মেহেদী হাসান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন শুনানীতে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দর রাজ্জাক বলেছেন, ১৯৭৩ সালের আইনে ব্যক্তি হিসেবে আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়ার এখতিয়ার নেই। আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আলবদর বা রাজাকার বাহিনীর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রমানিত হয়নি এবং তাকে সে হিসেবে সাজাও দেয়া হয়নি। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক তাকে সাজা দেয়া হয়েছে একজন ব্যক্তি হিসেবে। কিন্তু কোন বাহিনীর সাথে জড়িত না থাকলে বিচ্ছিন্ন একজন ব্যক্তি হিসেবে তার বিচার করা এবং সাজা দেয়ার এখতিয়ার ১৯৭৩ সালের আইনে নেই।
আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক দাখিল করা আপিল আবেদনের শুনানীতে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আজ একথা বলেন। প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ শুনানী চলছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের জন্য বাছাই করেছিল স্বাধীনতার পর। কিন্তু ১৯৭৪ সালে তৃতীয় দেশীয় চুক্তির মাধ্যমে তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং তাদের বিচার করা হয়নি। ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য যে আইন ১৯৭৩ সালে করা হয়েছিল সেই আইনের অধীনে আজ দেশীয় সহযোগীদের বিচার করা হচ্ছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মূল অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে, বিচার থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের সহযোগীদের বিচার করা যায়না। বাংলাদেশ হাইকোর্ট কর্তৃকও এ বিষয়ে একটি রায় রয়েছে (৫৪ ডিএলআর-২৯৮)।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজনৈতিক কারনে এ বিচার করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে জামায়াতে ইসলামী এবং আওয়ামী লীগ একসাথে আন্দোলন করার সময় দুই দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অনেক বৈঠক হয়েছে। সেসব বৈঠকে তখন আব্দুল কাদের মোল্লা অংশ নিয়েছেন। তিনি তখন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমদ এবং আব্দুল কাদের মোল্লাকে ১৯৯৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একসাথে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন ঘটনা যে, একসাথে দুটি দলে আন্দোলন করার পর একটি দল কর্তৃক আরেক দলের নেতাদের ৪০ বছর পর বিচারের মুখোমুখি করা হয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতার কারনেই আজ এ বিচার করা হচ্ছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক শুনানীতে বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর পর কেন এ বিচার করা হচ্ছে, বিচার করতে কেন ৪০ বছর সময় নেয়া হল সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ একটি শব্দও উল্লেখ করেনি, কোন ব্যাখ্যা দেয়নি।
এসময় একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন হিটলারের নাজি সদস্যদেরতো এখনো খুঁজে পাওয়া গেলে বিচার করা হচ্ছে।
জবাবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাজিত দলের অনেকে পালিয়ে ছিল। যাদের পাওয়া গেছে তাদের বিচার হয়েছে। সেব্রেনিসা গণহত্যার জন্য দায়ী রাদোভান কারাদজিকও নয় বছর পালিয়ে থাকার পর ধরা পড়েছে এবং তার বিচার হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৪০ বছরে আব্দুল কাদের মোল্লা কখনো পালিয়ে ছিলেননা। তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন, চাকরি করেছেন, রাজনীতি করেছেন, দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বও পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে কোন অভিযোগ আগে আনা হয়নি।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -২ কর্তৃক আদালত অবমাননার অভিযোগে জারি করা রুলের লিখিত জবাব প্রদানের জন্য ২৯ মে শেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আয়াদ এমপি। আসামী পক্ষে গতকাল সময় প্রার্থনা করায় ট্রাইব্যুনাল-২ এ সময় প্রদান করেন।
এছাড়া ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে অষ্টম সাক্ষীর জেরা শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন শুনানীতে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দর রাজ্জাক বলেছেন, ১৯৭৩ সালের আইনে ব্যক্তি হিসেবে আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়ার এখতিয়ার নেই। আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আলবদর বা রাজাকার বাহিনীর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রমানিত হয়নি এবং তাকে সে হিসেবে সাজাও দেয়া হয়নি। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক তাকে সাজা দেয়া হয়েছে একজন ব্যক্তি হিসেবে। কিন্তু কোন বাহিনীর সাথে জড়িত না থাকলে বিচ্ছিন্ন একজন ব্যক্তি হিসেবে তার বিচার করা এবং সাজা দেয়ার এখতিয়ার ১৯৭৩ সালের আইনে নেই।
আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক দাখিল করা আপিল আবেদনের শুনানীতে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আজ একথা বলেন। প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ শুনানী চলছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের জন্য বাছাই করেছিল স্বাধীনতার পর। কিন্তু ১৯৭৪ সালে তৃতীয় দেশীয় চুক্তির মাধ্যমে তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং তাদের বিচার করা হয়নি। ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য যে আইন ১৯৭৩ সালে করা হয়েছিল সেই আইনের অধীনে আজ দেশীয় সহযোগীদের বিচার করা হচ্ছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মূল অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে, বিচার থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের সহযোগীদের বিচার করা যায়না। বাংলাদেশ হাইকোর্ট কর্তৃকও এ বিষয়ে একটি রায় রয়েছে (৫৪ ডিএলআর-২৯৮)।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজনৈতিক কারনে এ বিচার করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে জামায়াতে ইসলামী এবং আওয়ামী লীগ একসাথে আন্দোলন করার সময় দুই দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অনেক বৈঠক হয়েছে। সেসব বৈঠকে তখন আব্দুল কাদের মোল্লা অংশ নিয়েছেন। তিনি তখন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমদ এবং আব্দুল কাদের মোল্লাকে ১৯৯৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একসাথে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন ঘটনা যে, একসাথে দুটি দলে আন্দোলন করার পর একটি দল কর্তৃক আরেক দলের নেতাদের ৪০ বছর পর বিচারের মুখোমুখি করা হয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষতার কারনেই আজ এ বিচার করা হচ্ছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক শুনানীতে বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর পর কেন এ বিচার করা হচ্ছে, বিচার করতে কেন ৪০ বছর সময় নেয়া হল সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ একটি শব্দও উল্লেখ করেনি, কোন ব্যাখ্যা দেয়নি।
এসময় একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন হিটলারের নাজি সদস্যদেরতো এখনো খুঁজে পাওয়া গেলে বিচার করা হচ্ছে।
জবাবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাজিত দলের অনেকে পালিয়ে ছিল। যাদের পাওয়া গেছে তাদের বিচার হয়েছে। সেব্রেনিসা গণহত্যার জন্য দায়ী রাদোভান কারাদজিকও নয় বছর পালিয়ে থাকার পর ধরা পড়েছে এবং তার বিচার হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৪০ বছরে আব্দুল কাদের মোল্লা কখনো পালিয়ে ছিলেননা। তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন, চাকরি করেছেন, রাজনীতি করেছেন, দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বও পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে কোন অভিযোগ আগে আনা হয়নি।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -২ কর্তৃক আদালত অবমাননার অভিযোগে জারি করা রুলের লিখিত জবাব প্রদানের জন্য ২৯ মে শেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আয়াদ এমপি। আসামী পক্ষে গতকাল সময় প্রার্থনা করায় ট্রাইব্যুনাল-২ এ সময় প্রদান করেন।
এছাড়া ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে অষ্টম সাক্ষীর জেরা শেষ হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন