মেহেদী হাসান
আব্দুল কাদের মোল্লা মামলায় আপিল শুনানীতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি বলেছেন, সরকার পক্ষের জন্য আপিলের সুযোগ রেখে চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ বিচার আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে তা বৈধ। এর পক্ষে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছেন, সরকার পক্ষ মৃত্যুদন্ডের আবেদন না করলেও কাউকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া বা সাজা থেকে খালাস দেয়ার এখতিয়ার আপিল বিভাগের রয়েছে। তাছাড়া ১৯৭৩ সালের আইনটিকে বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৭ (৩) ধারায় সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। কাজেই আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে তা বৈধ।
আজ রোববার ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি তার মত পেশ করেন আপিল বিভাগে। প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন। এ নিয়ে মোট চারজন অ্যামিকাস কিউরি সংশোধিত আপিল আইন আব্দুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে মত দিলেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি সংশোধিত আপিল আইন আব্দুল মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি-না এবং যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য কি-না এ দুটি বিষয়ে মতামত চেয়ে আপিল বিভাগ সুপ্রীম কোর্টের সাতজন বিশিষ্ট আইনবিদকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত করেন গত ২০ জুন।
ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানী পেশ শুরু করেন।
যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন বা কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল’ প্রযোজ্য হবে কি-না এ বিষয়ে তিনি তার প্রথম দিনের শুনানীতে বলেছেন, শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ক্ষেত্রে পূর্বের বিধান ছিল- আসামী পক্ষ সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। আসামীকে সাজা দেয়া হলে রাষ্ট্রপক্ষ আর আপিল করতে পারবেনা। ট্রাইব্যুনালের রায়ে যদি আসামীকে খালাস দেয়া হয় শুধুমাত্র সেক্ষেত্রে সরকার পক্ষ বা অভিযোগকারী আপিল করার সুযোগ পাবে; অন্যথায় নয়। কিন্তু আব্দুল কাদের মোল্লাকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের পর তার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগকেন্দ্রিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। সে প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইবুনাল আইনের আপিল সংক্রান্ত ধারা সংশোধন করা হয় সংসদে। সংশোধিত আইনে বলা হয়- আসামী পক্ষের মত সরকার পক্ষও আপিলের সমান সুযোগ পাবে। অর্থাৎ শুধু খালাসের ক্ষেত্রে নয়, ট্রাইব্যুনালের যেকোন রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষও আপিল করতে পারবে । আপিল সংক্রান্ত বিধান সংশোধনী বিষয়ে বলা হয়েছে-এ সংশোধনী ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে কার্যকর ছিল বলে ধরে নিতে হবে।
আইনের আপিল সংক্রন্তা ধারা সংশোধনের পর সরকার পক্ষ আব্দুল কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবি জানিয়ে আপিল আবেদন করে।
আপিল শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের কাছ থেকে অনেক আইনগত প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে । এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হল- গত ১৮ ফেব্রুয়ারি যে আইন সংশোধন করা হয়েছে তা আব্দুল কাদের মোল্লার মামলায় প্রযোজ্য কি-না। এছাড়া অপর যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপিত হয়েছে তাহল- আদালত এটর্নি জেনারেল এর কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন- উপমহাদেশ বা ইংল্যান্ডের এমন কোন নিজর আছে কি-না যেখানে রায় হবার পর এভাবে আইন সংশোধন করে রিট্রোসপেকটিভ ইফেক্ট কার্যকর করা হয়েছে।
কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব না আসায় আপিল বিভাগ সুপ্রীম কোর্টের সাতজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে মতামত গ্রহনের জন্য।
আব্দুল কাদের মোল্লা মামলায় আপিল শুনানীতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি বলেছেন, সরকার পক্ষের জন্য আপিলের সুযোগ রেখে চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ বিচার আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে তা বৈধ। এর পক্ষে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছেন, সরকার পক্ষ মৃত্যুদন্ডের আবেদন না করলেও কাউকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া বা সাজা থেকে খালাস দেয়ার এখতিয়ার আপিল বিভাগের রয়েছে। তাছাড়া ১৯৭৩ সালের আইনটিকে বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৭ (৩) ধারায় সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। কাজেই আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে তা বৈধ।
আজ রোববার ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি তার মত পেশ করেন আপিল বিভাগে। প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন। এ নিয়ে মোট চারজন অ্যামিকাস কিউরি সংশোধিত আপিল আইন আব্দুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে মত দিলেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি সংশোধিত আপিল আইন আব্দুল মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি-না এবং যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য কি-না এ দুটি বিষয়ে মতামত চেয়ে আপিল বিভাগ সুপ্রীম কোর্টের সাতজন বিশিষ্ট আইনবিদকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত করেন গত ২০ জুন।
ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানী পেশ শুরু করেন।
যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন বা কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল’ প্রযোজ্য হবে কি-না এ বিষয়ে তিনি তার প্রথম দিনের শুনানীতে বলেছেন, শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ক্ষেত্রে পূর্বের বিধান ছিল- আসামী পক্ষ সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। আসামীকে সাজা দেয়া হলে রাষ্ট্রপক্ষ আর আপিল করতে পারবেনা। ট্রাইব্যুনালের রায়ে যদি আসামীকে খালাস দেয়া হয় শুধুমাত্র সেক্ষেত্রে সরকার পক্ষ বা অভিযোগকারী আপিল করার সুযোগ পাবে; অন্যথায় নয়। কিন্তু আব্দুল কাদের মোল্লাকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের পর তার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগকেন্দ্রিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। সে প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইবুনাল আইনের আপিল সংক্রান্ত ধারা সংশোধন করা হয় সংসদে। সংশোধিত আইনে বলা হয়- আসামী পক্ষের মত সরকার পক্ষও আপিলের সমান সুযোগ পাবে। অর্থাৎ শুধু খালাসের ক্ষেত্রে নয়, ট্রাইব্যুনালের যেকোন রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষও আপিল করতে পারবে । আপিল সংক্রান্ত বিধান সংশোধনী বিষয়ে বলা হয়েছে-এ সংশোধনী ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে কার্যকর ছিল বলে ধরে নিতে হবে।
আইনের আপিল সংক্রন্তা ধারা সংশোধনের পর সরকার পক্ষ আব্দুল কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবি জানিয়ে আপিল আবেদন করে।
আপিল শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের কাছ থেকে অনেক আইনগত প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে । এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হল- গত ১৮ ফেব্রুয়ারি যে আইন সংশোধন করা হয়েছে তা আব্দুল কাদের মোল্লার মামলায় প্রযোজ্য কি-না। এছাড়া অপর যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপিত হয়েছে তাহল- আদালত এটর্নি জেনারেল এর কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন- উপমহাদেশ বা ইংল্যান্ডের এমন কোন নিজর আছে কি-না যেখানে রায় হবার পর এভাবে আইন সংশোধন করে রিট্রোসপেকটিভ ইফেক্ট কার্যকর করা হয়েছে।
কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব না আসায় আপিল বিভাগ সুপ্রীম কোর্টের সাতজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে মতামত গ্রহনের জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন