বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

১৯৭১ সালে সাক্ষীর বয়স ছিল ১২ বছর// চুরি এবং যৌতুক মামলায় জেলহাজতবাস

মেহেদী হাসান, ১৩/১২/২০১১
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দানকারী প্রথম সাক্ষী মাহবুবুল আলম  হাওলাদারের বয়স ১৯৭১ সালে ছিল ১২ বছর।  মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীর জেরার জবাবে তিনি জানান এসএসসির নিবন্ধনে তার জন্ম তারিখ ছিল ২০ মার্চ ১৯৫৯ সাল। অথচ গত সাত ডিসেম্বর নভেম্বর তিনি যখন আদালতে সাক্ষ্য দেন তখন তিনি তার বয়স উল্লেখ করেছিলেন ৬০ বছর। সে হিসেবে  ১৯৭১ সালে তার বয়স হয় ২০ বছর  এবং জন্ম তারিখ হওয়ার কথা ১৯৫১ সাল।  কিন্তু এসএসসি নিবন্ধন অনুযায়ী  ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ১২ বছর।

জন্মসাল ১৯৫৯ হওয়ার বিষয়ে মাহবুবুল আলম জেরার সময় বলেন,  লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বয়স এরকম হতে পারে।  তিনি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তবে পাশ করতে পারেননি বলে জানান। তাছাড়া তিনি তার প্রথম স্ত্রী ফিরোজা বেগমের দায়ের করা যৌতুক মামলায় হাজত বাস করেছেন।  অপর একটি চুরির মামলায় জেলবাসের কথা  আদালতে স্বীকার করেণ জেরার সময়। প্রথম স্ত্রীর যৌতুক মামলা বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, সেটা ছিল একটি ষড়যন্ত্র  মামলা এবং বর্তমানে তিনি হাইকোর্ট থেকে  জামিনে আছেন। চুরির মামলায় সাজা ভোগের বিষয়ে তিনি জানান, সুভাষ চন্দ্র  নামের এক লোক তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিলেন। তিনি যে ঐ মামলায় আরো কয়েকজনের সাথে আসামী তা তিনি জানতেননা। পরে ঐ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বলে জানান।

চুরির মামলায় রায় দেয়ার সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন কিনা আইনজীবীর এ প্রশ্নের পর আদালত বলেন, মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর আর কিছু থাকেনা। তাই এ নিয়ে আর প্রশ্ন করার দরকার নেই। তখন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, রায়ের দিন আদালতে হাজির থাকা এবং রায়ের পর আবার জেলে পাঠানোর ভিন্ন মানে আছে।  সাজা হয়েছিল বিধায়ই তো খালাসের প্রশ্ন আসে।

এছাড়া স্ত্রীর যৌতুক মামলা বিষয়ে  জেরার সময় আদালত  ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঘাটাঘটির ক্ষেত্রে আপত্তি জানালে  মাওলানা সাঈদীর অপর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, যে লোক স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করেণ  সে লোকতো আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অনেক কিছু করতে পারেণ। যৌতুক দাবি একটি  ফৌজদারি অপরাধ এবং তিনি তাতে অভিযুক্ত হয়েছেন।   কাজেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা অপরিহার্য। এসময় মাওলানা সাঈদীর অপর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, আমার মক্কেল আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে তিনি অনেক অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু তিনি নিজে কোন ধরনের লোক, তার চরিত্র কি রকম সেটা জানা অবশ্যই দরকার।

তখন আদালত এ বিষয়ে জেরার অনুমতি দেন  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আপত্তিসহকারে।

মাহবুবুল আলম প্রথম দিন সাক্ষ্যে গোটা পিরোজপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা গোয়েন্দা দাবি করলেও গতকালের  জেরায় তিনি পিরোজপুরের রাজাকার কমান্ডার কে ছিলেন তা বলতে পারেননি। পিরোজপুর সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি কে ছিলেন তাও বলতে পারেননি। জেরাকালে তিনি স্বীকার করেছেন জিয়ানগরে রাজাকার আল বদর, আল শামসের  কোন লোক ছিলনা।

স্বাধীনতার পর  দালাল আইনে পিরোজপুর  এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ লুটপাট  এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তিন শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হলেও সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।  তিনি তখন মাওলানা সঈদীর বিরুদ্ধে কোন মামলা, জিডি বা কোথাও কোন অভিযোগ করেননি বলে স্বীকার করেণ। তাছাড়া স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের শাসনামল, এরপর এরশাদের শাসনামল এবং তারপরে আবার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলেও তিনি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেণনি। ২০০৯ সালে তিনি  কার দ্বারা প্ররোরিচত হয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করেণ এ প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুল আলম বলেন, তিনি  নিজ উদ্যোগে মামলা করেছেন।

গত সাত ডিসেম্বর  সাক্ষী মাহবুবুল আলম আদালতে সাক্ষ্য দিয় বলেছিলেন, ২  জুন সকাল আনুমানিক ১০টায় পারেরহাট শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী উমেদপুর গ্রামে হিন্দু পারায় আক্রমন চালায়।  এসময় বিশাবালী অসুস্থ  থাকায় তাকে ধরে ফেলে এবং একটি নারিকেল গাছের সাথে বেঁেধ মারমিট করে রাজাকার ও শান্তি কিমিটর লোকজন।  দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নির্দেশক্রমে বলে যে, ওটাকে যখন পেয়েছি ওটাকে গুলি কর। জনৈক রাজাকার গুলি করে বিশাবালীকে হত্যা করে।

কিন্তু  আজ মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী অ্যডভোকেট মিজানুল ইসলাম আদালতে দাখিলকৃত  রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত সংস্থার  ডকুমেন্ট  উল্লেখ করে বলেন, ডকুমেন্টে লেখা আছে বিশাবালীকে উমেদপুরে নারকেল গাছের  সাথে বেঁেধ নয় বরং পিরোজুর বলেশ্বর নদীর খেয়াঘাটে গুলি করে হত্যা করার কথা বলা আছে।


তৃতীয় দিনের  জেরা: 
আইনজীবী: ভলিউম-৩, পৃষ্ঠা ২০৯ এ শান্তি কমিটি কর্তৃক বলেশ্বর নদীতে হত্যার কিছু লোকের একটি তালিকা আপনি দিয়েছেন।
সাক্ষী: হ্যা
আইনজীবী: বলেশ্বর বেধিই বলেশ্বর নদীর পুরনো খেয়াঘাট নামে পরিচিত।
সাক্ষী : হ্যা।
আইনজীবী: উমেদপুর থেকে খেয়াঘাটের দুরত্ব কত?
সাক্ষী: সাড়ে পাঁচ মাইল।
আইনজীবী: তালিকায় ২৬ জনের হত্যার যে তালিকা দিয়েছেন তাদের সবাইকে কি খেয়াঘাটে হত্যা করা হয়?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: তাহলে তাদের সবার নাম এখানে  কেন দিলেন?
সাক্ষী: মন্ত্রণালয় থেকে চাওয়ার প্রেক্ষিতে তাদের মৃত্যু এক জায়গায় না হওয়া সত্তেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা বোঝানোর জন্য শুধুমাত্র বেধির কথা উল্লেখ করেছি।
আইনজীবী: তালিকায় সবশেষে উল্লেখকৃত ব্যক্তির  মৃত্যুর বিষয়ে পৃথক বর্ণনা আছে।  ইব্রহিম কুট্টি, পিতা মৃত গফুর শেখ , গ্রাম বাদুরা, পিরোজপুর। তার :শ্বশুর বাড়ি  পারেরহাট । হোগলাবুনিয়া থেকে তাকে ধরে এনে পারেরহাট বন্দরের পুলের নিকট খালের পারে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সাক্ষী: বর্ণনা আছে।

জেরার এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হলে প্রায় একঘন্টারও বেশি সময় ধরে আদালতে বিতর্ক চলে চার্জশিটের বিষয়বস্তু  থেকে প্রশ্ন করা যাবে কিনা।  মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী অ্যডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন,  তারা এ ডকুমেন্ট আদালতে জমা দিয়েছেন এগুলোর ওপর তারা নির্ভর করেন বিধায়। এর ভিত্তিতে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে চার্জশীট গঠন  করা হয়েছে  এবং আপনারা তা আমলে নিয়েছেন।  সাক্ষী নিজের হাতে সাক্ষর করে এসব ডকুমেন্ট তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দিয়েছেন। এসব  তথ্যই আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজেই চার্জশিটের সকল ডকুমেন্ট থেকে প্রশ্ন  করা যাবে। আদালত তখন তার সাথে একমত পোষন করে চেয়ারম্যান নিজামুল হক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এগুলো জমা দিয়েছেন। কাজেই এর ওপর তারা ক্রস চেক করতে পারবেননা ইট ডাজ নট সাউন্ড গুড (এটা ভাল শোনাচ্ছে না) । 
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন। কিন্তু কখন এবং কাকে প্রশ্ন করা হবে সেটা নিয়েই আমাদের আপত্তি।

তখন মিজানুল ইসলাম বলেন,  যে সাক্ষী এটা জমা দিয়েছেন তাকে যদি জিজ্ঞেস করা না হয় তাহলে আর কাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে। তিনি যখন ডকে থাকবেন তখনই তো জিজ্ঞেস করা হবে।

এভাবে  এক ঘন্টারও বেশি সময়  যুক্তিতর্কের পর আদালত বলেন, বিষয়বস্তু  আনা যাবেনা।  তারপরও মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হলে আদালত বলেন, যে বিষয়বস্তুর ওপর প্রশ্ন করা যাবেনা তা তা আমালেও নেবেনা আদালত।

এরপর এ্যডভোকেট মিজানুল হক মুলতবীর আবেদন করেণ। কিন্তু আদালত জেরা অব্যাহত রাখার আদেশ  দিলে আবার জেরা শুরু হয়।

আইনজীবী: আপনার লেখাপড়া বিষয়ে বলেন। 
সাক্ষী: এসএসসি পাশ করিনি তবে পরীক্ষা দিয়েছিলাম।
আইনজীবী: পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কোন স্কুলে পড়েছেন?
সাক্ষী: উমেদপর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
আইনজীবী: এরপর পারেরহাট রাজলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন ষষ্ঠ শ্রেণীতে?
সাক্ষী: জি।
আইনজীবী : ঐ স্কুলে আপনি এসএসসির নিবন্ধন করেণনি?
সাক্ষী: জি
আইনজীবী: এসএসসি নিবন্ধন করেছেন বালিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে?
আইনজীবী: ঐ নিবন্ধনে আপনার জন্ম তারিখ লেখা আছে ২০ মার্চ ১৯৫৯ সাল?
সাক্ষী:  জি। লেখাপড়ার বেলায় হতে পারে।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত  আল্লামা সাঈদী পিরোজপুরের কোন এমপি, উপজেলা বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার ছিলেননা।
সাক্ষী:  না,  ছিলেননা। তিনি তখন সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন।
আইনজীবী: ঐ সময় রাজাকার, পিস কমিটি কর্তৃক হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচারের জন্য  দালাল আইনে মামলা হয় তা কি জানেন?
সাক্ষী: জি।
আইনজীবী : পিরোজপুরে ঐ সময় প্রায় তিন শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয় দালাল আইনে জানেন?
সাক্ষী: আমি সংখ্যা জানিনা।
আইনজীবী: আপনি ঐ সময় সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন মামলা, বা জিডি বা অন্য কোথাও কোন লিখিত অভিযোগ করেননি?
সাক্ষী: না করিনাই।
আইনজীবী: এরশাদের শাসনামল, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলের সময়ও আপনি কোথাও কোন মামলা, জিড়ি বা লিখিত অভিযোগ করেণনি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে  একথা সত্য?
সাক্ষী: সত্য।
আইনজীবী: ১৯৯২ সালে যে গণ আদালত হয় সেখানেও আপনি কোন অভিযোগ করেণনি।
সাক্ষী:  না করিনাই।
আইনজীবী: ১৯৯৪ সালে যে গণতদন্ত কমিশন হয় সেখানেই আপনি কোন অভিযোগ করেণনি বা সাক্ষী দেননি।
সাক্ষী: আমার কাছে চেয়েছিল কিন্তু আমি কোন অভিযোগ  করিনি বা সাক্ষী দেইনি।
আইনজীবী: ২০০৯ সালে পিরোজপুর আদালতে মামলা করেণ কার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে?
সাক্ষী: নিজ উদ্যোগে।
আইনজীবী: এই মামলার আগে আল্লামা সাঈদীকে সরকার বিদেশ যেতে বাঁধা দেয় তা কি জানেন?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী:   সরকারের  বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আল্লামা সাঈদী রিট পিটিশন  দায়ের করেণ এবং তাতে আদালত আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন তা কি জানেন?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: সরকার  আবার ঐ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছিলেন এবং এর শুনানীতেহ এটর্নি জেনালের বলেছিলেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা হগতে পারে। তা কি জানেন?
সাক্ষী: না জানা নেই।
আইনজীবী: এরপরই আপনি সরকারের নির্দেশে পিরোজপুর আদালতে মামলা করেণ?
সাক্ষী : সত্য নয়।
আইনজীবী: ঐ মামলায় আপনি আল্লামা সাঈদীর নাম মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী লেখেন। সাঈদী কথাটির আগে  ‘বর্তমানে’  শব্দটি যোগ করেণনি। (সাত নভেম্বর সাক্ষ্যদানের সময়  মাহবুবুল আলম মাওলানা সাঈদীর নাম  ‘দেলাওয়ার হোসাইন বর্তমানে সাঈদী’ এভাবে বলেছিলেন বারবার।)
সাক্ষী:  হতে পারে।

আইনজীবী: পিরোজপুর আদালতে আপনি যে দরখাস্ত করেছেন তা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়  তদন্ত কর্মকর্তার  লিখে দেন এবং আপনি শুধুমাত্র সই করেণ একথা কি সত্য?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি বিয়ে করেণ কত সালে?
সাক্ষী ৪/২/১৯৭৩।
আইনজীবী: প্রথম স্ত্রীর নাম?
সাক্ষী: ফিরোজা বেগম।
আইনজীবী: যৌতুকের জন্য প্রথম স্ত্রী পিরোজপুর আদালতে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন?
সাক্ষী: আমি তার বিরুদ্ধে প্রথমে একটি মামলা করি। তারপর সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক যৌতুক মামলা করে। সে মামলায় আমি বর্তমানে জামিনে রয়েছি।
আইনজীবী: আপনার মামলা ফল কি হয়?
সাক্ষী: তালাক এর মাধ্যমে আপোস।
আইনজীবী: সুভাষ চন্দ্র হালদারকে চেনেন?
সাক্ষী: হ্যা:
আইনজীবী: তার বাড়িতে চুরির মামলায় আপানর জেল হয়?
সাক্ষী: তার মামলায় আমার অবর্তমানে সাজা হলেও পরে খালাস পাই।
আইনজীবী: রায়ের দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন?
সাক্ষী: খেয়াল নেই।
আইনজীবী: রায়ের দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং জেলে যান?
সাক্ষী: মনে নেই।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালে পত্রিকা পড়তেন?
সাক্ষী: না , তেমন একটা না।
আইনজীবী: খুলনা কুষ্টিয়ায়  জামায়াতের কে  কবে মিটিং করত তা আপনার জানবার কথা নয়?
সাক্ষী: সঠিক তারিখ জানিনা।
আইনজীবী: বাংলাদেশে পিস কমিটি কবে হয়?
সাক্ষী: জানা নেই। ২৫ মার্চের পরে।
আইনজীবী: পূর্ব পাকিস্তান পিস কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
সাক্ষী: আমার জানামতে গোলাম আযম
আইনজীবী: পিরোজপুর পিস কমিটি কবে গঠন হয়?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: পিরোজপুর সদরের পিস কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
সাক্ষী: সঠিক বলতে পারবনা।
আইনজীবী: মহকুমার সভাপতি কে ছিলেন?
সাক্ষী: আফজাল সাহেব।
আইনজীবী: জিয়ানগরে আলবদর, আল শামস , রাজাকার বাহিনীর কোন লোক ছিলনা।
সাক্ষী: জি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন