২৩/৭/২০১৩
জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেয়া যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। মামলাটি এখন রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ যেকোন দিন আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করবেন।
দীর্ঘ শুনানি গ্রহণ শেষে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার মামলাটিকে রায়ের জন্য অপেক্ষমান হিসাবে ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
সকালে রাষ্ট্রপে সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালত থেকে বেরিয়ে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, উভয়প মিলে মোট ৩৯ কার্যদিবস শুনানি করেছেন। আজ মঙ্গলবার আদালত শুনানি শেষে দুটি আপিল আবেদন সিএভি (রায়ের জন্য অপেমান) রেখেছেন।
আদালতে দেয়া সমাপনী বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আপিলে সমান সুযোগ দিয়ে আনা সংশোধনীকে কাদের মোল্লার েেত্র অকার্যকর বলেছেন আসামিপ। তারা বলছেন, এতে আসামির অধিকার খর্ব করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এতে আসামির অধিকার খর্ব করা হয়নি। রাষ্ট্রেরও আপিল করার অধিকার রয়েছে। এটা সমতা আনার জন্য করা হয়েছে। এতে আসামির সংুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, এ আইনের বিষয়ে সংবিধানে প্রোটেকশন দেয়া আছে। এটা বির্তকের উর্ধ্বে। এটা চ্যালেঞ্জযোগ্য নয়। প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের আইনই প্রযোজ্য হবে। আন্তর্জাতিক আইন এখানে প্রযোজ্য নয়। সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে ১, ২, ৩, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি। আর কেন দেয়নি তাও রায়ে বলা হয়নি। সুতরাং, আমাদের আপিল মঞ্জুর হওয়া উচিত। এর আগে সোমবার আসামিপে শুনানি শেষ করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ছয়টি অভিযোগের মধ্যে দুটিতে তাকে যাবজ্জীবন, তিনটিতে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং একটিতে খালাস দেয়া হয়। এ রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে শুরু হয় আন্দোলন। মূল আইনে সাজা বাড়াতে সরকার পক্ষের আপিলের বিধান না থাকলেও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আইন সংশোধন করে সরকারকে আপিলের সুযোগ দেয়া হয়। পরে সরকার ও আসামি দু-পক্ষই আপিল দায়ের করে। পরে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে গত তিন মার্চ আপিল করে সরকারপ। আপিলে কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড চাওয়া হয়। এরপর চার মার্চ দণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করে আসামিপ। গত ১ এপ্রিল থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়। আপিল শুনানিকালে আসামিপ দাবি করেন যে, আপিলের সমান সুযোগ রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ সালের আইনের যে সংশোধনী আনা হয়েছে তা কাদের মোল্লার মামলার েেত্র প্রযোজ্য হবে না। কারণ, কাদের মোল্লার বিচার আইন সংশোধনের আগেই শেষ হয়েছে। এছাড়া ‘কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল’ এই বিচারের েেত্র প্রযোজ্য হবে বলেও আসামিপরে আইনজীবীরা দাবি করেন।
এ আপিলের শুনানিকালে উত্থাপিত আইনি প্রশ্নের মিমাংসায় গত ২০ জুন সাত জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩ এর ক্ষেত্রে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না? দ্বিতীয়ত, ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আইন সংশোধন করে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে যে ভূতাপে কার্যকারিতা দেয়া হয়েছে, তা কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি না? শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনের সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে মত দেন সংখ্যাগরিষ্ট অ্যামিকাস কিউরি। অ্যামিকাস কিউরিদের মধ্যে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল- ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল- হক, সাবেক এটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি মত দেন যে, আইনের সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে, সাবেক বিচারক টি এইচ খান,, সাবেক এটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের মতে সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ প্রশ্নে শুধুমাত্র ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মত দেন তা প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের পক্ষে মত দেন। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনালস আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিফলন রয়েছে। মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ প্রশ্নে হ্যাঁ না উত্তর দেয়া কঠিন। সাধারণভাবে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে না। তবে দেশীয় আইনে কোনো ধরনের অস্পষ্টতা থাকলে, শূন্যতা থাকলে অথবা ব্যাখ্যার জন্য প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক আইনের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। আজমালুল হোসেন কিউসি মত দেন, সাংঘর্ষিক না হলে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে। টি এইচ খানের মত, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে। তবে দেশীয় আইনের সাথে আন্তর্জাতিক আইন সাংঘর্ষিক হলে সেেেত্র দেশীয় আইন প্রাধাণ্য পাবে। এ এফ হাসান আরিফের মতে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে।
জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেয়া যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। মামলাটি এখন রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ যেকোন দিন আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করবেন।
দীর্ঘ শুনানি গ্রহণ শেষে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার মামলাটিকে রায়ের জন্য অপেক্ষমান হিসাবে ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
সকালে রাষ্ট্রপে সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালত থেকে বেরিয়ে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, উভয়প মিলে মোট ৩৯ কার্যদিবস শুনানি করেছেন। আজ মঙ্গলবার আদালত শুনানি শেষে দুটি আপিল আবেদন সিএভি (রায়ের জন্য অপেমান) রেখেছেন।
আদালতে দেয়া সমাপনী বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আপিলে সমান সুযোগ দিয়ে আনা সংশোধনীকে কাদের মোল্লার েেত্র অকার্যকর বলেছেন আসামিপ। তারা বলছেন, এতে আসামির অধিকার খর্ব করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এতে আসামির অধিকার খর্ব করা হয়নি। রাষ্ট্রেরও আপিল করার অধিকার রয়েছে। এটা সমতা আনার জন্য করা হয়েছে। এতে আসামির সংুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, এ আইনের বিষয়ে সংবিধানে প্রোটেকশন দেয়া আছে। এটা বির্তকের উর্ধ্বে। এটা চ্যালেঞ্জযোগ্য নয়। প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের আইনই প্রযোজ্য হবে। আন্তর্জাতিক আইন এখানে প্রযোজ্য নয়। সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে ১, ২, ৩, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি। আর কেন দেয়নি তাও রায়ে বলা হয়নি। সুতরাং, আমাদের আপিল মঞ্জুর হওয়া উচিত। এর আগে সোমবার আসামিপে শুনানি শেষ করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ছয়টি অভিযোগের মধ্যে দুটিতে তাকে যাবজ্জীবন, তিনটিতে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং একটিতে খালাস দেয়া হয়। এ রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে শুরু হয় আন্দোলন। মূল আইনে সাজা বাড়াতে সরকার পক্ষের আপিলের বিধান না থাকলেও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আইন সংশোধন করে সরকারকে আপিলের সুযোগ দেয়া হয়। পরে সরকার ও আসামি দু-পক্ষই আপিল দায়ের করে। পরে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে গত তিন মার্চ আপিল করে সরকারপ। আপিলে কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড চাওয়া হয়। এরপর চার মার্চ দণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করে আসামিপ। গত ১ এপ্রিল থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়। আপিল শুনানিকালে আসামিপ দাবি করেন যে, আপিলের সমান সুযোগ রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ সালের আইনের যে সংশোধনী আনা হয়েছে তা কাদের মোল্লার মামলার েেত্র প্রযোজ্য হবে না। কারণ, কাদের মোল্লার বিচার আইন সংশোধনের আগেই শেষ হয়েছে। এছাড়া ‘কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল’ এই বিচারের েেত্র প্রযোজ্য হবে বলেও আসামিপরে আইনজীবীরা দাবি করেন।
এ আপিলের শুনানিকালে উত্থাপিত আইনি প্রশ্নের মিমাংসায় গত ২০ জুন সাত জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩ এর ক্ষেত্রে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না? দ্বিতীয়ত, ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আইন সংশোধন করে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে যে ভূতাপে কার্যকারিতা দেয়া হয়েছে, তা কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি না? শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনের সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে মত দেন সংখ্যাগরিষ্ট অ্যামিকাস কিউরি। অ্যামিকাস কিউরিদের মধ্যে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল- ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল- হক, সাবেক এটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি মত দেন যে, আইনের সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে, সাবেক বিচারক টি এইচ খান,, সাবেক এটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের মতে সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ প্রশ্নে শুধুমাত্র ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মত দেন তা প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের পক্ষে মত দেন। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনালস আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিফলন রয়েছে। মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ প্রশ্নে হ্যাঁ না উত্তর দেয়া কঠিন। সাধারণভাবে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে না। তবে দেশীয় আইনে কোনো ধরনের অস্পষ্টতা থাকলে, শূন্যতা থাকলে অথবা ব্যাখ্যার জন্য প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক আইনের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। আজমালুল হোসেন কিউসি মত দেন, সাংঘর্ষিক না হলে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে। টি এইচ খানের মত, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে। তবে দেশীয় আইনের সাথে আন্তর্জাতিক আইন সাংঘর্ষিক হলে সেেেত্র দেশীয় আইন প্রাধাণ্য পাবে। এ এফ হাসান আরিফের মতে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন