সোমবার, ১৩ মে, ২০১৩

আসামীর নামও উচ্চারন করলেননা সাক্ষী


 মেহেদী হাসান
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গতকাল ৩৪ তম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীর নাম দ্বিজন কৃষ্ণ চৌধুরী (৫৮)। তবে সাক্ষী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে  কোন অভিযোগ করেননি এমনকি আসামীর নামও উচ্চারন করেননি। তাই আসামী পক্ষ থেকে তাকে জেরাও করা হয়নি।

জবানবন্দী :
আমার নাম দ্বিজয় কৃঞ্চ চৌধূরী, আমার বয়স-৫৮ বৎসর, আমার ঠিকানা-জগৎমল্লপাড়া, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম।
১৯৭১ সালে আমার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বৎসর। তখন আমি এস,এস,সি, পরীক্ষার্থী ছিলাম। আমি বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে ডাক বিভাগে চাকুরী করি। ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল তারিখে বেলা আনুমানিক ৯.০০/১০.০০টার সময় আমাদের বাড়ির পশ্চিম দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। গোলাগুলির শব্দ শুনে আমার বাবা-মা, ভাই ও বৌদি সহ আমরা ডাবুয়ায় আমার খালা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিই। যাওয়ার পথে কিছুদূর যাওয়ার পর আমাদের বাড়ির দিকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। লোকমুখে শুনতে পাই স্থানীয় কিছু রাজাকার, আলবদরের লোকজন এবং পাক অর্মিরা এসে শান্তি মিটিংয়ের নাম করে আমাদের বাড়ির পাশে কিরণ বিকাশ চৌধূরী ও সুরেন্দ্র বাবুর বাড়ির উঠানে লোকজন জড়ো করে এবং ব্রাশ ফায়ার করে ৩০/৩২জন মানুষ হত্যা করে। ২/৩দিন পরে বড়–য়া পাড়ার লোকজন এসে কিরণ বিকাশ চৌধূরীর বাড়ির উঠানের পাশে লাশগুলি গণকবর দেয়। পরে আমরা ভারতে চলে যাই। পরে আমরা আরো জানতে পারি যে আমাদের গ্রামের তিনজন বিজয় কৃঞ্চ চৌধূরী, বিধু ভূষণ চৌধূরী এবং ধীরেন্দ্র চৌধূরীকে ধরে ডাবুয়া খালের পাড়ে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে। দেশ স্বাধীনের পর দেশে ফিরে আসার পর জানতে পারি যে নিহতদের হাড় গোড় গণকবর থেকে উঠিয়ে স্থানীয় শ্মশানে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাহ করা হয়। যে স্থানে গণকবর দেওয়া হয়েছিল সেখানে স্মৃতিসৌধ তৈরী করে নিহতদের নাম লেখা হয়েছে। আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট জবানবন্দী প্রদান করেছি।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন