রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

শাহরিয়ার কবিরকে জেরা// মাওলানা আবুল কালাম আযাদ তার ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম বইয়ের অপ্রকাশিত অংশে ভারত বিভক্তির জন্য কংগ্রেস নেতা জওহর লাল নেহেরু ও সরদার ভাই প্যাটেলকেও দায়ী করেছিলেন।

৯/৯/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী শাহরিয়ার কবিরকে আজ চতুথ দফা  জেরা করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট  মিজানুল ইসলাম সাক্ষীকে জেরা করেন।

প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামী, রাজাকার, শান্তি কমিটি এবং আল-বদর সম্পর্কে পৃথকভাবে গবেষণা করেছেন না একত্রে করেছেন?

উত্তর : পৃথকবাবেও করেছি  একত্রিতভাবেও গবেষণা করেছি।

প্রশ্ন : নাৎসিবাদ এবং ফ্যাসিবাদের উপর গবেষণা  করেছেন?
উত্তর : না তবে পড়াশুনা করেছি।

প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদের পাঠ্যসূচিতে মাওলানা মওদূদীর লেখা অনেক বই আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এই পাঠ্য সূচিতে মওদূদীর লেখা ১৯৪১ এর পূর্বে এবং পরে উভয় সময়কালের বই-ই অন্তর্ভূক্ত।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামী সদস্যদের পাঠ্য সূচিতে ভারতীয় কংগ্রেস নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদের লিখিত কোন বই আছে কি?
উত্তর : আমার জানা নেই।

প্রশ্ন : আবুল কালাম আজাদ সাহেব ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম নামে একটি বই লিখেছেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এই বইয়ের ৩০ পৃষ্ঠা তার মৃত্যুর ৫০ বছর পরে প্রকাশের সিদ্ধান্ত দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশে তা মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর ৩০ বছর পরই প্রকাশিত হয়।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ঐ ৩০ পৃষ্ঠা বইয়ের কোন বিচ্ছিন্ন অধ্যায় ছিলনা। এটা বিভিন্ন অধ্যায়েরই অংশ ছিল।
প্রশ্ন :  হ্যা।
প্রশ্ন : এই অপ্রকাশিত অংশে তিনি অত্র বিষয়ের মধ্যে মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কংগ্রেস তাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা ভংগ করার কথা বলা হয়েছে
উত্তর : হ্যা। কংগ্রেসের কোন কোন নেতাকে তিনি প্রতিশ্রুতি ভংগের জন্য দায়ী করেছিলেন।
প্রশ্ন  :  তিনি তাঁর বইয়ের অপ্রকাশিত অংশে ভারত বিভক্তির জন্য কংগ্রেস নেতা জওহর লাল নেহেরু ও সরদার ভাই প্যাটেলকেও দায়ী করেছিলেন।
উত্তর : হ্যা।

প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদূদী তার লেখা কোন বই বা বিবৃতিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি, মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ এবং আল্লামা ইকবাল পরিকল্পনাকারী মর্মে দাবী করেছিলেন কিনা
উত্তর : আমি জানি না।

প্রশ্ন : মাওলানা মওদূদীর ছেলে সৈয়দ ফারুক হায়দার মওদূদী বেঁচে আছেন।
উত্তর : হ্যা।

প্রশ্নঃ মাওলানা মওদূদীর ছেলে সৈয়দ ফারুক হায়দার মওদূদী তার পিতা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ এবং আল্লামা ইকবাল পাকিস্তানের পরিকল্পনাকারী মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেই বক্তব্যের সমর্থক তিনি আপনাকে কোন প্রমাণ তথ্য দিয়েছিলেন কিনা?

উত্তরঃ হায়দার ফারুক মওদূদী মাওলানা আবুল আলা মওদূদীর পুত্র। তার পিতার সম্পর্কে তিনি আমাদের যে কারো চেয়ে বেশি জানেন। সুতরাং তার এই বক্তব্যের জন্য তাকে আমার চ্যালেঞ্জ করার প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করিনি। গবেষণার ক্ষেত্রে কথ্য ইতিহাস বা ওরাল এভিডেন্সকেও ইতিহাসের উপাদান হিসাবে গ্রহণ করা হয়।

আমাকে হায়দার ফারুক মওদূদী বলেছেন তারা নয় ভাই-বোন। আমি এটা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করিনি। মাওলানা মওদূদীর বড় সন্তানের নাম আমার জানা নেই। হায়দার ফারুক মওদূদী তার পিতার সন্তানদের মধ্যে কনিষ্ঠ অথবা কনিষ্ঠদের মধ্যে একজন হতে পারেন। হায়দার ফারুক মওদূদী লাহোর তার পিতার বাড়িতেই থাকেন।

প্রশ্নঃ ফারুক মওদূদী জামায়াতে ইসলামী করেন কি?
উত্তরঃ আমার সংগে সাক্ষাতকালে হায়দার ফারুক মওদূদী বলেছেন তার পিতা মাওলানা আবুল আলা মওদূদী তার কোন সন্তানকে জামায়াত বা জমিয়তের কোন রাজনীতির সংগে সম্পৃক্ত হতে দেননি। তিনি এমন কথাও বলেছেন তাদের কেউ যদি কখনও জামায়াতে ইসলামীর কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখেছেন তখনই তিনি তাকে তিরস্কার করতেন। ড্রাগ ব্যবসায়ীরা যেমন মাদক দ্রব্য কখনও বাড়ির ভিতরে ঢুকান না বাড়ির বাইরে রাখেন এইভাবে তার পিতা মাওলানা তার সন্তানদেরকে জামায়াতের রাজনীতির বাইরে রেখেছেন।


প্রশ্নঃ হায়দার ফারুক মওদূদীর সাক্ষাতকার নেওয়ার জন্য আপনি যখন লাহোর যান তখন তার অন্য ভাইবোনদের সাক্ষাতকার নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কি?

উত্তরঃ অন্যান্য ভাইবোনদের সাক্ষাতকার নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। লাহোরে আমি শুধু হায়দার ফারুক মওদূদীর সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতেই যায়নি। আমি গিয়েছিলাম পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী জঙ্গি সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জানবার জন্য। তখন লাহোরের একজন সাংবাদিক আমাকে বলেছিলেন এই বিষয়ে জানতে গেলে মাওলানা মওদূদীর ছেলে ফারুক হায়দার মওদূদী সঙ্গে কথা বলা উচিত কারণ তিনি এবিষয়ে অনেক লিখেছেন এবং সেই সাংবাদিকই হায়দার ফারুকই মওদূদীর সঙ্গে আমাকে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেয়।

হায়দার ফারুক মওদূদী মওলানা কাওছার নিয়াজি মালিকানাধীন একটি পত্রিকায় কলাম লিখতেন কিনা আমি জানি না।  তবে তিনি লাহোরের কয়েকটি উর্দু পত্রিকার একজন নিয়ামিত কলাম লেখক।

মাওলানা কাওছার নিয়াজি ১৯৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির জাতীয় পরিষদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন।

প্রশ্ন :  মাওলানা মওদূদী তার মৃত্যুর পূর্বে তার লেখা অনেক বইয়ের মালিকানা স্বত্ব জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানকে দিয়ে গিয়েছিলেন ।

উত্তর : আমার জানা নেই। তবে ঐ বিষয়ে মালিকানা নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালতে জামায়াতের সংগে মওদূদীর পরিবারের সদস্যদের মামলা মোকদ্দমা চলছে বলে আমাকে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন : হায়দার ফারুক মওদূদী মাওলানা মওদূদী কর্তৃক সম্পাদিত উইল বাতিলের জন্য কোন মামলা করেছিলেন কিনা।
উত্তর : এটা আমার জানা নেই ।

প্রশ্নঃ জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠনের সংগে জড়িত এই মর্মে পাকিস্তান সরকারের বা কোন দপ্তরের পক্ষকে এ যাবত কোন অভিযোগ আনা হয়েছে কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ জামায়াতে ইসলামী ও মওলানা মওদূদী জঙ্গিপনার কারণেই লাহোরের কাদিয়ানি হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। এবং সামরিক আদালতে মাওলানা মওদূদীর ফাসির আদেশ হয়েছিল। মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে লাহোরে কত ব্যক্তিকে হত্যার জন্য অভিযোগ আনা হয়েছিল তা আমার জানা নেই। ঐ মামলায় মাওলানা মওদূদী ছাড়া জামায়াতের অন্য কোন নেতা বা কর্মীর বিচার হয়েছিল কিনা তা আমার জানা নেই।

প্রশ্নঃ ১৯৫৩ সালের লাহোর এর আরো কয়েকটি শহরে সামরিক শাসন জারির অন্যতম কারণ ছিল কি? (১৯৪৮ সালে একজন মেজরের হত্যাকান্ড)
উত্তরঃ এটা আমার জানা নেই। আমি যতদূর জানি লাহোরে সিভিল প্রশাসন দাঙ্গা দমনে ব্যর্থ হয়েছিল বলে সামরিক শাসন জারী করতে হয়েছিল।

প্রশ্নঃ ১৯৪৮ সালে একজন মেজরের হত্যাকান্ড কাদিয়ানি সমস্যার সূত্রপাত ঘটে এটা মুনির কমিশনের রিপোর্টে আছে এটা আপনি জানেন কি?

উত্তরঃ এটা আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। (পরে বলেন) মুনির কমিশনের রিপোর্ট কাদিয়ানি দাঙ্গার জন্যে মাওলানা মওদূদীর উস্কানীমূলক লেখা, বক্তৃতা এর তার পরিপেক্ষিতে জামায়াতের কর্মীদের সহিংস কর্মকান্ডে দায়ী করা হয়েছে। মাওলানা মওদূদী লেখা পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কিনা আমার জানা নেই।

প্রশ্নঃ ডাইরেক্ট এ্যাকশন কর্মসূচী ঘোষণাকারী মজলিশ-ই আমলে যে ১৪ টি দল অন্তর্ভূক্ত ছিল তার মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য কোন দলের দলীয় প্রধানকে বাদে জামায়াতে ইসলামীর কোন কর্মীকেও ঐ মামলার আসামী করা হয়েছিল কি?

উত্তরঃ হয়নি। কারণ অভিযুক্তদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন মাওলানা মওদূদী।

প্রশ্নঃ মুনির কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী মুসলিম লীগের অনেক কর্মী আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এবং সরাসরি ১৯৫৩ সালের দাঙ্গায় অংশ গ্রহণের অভিযোগ থাকলেও মুসলিম লীগের কোন নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল কি?

উত্তরঃ মুনির কমিশনের রিপোর্ট না দেখে আমি বলতে পারব না।
প্রশ্নঃ আপনি কোন বিশ্বাসে একজন কমিউনিষ্ট কর্মী?
উত্তরঃ আমি কমিউনিষ্ট নই। আমি একজন মানবতাবাদী।
প্রশ্নঃ জৈনিক প্রতারকের কাহিনী বইটি কি আপনি লিখেছেন?
উত্তরঃ হ্যাঁ।
প্রশ্নঃ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত এই বইয়ের “লেখকের কথায়” নিজেকে আপনি একজন কমিউনিষ্ট কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন কি?
উত্তরঃ ১৯৮৬ সালে আমি কমিউনিষ্ট আন্দোলনের সংগে যুক্ত ছিলেন না। আমি যুক্ত ছিলাম সত্তর দশকের শুরুতে এবং একথাই বর্ণিত বইয়ে লেখকের কথায় উল্লেখ করেছি। আমি সত্তর দশকের শুরুতে কমিউনিষ্ট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। পরবর্তীতে আমি আর কোন আন্দোলনের সংগে জড়িত ছিলামনা।  পরবর্তীতে আমি আর কোন রাজনৈতিক দলের সংগে জড়িত হইনি।

প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন গোপন রাজনৈতিক এজেন্ডায় বিশ্বাস করতেন কি?
উত্তরঃ এ বিষয়ে আমি কোন গবেষণা করিনি।
প্রশ্নঃ এটা সত্য নয় যে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেনি। তবে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন। এটা সত্য নয় যে, ৩ মার্চ ১৯৭১ এর পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলে নাই।


প্রশ্নঃ ২৭ মার্চ ১৯৭১ সালে এন বি সি নিউজ এ প্রচারিত (পূর্বে গৃহিত তারিখ উল্লেখ নেই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাতকারে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কথা বলেননি। এই সাক্ষাতকারটি আপনি দেখেছেন কি?
উত্তরঃ এই সাক্ষাতকার আমি দেখিনি।
প্রশ্নঃ রাজাকার বাহিনী ২ আগষ্ট ১৯৭১ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে রাজাকার বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কি?
উত্তরঃ আমি জানি ১৯৭১ সালের মে মাসে জামায়াতের নেতা মাওলানা একে এম ইউসুফ খুলনায় প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। পরে পাকিস্তান সরকার আনসার বাহিনীর সঙ্গে একীভূত করে অধ্যাদেশ জারি করে।
প্রশ্নঃ ১৯৭১ সালে অথবা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত মাওলানা একে এম ইউসুফ কর্তিক খুলনায় প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয় মর্মে কোন সংবাদ বা সরকারী প্রেস বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল কি?
উত্তরঃ এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
প্রশ্নঃ রাজাকার বাহিনী গঠনের বিষয়টি কোন সময় পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
উত্তরঃ পত্রিকায় কখন প্রথম কবে প্রকাশিত হয়েছিল তা আমার জানা নেই। তবে আশির দশকের মাঝামাঝি “একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়” লেখার সময় আমরা মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে এ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। মাওলানা একে এম ইউসুফ মালেক মন্ত্রী সভার সদস্য ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার পর আদালতে আত্মসমর্পন করেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে রাজাকার বাহিনী গঠনের কোন অভিযোগ আনা হয়েছিল কিনা। এটা হতে পারে যে, বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতাসীন অবস্থায় আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্তিপান তবে এটা আমার সুনির্দিষ্টভাবে জানা নেই।

প্রশ্নঃ রাজাকার বাহিনীর প্রথম ডিরেক্টর কে ছিলেন?
উত্তরঃ এটা আমি বই না দেখে বলতে পারব না।
আব্দুর রহিম নামে কোন রাজাকার ডিরেক্টর ছিলেন কিনা আমি বই না দেখে বলতে পারব না।

প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালীন সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ যাবতীয় অপরাধ তদন্তের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার সচিব জনাব আব্দুর রহিমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন
উত্তর :  আামর জানা নেই।

প্রশ্ন : সচিব আব্দুর রহিমই রাজাকার প্রথম ডিরেক্টর ছিলেন এবং আমি এটা জেনে গোপন করছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন :  স্বাধীনতা পরে সার্কেল অফিসার  ডেভ)কে আহ্বায়ক এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে গঠিত একটি কমিটিকে স্বাধীনতা বিরোধীতা এবং বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে যাদেরকে আটক রাখা হয়েছিল তাদের সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশের জন্য বলা হয়েছিল কি?

উত্তরঃ উক্ত কমিটিতে সার্কেল অফিসার ছিলে কিনা তা আমার জানা নেই। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বলে আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
প্রশ্নঃ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এরূপ কোন তদন্তে মাওলানা একে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল হয়েছিল কি?
উত্তরঃ এটা আমার জানা নেই, তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে তখন পত্রিকায় যথেষ্ট লেখালেখি হয়েছিল।
প্রশ্নঃ  কাদের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে তখন যথেষ্ট লেখালেখি হয়েছিল সে মর্মে পত্র পত্রিকায় কোন কাটিং দেখেছেন ?
উত্তরঃ আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দেইনি। তবে একাত্ররের ঘাতকরা কে কোথায় এই বইটি তাকে দিয়েছি।
প্রশ্নঃ একাত্তরের ঘাতকেরা  কে কোথায় এই বইয়ে লেখক কে ?
উত্তরঃ এই বইয়ের লেখক কয়েকজন যা ভূমিকায় বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ এই বইয়ে কোন প্রবন্ধ  আপনি  লিখেছেন কি ?
উত্তরঃ না, তবে ভূমিকাটি লেখায় আমার অংশগ্রহন আছে।
বইটির মুখবদ্ধ সম্পাদকীয় পরিষদ কর্তৃক লিখিত।
প্রশ্নঃ বইটিতে সম্পাদকীয় পরিষদের কোন নাম আছে কি ?
উত্তরঃ প্রসিকিউশন কর্তৃক সরবরাহকৃত যে বইটি ডিফেন্স কাউন্সিলের এর হাতে আছে মর্মে দাবী করা হয় তাতে সম্পাদকীয় পরিষদের কোন নাম দেখেছিনা। তদন্তকারী কর্মকর্তা কিছু বই আমার কাছ থেকে নিয়েছেন আর কিছু বই সম্ভবত বাজার থেকে সংগ্রহ করেছেন। যে বইটি আমাকে এখন দেখানো হলো সেটি মনে হচ্ছে জাল। আমাদের কর্তৃক সম্পাদিত বইটিতে সম্পাদকীয় পরিষদের নাম আছে। এই বইয়ের প্রকাশনা স্বস্ত নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। ঐ সময় ঐ মামলায় দুই পক্ষ পৃথক পৃথক ভাবে প্রকাশ করেছিল (নিজে বলেন) বইটি যারা জাল করেছেন তারা অনেক তথ্য বাদ দিয়েছেন।                            
 প্রশ্ন: মাওলানা একেএম ইউসুফ মালেক মন্ত্রী সভার সদস্য ছিলেন।
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: স্বাধীনতার পর তিনি আদালতে আত্মসমার্পণ করেছিলেন।
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: ওই সময় তার বিরুদ্ধে রাজাকার বাহিনী গঠনের অভিযোগ আনা হয়নি।
উত্তর: জানা নেই।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু ক্ষমতাসীন অবস্থায় আদালতের নির্দেশে তিনি জামিন পান।
উত্তর: হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন