মেহেদী হাসান, ২৪/১০/২০১৩
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরনের অভিযোগে শোকজ নোটিশ জারি করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
আগামী সাত নভেম্বরের মধ্যে অভিযোগের জবাব প্রদানের জন্য সময় নির্ধারন করে আজ এ নোটিশ জারি করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী গত বছর ৩১ ডিসেম্বর জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বরাবর অভিযোগ করেন। স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে গুরুতর পেশাগত অসদাচরনের অভিযোগ এনে জেয়াদ আল মালুমের আইনজীবী সনদ বাতিলের আবেদন করেন তিনি। এছাড়া স্কাইপ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকা এবং বিচার নিয়ে প্রহসন করার অভিযোগে জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানানো হয় দরখাস্তে। এ আবেদনের প্রক্ষিতে আজ বার কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করল অভিযোগের বিষয়ে তার জবাব চেয়ে। সময়মত জবাব দাখিলে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে বার কাউন্সিলের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অসদাচরনের অভিযোগ :
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বরাবর গত বছর ফরহাত কাদের চৌধুরীর দায়ের করা আবেদনে তিনি বলেন, আমার স্বামী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারের মুখোমুখি। জেয়াদ আল মালুম তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী। ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এবং বেলজিয়ামের ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের যে স্কাইপ সংলাপ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাতে জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরনের প্রমান রয়েছে। জেয়াদ আল মালুম গোপনে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতির সাথে বৈঠক করেছেন বিচার নিয়ে। আসামীর মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার জন্য কোন কোন সাক্ষী আনতে হবে, কোন সাক্ষী বাদ দিতে হবে এবং সাক্ষীকে দিয়ে কি বলাতে হবে সে বিষয়ে তিনি সাক্ষীদের প্রশিক্ষন প্রদান করেছেন; বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমসহ বিভিন্ন মহলের সাথে গোপন আতাত করেছেন। কিভাবে প্রকাশ্য ট্রাইব্যুনালে বিচারের নামে নাটক করবেন এবং মানুষকে দেখাবেন যে, এখানে ন্যায় বিচার হয়েছে সে বিষয়ে বিচারপতি নিজামুল হকের রুমে গিয়ে আলোচনা করেছেন। একজন আইনজীবী হিসেবে জেয়াদ আল মালুমের এ ধরনের কাজ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে কর্তৃক আইনজীবীদের জন্য প্রণীত আচরন বিধির লঙ্ঘন এবং গুরুতর অসদাচরনের শামিল।
বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. জিয়াউদ্দিন জেয়াদ আল মালুমের সাথে সাক্ষী নির্বাচন নিয়েই শুধু তারা আলোচনা করেননি বরং সাক্ষীকে দিয়ে কি বলাতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হওয়া সত্ত্বেও তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়নি। কারণ তাকে জেয়াদ আল মালুম অন্যান্য সাক্ষীদের মত প্রশিক্ষন দিয়ে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেনা। তার ওপর জেয়াদ আল মালুমের নিয়ন্ত্রন থাকবেনা। তিনি তাদের নির্দেশ মত সাক্ষ্য দিতে রাজি হবেননা। ফলে সাক্ষীর মুখ দিয়ে এমন কিছু বের হয়ে যেতে পারে যা আসামী পক্ষে চলে যেতে পারে এবং বিরাট সমস্যা হতে পারে রাষ্ট্রপক্ষের জন্য। সেকারনে তাকে সাক্ষী হিসেবে আনা হয়নি। বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সম্মতিতে তাকে সাক্ষী হিসেবে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেয়াদ আল মালুম। এ বিষয়ে আলোচনা রয়েছে স্কাইপ সংলাপে। সুতরাং আসামীকে ফাঁসানোর জন্য জেয়াদ আল মালুম শুধু সাক্ষী বাছাই, সাক্ষী বাদ দেয়ার কাজ করেছেন তাই নয় বরং তাদের প্রশিক্ষন দিয়ে কোর্টে নিয়ে এসেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং ট্রাইব্যুনাল মিলে প্রকাশ্য কোর্টে নাটক মঞ্চস্ত করেছেন । ট্রাইব্যুনালের গোটা বিচার কাজই ছিল এ ধরনের একটি সাজানো নাটক। বিচারপতি নিজামুল হকের রুমে গিয়ে জেয়াদ আল মালুম বলেছেন আমি কোর্টে দাড়িয়ে যাব আর আপনি আমাকে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেবেন। যাতে লোকে বুঝতে পারে আমাদের মধ্যে কোন খাতির নেই।
সাক্ষী সুলতানা কামাল বিষয়ে স্কাইপ সংলাপে বলা আছে তাকে সমস্ত এভিডেন্স দেয়ার পর তিনি বুঝে গেছেন কি বলতে হবে। এছাড়া বেশ কয়েকবার তার সাথে আলোচনা হয়েছে কিভাবে সাক্ষ্য দেয়া হবে সে বিষয়ে। সুলতানা কামালসহ অন্যান্য সাক্ষীদের প্রশিক্ষন এবং জেনারেল শফিউল্লাহ তাদের নির্দেশত সাক্ষ্য দিতে রাজি হবেননা বিধায় তাকে বাদ দেয়ার মাধ্যমে জেয়াদ আল মালুম বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অধ্যায়-১১১ এ বর্নিত আইনজীবীদের পেশাগত আচরন লঙ্ঘন করেছেন এবং এটি গুরুতর অসদাচরনের শামিল।
১১১ অধ্যায়ে বর্নিত আছে ‘পাবলিক প্রসিকিউশনের একজন আইনজীবীর প্রথম কর্তব্য হল আসামীকে দন্ডিত করা নয় বরং ন্যায় বিচার হচ্ছে কি-না তা দেখা। আসামীকে নির্দোষ প্রমানে সহায়ক হতে পারে এমন তথ্য প্রমান চেপে রাখা এবং সাক্ষী গোপন করা গুরুতর দুষনীয় কাজ।’
সাক্ষীকে প্রশিক্ষন দেয়া এবং সাক্ষী গোপন করার ফলে আসামীর মৃত্যুদণ্ড হতে পারত। আসামীর মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করার জন্য সে সাক্ষী গোপন করেছেন, তথ্য প্রমান চেপে রেখেছেন এবং সাক্ষী প্রশিক্ষনের কাজ করেছে। এ কারনে জেয়াদ আল মালুুমের আইনজীবী খারিজ করা অপরিহার্য।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়-স্কাইপ সংলাপের এক স্থানে ড. জিয়াউদ্দিন বলছেন, প্রসিকিউশনের কৌশল শুধু পাঁচ জনের জানা উচিত। তিনি থেকে চার জন মুল আইনজীবী এবং অন্য দুজন (বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. জিয়াউদ্দিন নিজে) জানবে বিষয়টি। জিয়াউদ্দিন আরো বলছেন তাদের (বিচারপতি নিজামুল হক এবং জিয়াউদ্দিন) মালুমকে সাপোর্ট দিতেই হবে। স্কাইপ সংলাপের ১২ টি স্থানে জিয়াউদ্দিন এবং বিচারপতি নিজামুল হক একজন আরেকজনকে প্রশ্ন করেছেন অমুক বিষয়ে জেয়াদ আল মালুমের সাথে আলোচনা করেছেন কি-না। এসব থেকে বোঝা যায় জেয়াদ আল মালুম নিয়মিত গোপন আতাত করতেন বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে। এভাবে জেয়াদ আল মালুম ট্রাইব্যুনালের বিচারকে কলুষিত করার পেছনে কাজ করেছেন। জেয়াদ আল মালুম ন্যায়বিচার এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার পথে একটি অন্তরায়। এ কারনে তার আইনজীবী সনদ খারিজ করা উচিত বলে ফরহাত কাদের চৌধুরীর দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরনের অভিযোগে শোকজ নোটিশ জারি করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
আগামী সাত নভেম্বরের মধ্যে অভিযোগের জবাব প্রদানের জন্য সময় নির্ধারন করে আজ এ নোটিশ জারি করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী গত বছর ৩১ ডিসেম্বর জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বরাবর অভিযোগ করেন। স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে গুরুতর পেশাগত অসদাচরনের অভিযোগ এনে জেয়াদ আল মালুমের আইনজীবী সনদ বাতিলের আবেদন করেন তিনি। এছাড়া স্কাইপ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকা এবং বিচার নিয়ে প্রহসন করার অভিযোগে জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানানো হয় দরখাস্তে। এ আবেদনের প্রক্ষিতে আজ বার কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করল অভিযোগের বিষয়ে তার জবাব চেয়ে। সময়মত জবাব দাখিলে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে বার কাউন্সিলের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অসদাচরনের অভিযোগ :
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বরাবর গত বছর ফরহাত কাদের চৌধুরীর দায়ের করা আবেদনে তিনি বলেন, আমার স্বামী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারের মুখোমুখি। জেয়াদ আল মালুম তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী। ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এবং বেলজিয়ামের ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের যে স্কাইপ সংলাপ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাতে জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরনের প্রমান রয়েছে। জেয়াদ আল মালুম গোপনে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতির সাথে বৈঠক করেছেন বিচার নিয়ে। আসামীর মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার জন্য কোন কোন সাক্ষী আনতে হবে, কোন সাক্ষী বাদ দিতে হবে এবং সাক্ষীকে দিয়ে কি বলাতে হবে সে বিষয়ে তিনি সাক্ষীদের প্রশিক্ষন প্রদান করেছেন; বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমসহ বিভিন্ন মহলের সাথে গোপন আতাত করেছেন। কিভাবে প্রকাশ্য ট্রাইব্যুনালে বিচারের নামে নাটক করবেন এবং মানুষকে দেখাবেন যে, এখানে ন্যায় বিচার হয়েছে সে বিষয়ে বিচারপতি নিজামুল হকের রুমে গিয়ে আলোচনা করেছেন। একজন আইনজীবী হিসেবে জেয়াদ আল মালুমের এ ধরনের কাজ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে কর্তৃক আইনজীবীদের জন্য প্রণীত আচরন বিধির লঙ্ঘন এবং গুরুতর অসদাচরনের শামিল।
বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. জিয়াউদ্দিন জেয়াদ আল মালুমের সাথে সাক্ষী নির্বাচন নিয়েই শুধু তারা আলোচনা করেননি বরং সাক্ষীকে দিয়ে কি বলাতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হওয়া সত্ত্বেও তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়নি। কারণ তাকে জেয়াদ আল মালুম অন্যান্য সাক্ষীদের মত প্রশিক্ষন দিয়ে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেনা। তার ওপর জেয়াদ আল মালুমের নিয়ন্ত্রন থাকবেনা। তিনি তাদের নির্দেশ মত সাক্ষ্য দিতে রাজি হবেননা। ফলে সাক্ষীর মুখ দিয়ে এমন কিছু বের হয়ে যেতে পারে যা আসামী পক্ষে চলে যেতে পারে এবং বিরাট সমস্যা হতে পারে রাষ্ট্রপক্ষের জন্য। সেকারনে তাকে সাক্ষী হিসেবে আনা হয়নি। বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সম্মতিতে তাকে সাক্ষী হিসেবে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেয়াদ আল মালুম। এ বিষয়ে আলোচনা রয়েছে স্কাইপ সংলাপে। সুতরাং আসামীকে ফাঁসানোর জন্য জেয়াদ আল মালুম শুধু সাক্ষী বাছাই, সাক্ষী বাদ দেয়ার কাজ করেছেন তাই নয় বরং তাদের প্রশিক্ষন দিয়ে কোর্টে নিয়ে এসেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং ট্রাইব্যুনাল মিলে প্রকাশ্য কোর্টে নাটক মঞ্চস্ত করেছেন । ট্রাইব্যুনালের গোটা বিচার কাজই ছিল এ ধরনের একটি সাজানো নাটক। বিচারপতি নিজামুল হকের রুমে গিয়ে জেয়াদ আল মালুম বলেছেন আমি কোর্টে দাড়িয়ে যাব আর আপনি আমাকে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেবেন। যাতে লোকে বুঝতে পারে আমাদের মধ্যে কোন খাতির নেই।
সাক্ষী সুলতানা কামাল বিষয়ে স্কাইপ সংলাপে বলা আছে তাকে সমস্ত এভিডেন্স দেয়ার পর তিনি বুঝে গেছেন কি বলতে হবে। এছাড়া বেশ কয়েকবার তার সাথে আলোচনা হয়েছে কিভাবে সাক্ষ্য দেয়া হবে সে বিষয়ে। সুলতানা কামালসহ অন্যান্য সাক্ষীদের প্রশিক্ষন এবং জেনারেল শফিউল্লাহ তাদের নির্দেশত সাক্ষ্য দিতে রাজি হবেননা বিধায় তাকে বাদ দেয়ার মাধ্যমে জেয়াদ আল মালুম বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অধ্যায়-১১১ এ বর্নিত আইনজীবীদের পেশাগত আচরন লঙ্ঘন করেছেন এবং এটি গুরুতর অসদাচরনের শামিল।
১১১ অধ্যায়ে বর্নিত আছে ‘পাবলিক প্রসিকিউশনের একজন আইনজীবীর প্রথম কর্তব্য হল আসামীকে দন্ডিত করা নয় বরং ন্যায় বিচার হচ্ছে কি-না তা দেখা। আসামীকে নির্দোষ প্রমানে সহায়ক হতে পারে এমন তথ্য প্রমান চেপে রাখা এবং সাক্ষী গোপন করা গুরুতর দুষনীয় কাজ।’
সাক্ষীকে প্রশিক্ষন দেয়া এবং সাক্ষী গোপন করার ফলে আসামীর মৃত্যুদণ্ড হতে পারত। আসামীর মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করার জন্য সে সাক্ষী গোপন করেছেন, তথ্য প্রমান চেপে রেখেছেন এবং সাক্ষী প্রশিক্ষনের কাজ করেছে। এ কারনে জেয়াদ আল মালুুমের আইনজীবী খারিজ করা অপরিহার্য।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়-স্কাইপ সংলাপের এক স্থানে ড. জিয়াউদ্দিন বলছেন, প্রসিকিউশনের কৌশল শুধু পাঁচ জনের জানা উচিত। তিনি থেকে চার জন মুল আইনজীবী এবং অন্য দুজন (বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. জিয়াউদ্দিন নিজে) জানবে বিষয়টি। জিয়াউদ্দিন আরো বলছেন তাদের (বিচারপতি নিজামুল হক এবং জিয়াউদ্দিন) মালুমকে সাপোর্ট দিতেই হবে। স্কাইপ সংলাপের ১২ টি স্থানে জিয়াউদ্দিন এবং বিচারপতি নিজামুল হক একজন আরেকজনকে প্রশ্ন করেছেন অমুক বিষয়ে জেয়াদ আল মালুমের সাথে আলোচনা করেছেন কি-না। এসব থেকে বোঝা যায় জেয়াদ আল মালুম নিয়মিত গোপন আতাত করতেন বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে। এভাবে জেয়াদ আল মালুম ট্রাইব্যুনালের বিচারকে কলুষিত করার পেছনে কাজ করেছেন। জেয়াদ আল মালুম ন্যায়বিচার এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার পথে একটি অন্তরায়। এ কারনে তার আইনজীবী সনদ খারিজ করা উচিত বলে ফরহাত কাদের চৌধুরীর দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন