আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আাব্দুর রাজ্জাকের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি এবং ডিফেন্স টিমের (আসামী পক্ষের আইনজীবী) অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের চেম্বারে সশস্ত্র গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানের প্রেক্ষিতে কড়া হুশিয়ারি উচ্চারন করা হয়েছে বাংলাদেশের বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে।
সারা দেশের আইনজীবীদের অভিভাবক সংগঠন ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল’র পক্ষ থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হযেছে ‘আমরা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে একজন আইনজীবীর উপর আঘাত আসলে আমরা এটাকে সমগ্র আইনজীবীদের উপর আঘাত বলে ধরে নেবো এবং এর বিরুদ্ধে দেশের সকল আইনজীবীকে নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।’
গত মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের চেম্বারে সিভিল ড্রেসে ১০/১২ জন গোয়েন্দা পুলিশ হানা দেয়।
এর প্রতিবাদে আজ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন অডিটরিয়ামে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ডিফেন্স টিমের আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে সরকার। তাদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। গোয়েন্দা নজরদারির নামে তাদের চেম্বারে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ‘আমরা দেশে আইনের শাসন চাই। যারা দোষী তাদের সাজা হোক। কিন্তু যদি বিচারের নামে প্রহসন হয় এবং আইনজীবীদের যদি পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হয়রানি করা হয়, তবে আমরাও বাধ্য হবো রাস্তায় নামতে। কালো কোর্ট (আইনজীবীরা) যদি একবার রাস্তায় নামে, অতীতের ইতিহাস দেখুন সে সরকার বেশি দিন টিকেনা।’
সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করে ডিফেন্স টিমের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত ৮/১০ দিন ধরে ২/৪ জন গোয়েন্দা আমাকে নজরদারি করছে। তারা আমার বাসায় গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এমনকি আমার সাথে একজন গোয়েন্দা কথাও বলেছেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, যাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে না পারি সেজন্যই এমনটি করা হচ্ছে। একজন আইনজীবীকে যদি হয়রানি করা হয় তবে কিভাবে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, একজন আইনজীবীকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে হয়রানি করা আদালত অবমাননার শামিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিষয়টি ট্রাইব্যুনালকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করতে চাচ্ছে। আমরা বার বার এর প্রতিবাদ করেছি। অতীতেও আমরা দেখেছি, যারাই বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করতে চেয়েছে তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় এসে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালত সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এই কারণে দেশবাসীর মাঝে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি দেশ ও জাতির জন্য দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আইনজীবী। আমরা কোনো অপরাধকে সমর্থন করিনা। আমাদের দায়িত্ব, যখন একজন আসামীকে বিচারের আওতায় আনা হয়, তখন সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তার প্রকৃত অবস্থানকে তুলে ধরা। এমনকি ফাঁসির যে আসামী থাকে, যাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, তাদের যদি সামর্থ না থাকে তখন সরকার পক্ষ থেকে তাদের আইনি সহায়তা দেয়া হয় যাতে আদালত ন্যায় বিচার করতে পারে। তাই আজকে আমরা চাই, বাংলাদেশে আইনের শাসন কায়েম হোক। এর বিপরীত প্রচেষ্টা যদি হয় তবে দেশের আইনজীবীরা তাদের পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসাবে রুখে দাঁড়াবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত কয়েক দিন ধরে দেখছি, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ডিফেন্স টিমের অন্যতম একজন আইনজীবীর (অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম) চেম্বারে সাদা পোশাকে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে তারা। আমরা মনে করি, এমন আচরণ আমাদের পেশাগত দায়িত্বের প্রতি সরকারের প্রতিবন্ধকতা। এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন চাই। যারা দোষী তাদের সাজা হোক। কিন্তু যদি বিচারের নামে প্রহসন হয় এবং আইনজীবীদেরকে যদি পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হয়রানি করা হয় তবে আমরাও বাধ্য হবো রাস্তায় নামতে। কালো কোর্ট যদি একবার রাস্তায় নামে, অতীতের ইতিহাস দেখুন সে সরকার বেশি দিন টিকেনা। তিনি বলেন, দেশে এমন কোনো ঘটনা ঘটতে দেবো না যাতে দেশে অশুভ একটি শক্তির আবির্ভাব হয় এবং দেশে অশান্তির সৃষ্টি হয়।’
লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। সারা দেশের আইনজীবীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং সব আইনজীবীর পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের অন্যতম প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের চেম্বারে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ডিবি পুলিশের পরিচয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে তল্লাশির নামে আইনজীবী, কায়েন্ট এবং কর্মচারীদের হয়রানি করছে। এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। কোনো সভ্য দেশে আইনজীবীদের চেম্বারে এইভাবে হয়রানিমূলক অভিযান চালানো হলে সংবিধান এবং আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত হতে বাধ্য। আইনজীবীগণ ‘অফিসার্স অব দ্য কোর্ট’ হিসাবে বিবেচিত এবং তাদের চেম্বারসহ যাবতীয় পেশাগত কার্যক্রম ‘চৎরারষবমবফ’ বলে বিবেচিত। পুলিশ আইনজীবীর চেম্বারে অভিযান চালিয়ে আইনজীবীদের পেশাগত অধিকারকে পদদলিত করেছে। এরূপ অবস্থায় কোনো আইনজীবীর পক্ষে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য স্বাধীন এবং ভয়-ভীতিহীনভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, সব মানুষেরই আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে এবং সেটি সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার। আইনজীবীকে হয়রানি করার অর্থ সংবিধান স্বীকৃত এই মৌলিক অধিকারকে পদদলিত করা । অতীতের কোনো সরকার এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড করতে সাহসী না হলেও বর্তমান সরকার অবলীলাক্রমে তা করতে উদ্যত হয়েছে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে গোয়েন্দা নজরদারির নামে হয়রানি করা হচ্ছে এবং তিনি যাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে না পারেন সে ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে একজন আইনজীবীর উপর আঘাত আসলে আমরা এটাকে সমগ্র আইনজীবীদের উপর আঘাত বলে ধরে নেবো এবং এর বিরুদ্ধে দেশের সকল আইনজীবীকে নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।’
সারা দেশের আইনজীবীদের অভিভাবক সংগঠন ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল’র পক্ষ থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হযেছে ‘আমরা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে একজন আইনজীবীর উপর আঘাত আসলে আমরা এটাকে সমগ্র আইনজীবীদের উপর আঘাত বলে ধরে নেবো এবং এর বিরুদ্ধে দেশের সকল আইনজীবীকে নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।’
গত মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের চেম্বারে সিভিল ড্রেসে ১০/১২ জন গোয়েন্দা পুলিশ হানা দেয়।
এর প্রতিবাদে আজ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন অডিটরিয়ামে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ডিফেন্স টিমের আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে সরকার। তাদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। গোয়েন্দা নজরদারির নামে তাদের চেম্বারে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ‘আমরা দেশে আইনের শাসন চাই। যারা দোষী তাদের সাজা হোক। কিন্তু যদি বিচারের নামে প্রহসন হয় এবং আইনজীবীদের যদি পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হয়রানি করা হয়, তবে আমরাও বাধ্য হবো রাস্তায় নামতে। কালো কোর্ট (আইনজীবীরা) যদি একবার রাস্তায় নামে, অতীতের ইতিহাস দেখুন সে সরকার বেশি দিন টিকেনা।’
সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করে ডিফেন্স টিমের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত ৮/১০ দিন ধরে ২/৪ জন গোয়েন্দা আমাকে নজরদারি করছে। তারা আমার বাসায় গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এমনকি আমার সাথে একজন গোয়েন্দা কথাও বলেছেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, যাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে না পারি সেজন্যই এমনটি করা হচ্ছে। একজন আইনজীবীকে যদি হয়রানি করা হয় তবে কিভাবে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, একজন আইনজীবীকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে হয়রানি করা আদালত অবমাননার শামিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিষয়টি ট্রাইব্যুনালকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করতে চাচ্ছে। আমরা বার বার এর প্রতিবাদ করেছি। অতীতেও আমরা দেখেছি, যারাই বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করতে চেয়েছে তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় এসে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালত সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এই কারণে দেশবাসীর মাঝে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি দেশ ও জাতির জন্য দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আইনজীবী। আমরা কোনো অপরাধকে সমর্থন করিনা। আমাদের দায়িত্ব, যখন একজন আসামীকে বিচারের আওতায় আনা হয়, তখন সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তার প্রকৃত অবস্থানকে তুলে ধরা। এমনকি ফাঁসির যে আসামী থাকে, যাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, তাদের যদি সামর্থ না থাকে তখন সরকার পক্ষ থেকে তাদের আইনি সহায়তা দেয়া হয় যাতে আদালত ন্যায় বিচার করতে পারে। তাই আজকে আমরা চাই, বাংলাদেশে আইনের শাসন কায়েম হোক। এর বিপরীত প্রচেষ্টা যদি হয় তবে দেশের আইনজীবীরা তাদের পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসাবে রুখে দাঁড়াবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত কয়েক দিন ধরে দেখছি, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ডিফেন্স টিমের অন্যতম একজন আইনজীবীর (অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম) চেম্বারে সাদা পোশাকে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে তারা। আমরা মনে করি, এমন আচরণ আমাদের পেশাগত দায়িত্বের প্রতি সরকারের প্রতিবন্ধকতা। এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন চাই। যারা দোষী তাদের সাজা হোক। কিন্তু যদি বিচারের নামে প্রহসন হয় এবং আইনজীবীদেরকে যদি পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হয়রানি করা হয় তবে আমরাও বাধ্য হবো রাস্তায় নামতে। কালো কোর্ট যদি একবার রাস্তায় নামে, অতীতের ইতিহাস দেখুন সে সরকার বেশি দিন টিকেনা। তিনি বলেন, দেশে এমন কোনো ঘটনা ঘটতে দেবো না যাতে দেশে অশুভ একটি শক্তির আবির্ভাব হয় এবং দেশে অশান্তির সৃষ্টি হয়।’
লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। সারা দেশের আইনজীবীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং সব আইনজীবীর পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের অন্যতম প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের চেম্বারে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ডিবি পুলিশের পরিচয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে তল্লাশির নামে আইনজীবী, কায়েন্ট এবং কর্মচারীদের হয়রানি করছে। এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। কোনো সভ্য দেশে আইনজীবীদের চেম্বারে এইভাবে হয়রানিমূলক অভিযান চালানো হলে সংবিধান এবং আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত হতে বাধ্য। আইনজীবীগণ ‘অফিসার্স অব দ্য কোর্ট’ হিসাবে বিবেচিত এবং তাদের চেম্বারসহ যাবতীয় পেশাগত কার্যক্রম ‘চৎরারষবমবফ’ বলে বিবেচিত। পুলিশ আইনজীবীর চেম্বারে অভিযান চালিয়ে আইনজীবীদের পেশাগত অধিকারকে পদদলিত করেছে। এরূপ অবস্থায় কোনো আইনজীবীর পক্ষে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য স্বাধীন এবং ভয়-ভীতিহীনভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, সব মানুষেরই আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে এবং সেটি সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার। আইনজীবীকে হয়রানি করার অর্থ সংবিধান স্বীকৃত এই মৌলিক অধিকারকে পদদলিত করা । অতীতের কোনো সরকার এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড করতে সাহসী না হলেও বর্তমান সরকার অবলীলাক্রমে তা করতে উদ্যত হয়েছে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে গোয়েন্দা নজরদারির নামে হয়রানি করা হচ্ছে এবং তিনি যাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে না পারেন সে ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে একজন আইনজীবীর উপর আঘাত আসলে আমরা এটাকে সমগ্র আইনজীবীদের উপর আঘাত বলে ধরে নেবো এবং এর বিরুদ্ধে দেশের সকল আইনজীবীকে নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন