বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১২

মাওলানা সাঈদীর পক্ষের সপ্তম সাক্ষীর জেরা শেষ



েমেহদী হাসান, 3/10/2012
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষের সপ্তম সাক্ষী জামাল হোসেন ফকিরের  জেরা শেষ হয়েছে। জামাল হোসেন ফকির গত মঙ্গলবার জবানবন্দী প্রদান করেন । আজ  তাকে জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার  আলী।

মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সপ্তম সাক্ষী আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টির হত্যার বিবরন দিয়েছেন তার জবানবন্দীতে।

জেরা :
প্রশ্ন  : নলবুনিয়ায় কয়টা হাওলাদার বাড়ি আছে?
উত্তর : ২টি।
প্রশ্ন : ফকির বাড়ি কয়টা?
উত্তর : ২টি। একই বংশের তারা।
প্রশ্ন : আপনার আব্বা ওই সময় (১৯৭১) কি করতেন?
উত্তর : জমাজমি চাষাবাদ করতেন।
প্রশ্ন :  বড়শির মাছ কখন তুলতে যান?
উত্তর : ফজরের আজানের আগে।
প্রশ্ন : লেখাপড়া কিছু করেছেন?
উত্তর : সামান্য কিছু করেছি। নাম দস্তখত করতে পারি । কোরআন শরিফ খতম করেছি।
প্রশ্ন : আপনারা কয়ভাই।
উত্তর : ২ ভাই ২ বোন।
প্রশ্ন : বড় কে?
উত্তর : ভাই, নুরুল ইসলাম।
প্রশ্ন : বয়সে নুরুল ইসলাম বড় না  কুট্টি বড়?
উত্তর : সমবয়সী।
প্রশ্ন : প্রাইমারিতে কবে ভর্তি হন?
উত্তর : ৫/৬ বছর বয়সে খুব সম্ভবত।
প্রশ্ন :  এ মামলায় সাক্ষী দেয়ার কথা কবে শুনলেন?
উত্তর : এক বছর  দুই তিন মাস আগে।
প্রশ্ন : তখন কি আপনার নাম, পিতার নাম লিখে দিয়েছিলেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আইডি কার্ড দেখিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : সাথে আনছেন?
উত্তর : না। ভোটার লিস্ট আনছি।
প্রশ্ন : ভোটার লিস্টে ছবি আছে আপনার?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আতহার আলী হাওলাদারকে চিনতেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের সময় সে কি করত?
উত্তর : বাড়ি থাকত।
প্রশ্ন : সে কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না বিপক্ষের লোক ছিল?
উত্তর : পক্ষে।
প্রশ্ন : সে পিস কমিটির  লোক ছিল?
উত্তর : থাকতে পারে।
প্রশ্ন : আপনি যখন আজহার হাওলাদারের বাড়ি গেলেন তখন আতহার আলী কোথায় ছিল?
উত্তর : তাকে ওই দিন দেখিনি সেখানে।
প্রশ্ন : আজহার এবং আতাহারের একই বাড়ি।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : সাহেব আলী এবং তার মাকে যখন ধরে নিয়ে যায় তখনতো আপনি তা দেখেননি।
উত্তর : দেখেছি।
প্রশ্ন : কখন দেখেছেন?
উত্তর : ফজরের পর যখন পরিস্কার হয় তখন দেখেছি।
প্রশ্ন  : ওই বাড়িতে তখন কি পরিমান আর্মি এবং রাজাকার ছিল?
উত্তর : আর্মি নয় শুধু রাজাকাররা এসেছিল।
প্রশ্ন : সাহেব আলী এবং তার মাকে যারা ধরে নিয়ে গেল তারা রাজাকার ছিল?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : পাড়েরহাটের সব রাজাকারকে চেনেন?
উত্তর : সবাইকে চিনিনা। দুই চার জনকে চিনি।
প্রশ্ন : নলবুনিয়া থেকে পাড়েরহাট ভাটিতে না উজানে?
উত্তর : ভাটিতে।
প্রশ্ন : নলবুনিয়া থেকে পিরোজপুর ভাটিতে না উজানে?
উত্তর : ভাটিতে নেমে পরে জোয়ার দিয়ে উঠতে হয়।
প্রশ্ন : শ্রাবন মাসে খাল বিলে পানি থাকে?
উত্তর : থাকে।
প্রশ্ন : বাংলা কোন মাসের সময় ইংরেজি কোন মাস হয় তা বলতে পারবেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ওই ঘটনা কি আপনি লিখে রেখেছিলেন?
উত্তর : এ ঘটনা এলাকার সব মানুষ জানে। লিখে রাখিনি।
প্রশ্ন : রানী বেগম আপনার ফুফু হয়?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : মোস্তফা আপনার ছোট না বড়?
উত্তর : ছোট।
প্রশ্ন : সিতারা বেগম, রানী বেগম, মোস্তফা  এই মামলায় তদন্ত  কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা জানেন?
উত্তর : দিতে পারে। আমি জানিনা।
প্রশ্ন : পাকিস্তান আমলে চিথলিয়ায় দুজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন  জানেন?
উত্তর : জানি। সইজুদ্দিন  এবং রইজুদ্দিন পসারী।
প্রশ্ন : সংগ্রামের সময় চিথলিয়া বাদুরার অনেক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় তা জানেন?
উত্তর : শুনেছি।
প্রশ্ন : রইজুদ্দিন সুইজুদ্দিন পসারী কি স্বাধীনতার পক্ষের লোক ছিলেন?
উত্তর : পক্ষের।
প্রশ্ন : ইব্রাহীম কুট্টির লাশ নলবুনিয়া থেকে নিয়ে যাবার যে কথা আপনি বলেছেন তা সত্য নয়।
উত্তর : সতই বলেছি।
প্রশ্ন : আপনার নাম কয়টা?
উত্তর : একটাই।
প্রশ্ন : কি?
উত্তর : জামাল হোসেন ফকির।
প্রশ্ন : জন্ম নিবন্ধন করেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : সাথে আনছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন :ধ আপনার বয়স প্রমানের জন্য এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছ থেকে  কোন সার্টিফিকেট আনছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন :  চেয়ারম্যান মেম্বার থেকে আপনার পরিচয়পত্র এনেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি এখানে আপনার যে বয়স উল্লেখ করেছেন তা সঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আপনি একেবারেই নাবালক ছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দুই তিন মাস পরে বাংলা কোন মাস ছিল?
উত্তর : আষাঢ়  মাস।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দুই তিন মাস পরে পাকিস্তান আর্মি এবং রাজাকাররা সাহেব আলী এবং তার মাকে অপহরন করে নিয়ে যায় কি-না?
উত্তর : পাকিস্তান আর্মি নয় রাজাকাররা তাদের নিয়ে যায়। আর মুক্তিযুদ্ধ  শুরুর দুই তিন মাস পরে নয় আশ্নিন মাসে নিয়ে যায়।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনজরু আহমদ আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন