সাবেক প্রধান বিচারপতি মাঈনুর রেজা চৌধুরীর ছোট ভাই কাইউম রেজা চৌধুরী সাক্ষ্য দিয়েছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে। গত ১৬ জুলাই তিনি জবানবন্দী প্রদানের পর জেরা শুরু হয়। সামান্য কিছু প্রশ্ন করার পর জেরা মুলতবি করা হয়। ২১/৭/২০১৩ তার জেরা সমাপ্ত হয়।
জেরা ঃ-
১৬/৭/২০১৩
আমি জমিদার বংশের ছেলে। অদ্য আমি সুস্থ শরীরে ট্রাইব্যুনলে জবানবন্দী করেছি। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট খেলা চলাকালীন সময়ে এ্যাসেমব্লি স্থগিত করায় খেলা পন্ড হয়ে যায় ‘‘কথাগুলো সত্য নয়”। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আমার আপন খালাতো ভাই। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এর পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী সাহেব কখনো বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে সমর্থন করেছিলেন কি না তাহা আমার জানা নাই (চলবে)
২১-০৭-২০১৩ইং পুনরায় জেরা শুরু ঃ-
আমি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ডিগ্রী লাভ করি। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন চত্বরে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল কিনা তাহা আমি জানি না। কারণ আমি সেদিন ঢাকা স্টেডিয়ামে খেলার মাঠে ছিলাম। ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ তারিখে ঢাকা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড ক্রিকেট খেলা চলাকালীন দুপুরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষনা করলে খেলা পন্ড হয়েছিল। ২রা মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকা স্টেডিয়ামে কোন ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয় নাই, ইহা সত্য নহে। আমি গার্মেন্টস বাইং হাউজের সংগে জড়িত আছি। আমার ব্যবসা সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং আয়কর সম্পর্কিত কাগজপত্র অদ্য আমি ট্রাইব্যুনালে আনি নাই, প্রয়োজন হলে দেখাতে পারব। ১৯৪৭ সালের আগে আমার পিতা মুসলিম লীগের রাজনীতি করতেন এবং মুসলিম লীগ থেকে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এ্যাসেমব্লীর সদস্য হয়েছিলেন, ইহা সত্য নহে। আমার যেহেতু জন্ম হয় নাই সেহেতু, আমি বলতে পারব না যে, কত সালে আমার বাবা মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। আমার পিতা পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমার পিতা এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবের পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী সাহেব এবং সালমান এফ রহমান সাহেবের পিতা একই সাথে একই দল থেকে পাকিস্তান আন্দোলনের সংগে যুক্ত ছিলেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। খেলাধুলার কারণে শেখ কামালের সংগে আমার সুসম্পর্ক ছিল তাহা অসত্য, ইহা সত্য নহে। ফজলুল কাদের চৌধুরী সাহেব কনভেনশন মুসলি লীগের সভাপতি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, পরবর্তীতে স্পীকার, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত আইয়ুব খানের পরে তিনি কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন কিনা তাহা আমি জানি না। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান, তার সরকার ও দল বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কট্টর বিরোধী ছিলেন এবং আত্মনিয়ন্ত্রকারী বাঙ্গালী জনগনের বিরুদ্ধে তীব্র দমন, পীড়ন, হত্যা, নির্যাতন ইত্যাদি চালিয়েছিলেন, ইহা সত্য। আমি জানি যে, ১৯৬৮ সালে জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে ১ নম্বর আসামী করে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করেছিলেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রভাবাধীন ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন), ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া), জামায়াত পন্থী ইসলামী ছাত্র সংঘ, কনভেনশন মুসলিম লীগ পন্থী এন,এস,এফ, ছিল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেব সরকারী দল অর্থাৎ এন,এস,এফ এর সংগে যুক্ত ছিলেন এবং মুসলিম লীগ পরিবারের সদস্য ছিলেন তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী আইয়ুব খানের ঘনিষ্ট ছিলেন বিধায় বঙ্গবন্ধু আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হলে তার মুক্তি আন্দোলনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কে নিয়ে আমি অংশ নিয়েছিলাম মর্মে আমার প্রদত্ত জবানবন্দীর বক্তব্য অসত্য, ইহা সত্য নহে। আমার মনে নাই যে, ছাত্র সমাজ কোন মাসে এগারদফা আন্দোলনের কর্মসূচী দেয় এবং তার ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। আমার স্মরণ নাই যে, কোন কোন ছাত্র সংগঠনের কোন কোন ছাত্র নেতারা এগার দফা আন্দোলনের কর্মসূচীতে স্বাক্ষর করেছিল। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারী মাসে এগারো দফা কর্মসূচী ঘোষিত হয়েছিল কিনা তাহা আমার স্মরণ নাই। এগারো দফা আন্দোলনে আমরা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবকে নিয়ে অংশ গ্রহণের যেসকল কথা আমার জবানবন্দীতে বলেছি তাহা অসত্য, ইহা সত্য নহে। শহীদ আসাদ কোন ছাত্র সংগঠনের সদস্য ছিল তাহা আমি বলতে পারবনা, তবে আমাদের সামনে যে শহীদ হয়েছিল। শহীদ আসাদকে গুলি করার সময় আমি, সালমান এফ রহমান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এগার দফা আন্দোলনের সময় মিছিলে ছিলাম এবং শহীদ আসাদকে গুলি করার সময় আমরা গাছের পিছনে ছিলাম মর্মে জবানবন্দীতে যে বক্তব্য প্রদান করেছি তাহা সর্বাংশে মিথ্যা, ইহা সত্য নহে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবকে আন্দোলনের সময় ই,পি,আর পিছন দিক থেকে লাথি মারার যে কথা জবানবন্দীতে বলেছি তাহা সর্বাংশে ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং অসত্য, ইহা সত্য নহে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনাকালীন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেব কোন ছাত্র নেতা ছিলেন না, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা করাকালীন অবস্থায় সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের ধানমন্ডিস্থ বাসায় আসার যে কথা জবানবন্দীতে বলেছি, তাহা মিথ্যা, বানোয়াট এবং অসত্য, ইহা সত্য নহে। আমার খালু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেব চট্টগ্রামের কোন নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচন কররিলেন তাহা আমি জানি না তবে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থির নিকট হেরেছিলেন। আমার ভাই এরফান রেজা চৌধুরী ১৯৭০ সালে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে হেরেছিলেন।
‘‘ঐ সময় আমার ইংরেজীতে দখল থাকার কারণে বঙ্গবন্ধু আমাকে বাদশা ভাইয়ের সংগে বিদেশী সংবাদিকদের দেখাশুনা ও অনুবাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এইজন্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ইংরেজী টাইপিং এর দায়িত্ব আমার উপর পড়ে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষনের সময় রেসকোর্সে আমাদের সংগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবও উপস্থিত ছিলেন। ঐ সময় আওয়ামী লীগের কাজের জন্য আই,সি,আই, আমাকে একটি গাড়ি দিয়েছিল। এই গাড়িটি বিদেশী সাংবাদিকদের আনা নেওয়া এবং তাদের প্রেসের খোঁজ খবর দেওয়ার কাজে আমি ব্যবহার করতাম” বা ‘‘১৯৭১ সালের ১৮ কিংবা ১৯শে মার্চ বিকাল ৪.০০ টার সময় বঙ্গবন্ধু ফজলুল কাদের চৌধুরী সাহেবের সংগে দেখা করার জন্য ধানমন্ডির ১৮ নম্বর রোডের ফজলুল কাদের চৌধুরী সাহেবের বাসায় এসেছিলেন এবং আমি বঙ্গবন্ধুর সংগে ছিলাম। তাদের আলোচনার সবকিছু আমি শুনি নাই তবে শুধু একটি কথা কানে এসেছিল যে, ফজলুল কাদের চৌধুরী সাহেব বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন পাকিস্তানিদের বিশ্বাস করো না” বা ‘‘ ১৯৭১ সালের ২৩ বা ২৪ শে মার্চ তারিখে বঙ্গবন্ধুর সংগে বিদেশী সাংবাদিকদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা আমি এবং বাদশা ভাই মিলে করে দিতে পারি নাই। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত্রে বাদশা ভাই, নিজাম আহম্মেদ, নেওয়াজ আহম্মেদকে নিয়ে আমি গাড়ি চালিয়ে তৎকালীন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বিদেশী সাংবাদিকদের কাছে প্রেস রিলিজ দেওয়ার জন্য যাই। প্রেস রিলিজ দেওয়ার পর আমি গাড়িতে ফেরত আসি, বাদশা ভাই তখন হোটেল থেকে বের হয়ে আসবেন তখন প্রায় ১০.২০ বাজে। এই সময় একজন পাকিস্তানি সৈন্য বন্দুক তাক করে আমাদেরকে হোটেলের মধ্যে যেতে নির্দেশ দিল। বাদশা ভাইয়ের ব্রীফকেসটি গাড়িতে আটকা পড়লো যাহার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র ছিল” -এই কথাগুলি অসত্য, ইহা সত্য নহে।
শেখ কামালকে নিয়ে আমি আমার জবানবন্দীতে যে সকল বক্তব্য প্রদান করেছি তাহা অসত্য, ইহা সত্য নহে। তেজগাঁও থেকে কয়টি পি,আই,এ এবং বিদেশী বিমান যাতায়াত করতো তাহা আমি জানি না, তবে প্রতিদিন দুপুরে একটি ফাইট ছিল। ১৯৭১ সালে ঢাকা থেকে করাচী যেতে কলম্বোর উপর দিয়ে যাওয়ার কারণে ৬ ঘন্টা সময় লাগতো।
‘‘ আমি এবং নিজাম আহম্মেদ ২৮শে মার্চ সুইডিস পরিবারের বাসায় গিয়ে উঠি” বা ‘‘ ২৮শে মার্চ তারিখে ৮ নম্বর ব্রীজের কাছে আমি যখন গাড়ি নিয়ে বের হই তখন শেখ কামালকে দেখতে পাই। শেখ কামালকে নিয়ে আমি ঐ সুইডিস পরিবারের বাসায় ফিরে আসি। সুইডিস মহিলা শেখ কামালকে দেখে শেখ কামালের গোফ কেটে দিল এবং মাথার চুল মাঝখান দিয়ে চিরুনী করে দিল যাতে তাকে দেখে সহজে চেনা না যায়” বা ‘‘ শেখ কামাল, নিজাম আহম্মেদ এবং আমি ৩/৪ দিন ঐ সুইডিস পরিবারের সংগে ছিলাম। ৩০/৩১শে মার্চ শেখ কামাল টুঙ্গিপাড়ায় যেতে না পেরে সেই সুইডিস পরিবারে আবার ফেরত এসেছিল। এই সময় পাকিস্তান সরকার সুইডিস পরিবারকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করে। এই নির্দেশের পরে আমি, শেখ কামাল এবং নিজাম আহম্মেদ খাবার দাবার নিয়ে ৩২ নম্বরে আমার বোনের বাড়ীতে উঠি” বা ‘‘ঐ সময় আমরা সিদ্ধান্ত হীনতার মধ্যে শেখ কামাল বললেন আমি টুঙ্গিপাড়ায় যাই আর তোমরা তোমাদের বন্ধু বান্ধব সহ জার্মানীতে যাওয়ার চেষ্টা করো। ৪ঠা এপ্রিল কিংবা ৫ই এপ্রিল তারিখে শেখ কামাল টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার সময় আমাকে তার পরিবারের সদস্যদের দেখাশুনা করার জন্য অনুরোধ করেছিল। আমি আমার ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে আমি মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর মামি-অর্থাৎ বেগম মুজিব আমাকে দেখে বললেন বাবা তুমিই প্রথম আমাদের দেখার জন্য এখানে এসেছো। সেখানে শেখ জামাল, শেখ রাশেল, শেখ রেহানা, বর্তমানে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডঃ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন। মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় আমি যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে নিজাম আহম্মেদ এবং শেখ কামাল সেখানে উপস্থিত হয়, কারণ শেখ কামাল টুঙ্গিপাড়ায় যেতে পারেনি। তখন আমরা তিনটি গাড়িতে করে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদেরকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে ১ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডস্থ মিসেস বদরুন্নেছা আহম্মেদের বাড়ীতে নিয়ে আসি”- এই কথাগুলি সম্পূর্ণ অসত্য, ইহা সত্য নহে।
‘‘২৮শে মার্চ দুপুরের পরে আমি হেটে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ১৮ নম্বর রোডের বাসায় যাই। আমাকে দেখে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলল, আমি আগামী কাল করাচি যেতে চাই, আমাকে পরের দিন এয়ারপোর্টে পৌছে দিতে হবে। ৩২ নম্বর রোডস্থ আমার বোন মিসেস ফারাদি খান এর বাসা থেকে আমার দুলাভাইয়ের টয়োটা করোনা যার নম্বর ৪৮৯৩ গাড়ি করে আমি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাসায় যাই এবং তাকে গাড়িতে তুলে দুপুরে তেঁজগাও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে দিই” বা ‘‘। আমি করাচি পৌঁছাবার দুইদিন পরে যখন আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য একটি বাড়ি খুঁজতে বেরিয়েছিলাম তখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সালমান এফ, রহমানের বাসায় এসেছিল, সে সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবের সংগে আমার দেখা হয় নাই। আমার ভায়রা মিঃ আব্দুল মোমেন চৌধুরী যিনি তানজানিয়া থেকে করাচি এসেছিলেন আমি আশিকুর রহমান সাহেবের অফিসে গিয়ে তার সংগে দেখা করি” বা ‘‘ আশিকুর রহমান সাহেবের অফিসে বসে আব্দুল মোমেন চৌধুরী বললেন তোমার কাজিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবের দেখা হয়েছে এবং পরিচয় হয়েছে” এই কথাগুলি সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক, ইহা সত্য নহে।
আমার ভাইয়েরা এবং আত্মীয় স্বজনরা মুসলিম লীগের রাজনীতির সংগে জড়িত ছিল বিধায় আমি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্স হিসাবে ছাত্র আন্দোলন নস্যাত করার জন্য নিয়োজিত ছিলাম, ইহা সত্য নহে। আমি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবের আত্মীয় বিধায় তার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য প্রদান করার জন্য ট্রাইব্যুনালে এসেছি, ইহা সত্য নহে। আমি সত্য সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এসেছি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাহেবের বিরুদ্ধে যে সকল মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে তাহা সঠিক ভাবে আমার জানা নাই। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন সেজে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত বাঙ্গালীর স্বাধীনতার লড়াইকে নস্যাতের অভিপ্রায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালে যে সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তার দায় থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য আমি খালাতো ভাই হিসাবে আসামী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এর পক্ষে মনগড়া, শেখানো, মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট সাক্ষ্য ট্রাইব্যুনালে প্রদান করলাম, ইহা সত্য নহে। (সমাপ্ত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন