১৪/৫/২০১৩
লন্ডন ভিত্তিক সাময়িকী দি ইকোনমিস্টোর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক জারি করা আদালত অবমাননা নোটিশের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইকোনমিস্ট’র পক্ষে ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানীতে অংশ নিয়ে বলেন, ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ সংলাপ এবং ২৩০টি ইমেইল ডকুমেন্ট ইকোনমিস্ট কর্তৃপক্ষ তৃতীয় একটি পক্ষের কাছ থেকে লাভ করে। কাজেই স্কাইপ সংলাপ হ্যাকিংয়ের জন্য ইকোনমিস্ট দায়ী। প্রাপ্ত ডকুমেন্ট এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইকনোমিস্ট সোর্সের সাথে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু গোপনীয়তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ সূত্র প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। ব্রিটেনের আইনে সে সুরক্ষা প্রদান করা আছে।
ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম নিয়ে বেলজিয়ামের ড. আহমদ জিয়া উদ্দিনের সাথে বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল ডকুমেন্ট হাতে পাওয়ার পর ইকোনমিস্ট এর সাংবাদিক বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। এ প্রেক্ষিতে গত বছর ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি নিজামুল হক ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে আদালত অবমনানা বিষয়ে নোটিশ জারি করেন বিচারপতি নিজামুল হকের ইমেইল, স্কাইপি একাউন্টস এবং কম্পিউটর থেকে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং গোপন রাখার নির্দেশ দেয়া হয় ইকোনমিস্ট এর বিরুদ্ধে।
আদেশে বলা হয়, ইমেইল, স্কাইপি, কম্পিউটার হ্যাক করা, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতিকে প্রভাবিত করার শামিল। টেলিফোনে চেয়ারম্যানের সাথে যিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি নিজেকে চেয়ারম্যানের সাথে কথপোকথনে লিপ্ত করেছেন এবং আইন অনুযায়ী তিনি এটি পারেননা।
তাই বিচারকাজে বাঁধা সৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ এর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননা বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা সে মর্মে ব্যাখ্যা দানের নির্দেশ দেয়া হয়।
শুনানীর সময় ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমানকে ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন করেন, বিচারকের সাথে সাংবাদিকের কথা বলা অপরাধ কি-না।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোন আইন নেই এবং কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনেরও কোন নজির নেই। বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজীর সাথে দৃটি পত্রিকার সাংবাদিক কথা বলে রিপোর্ট করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে আপিল বিভাগ একটি পর্যবেক্ষন দিয়ে বলেছিলেন সাংবাদিকরা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে কথা বলতে পারতেন বিচারকের কাছে কোন কিছু জানতে চাওয়ার ক্ষেত্রে।
ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান ট্রাইব্যুনালকে প্রস্তাব করেন এ ক্ষেত্রেও কিছু পর্যবেক্ষন দিয়ে বিষয়টির সুরাহা করা যেতে পারে।
ইকোনমিস্ট কোন সূত্র থেকে স্কাইপ এবং ইমেইল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছে তা প্রকাশ করা হয়নি । এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের এ প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাংবাদিকরা কোন অবস্থাতেই সূত্র প্রকাশ করতে বাধ্য নয়।
ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ইকোনমিস্ট এর বিরুদ্ধে নোটিশের মূল বিষয় ছিল বিচারকের সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে। বিচারকের সাথে সাংবাদিকের কথা বলা আদালত অবমাননা কি-না এবং ইকোনমিস্ট পক্ষ দাবি করেছেন তারা সোর্স প্রকাশ করতে বাধ্য নন। এ বিষয়ে আপনাদের জবাব কি?
তাছাড়া বিচারকের সাথে কথা বলার বিষয়ে ব্রিটেনের আইনে কি আছে সে বিষয়েও মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চান ট্রাইব্যুনাল।
উভয় পক্ষ জবাব প্রদানের জন্য সময় চাইলে আগামী ১৮ জুন শুনানীর জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
লন্ডন ভিত্তিক সাময়িকী দি ইকোনমিস্টোর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক জারি করা আদালত অবমাননা নোটিশের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইকোনমিস্ট’র পক্ষে ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানীতে অংশ নিয়ে বলেন, ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ সংলাপ এবং ২৩০টি ইমেইল ডকুমেন্ট ইকোনমিস্ট কর্তৃপক্ষ তৃতীয় একটি পক্ষের কাছ থেকে লাভ করে। কাজেই স্কাইপ সংলাপ হ্যাকিংয়ের জন্য ইকোনমিস্ট দায়ী। প্রাপ্ত ডকুমেন্ট এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইকনোমিস্ট সোর্সের সাথে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু গোপনীয়তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ সূত্র প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। ব্রিটেনের আইনে সে সুরক্ষা প্রদান করা আছে।
ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম নিয়ে বেলজিয়ামের ড. আহমদ জিয়া উদ্দিনের সাথে বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল ডকুমেন্ট হাতে পাওয়ার পর ইকোনমিস্ট এর সাংবাদিক বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। এ প্রেক্ষিতে গত বছর ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি নিজামুল হক ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে আদালত অবমনানা বিষয়ে নোটিশ জারি করেন বিচারপতি নিজামুল হকের ইমেইল, স্কাইপি একাউন্টস এবং কম্পিউটর থেকে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং গোপন রাখার নির্দেশ দেয়া হয় ইকোনমিস্ট এর বিরুদ্ধে।
আদেশে বলা হয়, ইমেইল, স্কাইপি, কম্পিউটার হ্যাক করা, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতিকে প্রভাবিত করার শামিল। টেলিফোনে চেয়ারম্যানের সাথে যিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি নিজেকে চেয়ারম্যানের সাথে কথপোকথনে লিপ্ত করেছেন এবং আইন অনুযায়ী তিনি এটি পারেননা।
তাই বিচারকাজে বাঁধা সৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ এর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননা বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা সে মর্মে ব্যাখ্যা দানের নির্দেশ দেয়া হয়।
শুনানীর সময় ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমানকে ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন করেন, বিচারকের সাথে সাংবাদিকের কথা বলা অপরাধ কি-না।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোন আইন নেই এবং কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনেরও কোন নজির নেই। বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজীর সাথে দৃটি পত্রিকার সাংবাদিক কথা বলে রিপোর্ট করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে আপিল বিভাগ একটি পর্যবেক্ষন দিয়ে বলেছিলেন সাংবাদিকরা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে কথা বলতে পারতেন বিচারকের কাছে কোন কিছু জানতে চাওয়ার ক্ষেত্রে।
ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান ট্রাইব্যুনালকে প্রস্তাব করেন এ ক্ষেত্রেও কিছু পর্যবেক্ষন দিয়ে বিষয়টির সুরাহা করা যেতে পারে।
ইকোনমিস্ট কোন সূত্র থেকে স্কাইপ এবং ইমেইল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছে তা প্রকাশ করা হয়নি । এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের এ প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাংবাদিকরা কোন অবস্থাতেই সূত্র প্রকাশ করতে বাধ্য নয়।
ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ইকোনমিস্ট এর বিরুদ্ধে নোটিশের মূল বিষয় ছিল বিচারকের সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে। বিচারকের সাথে সাংবাদিকের কথা বলা আদালত অবমাননা কি-না এবং ইকোনমিস্ট পক্ষ দাবি করেছেন তারা সোর্স প্রকাশ করতে বাধ্য নন। এ বিষয়ে আপনাদের জবাব কি?
তাছাড়া বিচারকের সাথে কথা বলার বিষয়ে ব্রিটেনের আইনে কি আছে সে বিষয়েও মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চান ট্রাইব্যুনাল।
উভয় পক্ষ জবাব প্রদানের জন্য সময় চাইলে আগামী ১৮ জুন শুনানীর জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন