তাং- ০২-১০-২০১৩ইং
পূনরায় জেরাঃ
মিসবাহুর রহমান চৌধুরী সাহেবের দেওয়া সিরাজুল ইসলাম মতলিব সাহেবের কথিত চিঠির ফটোকপি আমি জব্দ করেছি। আমার জব্দকৃত প্রদর্শনী-১ এর নিচ অংশে অনেকখানি ফাকা জায়গা আছে। আমি যে প্রদর্শনী- ১ জব্দ করেছি এই জব্দকৃত চিঠি সম্পর্কে অন্য কোন তথ্য তিনি আমাকে দেন নাই।
আমি যে সমস্ত পত্রিকা ও বই পত্র জব্দ করেছি সেগুলি জব্দ করার স্থানে গিয়ে ঐ পত্রিকা ও বইপত্র পড়ে এই মামলার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পরে জব্দ করেছি। ০৩-০৩-২০১১ইং তারিখে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে আমি ১৩.২০ ঘটিকায় গিয়ে ১৭.০০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ২৩-১০-২০১১ইং তারিখে বাংলা একাডেমীতে আমি বেলা ১০.০৫ ঘটিকায় গিয়ে ১৪.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ১৫-০৩-২০১১ইং এবং ২৪-০৩-২০১১ইং তারিখে আমি বাংলা একাডেমীতে যাই নাই। আমার সহযোগী তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান সাহেব সেখানে গিয়েছিলেন কিন্তু কোন অতিরিক্ত কেস ডাইরী না থাকায় আমি বলতে পারছি না তিনি কখন গিয়েছেন এবং কখন ফেরত এসেছেন। ০৩-০৩-২০১১ইং তারিখে এসপি, ডিএসবি কুষ্টিয়ায় আমি যাই নাই এবং অতিরিক্ত কেস ডাইরী না থাকায় ঐ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে আমি কোন তথ্য দিতে পারছি না। ১৫-০৫-২০১১ইং তারিখে বাংলা একাডেমীতে আমি ১১.২০ ঘটিকায় গিয়ে ১৪.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ২৯-০৫-২০১১ইং তারিখে বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে আমার সহযোগী তদন্তকারী কর্মকর্তা আলতাফুর রহমান সাহেব সেখানে গিয়েছিলেন কিন্তু কোন অতিরিক্ত কেস ডাইরী না থাকায় আমি বলতে পারছি না তিনি কখন গিয়েছেন এবং কখন ফেরত এসেছেন। ০৫-০৭-২০১১ইং তারিখে জাতীয় জাদুঘরে আমি ১০.৩০ ঘটিকায় গিয়ে ১৪.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ১৫-০৫-২০১২ইং তারিখে বাংলা একাডেমীতে আমার সহযোগী তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাহান কবীর সাহেব গিয়েছিলেন কিন্তু কোন অতিরিক্ত কেস ডাইরী না থাকায় আমি বলতে পারছি না তিনি কখন গিয়েছেন এবং কখন ফেরত এসেছেন। ১৪-০৬-২০১২ইং তারিখে বাংলা একাডেমীতে আমি ১২.৩০ ঘটিকায় গিয়ে ১৪.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ০২-০৪-২০১১ইং তারিখে জাতীয় জাদুঘরে আমি ১১.৩০ ঘটিকায় গিয়ে ১৫.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ২০-০৪-২০১১, ০১-০৬-২০১১ এবং ০৭-০৬-২০১১ইং তারিখে আমি জাতীয় জাদুঘরে কয়টায় পৌছাই এবং কয়টায় ফেরত আসি তাহা আমি বলতে পারছি না। ০২-০৮-২০১১ইং তারিখে জাতীয় জাদুঘরে আমি ১০.২০ ঘটিকায় গিয়ে ১৭.০০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ১০-০৯-২০১১ইং তারিখে জাতীয় জাদুঘরে আমি ১০.২০ ঘটিকায় গিয়ে ১৫.০০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ১৭-০৪-২০১১ইং তারিখে বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে আমি কয়টায় পৌছাই এবং কয়টায় ফেরত আসি তাহা আমি বলতে পারছি না। ১০-০৯-২০১১ইং তারিখে ১৭৬টি পত্রিকার কাটিং ফটোকপি করতে আমার আনুমানিক সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লেগেছে এবং ফটোকপি করার পর আমি সেগুলো জব্দ করেছি। ০২-০৮-২০১১ইং তারিখে ২০৫টি পত্রিকার কাটিং ফটোকপি করতে আমার আনুমানিক পাঁচ ঘন্টা সময় লেগেছে এবং ফটোকপি করার পর আমি সেগুলো জব্দ করেছি। ০৩-০৩-২০১১ইং তারিখে ৩৪টি আইটেম ফটোকপি করতে আমার আনুমানিক চার ঘন্টা সময় লেগেছে এবং ফটোকপি করার পর আমি সেগুলো জব্দ করেছি। ২৩-১০-২০১১ইং তারিখে ২৫৫টি আইটেম ফটোকপি করতে আমার আনুমানিক চার ঘন্টা সময় লেগেছে এবং ফটোকপি করার পর আমি সেগুলো জব্দ করেছি।
তদন্তকালীন সময়ে আমি ডা: এম এ হাসান কর্তৃক লিখিত “পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী ১৯১” এর প্রথম প্রকাশ ২০০৭, তারেক আলী কর্তৃক লিখিত “The Duel” প্রথম প্রকাশ ২০০৮, মহিতুল আলম ও আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন সম্পাদিত “মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা ১৯৭১” প্রথম প্রকাশ ২০১০, অধ্যাপক ডা: এম এ হাসান কর্তৃক লিখিত “যুদ্ধ ও নারী” প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০০৮, “শীর্ষ পনের পাকি যুদ্ধাপরাধী” প্রথম প্রকাশ ২০০৮ জব্দ করেছিলাম। (চলবে)
পূনরায় জেরা ২টার পর ঃ
ডা: এম এ হাসান কর্তৃক লিখিত “নিরবতার ওপারে কৃষ্ণ মেঘের দিনগুলি” প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারী ২০০৬, “যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা ও বিচারের অন্বেষন” এবং “একাত্তরের নারী নির্যাতন ইতিহাসের কৃষ্ণ অধ্যায়” এই বইগুলো আমি তদন্তকালে জব্দ করেছি।
মহিউদ্দিন চৌধুরী কর্তৃক লিখিত “সান সেট এট মিড ডে” প্রথম প্রকাশ ১৯৯৮, সাঈদ ওয়ালী রেজা নসর কর্তৃক লিখিত “দি ভ্যানগার্ড অব ইসলামিক রেভুলেশন” (কয়েকটি প্রবন্ধের সমন্বয়) প্রথম প্রবন্ধটি ১৯৯২ সালের শীতকালে প্রকাশিত, মুসা খান জালাজাই কর্তৃক লিখিত “সেকটারিয়ানিজম এন্ড পলিটিকো-রিলিজিয়াস টেরোরিজম ইন পাকিস্তান” প্রথম প্রকাশের সন লেখা নাই, রিভাইসড এডিশন ১৯৯৩ সালে, শাহরিয়ার কবীর কর্তৃক লিখিত “বাংলাদেশ মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা” প্রথম প্রকাশ ১৯৯৮, ড. আহমেদ শরীফ গং কর্তৃক সম্পাদিত “একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়” এর চতুর্থ সংস্করন (প্রথম প্রকাশ- ১৯৮৭), হোসেন হাক্কানী কর্তৃক লিখিত “পাকিস্তান বিটুইন মস্ক এন্ড মিলিটারী” প্রথম প্রকাশ ২০০৫, সেলিম মনসুর খালেদ কর্তৃক লিখিত “আলবদর” প্রথম প্রকাশ ২০১০ এর অনুবাদ, জাহানারা ইমাম কর্তৃক লিখিত “একাত্তরের দিনগুলি” দশম সংস্করন প্রথম প্রকাশ ১৯৮৬ এবং মোঃ জহুরুল ইসলাম বিশু কর্তৃক লিখিত “পাবনা জেলার মুক্তিযুদ্ধের কথা” প্রথম প্রকাশ ২০০৯ বইগুলি জব্দ ও প্রদর্শন করেছি। উল্লেখিত বই সমূহের সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ও লেখকদের মধ্যে অধ্যাপক আবু সাঈদ, ডা: এম এ হাসান, আজাদুর রহমান চন্দন, শাহরিয়ার কবীর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে গবেষনা করেছেন, বিভিন্ন পুস্তক ও প্রবন্ধ লিখেছেন। জনাব শাহরিয়ার কবীর দৈনিক বাংলা এবং সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে অনুসন্ধানী কোন রিপোর্ট ১৯৮১ সালে প্রকাশ করেছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। শাহরিয়ার কবীর সাহেবকে এই মামলায় আমি সাক্ষী মান্য করেছি। তিনি উক্ত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাকে কোন তথ্য দেন নাই। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এদেশে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত অপরাধ এবং এই অপরাধের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখে অনেক বই প্রকাশিত হলেও এই মমলায় আমি জব্দ করি নাই। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার, জেনারেল সি আর দত্ত এবং জেনারেল শফিউল্লাহসহ মাঠ পর্যায়ের অনেক সামরিক অফিসার এখনো জীবিত আছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গসহ মাঠ পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কোন সামরিক অফিসারকে আমি এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করি নাই এবং সাক্ষীও করি নাই। পাবনার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যাপক আবু সাঈদ সাহেব জীবিত আছেন। পাবনার অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা জীবিত আছেন কিনা তাহা আমি বলতে পারব না। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকায় বিচ্ছু বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন কিনা তাহা আমার জানা নাই, তবে তিনি জীবিত আছেন। ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল সাহেব ঢাকা অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা তাহা আমি জানি না। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকা সেক্টর-২ এর অধীনে ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। কর্ণেল আয়েন উদ্দিন ঢাকা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। ঢাকা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বিচ্ছু বাহিনী নামে একটি গেরিলা গ্রুপ ছিল শুনেছি তবে এর বেশী কিছু আমি জানিনা। যশোর অঞ্চল যে সেক্টরের অধীনে ছিল তার সাব সেক্টর কমান্ডার এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। চট্টগ্রাম এবং যশোর অঞ্চলের কোন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বা কোন ব্যক্তিকে আমি এই মামলায় সাক্ষী করি নাই।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট অভিযান শুরু হওয়ার সাথে সাথে গণমাধ্যমের উপর প্রেস সেন্সরশীপ চালু করা হয়েছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। ১৯৭১ সালে সংবাদ পরিবেশনের উপর কোন প্রেস সেন্সরশীপ ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। ১৯৭১ সালে এদেশে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক অবজারভার, দৈনিক মর্নিং নিউজ নামে পত্রিকাসমূহ চালু ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে দৈনিক সংগ্রামের প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়, দৈনিক পাকিস্তান দৈনিক বাংলায় রূপান্তরিত হয় এবং বাংলার বাণী নামে নতুন একটি পত্রিকা চালু হয়। আমার জানা নাই যে, ঐ পত্রিকা সমূহে ১৯৭১ সালের বা স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে কর্মরত অনেক সাংবাদিক ও কর্মচারী এখনও জীবিত আছেন কিনা। উল্লেখিত সংবাদপত্রসমূহের অফিস ও সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে আমি একথা জানার চেষ্টা করি নাই যে, ঐ সময়ে কর্মরত কোন সাংবাদিক বা কর্মচারী এখনও জীবিত আছেন কিনা। জনাব এবিএম মুসা ও জনাব আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৭১ সালের ১৯৭১ সালের পূর্ব থেকে সাংবাদিকতা করতেন, তারা এখনো জীবিত আছেন এবং তারা এখনো সাংবাদিকতার সাথে জড়িত আছেন।
১৯৭১ সালে বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাদেশে কর্মরত ছিল তবে অন্য কোন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বা প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশে কর্মরত ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। ১৯৭১ সালে বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকা থেকে প্রচারিত কোন সংবাদে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবকে আলবদর প্রধান বলা হয়েছিল মর্মে শুনি নাই। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কোন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার এই মর্মে প্রচারিত কোন সংবাদ আমি সংগ্রহ করতে পারি নাই যাতে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবকে আলবদর বাহিনীর প্রধান বলা হয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সংবাদ প্রচারের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগের আমি চেষ্টা করি নাই। আমি শুনেছি যে, বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড বিষয়ে সর্বপ্রথম বৃটেনের চ্যানেল-৪ এ একটি ডকুমেন্টারী প্রচারিত হয়েছিল। এই ডকুমেন্টারী প্রস্তুতকারী এখন বাংলাদেশে বসবাস করেন। বৃটেনের চ্যানেল ৪ এ প্রচারিত সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টারীতে মতিউর রহমান নিজামী সাহেব আলবদর বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন মর্মে কোন তথ্য আছে কিনা তাহা আমি উক্ত ডকুমেন্টারী না দেখার কারণে বলতে পারছি না।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং অপরাধের সহিত জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিদেশী সাংবাদিক বাংলাদেশে এসিছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই।
ফাদার রিচার্ড উইলিয়াম টীম এর জবানবন্দী আমার সহযোগী তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম তদন্তকালে ঢাকায় লিপিবদ্ধ করেছেন। তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য কোন নির্দেশনা আমি প্রাপ্ত হইনি।
গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট আমি তদন্তকালে সংগ্রহ করেছি। গণতদন্ত কমিশন রিপোর্ট প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট জনাব শাহরিয়ার কবিরসহ অনেকেই এখনও জীবিত আছেন। শাহরিয়ার কবীর ছাড়া গণতদন্ত কমিশনের কাউকে আমি এই মামলায় সাক্ষী মান্য করি নাই। জনাব শাহরিয়ার কবীর সাহেবকে অত্র মামলায় সাক্ষী হিসেবে হাজির করার জন্য কোন নির্দেশনা আমি পাই নাই।
প্রদর্শনী-২, জব্দ তালিকার তারিখ ১৫/০৫/২০১১ ইং এর ক্রমিক-১ এর বক্তব্যটি হাতে লিখা এবং বাকীগুলো কম্পিউটারে কম্পোজ করা। প্রদর্শনী-২/১ দৈনিক সংগ্রাম ১৩/০৫/১৯৭১ তারিখের সংখ্যার সংশ্লিষ্ট পত্রিকার উপ-সম্পাদকীয়। ধূমকেতু ছদ্মনামে উপ সম্পাদকীয়টি প্রকাশিত। এই লেখার মধ্যে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের বক্তব্যের কোন উদ্ধৃতি নাই। প্রদর্শনী-২/২ দৈনিক সংগ্রামের ২৩/৫/১৯৭১ইং তারিখের সম্পাদকীয়, প্রদর্শনী-২/৩ দৈনিক সংগ্রামের ২৮/৫/১৯৭১ ইং তারিখের সম্পাদকীয়, প্রদর্শনী-২/৪ দৈনিক সংগ্রামের ৩/৮/১৯৭১ তারিখের সম্পাদকীয় পত্রিকার কোনটিতেও মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের নাম নাই। (চলবে)
পূনরায় জেরাঃ
মিসবাহুর রহমান চৌধুরী সাহেবের দেওয়া সিরাজুল ইসলাম মতলিব সাহেবের কথিত চিঠির ফটোকপি আমি জব্দ করেছি। আমার জব্দকৃত প্রদর্শনী-১ এর নিচ অংশে অনেকখানি ফাকা জায়গা আছে। আমি যে প্রদর্শনী- ১ জব্দ করেছি এই জব্দকৃত চিঠি সম্পর্কে অন্য কোন তথ্য তিনি আমাকে দেন নাই।
আমি যে সমস্ত পত্রিকা ও বই পত্র জব্দ করেছি সেগুলি জব্দ করার স্থানে গিয়ে ঐ পত্রিকা ও বইপত্র পড়ে এই মামলার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পরে জব্দ করেছি। ০৩-০৩-২০১১ইং তারিখে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে আমি ১৩.২০ ঘটিকায় গিয়ে ১৭.০০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ২৩-১০-২০১১ইং তারিখে বাংলা একাডেমীতে আমি বেলা ১০.০৫ ঘটিকায় গিয়ে ১৪.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ১৫-০৩-২০১১ইং এবং ২৪-০৩-২০১১ইং তারিখে আমি বাংলা একাডেমীতে যাই নাই। আমার সহযোগী তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান সাহেব সেখানে গিয়েছিলেন কিন্তু কোন অতিরিক্ত কেস ডাইরী না থাকায় আমি বলতে পারছি না তিনি কখন গিয়েছেন এবং কখন ফেরত এসেছেন। ০৩-০৩-২০১১ইং তারিখে এসপি, ডিএসবি কুষ্টিয়ায় আমি যাই নাই এবং অতিরিক্ত কেস ডাইরী না থাকায় ঐ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে আমি কোন তথ্য দিতে পারছি না। ১৫-০৫-২০১১ইং তারিখে বাংলা একাডেমীতে আমি ১১.২০ ঘটিকায় গিয়ে ১৪.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ২৯-০৫-২০১১ইং তারিখে বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে আমার সহযোগী তদন্তকারী কর্মকর্তা আলতাফুর রহমান সাহেব সেখানে গিয়েছিলেন কিন্তু কোন অতিরিক্ত কেস ডাইরী না থাকায় আমি বলতে পারছি না তিনি কখন গিয়েছেন এবং কখন ফেরত এসেছেন। ০৫-০৭-২০১১ইং তারিখে জাতীয় জাদুঘরে আমি ১০.৩০ ঘটিকায় গিয়ে ১৪.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ১৫-০৫-২০১২ইং তারিখে বাংলা একাডেমীতে আমার সহযোগী তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাহান কবীর সাহেব গিয়েছিলেন কিন্তু কোন অতিরিক্ত কেস ডাইরী না থাকায় আমি বলতে পারছি না তিনি কখন গিয়েছেন এবং কখন ফেরত এসেছেন। ১৪-০৬-২০১২ইং তারিখে বাংলা একাডেমীতে আমি ১২.৩০ ঘটিকায় গিয়ে ১৪.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ০২-০৪-২০১১ইং তারিখে জাতীয় জাদুঘরে আমি ১১.৩০ ঘটিকায় গিয়ে ১৫.৩০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ২০-০৪-২০১১, ০১-০৬-২০১১ এবং ০৭-০৬-২০১১ইং তারিখে আমি জাতীয় জাদুঘরে কয়টায় পৌছাই এবং কয়টায় ফেরত আসি তাহা আমি বলতে পারছি না। ০২-০৮-২০১১ইং তারিখে জাতীয় জাদুঘরে আমি ১০.২০ ঘটিকায় গিয়ে ১৭.০০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ১০-০৯-২০১১ইং তারিখে জাতীয় জাদুঘরে আমি ১০.২০ ঘটিকায় গিয়ে ১৫.০০ ঘটিকায় ফেরত আসি। ১৭-০৪-২০১১ইং তারিখে বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে আমি কয়টায় পৌছাই এবং কয়টায় ফেরত আসি তাহা আমি বলতে পারছি না। ১০-০৯-২০১১ইং তারিখে ১৭৬টি পত্রিকার কাটিং ফটোকপি করতে আমার আনুমানিক সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লেগেছে এবং ফটোকপি করার পর আমি সেগুলো জব্দ করেছি। ০২-০৮-২০১১ইং তারিখে ২০৫টি পত্রিকার কাটিং ফটোকপি করতে আমার আনুমানিক পাঁচ ঘন্টা সময় লেগেছে এবং ফটোকপি করার পর আমি সেগুলো জব্দ করেছি। ০৩-০৩-২০১১ইং তারিখে ৩৪টি আইটেম ফটোকপি করতে আমার আনুমানিক চার ঘন্টা সময় লেগেছে এবং ফটোকপি করার পর আমি সেগুলো জব্দ করেছি। ২৩-১০-২০১১ইং তারিখে ২৫৫টি আইটেম ফটোকপি করতে আমার আনুমানিক চার ঘন্টা সময় লেগেছে এবং ফটোকপি করার পর আমি সেগুলো জব্দ করেছি।
তদন্তকালীন সময়ে আমি ডা: এম এ হাসান কর্তৃক লিখিত “পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী ১৯১” এর প্রথম প্রকাশ ২০০৭, তারেক আলী কর্তৃক লিখিত “The Duel” প্রথম প্রকাশ ২০০৮, মহিতুল আলম ও আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন সম্পাদিত “মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা ১৯৭১” প্রথম প্রকাশ ২০১০, অধ্যাপক ডা: এম এ হাসান কর্তৃক লিখিত “যুদ্ধ ও নারী” প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০০৮, “শীর্ষ পনের পাকি যুদ্ধাপরাধী” প্রথম প্রকাশ ২০০৮ জব্দ করেছিলাম। (চলবে)
পূনরায় জেরা ২টার পর ঃ
ডা: এম এ হাসান কর্তৃক লিখিত “নিরবতার ওপারে কৃষ্ণ মেঘের দিনগুলি” প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারী ২০০৬, “যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা ও বিচারের অন্বেষন” এবং “একাত্তরের নারী নির্যাতন ইতিহাসের কৃষ্ণ অধ্যায়” এই বইগুলো আমি তদন্তকালে জব্দ করেছি।
মহিউদ্দিন চৌধুরী কর্তৃক লিখিত “সান সেট এট মিড ডে” প্রথম প্রকাশ ১৯৯৮, সাঈদ ওয়ালী রেজা নসর কর্তৃক লিখিত “দি ভ্যানগার্ড অব ইসলামিক রেভুলেশন” (কয়েকটি প্রবন্ধের সমন্বয়) প্রথম প্রবন্ধটি ১৯৯২ সালের শীতকালে প্রকাশিত, মুসা খান জালাজাই কর্তৃক লিখিত “সেকটারিয়ানিজম এন্ড পলিটিকো-রিলিজিয়াস টেরোরিজম ইন পাকিস্তান” প্রথম প্রকাশের সন লেখা নাই, রিভাইসড এডিশন ১৯৯৩ সালে, শাহরিয়ার কবীর কর্তৃক লিখিত “বাংলাদেশ মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা” প্রথম প্রকাশ ১৯৯৮, ড. আহমেদ শরীফ গং কর্তৃক সম্পাদিত “একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়” এর চতুর্থ সংস্করন (প্রথম প্রকাশ- ১৯৮৭), হোসেন হাক্কানী কর্তৃক লিখিত “পাকিস্তান বিটুইন মস্ক এন্ড মিলিটারী” প্রথম প্রকাশ ২০০৫, সেলিম মনসুর খালেদ কর্তৃক লিখিত “আলবদর” প্রথম প্রকাশ ২০১০ এর অনুবাদ, জাহানারা ইমাম কর্তৃক লিখিত “একাত্তরের দিনগুলি” দশম সংস্করন প্রথম প্রকাশ ১৯৮৬ এবং মোঃ জহুরুল ইসলাম বিশু কর্তৃক লিখিত “পাবনা জেলার মুক্তিযুদ্ধের কথা” প্রথম প্রকাশ ২০০৯ বইগুলি জব্দ ও প্রদর্শন করেছি। উল্লেখিত বই সমূহের সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ও লেখকদের মধ্যে অধ্যাপক আবু সাঈদ, ডা: এম এ হাসান, আজাদুর রহমান চন্দন, শাহরিয়ার কবীর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে গবেষনা করেছেন, বিভিন্ন পুস্তক ও প্রবন্ধ লিখেছেন। জনাব শাহরিয়ার কবীর দৈনিক বাংলা এবং সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে অনুসন্ধানী কোন রিপোর্ট ১৯৮১ সালে প্রকাশ করেছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। শাহরিয়ার কবীর সাহেবকে এই মামলায় আমি সাক্ষী মান্য করেছি। তিনি উক্ত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাকে কোন তথ্য দেন নাই। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এদেশে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত অপরাধ এবং এই অপরাধের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখে অনেক বই প্রকাশিত হলেও এই মমলায় আমি জব্দ করি নাই। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার, জেনারেল সি আর দত্ত এবং জেনারেল শফিউল্লাহসহ মাঠ পর্যায়ের অনেক সামরিক অফিসার এখনো জীবিত আছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গসহ মাঠ পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কোন সামরিক অফিসারকে আমি এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করি নাই এবং সাক্ষীও করি নাই। পাবনার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যাপক আবু সাঈদ সাহেব জীবিত আছেন। পাবনার অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা জীবিত আছেন কিনা তাহা আমি বলতে পারব না। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকায় বিচ্ছু বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন কিনা তাহা আমার জানা নাই, তবে তিনি জীবিত আছেন। ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল সাহেব ঢাকা অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা তাহা আমি জানি না। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকা সেক্টর-২ এর অধীনে ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। কর্ণেল আয়েন উদ্দিন ঢাকা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। ঢাকা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বিচ্ছু বাহিনী নামে একটি গেরিলা গ্রুপ ছিল শুনেছি তবে এর বেশী কিছু আমি জানিনা। যশোর অঞ্চল যে সেক্টরের অধীনে ছিল তার সাব সেক্টর কমান্ডার এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। চট্টগ্রাম এবং যশোর অঞ্চলের কোন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বা কোন ব্যক্তিকে আমি এই মামলায় সাক্ষী করি নাই।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট অভিযান শুরু হওয়ার সাথে সাথে গণমাধ্যমের উপর প্রেস সেন্সরশীপ চালু করা হয়েছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। ১৯৭১ সালে সংবাদ পরিবেশনের উপর কোন প্রেস সেন্সরশীপ ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। ১৯৭১ সালে এদেশে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক অবজারভার, দৈনিক মর্নিং নিউজ নামে পত্রিকাসমূহ চালু ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে দৈনিক সংগ্রামের প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়, দৈনিক পাকিস্তান দৈনিক বাংলায় রূপান্তরিত হয় এবং বাংলার বাণী নামে নতুন একটি পত্রিকা চালু হয়। আমার জানা নাই যে, ঐ পত্রিকা সমূহে ১৯৭১ সালের বা স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে কর্মরত অনেক সাংবাদিক ও কর্মচারী এখনও জীবিত আছেন কিনা। উল্লেখিত সংবাদপত্রসমূহের অফিস ও সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে আমি একথা জানার চেষ্টা করি নাই যে, ঐ সময়ে কর্মরত কোন সাংবাদিক বা কর্মচারী এখনও জীবিত আছেন কিনা। জনাব এবিএম মুসা ও জনাব আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৭১ সালের ১৯৭১ সালের পূর্ব থেকে সাংবাদিকতা করতেন, তারা এখনো জীবিত আছেন এবং তারা এখনো সাংবাদিকতার সাথে জড়িত আছেন।
১৯৭১ সালে বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাদেশে কর্মরত ছিল তবে অন্য কোন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বা প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশে কর্মরত ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। ১৯৭১ সালে বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকা থেকে প্রচারিত কোন সংবাদে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবকে আলবদর প্রধান বলা হয়েছিল মর্মে শুনি নাই। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কোন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার এই মর্মে প্রচারিত কোন সংবাদ আমি সংগ্রহ করতে পারি নাই যাতে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবকে আলবদর বাহিনীর প্রধান বলা হয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সংবাদ প্রচারের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগের আমি চেষ্টা করি নাই। আমি শুনেছি যে, বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড বিষয়ে সর্বপ্রথম বৃটেনের চ্যানেল-৪ এ একটি ডকুমেন্টারী প্রচারিত হয়েছিল। এই ডকুমেন্টারী প্রস্তুতকারী এখন বাংলাদেশে বসবাস করেন। বৃটেনের চ্যানেল ৪ এ প্রচারিত সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টারীতে মতিউর রহমান নিজামী সাহেব আলবদর বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন মর্মে কোন তথ্য আছে কিনা তাহা আমি উক্ত ডকুমেন্টারী না দেখার কারণে বলতে পারছি না।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং অপরাধের সহিত জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিদেশী সাংবাদিক বাংলাদেশে এসিছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই।
ফাদার রিচার্ড উইলিয়াম টীম এর জবানবন্দী আমার সহযোগী তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম তদন্তকালে ঢাকায় লিপিবদ্ধ করেছেন। তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য কোন নির্দেশনা আমি প্রাপ্ত হইনি।
গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট আমি তদন্তকালে সংগ্রহ করেছি। গণতদন্ত কমিশন রিপোর্ট প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট জনাব শাহরিয়ার কবিরসহ অনেকেই এখনও জীবিত আছেন। শাহরিয়ার কবীর ছাড়া গণতদন্ত কমিশনের কাউকে আমি এই মামলায় সাক্ষী মান্য করি নাই। জনাব শাহরিয়ার কবীর সাহেবকে অত্র মামলায় সাক্ষী হিসেবে হাজির করার জন্য কোন নির্দেশনা আমি পাই নাই।
প্রদর্শনী-২, জব্দ তালিকার তারিখ ১৫/০৫/২০১১ ইং এর ক্রমিক-১ এর বক্তব্যটি হাতে লিখা এবং বাকীগুলো কম্পিউটারে কম্পোজ করা। প্রদর্শনী-২/১ দৈনিক সংগ্রাম ১৩/০৫/১৯৭১ তারিখের সংখ্যার সংশ্লিষ্ট পত্রিকার উপ-সম্পাদকীয়। ধূমকেতু ছদ্মনামে উপ সম্পাদকীয়টি প্রকাশিত। এই লেখার মধ্যে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের বক্তব্যের কোন উদ্ধৃতি নাই। প্রদর্শনী-২/২ দৈনিক সংগ্রামের ২৩/৫/১৯৭১ইং তারিখের সম্পাদকীয়, প্রদর্শনী-২/৩ দৈনিক সংগ্রামের ২৮/৫/১৯৭১ ইং তারিখের সম্পাদকীয়, প্রদর্শনী-২/৪ দৈনিক সংগ্রামের ৩/৮/১৯৭১ তারিখের সম্পাদকীয় পত্রিকার কোনটিতেও মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের নাম নাই। (চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন