বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৩

জাহিদ হোসেন খোকন’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ট্রাইব্যুনালের

জাহিদ হাসান খোকন এর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে । আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এ পরোয়ানা জারি করে।

জাহিদ হাসান খোকন ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র। তিনি নগরকান্দা পৌরসভা বিএনপির সহসভাপতি। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার কার্যক্রম শুরুর পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গনহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটাপাট, ধর্মান্তরকরন এবং হিন্দুদের দেশ থেকে জোর করে নির্বাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানী ধার্য্য করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন,  জাহিদ হোসেন খোকন  ফরিদপুরের একজন চিহ্নিত রাজাকার। তিনি নিজেকে রাজাকার হিসেবে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। রাজাকার পরিচয় দিয়ে গর্ব করেন। তিনি দম্ভ করে বলে বেড়ান ১৯৭১ সালে তিনি রাজাকার ছিলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজাকার থাকতে চান। তার বড় ভাইও রাজাকার ছিল।

এ ধরনের চিহ্নিত একজন রাজাকারের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল কি-না এবং  দালাল আইনে কোন মামলা হয়েছিল কি-না সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি কোন তথ্য দিতে পারেননি এ মর্মে।

ইকনোমিস্ট বিষয়ে আদেশ ২৭ আগস্ট :
বহুল আলোচিত স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে লন্ডনের সাময়িকী দি ইকনোমিস্ট এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে আগামী ২৭ আগস্ট আদেশ প্রদান করা হবে।

আজ  অভিযোগ বিষয়ে শুনানী শেষে এ তারিখ ধার্য্য করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১।
ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এর স্কাইপ সংলাপের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইকনোমিস্ট এর পক্ষ থেকে দুজন সাংবাদিক তাকে ফোন করেছিলেন। ফোন করে তারা তাকে জানান বেলজিয়ামের ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে তিনি   ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে স্কাইপের মাধ্যমে যেসব কথা বলেছেন এবং যেসব মেইল আদান প্রদান করেছেন তার সব ডকুমেন্ট তাদের  কাছে রয়েছে।
গত বছল ৬ ডিসেম্বর এ বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে ওপেন কোর্টে প্রথমে ফাঁস করেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এবং ওইদিনই তিনি ইকনোমিস্ট এর বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। রুলে স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একই সাথে তাদের কাছে জানতে চাওয়া  হয়  সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতির সাথে টেলিফোনে কথা বলা কেন আদালত অবমনানা বলে গন্য হবেনা।
শুনানীতে আজ  ইকনোমিস্ট এর পক্ষে ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, বিচারপতির সাথে কথা বলা কোন আদালত অবমানার মধ্যে পড়েনা। এ বিষয়ে বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজির কেস বিষয়ে আদালতের একটি পর্যবেক্ষন আছে। একজন বিদেশী সাংবাদিক ফোন করেছেন। তিনি  হয়ত সৌজন্যতার খাতিরেও কথা বলতে পারেন। তিনি যদি সাথে সাথে তখনই তাকে ডিনাই করে দিতেন তাহলে সেটা একরকম হত। কিন্তু সাংবাদিক ফোন করার পর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম তার সাথে কথা বলেছেন। আমার মক্কেলের প্রশ্ন বিচারপতিকে ফোন করা যদি এতই অপরাধ হবে তাহলে তিনি  তার সাথে কথা বললেন কেন।

ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষন দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার প্রস্তাব করেন  ট্রাইব্যুনালের কাছে।
18/7/2013.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন