মেহেদী হাসান, ২৭/৫/২০১৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক প্রদত্ত যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানী চলছে। তাকে সাজা থেকে খালাস চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানীতে অংশ নিয়ে আজ আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল অনুমান এবং কল্পনার ওপর ভিত্তি করে আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দিয়েছে। ফ্যাক্টস বা ঘটনার ওপর ভিত্তি করে সাজা দেয়নি। আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ প্রমানিত হয়নি এবং তাকে সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল বিরাট বড় ভুল করেছে বলে তিনি আপিল শুনানীতে বলেন।
আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে এক নং অভিযোগ তথা পল্লব হত্যার অভিযোগে প্রদত্ত সাজার বিরুদ্ধে তিনি যুক্তি পেশ করছিলেন। প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন।
মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লব হত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সাজার বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের সময় ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক রায় থেকে দীর্ঘ সময় নিয়ে পড়ে শোনান এবং রায়ের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পল্লব হত্যা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দুজন সাক্ষী ছিল এবং দুজনই শোনা সাক্ষী। এদের একজন হলেন আব্দুল কাইউম । তিনি ট্রইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, আব্দুল কাদের মোল্লা পল্লব নামে মিরপুর বাংলা কলেজের একজন ছাত্রকে হত্যা করেছে বলে তিনি শুনেছেন। আবার এ শোনা কথা তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দীতে বলেননি; বলেছেন ট্রাইব্যুনালে এসে। তাকে জেরার সময় প্রশ্ন করা হয়েছিল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তিনি একথা বলেছিলেন কি-না। তিনি বলেছেন ‘হ্যা বলেছি’। তদন্ত কর্মকর্তকে জেরার সময় প্রশ্ন করা হয়েছিল আব্দুল কাইউম আপনাকে এ বিষয়ে বলেছিলেন কি-না। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন ‘না তাকে আব্দুল কাইউম একথা বলেননি’।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এরূপ সাক্ষীর শোনা কথা কি করে এভিডেন্সে হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? এভাবে সাক্ষীর বিভিন্ন দুর্বল দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, আব্দুল কাইউমের সাক্ষ্য পুরোপুরি বাদ হলে পল্লব হত্যা বিষয়ে একজন মাত্র সাক্ষী থাকেন এবং তিনি হলেন শহীদুল হক মামা। সাক্ষী শহীদুল হক মামা বলেছেন- তিনি জনতার কাফেলা থেকে এবং পরিচিতদের কাছ থেকে শুনেছেন এ ঘটনার সাথে আব্দুল কাদের মোল্লা জড়িত ছিল।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনালের রায়ের সমালোচনা করে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়েই বলা হয়েছে অন্যান্য ডকুমেন্ট দরকার এ ঘটনায় আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়ার জন্য। কিন্তু আব্দুল কাইউমের সাক্ষ্য বাদ দিলে তো আর কোন ডকুমেন্ট নাই। শুধুমাত্র শহীদুল হক মামার শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে তাকে সাজা দেয়া যেতে পারে? অন্যান্য ডকুমেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আব্দুল কাদের মোল্লা ষাটের দশকে কি করতেন, সত্তরের দশকে কি করতেন, জামায়াতে ইসলামের সাথে তার সম্পর্ক কি ছিল এসব। ব্যারিস্টার রাজ্জাক প্রশ্ন করেন এসব কি কোন ডকুমেন্ট হতে পারে সাজা দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল বিরাট ভুল করেছে। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। সম্পূর্ণ কল্পনা এবং অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পল্লবের আপন ভাবী সাহেরা খাতুন আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে। তিনি সাক্ষ্য দেয়ার সময় বলেছিলেন পল্লব হত্যা বিষয়ে আব্দুল কাদের মোল্লার নাম জীবনেও শোনেননি। জীবনেও আব্দুল কাদের মোল্লার নাম শোনেননি বলায় তার সাক্ষ্য আমলে নেয়নি ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক প্রদত্ত যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানী চলছে। তাকে সাজা থেকে খালাস চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানীতে অংশ নিয়ে আজ আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল অনুমান এবং কল্পনার ওপর ভিত্তি করে আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দিয়েছে। ফ্যাক্টস বা ঘটনার ওপর ভিত্তি করে সাজা দেয়নি। আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ প্রমানিত হয়নি এবং তাকে সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল বিরাট বড় ভুল করেছে বলে তিনি আপিল শুনানীতে বলেন।
আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে এক নং অভিযোগ তথা পল্লব হত্যার অভিযোগে প্রদত্ত সাজার বিরুদ্ধে তিনি যুক্তি পেশ করছিলেন। প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন।
মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লব হত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সাজার বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের সময় ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক রায় থেকে দীর্ঘ সময় নিয়ে পড়ে শোনান এবং রায়ের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পল্লব হত্যা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দুজন সাক্ষী ছিল এবং দুজনই শোনা সাক্ষী। এদের একজন হলেন আব্দুল কাইউম । তিনি ট্রইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, আব্দুল কাদের মোল্লা পল্লব নামে মিরপুর বাংলা কলেজের একজন ছাত্রকে হত্যা করেছে বলে তিনি শুনেছেন। আবার এ শোনা কথা তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দীতে বলেননি; বলেছেন ট্রাইব্যুনালে এসে। তাকে জেরার সময় প্রশ্ন করা হয়েছিল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তিনি একথা বলেছিলেন কি-না। তিনি বলেছেন ‘হ্যা বলেছি’। তদন্ত কর্মকর্তকে জেরার সময় প্রশ্ন করা হয়েছিল আব্দুল কাইউম আপনাকে এ বিষয়ে বলেছিলেন কি-না। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন ‘না তাকে আব্দুল কাইউম একথা বলেননি’।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এরূপ সাক্ষীর শোনা কথা কি করে এভিডেন্সে হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? এভাবে সাক্ষীর বিভিন্ন দুর্বল দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, আব্দুল কাইউমের সাক্ষ্য পুরোপুরি বাদ হলে পল্লব হত্যা বিষয়ে একজন মাত্র সাক্ষী থাকেন এবং তিনি হলেন শহীদুল হক মামা। সাক্ষী শহীদুল হক মামা বলেছেন- তিনি জনতার কাফেলা থেকে এবং পরিচিতদের কাছ থেকে শুনেছেন এ ঘটনার সাথে আব্দুল কাদের মোল্লা জড়িত ছিল।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনালের রায়ের সমালোচনা করে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়েই বলা হয়েছে অন্যান্য ডকুমেন্ট দরকার এ ঘটনায় আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়ার জন্য। কিন্তু আব্দুল কাইউমের সাক্ষ্য বাদ দিলে তো আর কোন ডকুমেন্ট নাই। শুধুমাত্র শহীদুল হক মামার শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে তাকে সাজা দেয়া যেতে পারে? অন্যান্য ডকুমেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আব্দুল কাদের মোল্লা ষাটের দশকে কি করতেন, সত্তরের দশকে কি করতেন, জামায়াতে ইসলামের সাথে তার সম্পর্ক কি ছিল এসব। ব্যারিস্টার রাজ্জাক প্রশ্ন করেন এসব কি কোন ডকুমেন্ট হতে পারে সাজা দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল বিরাট ভুল করেছে। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। সম্পূর্ণ কল্পনা এবং অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পল্লবের আপন ভাবী সাহেরা খাতুন আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে। তিনি সাক্ষ্য দেয়ার সময় বলেছিলেন পল্লব হত্যা বিষয়ে আব্দুল কাদের মোল্লার নাম জীবনেও শোনেননি। জীবনেও আব্দুল কাদের মোল্লার নাম শোনেননি বলায় তার সাক্ষ্য আমলে নেয়নি ট্রাইব্যুনাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন