বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সাকা চাই প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী যা বললেন

মেহেদী  হাসান
আজ  বিকালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১১ তম সাক্ষী এস এম মাহবুবুল আলমের জেরা শুরু হয়। গত  ২৮ আগস্ট জবানবন্দীর সময় সাক্ষী মাহবুবুল আলম বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর জিয়াউর রহমান  তাদের  কাছে ২২ জনের একটি ছোট লিস্ট দিয়েছিলেন । তাতে  ১ নং ক্রমিকে  ফজলুল কাদের চৌধুরী,  ২ নং ক্রমিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর নাম ছিল । । ট্রাইব্যুনালের রেকর্ডেও  সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরী এভাবে নামটি লিপিবদ্ধ করা হয় তার জবানবন্দী গ্রহনের সময়।

আজ  জেরার সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী আহসানুল হক হেনা সাক্ষীকে  বলেন ১৯৭১ সালে সালাজউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে তো সাকা চৌধুরী বলা হতনা। কাজেই ১৯৭১ সালে তার নামের সাথে ওরফে  সাকা চৌধুরী কিভাবে আসল। এ সময় ট্রাইব্যুনাল এ প্রশ্ন বিষয়ে আপত্তি জানালে আহসানুল হক হেনা বলেন, জবানবন্দীতে যদি ওরফে  সাকা চৌধুরী না রাখা হত তাহলে আমি এ প্রশ্ন করতামনা। তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন সাংবাদিকরা অনেক সময় সংক্ষেপে এভাবে লেখেন। আমরাও কারো নাম এভাবে লেখা পছন্দ করিনা। তখন  ডকে উপস্থিত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আমার নাম আপনারা সাকা চৌধুরী লেখেন আপত্তি নেই।  কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানকে যদি আমরা  সংক্ষেপে শেমুর লিখি তখন কেমন হবে? তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, সবার নিকট নাম একটি স্পর্ষকাতর এবং সম্মানিত বিষয়। নাম বিকৃত করা ঠিক নয়।

এর আগেও মাঝে মাঝে সাক্ষী, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কর্তৃক  সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নাম সাকা চৌধুরী বলায় তিনি তীব্রভাবে এর প্রতিবাদ জানাতেন। একবার ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক  সবাইকে নির্দেশ দেন তার নাম ওভাবে না বলার জন্য।

তার আগে একবার বিচারপতি নিজামুল হকও সাকা চৌধুরী বলেন। তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী সঙ্গে সঙ্গে হুঙ্কার দিয়ে বলে ওঠেন হু ইজ সাকা চৌধুরী। বিচারপতি নিজামুল হক সরি বলেন তখন।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন