১৭/১০/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে দু’জন বিদেশী সাক্ষী আনার বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আজ ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, অসদুদ্দেশে (ম্যালাফাইডি) এবং বিচারকে বিলম্বিত করার জন্য আসামী পক্ষ থেকে এ ধরনের আবেদন জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের এ অভিযোগের বিষয়ে তীব্র বিরোধীতা করে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এর মধ্যে কোথায় অসদুদ্দেশ্য আছে তার একটি উপাদান তারা দেখাক। সম্পূর্ণ আইনী কাঠামোর মধ্যে এ আবেদন করা হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল আইন আমাদের সে অধিকার দিয়েছে। কোন আবেদন নিয়ে আসলেই তরা মুখস্ত বলে দিচ্ছে অসুদুদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। তাদের এ অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা খুবই বিরক্ত।
অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে যে দুজন বিদেশী সাক্ষী আনার জন্য ট্রাইব্যুনালের প্রতি সমন জারির আবেদন জানানো হয়েছে তারা হলেন, ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার ইন চিফ (এলাইড ফোর্স নর্দার্ন রিজিয়ন) জেনারেল স্যার জ্যাক ডেভারেল এবং আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (গ্যালওয়ে) আইন অনুষদের প্রফেসর উইলিয়াম এ সাবাজ।
গত ১ জুলাই অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে ২ হাজার ৯৩৯ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়া হয়। তার মধ্যে উক্ত দুই জন বিদেশী সাক্ষীও ছিলেন। এরপর গত ৯ অক্টোবার ট্রাইব্যুনাল আসামী পক্ষকে ১২ জন সাক্ষীর সংখ্যা নির্ধারন করে দিয়ে আদেশ দেন। আসামী পক্ষ তাদের ১২ জন সাক্ষীর তালিকায়ও উক্ত দুই বিদেশী সাক্ষীর নাম অন্তর্ভুক্ত করেন এবং তাদেরকে দেশে এসে সাক্ষ্য দেয়ার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সমন জারির আবেদন করেন। আসামী পক্ষের আবেদনে উপরোক্ত বিদেশী দুজন সাক্ষীকে এক্সপার্ট উইটনেস বা বিশেষজ্ঞ সাক্ষী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং সেই হিসেবেই তাদের প্রতি সমন জারির আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয় অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে নেতৃত্বের দায় (কমান্ড রেসপনসিবিলিটি) অভিযোগ আনা হয়েছে। স্যার জ্যাক ডেভারেল একজন সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে এ বিষয়ে তার বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরবেন এবং তিনি একজন এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ সাক্ষী। এছাড়া উইলিয়াম সাবাজ সার্বভৌমত্ব বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরবেন।
গত মঙ্গলবার এ আবেদনের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য ধার্য্য করা ছিল। আজ সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী বা চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, তারা সাক্ষী হিসেবে আসতে পারেন কিন্তু এক্সপার্ট সাক্ষী হিসেবে নয়। তিনি অভিযোগ করেন বিচার বিলম্বিত করার জন্য এ ধরনের আবেদন করা হয়েছে।
এসময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, তারা যদি তাদের মামলায় সহায়তার জন্য বিদেশী সাক্ষী আনেন তাহলে আপত্তি কোথায়।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের অপর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, আসামী পক্ষের এ আবেদন অসদুদ্দেশ্য প্রনোদিত। এর মাধ্যমে তারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমকে একটি খোরাক দেয়ার জন্য তারা এ আবেদন এনেছে। তারা দেশে বিদেশে যে প্রচারনা চালাচ্ছেন তার সুবিধার জন্য তারা এটি করেছেন। তাছাড়া এ আবেদনের কোন ভিত্তি নেই। এ আবেদন বাতিল করা উচিত। এ আবেদন মেইনটেইনবেল নয়।
জেয়াদ আল মালুম বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল বেসামরিক নেতৃত্বের দায়। আসামী পক্ষ যে বিদেশ সাক্ষী আনতে চাচ্ছেন তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কি-না সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তারা সিভিল সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কি-না তাও উল্লেখ করা হয়নি। মামলার যে বিষয়বস্তু তাতে কোনভাবেই এটা ট্রাইব্যুনালের জন্য সহায়ক নয়।
উইলিয়াম সাবাজের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বই আমরাও পড়ি। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে একজন খ্যাতিমান আইনজ্ঞ তাতে আমাদের কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তা কিভাবে আমাদের এই মামলায় প্রয়োজনীয় এবং সহায়ক তা পরিষ্কার নয়।
এরপর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগের জবাবে বলেন, তাদের মুখস্ত কথা শুনতে শুনতে আমরা বিরক্ত। সব কিছুতে তারা মুখস্ত বলে দিচ্ছেন অসুদুদ্দেশ্য। কিন্তু কোথায় কিভাবে অসদুদ্দেশ্যে নিহিত আছে এ আবেদনের মধ্যে তার একটি উপাদান তিনি দেখাক। আমরা যদি বিচার মুলতবি চেয়ে আবদেন করতাম তাহলে এ অভিযোগ করলে মেনে নেয়া যেত। কিন্তু আমরা সম্পর্ণূ আইনী অধিকার বলে এবং আইনী কাঠামোর মধ্যে থেকে আবেদন করেছি। আর তাকে তারা অসদুদ্দেশ্য বলে দিলেন।
এসময় ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন করেন কোন আবেদনকে কি প্রতিপক্ষ ম্যালাফাইডি আখ্যায়িত করতে পারেনা?
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, না সব সময় পারেনা।
এরপর ট্রাইব্যুনাল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের প্রতি প্রশ্ন করেন, ট্রাইব্যুনাল মনে করলে যেকোন বিশেষজ্ঞকে যেকোন সময় ডেকে আনতে পারি। কিন্তু আপনারা কেন এক্সপার্ট সাক্ষী আনবেন? তারা কোন বিষয়ে আপনাদেরকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সাহায্য করবে? আসামী কোন আর্মি কমান্ডার নন। এখানে আসামীর বিরুদ্ধে সিভিল সুপিরিয়র রেসপনসিবিলির অভিযোগ আনা হয়েছে। সেখানে আর্মি কমান্ডার হিসেবে এসে তিনি কি করবেন?
জবাবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি শুধুমাত্র আর্মিতেই হয়। বেসামরিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ অভিযোগ আনতে হলে তাকে রাষ্ট্রপ্রাধন হতে হবে যার নিয়ন্ত্রন থাকবে আর্মির ওপর। যেমন সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এধরনের বেসামরিক ব্যাক্তির ক্ষেত্রে বেসামিরক নেতৃত্বের দায় চাপানো যায় । কিন্তু অধ্যাপক গোলাম আযম এ ধরনের কোন ক্ষমতায় ছিলেননা যাতে বলা যায় আর্মির ওপর তার নিয়ন্ত্রন ছিল।
ব্যারিস্টার আব্দর রাজ্জাক বেলন, কমান্ড রেসপনসিবিলিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৯ সালে যখন উপসাগরীয় যুদ্ধ হল তখন তাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য উভয় দেশ অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্র বৃটেনকে বলেছিল তোমাদের আর্মিও আমাদের কমান্ডে থাকুক। কিন্তু বৃটেন তাতে রাজি না হলে বলল আমাদের আর্মি আমাদের নেতৃত্বে থাকবে।
সেজন্য এ বিষয়টির বিষয়ে আমরা ন্যাটোর সাবেক জেনারেল স্যার জ্যাক ডেভারেলকে আনতে চাচ্ছি।
শুনানী শেষে ট্রাইব্যুনাল বলেন আগামী কাল এ বিষয়ে আদেশ হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে দু’জন বিদেশী সাক্ষী আনার বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আজ ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, অসদুদ্দেশে (ম্যালাফাইডি) এবং বিচারকে বিলম্বিত করার জন্য আসামী পক্ষ থেকে এ ধরনের আবেদন জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের এ অভিযোগের বিষয়ে তীব্র বিরোধীতা করে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এর মধ্যে কোথায় অসদুদ্দেশ্য আছে তার একটি উপাদান তারা দেখাক। সম্পূর্ণ আইনী কাঠামোর মধ্যে এ আবেদন করা হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল আইন আমাদের সে অধিকার দিয়েছে। কোন আবেদন নিয়ে আসলেই তরা মুখস্ত বলে দিচ্ছে অসুদুদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। তাদের এ অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা খুবই বিরক্ত।
অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে যে দুজন বিদেশী সাক্ষী আনার জন্য ট্রাইব্যুনালের প্রতি সমন জারির আবেদন জানানো হয়েছে তারা হলেন, ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার ইন চিফ (এলাইড ফোর্স নর্দার্ন রিজিয়ন) জেনারেল স্যার জ্যাক ডেভারেল এবং আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (গ্যালওয়ে) আইন অনুষদের প্রফেসর উইলিয়াম এ সাবাজ।
গত ১ জুলাই অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে ২ হাজার ৯৩৯ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়া হয়। তার মধ্যে উক্ত দুই জন বিদেশী সাক্ষীও ছিলেন। এরপর গত ৯ অক্টোবার ট্রাইব্যুনাল আসামী পক্ষকে ১২ জন সাক্ষীর সংখ্যা নির্ধারন করে দিয়ে আদেশ দেন। আসামী পক্ষ তাদের ১২ জন সাক্ষীর তালিকায়ও উক্ত দুই বিদেশী সাক্ষীর নাম অন্তর্ভুক্ত করেন এবং তাদেরকে দেশে এসে সাক্ষ্য দেয়ার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সমন জারির আবেদন করেন। আসামী পক্ষের আবেদনে উপরোক্ত বিদেশী দুজন সাক্ষীকে এক্সপার্ট উইটনেস বা বিশেষজ্ঞ সাক্ষী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং সেই হিসেবেই তাদের প্রতি সমন জারির আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয় অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে নেতৃত্বের দায় (কমান্ড রেসপনসিবিলিটি) অভিযোগ আনা হয়েছে। স্যার জ্যাক ডেভারেল একজন সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে এ বিষয়ে তার বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরবেন এবং তিনি একজন এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ সাক্ষী। এছাড়া উইলিয়াম সাবাজ সার্বভৌমত্ব বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরবেন।
গত মঙ্গলবার এ আবেদনের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য ধার্য্য করা ছিল। আজ সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী বা চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, তারা সাক্ষী হিসেবে আসতে পারেন কিন্তু এক্সপার্ট সাক্ষী হিসেবে নয়। তিনি অভিযোগ করেন বিচার বিলম্বিত করার জন্য এ ধরনের আবেদন করা হয়েছে।
এসময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, তারা যদি তাদের মামলায় সহায়তার জন্য বিদেশী সাক্ষী আনেন তাহলে আপত্তি কোথায়।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের অপর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, আসামী পক্ষের এ আবেদন অসদুদ্দেশ্য প্রনোদিত। এর মাধ্যমে তারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমকে একটি খোরাক দেয়ার জন্য তারা এ আবেদন এনেছে। তারা দেশে বিদেশে যে প্রচারনা চালাচ্ছেন তার সুবিধার জন্য তারা এটি করেছেন। তাছাড়া এ আবেদনের কোন ভিত্তি নেই। এ আবেদন বাতিল করা উচিত। এ আবেদন মেইনটেইনবেল নয়।
জেয়াদ আল মালুম বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল বেসামরিক নেতৃত্বের দায়। আসামী পক্ষ যে বিদেশ সাক্ষী আনতে চাচ্ছেন তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কি-না সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তারা সিভিল সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কি-না তাও উল্লেখ করা হয়নি। মামলার যে বিষয়বস্তু তাতে কোনভাবেই এটা ট্রাইব্যুনালের জন্য সহায়ক নয়।
উইলিয়াম সাবাজের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বই আমরাও পড়ি। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে একজন খ্যাতিমান আইনজ্ঞ তাতে আমাদের কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তা কিভাবে আমাদের এই মামলায় প্রয়োজনীয় এবং সহায়ক তা পরিষ্কার নয়।
এরপর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগের জবাবে বলেন, তাদের মুখস্ত কথা শুনতে শুনতে আমরা বিরক্ত। সব কিছুতে তারা মুখস্ত বলে দিচ্ছেন অসুদুদ্দেশ্য। কিন্তু কোথায় কিভাবে অসদুদ্দেশ্যে নিহিত আছে এ আবেদনের মধ্যে তার একটি উপাদান তিনি দেখাক। আমরা যদি বিচার মুলতবি চেয়ে আবদেন করতাম তাহলে এ অভিযোগ করলে মেনে নেয়া যেত। কিন্তু আমরা সম্পর্ণূ আইনী অধিকার বলে এবং আইনী কাঠামোর মধ্যে থেকে আবেদন করেছি। আর তাকে তারা অসদুদ্দেশ্য বলে দিলেন।
এসময় ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন করেন কোন আবেদনকে কি প্রতিপক্ষ ম্যালাফাইডি আখ্যায়িত করতে পারেনা?
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, না সব সময় পারেনা।
এরপর ট্রাইব্যুনাল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের প্রতি প্রশ্ন করেন, ট্রাইব্যুনাল মনে করলে যেকোন বিশেষজ্ঞকে যেকোন সময় ডেকে আনতে পারি। কিন্তু আপনারা কেন এক্সপার্ট সাক্ষী আনবেন? তারা কোন বিষয়ে আপনাদেরকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সাহায্য করবে? আসামী কোন আর্মি কমান্ডার নন। এখানে আসামীর বিরুদ্ধে সিভিল সুপিরিয়র রেসপনসিবিলির অভিযোগ আনা হয়েছে। সেখানে আর্মি কমান্ডার হিসেবে এসে তিনি কি করবেন?
জবাবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি শুধুমাত্র আর্মিতেই হয়। বেসামরিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ অভিযোগ আনতে হলে তাকে রাষ্ট্রপ্রাধন হতে হবে যার নিয়ন্ত্রন থাকবে আর্মির ওপর। যেমন সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এধরনের বেসামরিক ব্যাক্তির ক্ষেত্রে বেসামিরক নেতৃত্বের দায় চাপানো যায় । কিন্তু অধ্যাপক গোলাম আযম এ ধরনের কোন ক্ষমতায় ছিলেননা যাতে বলা যায় আর্মির ওপর তার নিয়ন্ত্রন ছিল।
ব্যারিস্টার আব্দর রাজ্জাক বেলন, কমান্ড রেসপনসিবিলিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৯ সালে যখন উপসাগরীয় যুদ্ধ হল তখন তাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য উভয় দেশ অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্র বৃটেনকে বলেছিল তোমাদের আর্মিও আমাদের কমান্ডে থাকুক। কিন্তু বৃটেন তাতে রাজি না হলে বলল আমাদের আর্মি আমাদের নেতৃত্বে থাকবে।
সেজন্য এ বিষয়টির বিষয়ে আমরা ন্যাটোর সাবেক জেনারেল স্যার জ্যাক ডেভারেলকে আনতে চাচ্ছি।
শুনানী শেষে ট্রাইব্যুনাল বলেন আগামী কাল এ বিষয়ে আদেশ হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন