9/10/2012
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের অন্যতম সদস্য হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের চেম্বারে আজ গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য পরিচয়ে সিভিল ড্রেসে ১০/১২ জন অস্ত্রধারী প্রবেশ করে । তারা চেম্বারের উপস্থিত আইনজীবি, কর্মচারী ও কায়েন্টদেরকে জিজ্ঞাসাবা শুরু করে।
ঘটনার সময় অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টীমের সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাজিম মোমেন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা। উপস্থিত আইনজীবিরা এ ধরণের আকস্মিক অভিযানের কোন সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে কোন ওয়ারেন্ট নেই বলে তারা জানান। পরে উপস্থিত আইনজীবিগণ এ ধরণের কার্যক্রম প্রকারান্তরে ডিফেন্স টিমের মামলা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করলে ডিবির সদস্যরা কিছুক্ষণ পরে বের হয়ে যায়।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত তার চেম্বারে পুলিশী হয়রানির নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিবৃতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে অভিযুক্তদের সাক্ষীদের বাড়ীতে বাড়ীতে যেমন তল্লাশি চালাচ্ছে তেমনি এখন চেম্বারে হানা দিয়ে মামলার প্রস্তুতি কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘৃণ্য প্রয়াস চালিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে ডিফেন্স টীম মামলা পরিচালনায় অংশগ্রহণ করুক তা সরকার চায় না। একটি স্পর্শ কাতর মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত চেম্বারে পুলিশের উপস্থিতি ও ত্রাস সৃষ্টির নজিরবিহীন। আমরা মনে করি, এ ধরণের হয়রানিমূলক হানার মাধ্যমে আইনজীবিদেরকে ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে ও মামলার প্রস্তুতি গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং পুলিশী হয়রানি বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এ ঘটনার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা, শফিকুর রহমান বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের নামে নিজেই মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন