বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

পিরোজপুরে ছিলেননা মাওলানা সাঈদী!!!

মেহেদী হাসান, ১৫/১২/২০১১
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত পিরোজপুরে ছিলেননা মাওলানা সাঈদী। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীর  এ সংক্রান্ত এক  প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা  বলেন।
তাছাড়া সাক্ষী মাহবুবুল আলম তার নিজের ঘরসহ পারেরহাট বাজার এবং অন্য কারো বাড়ি লুটপাট অগ্নিসংযোগ এবং হত্যার সময় উপস্থিত ছিলেননা  বলে জেরায় স্বীকার করেছেন। তিনি এসব ঘটনা লোকমুখে শুনেছেন বলে   জানান।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আইনজীবী মনজুর আহমদ আনছারী মামলার বাদী এবং সাক্ষী মাহবুবুল আলমকে প্রশ্ন  করেণ “১৯৭১ সালের  মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত পিরোজপুরে মাওলানা সাঈদী ছিলেনই না। একথা কি সত্য?”
তখন সাক্ষী  হঠাৎ করে বলে ফেলেন “ছিলেন না”।
মাওলানা সাঈদী পিরোজপুরে ‘ছিলেননা’ সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার একথা বলার সাথে সাথে রাষ্ট্রপক্ষের  আইনজীবীরা  হৈচৈ শুরু করে বলেন, সাক্ষী প্রশ্ন বুঝতে পারেননি। এসময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হলে  ট্রাইব্যুনাল  দুই পক্ষকে শান্ত করেণ এবং প্রশ্নটি আবার করতে বলেন ।
পুনরায় প্রশ্নটি করা হলে তখন সাক্ষী মাহবুবুল আলম বলেন ‘ছিলেন’ এবং আদালতের কার্যক্রমে এটিই রেকর্ড  হিসেবে  অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন মাওলানা সাঈদীর অপর আইনজীবী তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেণ পশ্নের উত্তর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা পরে সাক্ষীকে  বলে দিয়েছেন এবং এ উত্তর বাতিল করে পূর্বে ‘ছিলেননা’ বলে যে উত্তর দিয়েছেন তা বজায় রাখা হোক। প্রয়োজনে অডিও রেকর্ড শোনা  হোক বলে দাবি করেণ মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা। তখন ট্রাইব্যুনাল  বলেন আমরা বিষয়টি দেখব।

মামলার বাদী এবং  সাক্ষী মাহবুবুল আলম গত সাত নভেম্বর আদালতে সাক্ষীর সময় বলেন  ৭ মে পাক হানাদার বাহিনী পিরোজপুর আগমন করলে মাওলানা সাঈদীসহ অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। মাওলানা সাঈদী ক্যাপ্টেন ইজাজের সাথে উর্দুভাষায় কথা বলেন। এরপর মাওলানা সাঈদীসহ পিসকমিটির অন্যান্য লোকজন পাক হানাদার বাহিনীকে বাজারের ভেতরে নিয়ে যায়। । মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ  এবং হিন্দুদের দোকানঘর, বসতবাড়ি দেখিয়ে দেয় । সে অনুযায়ী পাক হানাদার বাহিনী বাজারে এবং বসত বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা এবং ধষর্ণ করে। মাওলানা সাঈদী লুটের মালামাল নিয়ে পারের হাট বাজারে পাসতহবিলের দোকান  খোলেন  এবং ঢাকা ও খুলনায় অট্টালিকা নির্মান করেন।

কিন্তু  আজ  মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেছেন মাওলানা সাঈদী ঐসময় পিরোজপুরেই ছিলেননা  এবং স্বাধীনতার পর কখনো পলাতকও ছিলেননা । বরং নিজ বাড়িতেই অবস্থান করেণ স্বাধীনতার পরেও ।

এদিকে সাক্ষী মাহবুবুল আলম গত সাত ডিসেম্বর  আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে মাওলানা সাঈদীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তার নিজের বাড়িসহ পারেরহাট বাজার, উমেদপুর, বাদুরা, চিথলিয়াসহ  আরো অনেকের বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যা ধর্ষনের  মত গুরুতর অভিযোগে করেণ।   কিন্তু আজ এ বিষয়ে জেরার সময় স্বীকার করেছেন তার নিজের ঘরসহ  পারের হাট বাজার এবং অন্য  কারো বসতবাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেননা। তিনি এসব ঘটনার কথা  শুনেছেন। তাছাড়া পারের হাট বাজারে মাখন সাহার দোকান থেকে ২২ শের স্বর্ণ লুটসহ নিজের বাড়িতে স্বর্ণ লুটের া যে আর্থিক হিসাব তিনি আদালতে দাখিল করেছেন তা সবই অনুমানের ওপর নির্ভর করে করেছেন বলে স্বীকার করেণ।

আজ   পঞ্চম দিনে মামলার বাদী এবং সাক্ষী মাহবুবুর আলমের জেরা শেষ হয়েছে। সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সাক্ষীর জেরা   শুরু করেণ মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মনজুর আহমদ আনছারী   এবং মিজানুল ইসলাম।

আইনজীবী: আপনার ঘরে লুটের দিন কি কি লুট হয়।
সাক্ষী: আমি লুটের সময় ছিলাম না। শুনেছি আসবাবপত্র ক্ষতি করেছে। যা নেয়ার নিয়ে নিয়েছে।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালে এক মন ধানের দাম ১৫ টাকা ছিল?
সাক্ষী : ১৫ থেকে ৩০ টাকা  হবে।
আইনজীবী: আপনাদের যে পারিবারিক  অবস্থা তাতে ১৯৭১ সালে কথিত লুটের ঘটনার সময় আপনাদের ঘরে ২০ হাজার টাকা থাকার কথা নয়।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালে স্বর্ণের ভরি ছিল  ২০০ টাকা। আপনি ২২ ভরি স্বর্ণের দাম হিসেব করে দেখিয়েছেন তিন লাখ টাকা। সেসময় স্বর্ণের দামের সাথে তিন লাখ টাকার কোন মিল নেই।  এখন ভরি ৬০ হাজার টাকা হিসাবে দাম  হয় ৬ লাখ টাকা।  এখনকার   টাকার মান এবং বাজার দররের হিসাবের সাথেও মেলেনা। আপনি  আন্দাজে হিসেব দিয়েছেন?
সাক্ষী: আনুমানিক বাজার দর হিসেব করে দিয়েছি। 
আইনজীবী: আপনি বলেছেন, ২/৬/১৯৭১ সালে খুব ভোরে খলিলুর রহমান আপনাকে খবর দেয় যে, পাক হানাদার বাহিনী আপনাদের বাড়ির দিকে যাচ্ছে সত্য?
সাক্ষী: জি।
আইনজীবী: খলিলুর রহমান সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত এবং বর্তমানে পলাতক তা জানেন?
সাক্ষী: জমিজমা নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধের কথা  শুনেছি।
আইনজীবী: আপনার ঘর কোনভাবেই লুট হয়নি সেজন্য আপনি আপনার মামলায় আপনার বাড়ির আশপাশের কাউকে সাক্ষী হিসেবে রাখেননি।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ৭  মে পাক হানাদার বাহিনী  আসার খবর কখন পান?
সাক্ষী: অনুমান সাতটা।
আইনজীবী: রিক্সা স্ট্যান্ডে কখন আসেন?
সাক্ষী: ৯টা অনুমান।
আইনজীবী: ক্যাপ্টেন ইজাজকে চিনলেন কিভাবে?
সাক্ষী: অস্ত্র  জমা দেয়ার আহবান জানিয়ে তার নামে বাজারে মাইকিং করা হয়। তার মাধ্যমে অনুমান করি তিনিই ক্যাপ্টেন ইজাজ।
আইনজীবী: তারা কখন আসে?
সাক্ষী: অনুমান ৯টা।
আইনজীবী: রাজলক্ষী স্কুলে কখন তারা ক্যাম্প করে?
সাক্ষী: সাড়ে ১১টা থেকে ১২টায়।
আইনজীবী: ২৬টি রিক্সার কোন রিক্সাওয়ালাকে চেনেন?
সাক্ষী: খেয়ালে আনা মুশকিল।
আইনজীবী: ৩০/৩৫টি ঘর লুটপাটের কথা কার কাছে জানতে পেরেছেন?
সাক্ষী: মোতাহার আলী মুহুরী।
আইনজীবী:  কখন জানতে পারেণ?
সাক্ষী: ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা।
আইনজীবী: মাখন সাহার দোকানে লুট হওয়া ২২ শের স্বর্ণ কে মাপেন?
সাক্ষী: মালিকরা বলেছেন, ২২ শের স্বর্ণ ছিল। আমি ঐ সময় ছিলামনা।
আইনজীবী: স্বর্ণ টাকা পয়সা লুটের যে হিসাব তা কিভাবে করলেন।
সাক্ষী: বড় বড় ব্যবসায়ীরা ছিল।  তাছাড়া লোকমুখে  শুনেছি।
আইনজীবী: মদন সাহার ঘর কখন লুট হয়?
সাক্ষী: অনেক পরে। সম্ভবত জুন মাসে।
আইনজীবী: মদন সাহার ঘর লূটের দিন কোথায় ছিলেন?
সাক্ষী: বাজারের পথে।
আইনজীবী: সেলিম খান ও মানিক সাহার বাড়ি লুটের সময় আপনি বাড়িতেই ছিলেন?
সাক্ষী: ঐ সময় সেখানে ছিলামনা।
আইনজীবী: নগরবাসী সাহা, বেনিমাধব সাহা, তারকাসাহার ঘর লুটের কথা কার কাছে শুনেছেন?
সাক্ষী: প্রথমে আশপাশের লোকের কাছে এবং পরে এসে দেখেছি।
আইনজীবী: বিশাবালী অসুস্থ ছিলেননা।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: তাকে নারকেল গাছের সাথে বেঁেধ মারপিট এবং গুলি করে হত্যা  করা হয়নি।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: বিশাবালীকে পাক বাহিনী অপহরণ করে এবং বলেশ্বর নদীর খেয়াঘাটে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: চিত্তরঞ্জন , বিশাবালী, অনিল মন্ডলসহ ৩০/৩৫ টি ঘর লুট, আগুন দেয়া এবং বিশাবালীকে হত্যার সাথে মাওলানা সাঈদী জড়িত নন এবং সেখানে আপনি কখনো যানইনি।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: পারেরহাটে মাখন সাহা, মদন সাহা, নগরবাসী সাহা, তারকাসাহা, বেনিবাধব সাহা এবং সেলিম খান, মানিকপাসরীসহ ৩০/৩৫ টি ঘর লুটপাটের সাথে মাওলানা সাঈদী কোনভাবেই জড়িত নন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি জবানন্দীতে যে সময়ে এসব ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন সে সময় মাওলানা সাঈদী পারের হাটেই ছিলেননা।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনার ঘর লুট এবং আপনার বর্ণিত অন্যান্য লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের সময়ও মাওলানা সাঈদী পারের হাট বা আশপাশের এলাকায় ছিলেননা।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: পারেরহাট, বাদুরা, চিথলিয়া, উমেদপুরে  বিষয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা:
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: সাত নভেম্বর জবানবন্দীতে ৭ মার্চ  ভাষন থেকে শুরু করে  রাজাকার বাহিনী গঠন পর্যন্ত যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন তা ২০০৯ সালে পিরোজপুরে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেণনি।

এ পর্যায়ে আদালত  হস্তক্ষেপ করলে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী বলেন, তার সাক্ষ্য এবং লিখিত দরকাস্তের সাথে অমিল আছে বিধায় এ প্রশ্ন জরুরি। তখন টাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজামুল হক বলেন, তিনি যদি আদালতে বা আদালতের নির্দেশিত মেজিস্ট্রেট বা তদন্ত কর্মকর্তার সামনে সাক্ষী দিতেন এবং সে সাক্ষ্যে যদি বৈপরিত্য থাকত তাহলে তা নিয়ে প্রশ্ন করা যেত। যেহেতু সাক্ষী এই আদালত ছাড়া অন্য কোথাও সাক্ষী  দেননি তাই  পিরোজপুর মামলার  বিষয়ের সাথে এখানে দেয়া সাক্ষ্যের বিষয়ে তুলনা করে প্রশ্ন করা যাবেনা।

অ্যাডভোকেট মিজানুল হক তখন অনেক যুক্তি উপস্থাপন  করে বলেন পিরোজপুর মামলায় বর্ণিত  ঐ তথ্য এ মামলার একটি গুরুত্বপূণ ডকুমেন্ট। কারণ মামলা  একই বিষয় নিয়ে। মামলার আসামীও এক।  মামলায় বর্ণিত ঘটনাও এক। মামলার বাদীও এক।  তাই ন্যায় বিচারের সার্থে প্রকৃত সত্য উৎঘাটনের সার্থে পিরোজপুর মামলায় বর্ণিত তথ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে দেয়া  উচিত। আদালত তখন বলেন, বিষয়টি নিয়ম অনুযায়ী আপনার আনেন তখন আমরা বিবেচনা করব। এ নিয়ে প্রায় একঘন্টা যুক্তিতর্ক চলে। এরপর আবার জেরা শুরু হয়।

আইনজীবী: আপনি আদালতে এসে শপথ করে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করছেন তা শতাব্দির শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: যারা আপনার বাড়িতে  আশ্রয়ে ছিলেন এবং পরে আবার দূরে সরিয়ে নিয়েছেন  বলে উল্লেখ করেছেন তাদের কাউকে আপনার বাড়ি লুটের মামলায় সাক্ষী করেণনি।
সাক্ষী: না ।
আইনজীবী: আপনাকে ঢাকায় এনে সরকারি তত্তাবধানে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মাওলানা সাঈদী পিরোজপুরে ছিলেনই না একথা সত্য?

এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী মাহবুবুল আলম প্রথমে বলেন “ছিলেননা” । তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হৈচৈ শুরু হয় এবং তারা অভিযোগ করেণ সাক্ষী প্রশ্ন শুনতে পায়নি। তখন দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয় এবং আদালত পুনরায় প্রশ্নটি করতে বললে আবারো প্রশ্নটি করা হয়। তখন সাক্ষী “ছিলেন” বলে জবাব দেন এবং এটি রকর্ড করা হয়।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা বিষয়টিতে আপত্তি তোলেন এবং সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা উত্তর বলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

আইনজীবী: জুলাই থেকে স্বাধীনতার সময় এবং স্বাধীনতার পরও মাওলানা সাঈদী নিজ বাড়িতেই ছিলেন এবং কখনো পলাতক ছিলেননা। একথা সত্য?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ২০০৩ সারে জিয়া নগর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক ছিলেন আপনি?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়ার জন্য তদন্ত শুরু হলে আপনি মুক্তিযোদ্ধা উপাধি বহাল রাখার জন্য পিরোজপুর এমপি এম এ আউয়ালের  কাছে যান এবং তার চাপে মাওলানা সাঈদীর নামে মিথ্যা মামলা করেণ।
এ পর্যায়ে আদালত বলেন প্রশ্নটি অন্যভাবে আগে করা হয়েছে।
আইনজীবী: মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার  বিনিময়ে আপনার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা  বহাল রয়েছে, আপনি পাকা বাড়ি করেছেন এবং আপনার স্ত্রী বহুভাবে সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন সত্য?
সাক্ষী: সত্য নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন