মেহেদী হাসান, ২/৫/২০১৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ষষ্ঠ সাক্ষী শাহজাহান আলীর জেরা আজ শেষ হয়েছে। মাওলানা নিজামীকে দেখা নিয়ে সাক্ষী পরষ্পরবিরোধী উত্তর দিয়েছেন জেরায় প্রশ্নের জবাবে। সাক্ষীকে প্রশ্ন করা হয় ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বর আগে আপনি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে দেখেছেন কি-না। সাক্ষী জবাব দেন দেখেছি। কোথায় দেখেছেন প্রশ্ন করা হলে সাক্ষী বলেন, ১৯৭০ সালে জামায়াতের প্রার্থী আনোয়ারুল হকের নির্বাচনী জনসভায়। কোন জনসভায় জানতে চাইলে তিনি বলেন সাথিয়ার গৌরীপুর। এরপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি গৌরীপুরের জনসভায় যাননি। অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন জামায়াতের প্রার্থী আনোয়ারুল হকের কোন নির্বাচনী জনসভায়ই তিনি যাননি।
সাক্ষীকে আজ জেরা করেন মাওলানা নিজামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষী টিভি সাক্ষাতকারে বলেছেন ১৯৮৬ সালের আগে তিনি কখনো নিজামীকে দেখেননি। এ বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী ‘মনে নেই’ বলে উত্তর দেন। এরপর এক পর্যায়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, আপনার স্মরন শক্তি কমে গেছে এবং কখন কি বলেন তা আপনার মনে থাকেনা। জবাবে সাক্ষী বলেন, আমি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছি।
গত ৩০ এপ্রিল জবানবন্দী প্রদান শেষে সাক্ষী শাহজাহান আলীর জেরা শুরু হয়। আজ জেরায় অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।
জেরা :
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আগে আপনি কি গ্রামের বাইরে গিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : এই সময়ে সাথিয়া থানার মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কোন তথ্য আপনার নজরে আসেনি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম মতিউর রহমান নিজামীকে দেখেছেন। এর আগে কখনো দেখেননি।
উত্তর : আগে দেখেছি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ এর আগে প্রথম কখন দেখেছেন তাকে?
উত্তর : নাম শুনেছি দেখিনাই।
প্রশ্ন : অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক এর নাম শুনেছেন?
উত্তর : তিনি ১৯৭০ এ জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন ।
প্রশ্ন : তার কোন জনসভায় আপনি গেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আবু সাঈদী সাহেবের কোন নির্বাচনী জনসভায় গেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : কোন জনসভায়?
উত্তর : সাথিয়া, বেড়া সুজানগর জনসভায়।
প্রশ্ন : আর কারো জনসভায় যাননি?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ওই সময় ভোটার হওয়ার বয়স ছিল ১৮ বছর।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আহমেদ রফিক নামে কাউকে চিনতেন?
উত্তর : আমাদের এলাকায় এমপি ছিল ১৯৭০ এ।
প্রশ্ন : সানিক দিয়া সাথিয়া থানার অন্তর্গত পদ্মানদীর একটি চর।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এ চরে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে কে ছিল?
উত্তর : মকবুল হোসেন সঞ্জু।
প্রশ্ন : আপনাদের থানায় সোনাতলা নামে কোন জায়গার নাম আছে?
উত্তর : নাম শুনছি। যাইনি।
প্রশ্ন : ওই গ্রামের অনিল চন্দ্র কুন্ড নামে কারোর নাম শুনেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : নকশাল কমান্ডার বাতেনের নাম শুনেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ঢাকায় চিকিৎসার পর প্রথম আপনি পাবনা গেলেন কবে?
উত্তর : ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধু তখন জীবিত। আমি পাবনা যাবার কিছুদিন পর তাকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
প্রশ্ন : যে সাতটা রাজাকার আপনাদের নদীর চরে নিয়ে গেল তাদের আপনি কতদিন ধরে চিনতেন?
উত্তর : ১৯৭১ থেকে।
প্রশ্ন : ১৪ জুন মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের পর ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সাতটা রাজাকারের সাথে দেখা হয়েছিল কখনো?
উত্তর : হ্যা। তারা মেজর ছিল।
প্রশ্ন : মেজর আর্মির একটি পদ তা জানেন?
উত্তর : তা জানিনা তবে মানসে কইত তারা মেজর।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বরের আগে সাত্তার রাজাকারকে কবে কোথায় দেখেছেন?
উত্তর : ধুলাউড়ায় দেখেছি। ২৮ নভেম্বরের আগে দেখিনি। ওইদিনই প্রথম দেখেছি।
প্রশ্ন : তারপর আর কোনদিন দেখেননি?
উত্তর : দেখেছি, সে যখন নির্বাচন করে তখন।
উত্তর : কোন নির্বাচনের সময়?
উত্তর : প্রথম যখন এমপি হয়।
প্রশ্ন : সেটা কোন সালে ?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : উনি কোথায় থাকতেন জানেন?
উত্তর : শুনেছি ঢাকায় থাকে। সঠিক জানিনা।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বর এর আগে নিজামী সাহেবকে দেখেছেন?
উত্তর : দেখেছি।
প্রশ্ন : কোথায়?
উত্তর : আনোয়ারুল হক এর নির্বাচনী জনসভায়।
প্রশ্ন : জনসভা কোথায় হয়েছিল?
উত্তর : গৌরিগ্রাম।
প্রশ্ন : এটা কোন থানায়?
উত্তর : সাথিয়া।
প্রশ্ন : আপনার গ্রাম থেকে কতদূর?
উত্তর : ৫ মাইল।
প্রশ্ন : ওই জনসভায় আপনি গিয়েছিলেন?
উত্তর : না যাইনি।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বর ধুলাউড়ি কখন গেলেন?
উত্তর : তিনটা সাড়ে তিনটা হবে।
প্রশ্ন : আব্দুল কুদ্দুস সাহেবকে চিনতেন?
উত্তর : চিনতাম। মারা গেছে।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বর আপনি কুদ্দুস সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বর কুদ্দুস সাহেব আর্মির হাতে ধরা পড়েন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : তখন আপনি কোথায় ছিলেন?
উত্তর : তখন আমার জ্ঞান ছিলনা। আমারতো গলা কাটা।
প্রশ্ন : ধুলাউড়িতে কার বাড়িতে ছিলেন?
উত্তর : নাম মনে নেই।
প্রশ্ন : তাকে আপনি আগে থেকে চিনতেননা।
প্রশ্ন : না।
প্রশ্ন : কুদ্দুস সাহেবের সাথে ২৮ নভেম্বর আপনার দেখা হয়নি। ১৯৭৫ সালে পাবনা ফেরার পর প্রথম দেখা হয়।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : কুদ্দুস সাহেবের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : মনমতপুর।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বরের আগে তার সাথে কোন দিন দেখা হয়নি?
উত্তর : হয়েছে।
প্রশ্ন : আপনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা কবে থেকে পান?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে। তখন ৭৫ টাকা পেতাম।
প্রশ্ন : ১০ হাজার টাকা কবে থেকে পাওয়া শুরু করলেন?
উত্তর : দুই বছর আগে থেকে।
প্রশ্ন : ১৯৭৫ সালে পাবনা এসে প্রথমে কোন বাড়ি উঠলেন পদ্ধভিলা না মিয়াপুর?
উত্তর : মিয়াপুর।
প্রশ্ন : আপনাকে হত্যা চেষ্টার বিরুদ্ধে আপনার পরিবারের কেউ মামলা করেছিল?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি নিজেও কোন মামলা করার আগ্রহ অনুভব করেননি?
উত্তর : না। দরকার যে তা বুঝিনি।
প্রশ্ন : মামলা করা দরকার সেটা কবে বুঝে আসল?
উত্তর :ছয়/সাত বছর আগে।
প্রশ্ন : আপনার সাথে অন্য যে সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরা হয়েছি তাদের কারো নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : যে চারজনকে আপনাদের সাথে নদীর পাড়ে নেয়া হয়নি তাদের কি হয়েছিল?
উত্তর : তাদেরও মেরে ফেলা হয়।
প্রশ্ন : ধুলাউড়ির দুই/চারজন ব্যক্তির নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি কোন টিভি চ্যানেলে সাক্ষাতকার দিয়েছেন?
উত্তর : মেলা । অনেক সাক্ষাতকার দিয়েছি।
প্রশ্ন : আপনার মেয়ের জামাইর নাম কি?
উত্তর : রফিক।
প্রশ্ন : তার উপস্থিতিতে আপনি দিগন্ত টিভিতে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন মনে আছে?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনার মেয়ের জামাইর বাড়িতে থাকা অবস্থায় টিভিতে কোন সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন কি-না মনে আছে?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : শাহরিয়ার কবিরের পক্ষে যে মহিলাকে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন সেখানে আপনি নিজামী সাহেবের উপস্থিতির (নদীর পাড়ে তাকে গলাকাটার সময়) কথা বলেননি।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : সুজানগরে আপনার জামাইর বাড়িতে বসে ২০১২ সালের জুলাই মাসে আরো একজনকে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন মনে আছে?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : তাহলে আপনার স্মরনশক্তি অনেক কমে গেছে। কখন কি বলেন বা না বলেন তা আপনার মনে থাকেনা।
উত্তর : আমি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছি।
প্রশ্ন : এখানে সাক্ষ্য দেয়ার সময় কি কি বলতে হবে তা আপনাকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি দুটি টিভিতে সাক্ষাতকারে বলেছেন ১৯৮৬ সালের আগে আপনি নিজামী সাহেবকে দেখেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : একটি টিভি সাক্ষাতকারে আপনি বলেছেন কুদ্দুস সাহেবের শেখানো মতে আপনি নিজামী সাহেবের নাম বলেছেন।
উত্তর : মনে নেই। না।
মাওলানা নিজামীর মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে ১২ মে । ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক গতকাল বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ষষ্ঠ সাক্ষী শাহজাহান আলীর জেরা আজ শেষ হয়েছে। মাওলানা নিজামীকে দেখা নিয়ে সাক্ষী পরষ্পরবিরোধী উত্তর দিয়েছেন জেরায় প্রশ্নের জবাবে। সাক্ষীকে প্রশ্ন করা হয় ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বর আগে আপনি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে দেখেছেন কি-না। সাক্ষী জবাব দেন দেখেছি। কোথায় দেখেছেন প্রশ্ন করা হলে সাক্ষী বলেন, ১৯৭০ সালে জামায়াতের প্রার্থী আনোয়ারুল হকের নির্বাচনী জনসভায়। কোন জনসভায় জানতে চাইলে তিনি বলেন সাথিয়ার গৌরীপুর। এরপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি গৌরীপুরের জনসভায় যাননি। অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন জামায়াতের প্রার্থী আনোয়ারুল হকের কোন নির্বাচনী জনসভায়ই তিনি যাননি।
সাক্ষীকে আজ জেরা করেন মাওলানা নিজামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষী টিভি সাক্ষাতকারে বলেছেন ১৯৮৬ সালের আগে তিনি কখনো নিজামীকে দেখেননি। এ বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী ‘মনে নেই’ বলে উত্তর দেন। এরপর এক পর্যায়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, আপনার স্মরন শক্তি কমে গেছে এবং কখন কি বলেন তা আপনার মনে থাকেনা। জবাবে সাক্ষী বলেন, আমি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছি।
গত ৩০ এপ্রিল জবানবন্দী প্রদান শেষে সাক্ষী শাহজাহান আলীর জেরা শুরু হয়। আজ জেরায় অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।
জেরা :
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আগে আপনি কি গ্রামের বাইরে গিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : এই সময়ে সাথিয়া থানার মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কোন তথ্য আপনার নজরে আসেনি।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম মতিউর রহমান নিজামীকে দেখেছেন। এর আগে কখনো দেখেননি।
উত্তর : আগে দেখেছি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ এর আগে প্রথম কখন দেখেছেন তাকে?
উত্তর : নাম শুনেছি দেখিনাই।
প্রশ্ন : অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক এর নাম শুনেছেন?
উত্তর : তিনি ১৯৭০ এ জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন ।
প্রশ্ন : তার কোন জনসভায় আপনি গেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আবু সাঈদী সাহেবের কোন নির্বাচনী জনসভায় গেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : কোন জনসভায়?
উত্তর : সাথিয়া, বেড়া সুজানগর জনসভায়।
প্রশ্ন : আর কারো জনসভায় যাননি?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ওই সময় ভোটার হওয়ার বয়স ছিল ১৮ বছর।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আহমেদ রফিক নামে কাউকে চিনতেন?
উত্তর : আমাদের এলাকায় এমপি ছিল ১৯৭০ এ।
প্রশ্ন : সানিক দিয়া সাথিয়া থানার অন্তর্গত পদ্মানদীর একটি চর।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এ চরে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে কে ছিল?
উত্তর : মকবুল হোসেন সঞ্জু।
প্রশ্ন : আপনাদের থানায় সোনাতলা নামে কোন জায়গার নাম আছে?
উত্তর : নাম শুনছি। যাইনি।
প্রশ্ন : ওই গ্রামের অনিল চন্দ্র কুন্ড নামে কারোর নাম শুনেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : নকশাল কমান্ডার বাতেনের নাম শুনেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ঢাকায় চিকিৎসার পর প্রথম আপনি পাবনা গেলেন কবে?
উত্তর : ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধু তখন জীবিত। আমি পাবনা যাবার কিছুদিন পর তাকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
প্রশ্ন : যে সাতটা রাজাকার আপনাদের নদীর চরে নিয়ে গেল তাদের আপনি কতদিন ধরে চিনতেন?
উত্তর : ১৯৭১ থেকে।
প্রশ্ন : ১৪ জুন মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের পর ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সাতটা রাজাকারের সাথে দেখা হয়েছিল কখনো?
উত্তর : হ্যা। তারা মেজর ছিল।
প্রশ্ন : মেজর আর্মির একটি পদ তা জানেন?
উত্তর : তা জানিনা তবে মানসে কইত তারা মেজর।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বরের আগে সাত্তার রাজাকারকে কবে কোথায় দেখেছেন?
উত্তর : ধুলাউড়ায় দেখেছি। ২৮ নভেম্বরের আগে দেখিনি। ওইদিনই প্রথম দেখেছি।
প্রশ্ন : তারপর আর কোনদিন দেখেননি?
উত্তর : দেখেছি, সে যখন নির্বাচন করে তখন।
উত্তর : কোন নির্বাচনের সময়?
উত্তর : প্রথম যখন এমপি হয়।
প্রশ্ন : সেটা কোন সালে ?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : উনি কোথায় থাকতেন জানেন?
উত্তর : শুনেছি ঢাকায় থাকে। সঠিক জানিনা।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বর এর আগে নিজামী সাহেবকে দেখেছেন?
উত্তর : দেখেছি।
প্রশ্ন : কোথায়?
উত্তর : আনোয়ারুল হক এর নির্বাচনী জনসভায়।
প্রশ্ন : জনসভা কোথায় হয়েছিল?
উত্তর : গৌরিগ্রাম।
প্রশ্ন : এটা কোন থানায়?
উত্তর : সাথিয়া।
প্রশ্ন : আপনার গ্রাম থেকে কতদূর?
উত্তর : ৫ মাইল।
প্রশ্ন : ওই জনসভায় আপনি গিয়েছিলেন?
উত্তর : না যাইনি।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বর ধুলাউড়ি কখন গেলেন?
উত্তর : তিনটা সাড়ে তিনটা হবে।
প্রশ্ন : আব্দুল কুদ্দুস সাহেবকে চিনতেন?
উত্তর : চিনতাম। মারা গেছে।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বর আপনি কুদ্দুস সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বর কুদ্দুস সাহেব আর্মির হাতে ধরা পড়েন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : তখন আপনি কোথায় ছিলেন?
উত্তর : তখন আমার জ্ঞান ছিলনা। আমারতো গলা কাটা।
প্রশ্ন : ধুলাউড়িতে কার বাড়িতে ছিলেন?
উত্তর : নাম মনে নেই।
প্রশ্ন : তাকে আপনি আগে থেকে চিনতেননা।
প্রশ্ন : না।
প্রশ্ন : কুদ্দুস সাহেবের সাথে ২৮ নভেম্বর আপনার দেখা হয়নি। ১৯৭৫ সালে পাবনা ফেরার পর প্রথম দেখা হয়।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : কুদ্দুস সাহেবের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : মনমতপুর।
প্রশ্ন : ২৮ নভেম্বরের আগে তার সাথে কোন দিন দেখা হয়নি?
উত্তর : হয়েছে।
প্রশ্ন : আপনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা কবে থেকে পান?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে। তখন ৭৫ টাকা পেতাম।
প্রশ্ন : ১০ হাজার টাকা কবে থেকে পাওয়া শুরু করলেন?
উত্তর : দুই বছর আগে থেকে।
প্রশ্ন : ১৯৭৫ সালে পাবনা এসে প্রথমে কোন বাড়ি উঠলেন পদ্ধভিলা না মিয়াপুর?
উত্তর : মিয়াপুর।
প্রশ্ন : আপনাকে হত্যা চেষ্টার বিরুদ্ধে আপনার পরিবারের কেউ মামলা করেছিল?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি নিজেও কোন মামলা করার আগ্রহ অনুভব করেননি?
উত্তর : না। দরকার যে তা বুঝিনি।
প্রশ্ন : মামলা করা দরকার সেটা কবে বুঝে আসল?
উত্তর :ছয়/সাত বছর আগে।
প্রশ্ন : আপনার সাথে অন্য যে সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরা হয়েছি তাদের কারো নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : যে চারজনকে আপনাদের সাথে নদীর পাড়ে নেয়া হয়নি তাদের কি হয়েছিল?
উত্তর : তাদেরও মেরে ফেলা হয়।
প্রশ্ন : ধুলাউড়ির দুই/চারজন ব্যক্তির নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি কোন টিভি চ্যানেলে সাক্ষাতকার দিয়েছেন?
উত্তর : মেলা । অনেক সাক্ষাতকার দিয়েছি।
প্রশ্ন : আপনার মেয়ের জামাইর নাম কি?
উত্তর : রফিক।
প্রশ্ন : তার উপস্থিতিতে আপনি দিগন্ত টিভিতে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন মনে আছে?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনার মেয়ের জামাইর বাড়িতে থাকা অবস্থায় টিভিতে কোন সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন কি-না মনে আছে?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : শাহরিয়ার কবিরের পক্ষে যে মহিলাকে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন সেখানে আপনি নিজামী সাহেবের উপস্থিতির (নদীর পাড়ে তাকে গলাকাটার সময়) কথা বলেননি।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : সুজানগরে আপনার জামাইর বাড়িতে বসে ২০১২ সালের জুলাই মাসে আরো একজনকে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন মনে আছে?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : তাহলে আপনার স্মরনশক্তি অনেক কমে গেছে। কখন কি বলেন বা না বলেন তা আপনার মনে থাকেনা।
উত্তর : আমি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছি।
প্রশ্ন : এখানে সাক্ষ্য দেয়ার সময় কি কি বলতে হবে তা আপনাকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি দুটি টিভিতে সাক্ষাতকারে বলেছেন ১৯৮৬ সালের আগে আপনি নিজামী সাহেবকে দেখেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : একটি টিভি সাক্ষাতকারে আপনি বলেছেন কুদ্দুস সাহেবের শেখানো মতে আপনি নিজামী সাহেবের নাম বলেছেন।
উত্তর : মনে নেই। না।
মাওলানা নিজামীর মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে ১২ মে । ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক গতকাল বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন