বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

লাট মিয়ার জেরা শেষ


13/9/2012
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাী আমির হোসেন মোল্লা ওরফে লাট  মিয়ার  জেরা শেষ হয়েছে।  আজ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কাদের মোল্লার আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।

জেরায় সাী আমির হোসেন মোল্লা ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যে মামলা করেছিলেন তার কপি আদালতে প্রদর্শন করেন। ওই মামলার উদ্বৃতি দিয়ে আসামী পক্ষেল আইনজীবী বলেন, ’৭১ সালে ঘটনার সময় ওই মামলার বাদি আমির হোসেন মোল্লা ও তার পরিবার বিলের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেছিলেন। যা ওই মামলার নথিতে আছে। জবাবে আমির হোসেন মোল্লা বলেন, মামলার আরজিতে উকিল সাহেব কি লিখেছেন আমি বলতে পারব না। তবে এই কেসের প্রতি পাতায় আমার স্বাক্ষর আছে।
জেরায় আইনজীবী প্রশ্ন করেন, ২৪ এপ্রিল আপনার বর্ণিত ঘটনার দিন আপনারা ডোবায় কচুরি পানায় লুকিয়ে ছিলেন। জবাবে সাক্ষী বলেন, সত্য নয়। আমিও আমার বাবা গ্রামের পশ্চিম উত্তর দিকে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে ছিলাম।

জেরা:
প্রশ্ন : ২৩ বা ২৪ মার্চ আপনি বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে কোথাও যাননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২৪ এপ্রিলের পর গ্রামে ছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ওইদিন আপনি পরিবার নিয়ে ডোবায় কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে ছিলেন।
উত্তর : এটা সত্য নয়। (নিজে বলেন, আমি ও আমার পিতা আলুবদী গ্রামের পশ্চিম, উত্তর কোণায় যে কচুরিপানা ছিল সেখান থেকে ঘটনা দেখি)।
প্রশ্ন : কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে থাকার কথা বানোয়াট?
উত্তর : এটা সত্য নয় যে এই কথা বানোয়াট।
প্রশ্ন : কচুরিপানার নিচ থেকে কোনো ঘটনা দেখেননি, এটা বানোয়াট।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : এ ঘটনার সময় বাদি ও তার পরিবার কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে থেকে আত্মরা করেন।
উত্তর : নালিশী  মামলায় এ কথা লেখা আছে। উকিল সাহেব কি লিখেছেন আমি বলতে পারবো না। এই নালিশী মামলার দরখাস্তের সকল পাতায় আমার স্বার আছে।
প্রশ্ন : ২৫ মার্চের পরে বাদি, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কোথায় যাবেন, কি করবেন এ চিন্তায় দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে সতর্ক অবস্থান করতে থাকেন- এ কথা নালিশী আবেদনে লেখা আছে। সেখানে আপনার স্বারও আছে।
উত্তর : উকিল সাহেব দরখাস্ত কি লিখেছেন তা তিনি জানেন। আমি বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : সত্য গোপন করে মিথ্যা বলেছেন?
উত্তর : এটা সত্য নয়, যা বলেছি সত্য বলেছি।
প্রশ্ন : ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মিরপুর ভারতের বিহার রেজিমেন্টের দখলে ছিল। তারা মিরপুর-১২ নম্বর সেকশন ঘেরাও করে রেখে নিরীহ এলাকাবাসীর নিরাপত্তার জন্য।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২৭ জানুয়ারি ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ মিরপুরের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : দালাল আইনে কোনো আদালত গঠন হয়েছিল কি না?
উত্তর : আমার জানা নেই।
প্রশ্ন : আকতার গুণ্ডাকে চিনতেন?
উত্তর : চিনতাম।
প্রশ্ন : এই আকতার গুণ্ডার আদালতে সাজা হয়েছিল কি না?
উত্তর : বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : জেলে ছিল?
উত্তর : ৩১ জানুয়ারির পর জেলে ছিল।
প্রশ্ন : সাজা খেটে জেল থেকে বের হয়ে পাকিস্তানে চলে যান।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের পর মিরপুর থেকে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দেড়মাস সময় লেগেছিল কি না?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে বলেছেন ছাত্র সংঘের নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ৭০/৮০ জন লোককে নিয়ে পাকিস্তান রার জন্য বিহারীদের ট্রেনিং দিতেন এটা বানোয়াট ও মিথ্যা।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে যে সকল অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক।
উত্তর : এটা সত্য নয়।

রিপোর্টার : হাবিবুর রহমান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন