বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

“আপনার বক্তব্য হাজার ভাগ মিথ্যা”

মেহেদী হাসান, ২১/১২/২০১১
মিজানুর রহমানের জেরা  আজ  শেষ হয়েছে। সাক্ষী মিজানুর রহমান আদালতে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ  উত্থাপন করে সাক্ষ্য দিয়েছেন সে বিষয়  উল্লেখ  করে মাওলানা সাঈদীর আইনজীরা  তাকে প্রশ্ন করেন, আপনার এসব অভিযোগ এবং বক্তব্য  মিথ্যা। তখন সাক্ষী মিজানুর রহমান উত্তেজিত হয়ে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীকে বলেন, আপনার বক্তব্য ‘থাউজেন্ড পার্সেন্ট, থাউজেন্ড পার্সেন্ট মিথ্যা” ।

সাক্ষী মিজানুর রহমানকে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে  প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন কোন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘একশ ভাগ মিথ্যা’ । আবার কোন কোন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘একশ ভাগ সত্য’। এর  এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, হাজার ভাগ (থাউজেন্ড  পার্সেন্ট) মিথ্যা।

সাক্ষী মিজানুর রহমানকে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মনজুর আহমদ আনছারী। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানভির আল আমিন।

আইনজীবী: মাওলানা সাঈদী কর্তৃক ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের ধরে মুসলমান বানানোর যে অভিযোগ আপনি  করেছেন তা মিথ্যা
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ৭ মে পাক বাহিনী পারের হাটে আসার পর রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করার পর যেসব কুমকর্ম সংঘটিত হয়েছে যেমন হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ, জোর করে ধর্মান্তরকরণ, নারী নির্যাতন,  রেপের উদ্দেশে গ্রাম্য মহিলাদের ধরে পাক  বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা এবং এসব কাজের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাওলানা সাঈদী জড়িত বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাও মিথ্যা।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: দেশ স্বাধীন হবার পর পারের হাট ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রন মুক্তিযোদ্ধারা গ্রহণ করেন।
সাক্ষী: সত্য।
আইনজীবী: এ ক্যাম্পের কমান্ডার কে ছিলেন?
সাক্ষী: বলতে পারবনা। সম্ভবত নবিন।
আইনজীবী: আপনি  মোহম্মদপুরে থাকেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: আপনার বাসা একটি সরকারি পরিত্যক্ত বাড়ি?
সাক্ষী: একশ ভাগ মিথ্যা।
আইনজীবী: আপনার পেশা?
সাক্ষী: ঠিকাদার।
আইনজীবী: আপনি ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা?
সাক্ষী: একশ ভাগ সত্য।
আইনজীবী: আপনি ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা হওয়ায় এবং মাওলানা সাঈদী জামায়াতের  একজন কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংশার বশবর্তী হয়ে তাকে জনসম্মুখে হেয় করার জন্য, সরকারি আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে এবং ভবিষ্যতে আরো সুবিধা আদায়ের জন্য আপনি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্য মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেন।
সাক্ষী: (উত্তেজিত হয়ে) থাউজেন্ড পার্সেন্ট মিথ্যা, থাউজেন্ড পার্সেন্ট মিথ্যা।
আইনজীবী: আপনি রাষ্ট্রপক্ষের   শেখানো বক্তব্য দিয়েছেন।
সাক্ষী: থাউজেন্ড  পার্সেন্ট মিথ্যা।
এরপর আরো কিছু  প্রশ্নের মাধ্যমে তার জেরা শেষ হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন