মেহেদী হাসান, ১২/৫/২০১৩,
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, প্রবীণ আলেমে দ্বীন বিশিষ্ট হাদিস বেত্তা মাওলানা একেএম ইউসুফকে গেপ্তার করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরোয়ানা জারির পরপরই মাওলানা ইউসুফকে তার ধানমন্ডি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব, পুলিশ সদস্যারা।
দুপুর একটার দিকে মাওলানা ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে র্যাব-২ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিকাল চারটার দিকে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনালে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বিকাল পাঁচটার কিছু আগে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল সকালে মাওলানা ইউসুফের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধ বিষয়ক অভিযোগ আমলে নেয়। এরপর ২৬ মে’র মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ৮ মে বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) মাওলানা ইউসুফের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ফরমাল চার্জে মাওলানা ইউসুফের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্মান্তরকরন, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ১৫ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মাওলানা ইউসুফের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয় বলে ঘোষনা করে তদন্ত সংস্থা।
আগামীকাল সোমবার মাওলানা এ কে এম ইউসুফের জামিন আবেদনের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। মাওলানা ইউসুফের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন মাওলানা ইউসুফকে এভাবে গ্রেপ্তার করা এবং কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি দু:খজনক এবং নজিরবিহীন। সকালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সময় ২৬ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আমরা ট্রাইব্যুনালকে বলেছে আজ সোমবার আমরা সেচ্ছায় হাজির করব। ট্রাইব্যুনালও বলেছেন, ২৬ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার কি, আগামী কাল (আজ) আপনারা তাকে হাজির করেন। কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই পরোয়ান হাতে পাবার আগেই আইন প্রয়োগকারী সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। এটা আইনের শাসনের ব্যত্যয়। কোর্ট মুলতবি হয়ে যাবার পর তাকে বিকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং চেম্বারে বসে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, মাওলানা ইউসুফের বর্তমান বয়স ৮৭ বছর। তিনি বার্ধ্যক্যজনিত নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন