মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় আগামী পাঁচ নভেম্বর যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে। আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ তারিখ নির্ধারন করে এ আদেশ দেন। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করবেন। তাদের পর্ব শেষ হলে মাওলানা সাঈদীর পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি তর্ক পেশ করবেন।
এদিকে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে বাকী সাক্ষী উপস্থাপনের জন্য আগামীকাল শেষবারের মত সময় পাবেন।
ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাদের আজ এবং আগামীকাল সময় দেয়া হল।
গত বৃহষ্পতিবার ১৮ অক্টেবার ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে বলেছিলেন রোববার ২১ নভেম্বর মাওলানা সাঈদীর পক্ষে বাকী সব সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। ওইদিন যদি তারা সব সাক্ষী হাজির করতে না পারে তাহলে তাদের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবেনা এবং আর কোন সময়ও তাদের দেয়া হবেনা। কিন্তু গত রোববার আসামী পক্ষ মাত্র একজন নতুন সাক্ষী হাজির করেন।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে মোট ২০ জন সাক্ষী নির্ধারন করে দেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১৬ জন সাক্ষী হাজির করা হয়েছে। গতকালও তারা কোন নতুন সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী হাজিরের জন্য আরো এক সপ্তাহ সময় চেয়ে বিচার মুলতবি রাখার আবেদন করা হয় ।
এ আবেদনের পক্ষে শুনানীতে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সমস্ত মেশিনারি কাজ করেছে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা এবং সাক্ষী হাজিরের জন্য। সে অবস্থায় তারাও সব সাক্ষী হাজির করতে পারেননি এবং বেশ কয়েকবার সময় নিয়েছেন। এই যদি হয় তাদের অবস্থা তাহলে আমাদের সাক্ষীদের অবস্থা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। কারণ আমাদের সাক্ষীরা রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে। যেখানে রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে সাক্ষী সেখানে আমরা কিভাবে রাষ্ট্রের পুলিশের কাছে আমাদের সাক্ষীদের নিরাপত্তা চাইতে পারি। উ
তারা আমাদের সাক্ষীদের নিরাপত্তা প্রদান তো দূরের কথা বরং আমাদের সকল সাক্ষীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা তল্লাসী, হয়রানি করেছে। বাড়ির লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কারো কারো বাড়িতে গিয়ে তছনছ করেছে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী হবার কারনে।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রথম সাক্ষী শামসুল আলম তালুকদার এ কোর্টে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন এ খবর টিভিতে প্রচারের সাথে সাথে তার গ্রামের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে। তার লাইসেন্স করা বন্দুক পর্যন্ত তারা সিজ করে নিয়ে গেছে। শামসুল আলম তালুকদার একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সুন্দরবন সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব) জিয়াউদ্দিন আহমেদের তিনি সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। তার অবস্থা যদি হয় এই তাহলে অন্যদের অবস্থা কি।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সাক্ষী হাজিরের জন্য। কিন্তু কিছু সমস্যা হচ্ছে। এজন্য আরো এক সপ্তাহ সময় দরকার।
এছাড়া গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের দুজন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী এবং গনেশ চন্দ্র সাহাকে হাজিরের জন্য সমন জারির আবেদন করেন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে আইনজীবীরা। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাদের মধ্যে এ দুজনও রয়েছে। মাওলানা সাঈদীর পক্ষে তাদেরকে সাক্ষী হিসেবে হাজিরের জন্য সমন জারির আবেদন করা হয়েছিল।
ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে বলেন আসামী পক্ষ যাকে খুসী তাদের পক্ষে সাক্ষী হিসেবে আনতে পারবে। সেটা তাদের বিষয়। তবে ট্রাইব্যুনাল সমন জারি করবেনা।
এদিকে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে বাকী সাক্ষী উপস্থাপনের জন্য আগামীকাল শেষবারের মত সময় পাবেন।
ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাদের আজ এবং আগামীকাল সময় দেয়া হল।
গত বৃহষ্পতিবার ১৮ অক্টেবার ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে বলেছিলেন রোববার ২১ নভেম্বর মাওলানা সাঈদীর পক্ষে বাকী সব সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। ওইদিন যদি তারা সব সাক্ষী হাজির করতে না পারে তাহলে তাদের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবেনা এবং আর কোন সময়ও তাদের দেয়া হবেনা। কিন্তু গত রোববার আসামী পক্ষ মাত্র একজন নতুন সাক্ষী হাজির করেন।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে মোট ২০ জন সাক্ষী নির্ধারন করে দেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১৬ জন সাক্ষী হাজির করা হয়েছে। গতকালও তারা কোন নতুন সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী হাজিরের জন্য আরো এক সপ্তাহ সময় চেয়ে বিচার মুলতবি রাখার আবেদন করা হয় ।
এ আবেদনের পক্ষে শুনানীতে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সমস্ত মেশিনারি কাজ করেছে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা এবং সাক্ষী হাজিরের জন্য। সে অবস্থায় তারাও সব সাক্ষী হাজির করতে পারেননি এবং বেশ কয়েকবার সময় নিয়েছেন। এই যদি হয় তাদের অবস্থা তাহলে আমাদের সাক্ষীদের অবস্থা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। কারণ আমাদের সাক্ষীরা রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে। যেখানে রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে সাক্ষী সেখানে আমরা কিভাবে রাষ্ট্রের পুলিশের কাছে আমাদের সাক্ষীদের নিরাপত্তা চাইতে পারি। উ
তারা আমাদের সাক্ষীদের নিরাপত্তা প্রদান তো দূরের কথা বরং আমাদের সকল সাক্ষীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা তল্লাসী, হয়রানি করেছে। বাড়ির লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কারো কারো বাড়িতে গিয়ে তছনছ করেছে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী হবার কারনে।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রথম সাক্ষী শামসুল আলম তালুকদার এ কোর্টে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন এ খবর টিভিতে প্রচারের সাথে সাথে তার গ্রামের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে। তার লাইসেন্স করা বন্দুক পর্যন্ত তারা সিজ করে নিয়ে গেছে। শামসুল আলম তালুকদার একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সুন্দরবন সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব) জিয়াউদ্দিন আহমেদের তিনি সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। তার অবস্থা যদি হয় এই তাহলে অন্যদের অবস্থা কি।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সাক্ষী হাজিরের জন্য। কিন্তু কিছু সমস্যা হচ্ছে। এজন্য আরো এক সপ্তাহ সময় দরকার।
এছাড়া গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের দুজন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী এবং গনেশ চন্দ্র সাহাকে হাজিরের জন্য সমন জারির আবেদন করেন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে আইনজীবীরা। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাদের মধ্যে এ দুজনও রয়েছে। মাওলানা সাঈদীর পক্ষে তাদেরকে সাক্ষী হিসেবে হাজিরের জন্য সমন জারির আবেদন করা হয়েছিল।
ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে বলেন আসামী পক্ষ যাকে খুসী তাদের পক্ষে সাক্ষী হিসেবে আনতে পারবে। সেটা তাদের বিষয়। তবে ট্রাইব্যুনাল সমন জারি করবেনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন