বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৩

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন আদেশ ২৮ অক্টোবর

১০/১০/২০১৩
জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে কি হবেনা সে বিষয়ে আগামী ২৮ অক্টোবর আদেশের জন্য ধার্য্য করা হয়েছে। চার্জ গঠন বিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এ আদেশ দেয়।

এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের বিরোধীতা করে শেষ দিন যুক্তি উপস্থাপন করেন আসামী পক্ষের (ডিফেন্স টিম) প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭১ সালে যখন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তখন আন্তর্জাতিক প্রচলিত আইনে  অপহরন এবং নির্যাতন নামে কোন অপরাধ ছিলনা। যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেখানে এ বিষয়গুলো বিচার্য বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লা মামলায় আপিল শুনানীতে অধিকাংশ  অ্যামিকাস কিউরি মত দিয়েছেন যে, এ বিচারে প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। আপনারাও এটা গ্রহণ করেছেন। কাজেই যেহেতু ১৯৭১ সালের প্রচলিত আইনে অপহরন এবং নির্যাতন নামে কোন অপরাধ ছিলনা তাই এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে কোন চার্জ গঠন করা যাবেনা।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১, ৪, ৫ এবং ৬ নং অভিযোগে অহরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ১, ৫,  এবং ৬ নং অভিযোগে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তার যুক্তির পক্ষে দেশি বিদেশি বিভিন্ন মামলার রেফারেন্স পেশ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম এর বিরোধীতা করে বলেন, অন্যান্য অমানবিক অপরাধ বলে একটি অপরাধ তখনকার আইনে ছিল। সেই অপরাধের মধ্যে অপহরন, নির্যাতন সব কিছুই এসে যায়।

এটিএম আজহারুল ইসলামের  বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী  ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৮ জুলাই  রাষ্ট্রপক্ষ ফরমাল চার্জ দাখিল করে এবং  ২৫ জুলাই অভিযোগ আমলে নেয়  ট্রাইব্যুনাল।

গত বছর ২২ আগস্ট এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১  গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর  ওইদিনই তাকে  তাকে তার মগবাজারস্থ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি বন্দী রয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন