১৭.৯.১৩
জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার পর ওই রায় পুনর্বিবেচনা বা রিভিউ করা যাবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রায় ঘোষণার পরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দায়ের করার কোন সুযোগ নেই। আপিল বিভাগের রায়ের মধ্য দিয়েই এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
এরপর আবদুল কাদের মোল্লার আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে রায় বিষয় অনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করেন। তখন সাংবাদিকরা কাদের মোল্লার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের কাছে অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধান আসামীকে রিভিউ আবেদন দায়ের করার সুযোগ দিয়েছে। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অধীনে চলে। আর ট্রাইব্যুনাল আইনের উপরে সংবিধান। সুপ্রীম কোর্ট ট্রাইব্যুনালের আইন দিয়ে চলেনা। আমরা সংবিধান ও ট্রাইব্যুনাল আইনে আপিল দায়ের করেছি। ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, একজন যাবজ্জিবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিলের সুযোগ নেই। এখানে রিভিউয়েরও যদি সুযোগ না থাকে তাহলে সে যাবে কোথায়। কাজেই রিভিউ আবেদনের সুযোগ নেই এটা সঠিক নয়।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, যেহেতু আপিল বিভাগ বিচারিক আদালতের যাবজ্জিবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এক্ষেত্রে রায় আইনানুগভাবে হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য আসামী অবশ্যই রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করা হবে ।
এরপর ব্যারিস্টার রাজ্জাকের এই যুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি বিশেষ আইন। এ রায়কে সংবিধান সুরক্সা দিয়েছে। এ আইনে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিধান আছে, তবে রিভিউ দায়েরের কোন সুযোগ নেই। আপিল বিভাগের রায়ের মধ্য দিয়েই এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ। এখন আসামী চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে মা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতির কাছে মার আবেদন নাকচ হলে রায় কার্যকর করা যাবে।
তিনি বলেন, আমার অভিমত আমি দিয়েছি। রাজ্জাক সাহেব তার অভিমত দিয়েছেন। সেেেত্র রিভিউ করা যাবে কি-না, সেটি সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইচ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যাবজ্জিবন সাজা কর্তন করে আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় সংবিধান অনুযায়ী আপিল বিভাগের যে কোন রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার বিধান রয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে ও আমাদের সংবিধান অনুযায়ী রিভিউ করার বিধান অবশ্যই আছে বলে আমি মনে করি। সর্বশেষ আদালত আপিল বিভাগ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামীর অবশ্যই ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য রায় রিভিউ অধিকার না থাকার কোন বিধান আছে বলে আমি মনে করি না। একথা আমাদের মনে রাখতে হবে যেহেতু আপিল বিভাগ বিচারিক আদালতের যাবজ্জিবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ওই রায় আইনানুগভাবে হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য আসামী অবশ্যই রিভিউ আবেদন করতে পারবেন।
অন্যদিকে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ রায়ের পার মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিধান অনুযায়ী আপিল বিভাগ আপিল শুনেছেন। তাই এই রায় রিভিউ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনমন্ত্রী বলেন, অন্যদেশে এ ধরনের অপরাধে আপিলেরও সুযোগ থাকে না। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ বিশেষ আইনে না চললেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আপিল হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, রায় কার্যকরের সুনির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। দণ্ডপ্রাপ্তদের বেলায় যা করণীয় তাই করা হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায় কার্যকরের পদপে নেয়া হবে। জেল কর্তৃপ তাকে (কাদের মোল্লা) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিা চাওয়ার বিষয়ে বলবেন, এজন্য তাকে সময় দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘষিত রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা করা বিধান রয়েছে। রিভিউ আবেদন বিষয়ে সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘আপিল বিভাগের কোন ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা উক্ত বিভাগের থাকিবে।’ অর্থাৎ আপিল বিভাগের ঘোষিত রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আসামীর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার পর ওই রায় পুনর্বিবেচনা বা রিভিউ করা যাবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রায় ঘোষণার পরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দায়ের করার কোন সুযোগ নেই। আপিল বিভাগের রায়ের মধ্য দিয়েই এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
এরপর আবদুল কাদের মোল্লার আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে রায় বিষয় অনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করেন। তখন সাংবাদিকরা কাদের মোল্লার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের কাছে অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধান আসামীকে রিভিউ আবেদন দায়ের করার সুযোগ দিয়েছে। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অধীনে চলে। আর ট্রাইব্যুনাল আইনের উপরে সংবিধান। সুপ্রীম কোর্ট ট্রাইব্যুনালের আইন দিয়ে চলেনা। আমরা সংবিধান ও ট্রাইব্যুনাল আইনে আপিল দায়ের করেছি। ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, একজন যাবজ্জিবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিলের সুযোগ নেই। এখানে রিভিউয়েরও যদি সুযোগ না থাকে তাহলে সে যাবে কোথায়। কাজেই রিভিউ আবেদনের সুযোগ নেই এটা সঠিক নয়।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, যেহেতু আপিল বিভাগ বিচারিক আদালতের যাবজ্জিবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এক্ষেত্রে রায় আইনানুগভাবে হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য আসামী অবশ্যই রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করা হবে ।
এরপর ব্যারিস্টার রাজ্জাকের এই যুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি বিশেষ আইন। এ রায়কে সংবিধান সুরক্সা দিয়েছে। এ আইনে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিধান আছে, তবে রিভিউ দায়েরের কোন সুযোগ নেই। আপিল বিভাগের রায়ের মধ্য দিয়েই এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ। এখন আসামী চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে মা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতির কাছে মার আবেদন নাকচ হলে রায় কার্যকর করা যাবে।
তিনি বলেন, আমার অভিমত আমি দিয়েছি। রাজ্জাক সাহেব তার অভিমত দিয়েছেন। সেেেত্র রিভিউ করা যাবে কি-না, সেটি সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইচ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যাবজ্জিবন সাজা কর্তন করে আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় সংবিধান অনুযায়ী আপিল বিভাগের যে কোন রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার বিধান রয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে ও আমাদের সংবিধান অনুযায়ী রিভিউ করার বিধান অবশ্যই আছে বলে আমি মনে করি। সর্বশেষ আদালত আপিল বিভাগ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামীর অবশ্যই ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য রায় রিভিউ অধিকার না থাকার কোন বিধান আছে বলে আমি মনে করি না। একথা আমাদের মনে রাখতে হবে যেহেতু আপিল বিভাগ বিচারিক আদালতের যাবজ্জিবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ওই রায় আইনানুগভাবে হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য আসামী অবশ্যই রিভিউ আবেদন করতে পারবেন।
অন্যদিকে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ রায়ের পার মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিধান অনুযায়ী আপিল বিভাগ আপিল শুনেছেন। তাই এই রায় রিভিউ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনমন্ত্রী বলেন, অন্যদেশে এ ধরনের অপরাধে আপিলেরও সুযোগ থাকে না। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ বিশেষ আইনে না চললেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আপিল হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, রায় কার্যকরের সুনির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। দণ্ডপ্রাপ্তদের বেলায় যা করণীয় তাই করা হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায় কার্যকরের পদপে নেয়া হবে। জেল কর্তৃপ তাকে (কাদের মোল্লা) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিা চাওয়ার বিষয়ে বলবেন, এজন্য তাকে সময় দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘষিত রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা করা বিধান রয়েছে। রিভিউ আবেদন বিষয়ে সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘আপিল বিভাগের কোন ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা উক্ত বিভাগের থাকিবে।’ অর্থাৎ আপিল বিভাগের ঘোষিত রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আসামীর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন