicted of crimes including murder and sexual assault during a February 2009 mutiny in Dhaka, when 74 people, including army officers, were brutally killed. Bodies were dumped in ditches and some wives of army officers were sexually assaulted.

Yesterday, a special court in Bangladesh set up to prosecute the crimes sentenced 152 people to death and 161 people to life imprisonment.

Reports also indicate that a number of suspects detained for their alleged role in the mutiny died in custody. There are allegations of widespread abuse and torture of the detainees and evidence obtained under torture was reportedly admitted in court during group trials of hundreds of defendants.

“The crimes committed during the mutiny were utterly reprehensible and heinous, and my sympathies are with the grieving families, but justice will not be achieved by conducting mass trials of hundreds of individuals, torturing suspects in custody and sentencing them to death after trials that failed to meet the most fundamental standards of due process,” Pillay said.

“The perpetrators of the crimes must be held accountable in compliance with the laws of Bangladesh and the country’s international obligations, including those pertaining to fair trial standards, as laid down in the International Covenant on Civil and Political Rights, which Bangladesh ratified in 2000. The trial of these 847 suspects has been rife with procedural irregularities, including the lack of adequate and timely access to lawyers.”

The High Commissioner called for an independent and thorough investigation into the allegations of human rights abuses, particularly custodial torture and deaths that took place after the mutiny. “The results of the investigation should be made public and those responsible must be held accountable,” she said, noting that, having ratified the UN Convention against Torture, Bangladesh is obliged to take effective legislative, administrative, judicial or other measures to prevent acts of torture in any territory under its jurisdiction.

“The conviction and sentencing of each of the suspects must be reviewed individually, and any evidence obtained under torture must not be admitted in court,” Pillay said.

The High Commissioner also expressed concern about the conduct of the International Crimes Tribunal (ICT) established in 2010 by the Bangladeshi Government to try citizens accused of committing atrocities during the country’s 1971 independence war.

“The ICT should be a very important means to tackle impunity for the mass atrocities committed in 1971, and to provide redress to the victims who have had a long and difficult road to justice,” Pillay said. “But it is important that the proceedings meet the highest standards if they are to reinforce the rule of law in Bangladesh and the fight against impunity in the broader region.”

The Tribunal has, to date, sentenced 10 individuals, seven of whom have received death sentences.

The High Commissioner urged the Government of Bangladesh not to proceed with the death penalty in cases before the Tribunal, particularly given concerns about the fairness of the trials. 

The United Nations opposes the imposition of the death penalty under any circumstance, even for the most serious international crimes. The International Criminal Court – of which Bangladesh is a State member – and other international criminal tribunals all exclude the death penalty for war crimes, crimes against humanity and genocide.

ENDS
 
 Pillay alarmed at sentencing of 152 paramilitary personnel to death in Bangladesh
 http://www.ohchr.org/EN/NewsEvents/Pages/Media.aspx?IsMediaPage=true&LangID=E

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন